আমরা আপনাকে প্রায়ই টিভিতে, পত্রিকাতে বলতে দেখি পরিবার, পরিজন হারানোর ব্যাথা আপনে বুঝেন। আমরা সেটা বিশ্বাসও করি। কেননা ১৯৭৫ এ আপনিই তো মা-বাবা-ভাই-ভাবী সহ অনেক আত্নীয় হারিয়েছেন। তাই স্বভাবতই আমরা ভাবি পরিজন হারানোর ব্যাথা আপনের চেয়ে কে বেশী বুঝে!
কিন্তু আমার ভাবনার পরিধিতে বাঁধা হয়ে আসছে আপনার সাম্প্রতিক কথাবার্তা-কর্মকান্ড। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা সানাউল্লাহ নূর হত্যার পর দেশবাসী সে হত্যাকান্ডের ভিডিও দেখেছে। আমরা দেখেছি আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা কিভাবে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো সানাউল্লাহ নূরকে। আমরা দেখেছি তার বেঁচে থাকার আকুতি, চেষ্টা। কিন্তু আওয়ামীলীগের কর্মীরা তাকে ঘিরে রেখে বার বার আঘাত করে গেছে। একজন সানাউল্লাহ নূর একদিন যে রাস্তা দিয়ে হেটেঁ যেতো সে রাস্তার বুকে শুয়েই হারিয়ে গেলো চিরতরে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি সে দৃশ্য টিভির খবরে দেখেন নাই? আপনার কি বুক কেঁপে উঠে নাই?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নাটোরের ঘটনার পর আপনার মন্ত্রীসভার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ সরকারের হাতে আছে। সেই ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি হঠাৎ করে বললেন, নাটোরের ঘটনা যে তাদের (বিএনপির) অভ্যন্তরীণ না, সেটা কীভাবে প্রমাণ করবেন। !!!!!!!!!!!
একটি ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে কারা সানাউল্লাহ নূরকে হত্যা করলো।ঐ সকল খুনীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলো।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা স্বাক্ষ্য-প্রমান দিলো। তারপরও একজন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আপনি একথা কিভাবে বলেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রাকাশ্যে এ ধরণের মন্তব্য করে আপনি বরং খুনীদেরকে উৎসাহিত করলেন, পরোক্ষভাবে খুনকে সমর্থন করলেন। এই সমর্থনের জেরে যদি আপনার নেতা-কর্মীরা আরো দশটা খুন করে বসে তাহলেও অবাক হবোনা। আর খুন যে করে এবং যে খুনীকে প্রশয় দেয় তারা উভয়েই অপরাধী এই কারনে যদি কোন একদিন এ দেশের জনগণ আপনার বিচার চায় তাহলেও অবাক হবোনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





