somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চন্দ্র ।। পর্ব - ১৩

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারা রাত ঘুমাতে পারে নি রুদ্র। চন্দ্র হারিয়ে যাওয়ায় ওর জগতটাই কেন যেন উল্টে গেছে। ঘুমাতে পারছে না, খেতে পারছে না, কোন কিছু করতেও পারছে না। নিজেকে জড় পদার্থ মনে হচ্ছে। অতি শোকে স্থবির হয়ে গেছে। ও নিজেও বুঝতে পারে নি চন্দ্রের প্রতি ওর ভালোবাসা এতোটা তিব্র। চন্দ্রকে ও যে প্রচন্ড ভালোবাসে- সেটা সব সময়ই অনুভব করেছে কিন্তু ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে যাওয়ার বেদনা ওকে আজ এভাবে পাগল বানিয়ে দিবে সেটা কখনো ভাবতে পারে নি। ওর হৃদয় মরুভুমির হাহাকারকেও হার মানিয়ে দিয়েছে। বুকের ভিতরে সব সময়ই চিনচিন করে ব্যাথা করছে। হৃদপিন্ড মাঝে মাঝে হার্টবিট মিস করছে। ওর আবেগ এমনিতেই অনেক কম। কিন্তু এক বার কারো প্রতি আবেগের সৃষ্টি হলে সেটাকে আর থামানো যায় না। আর স্ত্রির প্রতি বাধ ভাঙ্গা ভালোবাসা, সিমাহিন আবেগ- এ সবকে নিয়ন্ত্রণ করার তো প্রশ্নই ওঠে না। চন্দ্রকে ছাড়া নিজের অস্তিত্ব কল্পনা করা ওর পক্ষে আর সম্ভব নয়। যেভাবেই হোক চন্দ্রকে ফিরে পেতে হবে। এর জন্য যে কোন মুল্য দিতেও প্রস্তুত ও।

পাশের মসজিদ থেকে ফজরের আযান ভেসে এলো। অযু করে নামায পড়ার জন্য মসজিদে ঢুকলো রুদ্র। এক এক করে ওর মামা, চাচা, মামতো ভাই, চাচাতো ভাই সবাই এলো। নামাজের সময় বাসায় থাকলে সবাইকে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়তে হয়। কেউ মসজিদে না এলে বড়দের কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হয়। তাই জবাবদিহি দেয়ার মতো যথেষ্ট কারন না থাকলে এ বাড়ির কেউ জামাত মিস করে না। চন্দ্র হারিয়ে যাওয়ায় মসজিদেও থমথমে অবস্থা। ইমাম সাহেব নামায শেষে চন্দ্রের জন্য দোয়া করলেন। মসজিদ থেকে বেড় হওয়ার সময় বোরহান উদ্দিনকে এবার দেখা গেলো। তিনি নামাযের মাঝে জামাতে শরিক হয়েছিলেন। মসজিদ থেকে বেড় হয়ে কাচারি ঘরের বারান্দায় এসে দাড়ালেন তিনি। তার পিছে পিছে ছেলে নাতিরাও এসে দাড়ালেন। বড় ছেলে আহসান উদ্দিন চন্দ্রের খবর জানার জন্য জিজ্ঞেস করলেন- কিছু জানা গেলো বাবা?

বোরহান উদ্দিন একটা দির্ঘশ্বাস ফেলে বললেন- নাহ্!

চন্দ্রের বাবা রাফাত উদ্দিন চোখের পানি ফেলে বললেন- কি হলো চন্দ্রের? এতো খোজার পরেও ওকে পাওয়া যাচ্ছে না কেন?

বোরহান উদ্দিন ছেলেকে আশ্বস্ত করে বললেন- কেন পাওয়া যাবে না, অবশ্যই পাওয়া যাবে। হয়তো একটু সময় লাগছে।

- আরো কত সময় লাগবে?

