ব্লগ লেখা দূরের কথা, ব্লগ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নেই। অবশ্য আমরা যে যুগ এ বসবাস করছি,অামরা যা করছি তার সম্পর্কে অামাদের কতোজনের কতোটুকু ধারণা আছে? যেমন, ধরুন অামরা কতো জিনিস ব্যবহার করি প্রতিদিন সেগুলোর সম্পর্কেই বা আমাদের কতোজনের কতোটুকু ধারনা আছে? যান্ত্রিক প্রযুক্তি আমাদের অনেক উপকার যেমন করেছে, তেমন অনেক অপকার ও করেছে এ কথা ও পুরোনো হয়ে গেছে। আমাদের ভাবনা চিন্তা কি তারপরে ও বদলেছে? যেমন ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কথাই ধরুন। সবাই অার কিছু পারুক না পারুক ফেসবুকিং ঠিক ই পারে। নিজের সম্পর্কে প্রতিদিন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে ফেসবুক এ স্ট্যাটাস অাপডেট না করলে অামাদের চলেই না! কি খেলাম, কি পরলাম, কি করলাম সব দুনিয়া কে জানানো চাই! ফেসবুক দুরের বন্ধু দের কাছে নিয়ে এসেছে ঠিক ই, কিন্তূু এর অতিরিক্ত ব্যবহার অামাদের কে অামাদের পরিবার এর সদস্য ও কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে কি দূরে ঠেলে দিচ্ছে না? কতোজন অার কাছের মানুষ দের সাথে বসে নির্মল প্রাণে অাড্ডাবাজি করে? কতো কিশোর রা বাইরে খেলা ধুলা করা বাদ দেয় নি? যান্ত্রিক প্রযু্ক্তির অপব্যবহার কি হারে বেরেছে তার উদাহরণ দেখা যায় তখন যখন কোনো মানুষের মৃত্যু সংবাদ নিয়ে কেউ স্ট্যাটাস অাপডেট করে তাতে সবাই লাইক-কমেন্ট দেয়! অনলাইন এর প্রেমের সম্পর্কগুলো যে হয়ে থাকে, সেগুলো ই বা কতোটা সৎ ও সার্থক হয়? আমাদের বন্ধু বই এর কাছ থেকে কতোটা দূরে সরে এসেছি আমরা? আমরা কি সাধারন সব নির্মল আনন্দ কিভাবে পাওয়া যায়, তা ভুলে যাই নি? আমরা এসব ই জানি, তবু কেন সচেতন হই না? আমরা কি যান্ত্রিক হয়ে যাই নি? আপনারা ভাবতে পারেন, আমি যান্ত্রিক সুবিধা ব্যবহার করেই তো এতো গলাবাজি করতে পারছি! আমি এটুকু বলতে পারি, সব কিছুর ই ভাল-খারাপ দিক আছে। আমরা কোন দিক বেছে নিবো সেই সিদ্ধান্ত আমাদের। এটুকু নিয়ন্ত্রণ আমাদের আছে। বিঃ দ্রঃ- এগুলো আমার মতামত এবং আমার ভাবনা-চিন্তা মাত্র। কারও ভাবনা-চিন্তা কে আঘাত করা অামার উদ্দেশ্য নয়। যদি করে থাকি, তবে দু্ঃখিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