দুইটা অদ্ভুত মিল।
শত কোটি টাকা ব্যয় করা হয় একেকটা আর্মি, মিলিটারি তৈরি করতে। যারা হাজার কোটি টাকা দামের অস্ত্র, কামান, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধ বিমান চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে, ঘরবাড়ি ধ্বংস করে। উদ্দেশ্য দেশ রক্ষা, দেশের মানুষ রক্ষা, শান্তি, সুরক্ষা। টাকার উৎস দেশ, দেশের জনগন। অর্থাৎ এক দেশের জনগণের টাকায় আরেক দেশের জনগণকে মারা। মারার অনুমতি দেয়া হয়। যুদ্ধ মানেই হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসযজ্ঞ। আর্মিদের নিশ্চয়ই আলাপ-আলোচনার জন্য বানানো হয়না। আর অস্ত্র কামান ট্যাঙ্ক নিশ্চয়ই শুধু দেখানর জন্য কেনা হয় না।
অন্যদিকে লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করা হয় একেকটা ডাক্তার, চিকিৎসক তৈরি করতে, যে টাকার উৎস বাবা মা, পরিবার। যারা কোটি টাকা দামের যন্ত্রপাতি, মেশিনারি, ঔষধ দিয়ে, চিকিৎসা করে রোগীদের সুস্থ করে বাঁচিয়ে তুলেন। জটিল রোগ বাচতে হলে ৫০ লাখ লাগবে, ৪০ লাখ টাকা শুধু ঔষধের দাম। মুমূর্ষু, বাচার সম্ভাবনা নেই, ভাল ডাক্তার একজন পেলেই চিকিৎসায় বেঁচে যায়। সেই ডাক্তারের ভিজিট বেশি না, ৫ লাখ টাকা।
যে মরার সে মরবেই, আর্মি গুলি না করলেও মরবে, ঔষধ খাইলেও মরবে। সেইটা ভিন্ন কথা।
একজনকে মারার জন্য সুপারি দিলাম দুই লাখ। সেই শালা ভাড়াটে কিলার আমারে মারতে আসছে, ওরে নাকি ঐ লোক, যারে মারতে পাঠাইছিলাম, তিন লাখ টাকা দিছে আমারে মারার জন্য।
সারংশ হচ্ছে, টাকায় মারে, টাকায় বাচায়।
প্রশ্ন হচ্ছে কোনটায় বেশি সিরিয়াস আমরা? বাঁচাতে, না মারতে?