এ প্রশ্নের জবাব দিলেন না বোরহান উদ্দিন। বললেন- তোমরা খুজতেই থাকো। হয়তো চন্দ্র যেখানে আছে আমরা সেখানে খুজতেই পারি নি।

এরপর কাচারি ঘরে ঢুকলেন বোরহান উদ্দিন। উনি ভিষন চিন্তিত। এ রকম সমস্যায় আগে পড়তে হয় নি ওনাকে। অন্যের সমস্যা নিয়ে ভেবেই এতো দিন কেটেছে ওনার, কিন্তু এবার নিজের উপরে আঘাত এসেছে। এমন একটা আঘাত যার কুল কিনারা পাচ্ছেন না উনি। ওনার হৃদপিন্ডে আঘাত করা হয়েছে। কাচারি ঘরের সামন থেকে রুদ্র ছাড়া সবাই চলে গেলেন। ঘরে প্রবেশ করলো রুদ্র। একটা ইজি চেয়ারে চোখ বুজে আধশোয়া হয়ে শুয়ে আছেন বোরহান উদ্দিন। চিন্তায় কপালে কয়েকটা ভাজ পড়েছে ওনার। রুদ্র রুমে ঢুকলে চোখ বন্ধ রেখেই প্রশ্ন করলেন তিনি- কখন এসেছিস?

- কাল দুপুরে।

- চিন্তা করিস না, চন্দ্রকে যেভাবেই হোক খুজে বেড় করবো।

- কি হয়েছে চন্দ্রের?

- এখনো কিছু জানি না।

রুদ্র এবার সরাসরি জানতে চাইলো- চন্দ্রকে কে কিডন্যাপ করেছে নানু?

বোরহান উদ্দিন চট করে চোখ খুলে নাতিকে দেখলেন। তারপর বললেন- কিডন্যাপ করেছে কে বলেছে তোকে?

- আমি বুঝতে পারছি। চন্দ্রকে কিডন্যাপ করার এতো বড় সাহস কার?

বোরহান উদ্দিন নাতিকে একটা চেয়ার দেখিয়ে বললেন- বস্। আমার প্রথমেই মনে হয়েছে এটা কিডন্যাপ। কিন্তু কে কি জন্য ওকে কিডন্যাপ করেছে সেটা বুঝতে পারছি না।

রুদ্র নানার পাশে একটা চেয়ারে বসে বললো- তোমার সাথে কারো শত্রুতা নেই?

- আছে। কিন্তু সে শত্রুতা তারা মনের ভিতরেই রাখে, প্রকাশ করার সাহস পায় না।

- এবার তো প্রকাশ করেছে!

- হ্যা, করেছে। কিন্তু এটা এদের কাজ নয়। এ ধরনের শত্রু চন্দ্রকে কিডন্যাপ করা তো দুরের কথা কল্পনাও করতে পারবে না।

- তাহলে কে?

- তার পরিচয় জানলে চন্দ্রকে উদ্ধার করতে কয়েক ঘন্টার বেশি সময় লাগতো না। সমস্যাটা হচ্ছে- কে এটা করেছে সেটা যেমন বুঝতে পারছি না তেমনি কি উদ্দেশ্যে করেছে সেটাও ধরতে পারছি না।

- তাহলে আমরা এখন কি করবো?

