প্রিয় ব্লগার রাগইমন আবেগপ্রবন নরম মনের মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধিদের প্রতি তার উচ্চারন দৃঢ়। আজ ভাষা আন্দোলনের দিনে তার নিচের কথাগুলো রিকল করি। অনেক শ্রদ্ধা রাগইমনের প্রতি।
"সন্ধ্যা , ভন্ডামি তুমিও কম করো না । বহুদিন দেখি নাই তোমাকে ব্লগে । ঠিক যেই সময় থেকে জামায়াত ঘেষা ব্লগাররা একই ব্লগারের তিনটা ,
চারটা বা আরো বেশি নিক নিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে ব্লগের অবস্থা একদম স্বাভাবিক , তখন থেকেই দেখি তোমার আর তোমার ছোট বোনের পোস্টের পর পোস্ট পড়ছে ।
আমার আগের তিনটা লেখায় , মানুষ , বিষাক্ত মানুষ কিংবা সামী মিয়াদাঁদ নিয়ে তোমার কোন মন্তব্য নেই । কিচ্ছু না । তাদের ব্যান তুলে নেওয়ার ব্যাপারে কোন রকম মতামত তোমার নাই ।
কিন্তু , নরাধমের ব্যাপারে তোমার অনেক কিছু বলার আছে ।
তোমার পোস্টে একটা প্রশ্ন করেছিলাম তোমাকে , " হু আর ইউ ফাইটিং ফর ?"
আমার সেই প্রশ্নের জবাব আমি তোমার কর্মকান্ড থেকেই পেয়ে গেছি ।
এক সময় জামাতের পক্ষে পোস্ট দিয়ে গলা ফাটিয়েছো । এখনও তোমার কাছে "যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম ( ৩০ লক্ষ বাঙালী আর ২ লক্ষ বাঙালী নারীর রক্ত , সম্ভ্রমহানি যার হাতে ) " হলো গোলাম আযম আঙ্কেল ।
কামরুজ্জামানের মত আল বদরের প্রতিষ্ঠাতা নেতা ( তুমি কি "মুক্তিযুদ্ধ
প্রতিদিন অনুষ্ঠানটা দেখেছো ? নাকি বই পড়তে পড়তে ৭১ এ কে কাকে মেরেছে পড়ার , দেখার সময় পাও না?) কামরুজ্জামানের দুই পুত্র ওয়ালী , ওয়ামি হইলো প্রিয় "ভাইয়া "।
" ৩০ লক্ষ লোক মরলে আমি আহত হই না" টাইপের পোস্টের লেখক হইলো তোমার প্রিয় পাঠক ও লেখক ।
কেন , সন্ধ্যা ?
ওরা গালি দেয় না বলে ? ওরা রসময় গুপ্তের কথা বলে না বলে ? ওরা মুক্সেদুল মোমেনীনের প্রচারকারী সংগঠন বলে ?
তুমিও গালি দিতে , যদি বাপের খুনির গাড়িতে প্রিয় মাতৃভূমির পতাকা দেখতে । আমিও গালি দেই , যখন কেউ বলে , বাংলাদেশে কোন যুদ্ধ অপরাধী নেই ।
যে গর্ভবতী স্ত্রীর সামনে থেকে ভাতের থালা ফেলে উঠে গেছে প্রিয় স্বামী আল বদরের ছেলেদের সাথে , ফিরে আসেনি তার পুত্রের মুখ দেখার জন্য । সেই স্ত্রীর ৩৬ বছরের বৈধব্য এর কাছে , সেই পুত্রের পিতার আদর বিহীন শৈশব কৈশোরের কাছে , খুনীর গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা দেখার সাথে ---- তোমার বিরুদ্ধে করা সব কটা পোস্টের যোগ ফল এর কষ্ট কিচ্ছু না ।
আবার ও বলি কিচ্ছু না ।
তোমাকে করা অপমানজনক পোস্ট গুলাকে আমি সমর্থন করি না , এইটা ঠিক । নোংরামি দিয়ে নোংরামির জবাব আমি কখনোই দেব না ।
কিন্তু রাজাকারী করার জন্য কেউ যদি অপমানিত হয় , তাকে আমি বড় জোর করুনা করতে পারি । তোমার বয়স ১২ এর বেশি। তার মানে তোমার বাবা এখন আর তোমার চিন্তাকে নিয়ন্ত্রন করে না । তার মানে , যা করছো , নিজে বুঝে শুনেই করছো । দেশের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছে , তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলবা , কি আশা করো ? বাঙ্গালী তোমাকে মাথায় তুলে নাচবে?
কেন ?
কারন তোমার বয়স ২০ ?
কারন তুমি একটা মেয়ে ?
কারন তুমি মুসলিম ?
কারন তুমি ভালো লেখো ?
ফরগেট ইট । বিশ্বাসঘাতকতার পাপ কেউ ক্ষমা করেনি কখনো , করবেও না। দুঃখজনক হইলেও এইটা একটা মহাজাগতিক সত্য যে বাপের সম্মানের মত বাপের পাপের ভারও তার মেয়েকে বইতে হয় ।
লাইফ ইজ সো এন্ড পিপল আর দাস ।
টেক এ রিয়েলিটি পিল প্লিজ ।"