- আমি সমস্ত লোক লাগিয়ে দিয়েছি। হয়তো দ্রুতই কোন কিছু জানতে পারবো।

- আমার সেটা মনে হয় না নানু।

বোরহান উদ্দিন নাতির দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন। রুদ্র বলে চললো- তোমার নাতনিকে টাচ করার দুঃসাহস কারো নেই। যদি করে, তাহলে বুঝতে হবে অনেক ভেবে চিন্তে দির্ঘ দিন সময় নিয়ে নির্ভুল পরিকল্পনা করে তারপরেই তারা এটা করেছে। এর পিছনে নিশ্চয়ই এমন কারো মাথা আছে যার প্লান ব্যর্থ হয় না। তাকে তুমি দ্রুত ধরে ফেলবে এমনটা আশা করা যায় না। তুমি ঠিকই বলেছো, এখানে তোমার যে কয়েক জন শত্রু আছে এটা তাদের কাজ হতে পারে না। তবে যে বা যারা এটা করেছে তারা এদেরকে কাজে লাগাতে পারে। চন্দ্রকে কিডন্যাপ করার জন্য দির্ঘ দিন তারা আমাদেরকে ওয়াচ করেছে, তাদের পরিকল্পনা দিন দিন তিক্ষ্ণ করে যখন সন্তুষ্ট হয়েছে কেবল তখনই তারা কাজে নেমেছে। পুরো বৈশাখ মাস জুরে তারা ফাদ পেতে চন্দ্রের জন্য অপেক্ষা করেছে। সফল হয়েছে মেলার শেষ দিনে। চন্দ্রকে কিডন্যাপ করার জন্য তারা সার্কাস পার্টির আয়োজন করেছে, খুনও করেছে। এরা যেমন সুচতুর তেমনি দুর্ধর্ষও। এদেরকে এতো সহজে ধরা সম্ভব নয়।

বোরহান উদ্দিন অবাক বিস্ময়ে নাতির কথা শুনছেন। এতটুকু একটা ছেলে কিভাবে এমন তিক্ষ্ণ বিশ্লেষন করতে পারে! তিনি বললেন- তোর কথা সবই ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের একটা সুত্র প্রয়োজন।

- ভালো করে খুজলে সুত্র আমরা পেয়ে যাবো নানু। আজ ফারহান ভাইকে সার্কাস পার্টির খোজে দিনাজপুরে যেতে বলেছি আমি। শুধু মাত্র মেলায় শো দেখানোর জন্য সার্কাস পার্টির এখানে আসার কথা নয়। মাসে মাত্র আটটি শো করে সার্কাস পার্টির খরচ ওঠানো সম্ভব নয়। আমাদের জানা দরকার ওদেরকে কে ডেকেছে এবং ওদের ক্ষতি কে পুষিয়ে দিয়েছে।

- ফারহানকে পাঠানোর দরকার নেই। আমি লোক পাঠিয়ে দিয়েছি। আজকের মধ্যেই খবর পেয়ে যাবো।

- তুমিও এটা ধরে ফেলেছো!

বোহান উদ্দিন কথা না বলে শুধু মাথা ঝাকালেন।

- কিন্তু ওদের গাড়িগুলো চেক করা দরকার। গাড়ির ভিতরে চোরা কুঠুরি থাকতে পারে যার ভিতরে চন্দ্রকে রেখে কিডন্যাপ করা সম্ভব। আর সার্কাস পার্টির কেউ ইতিমধ্যেই গায়েব হয়েছে কি না সেটাও জানা দরকার।

বোরহান উদ্দিন চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষন চিন্তা করলেন। তারপর বললেন- আমার চিন্তার সাথে তোর চিন্তা অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। এ সব আমিও ভেবেছি এবং যাদেরকে সার্কাস পার্টির খোজে পাঠিয়েছে তাদেরকে এ সব বিষয়েও খোজ নিতে বলা হয়েছে। তবে তুই ফারহানকে পাঠাতে চাচ্ছিস পাঠা, দুই গ্রুপের তথ্য মিলিয়ে দেখা যাবে।

- এখানে তোমার শত্রু কে কে?

- শত্রু অনেকেই হতে পারে। আমার বিচারে যারা সন্তুষ্ট হতে পারে নি, যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, যারা অন্যের ধনসম্পত্তি মেরে খেতে পারছে না, যারা চুরি ডাকাতি করতে পারছে না- এদের যে কেউ হতে পারে। নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। আসলে নির্দিষ্ট কেউ নেই। আর এদের এতো বড় দুঃসাহস হবে না।

- এদের সাহস নেই কিন্তু এদের কাউকে অবশ্যই ব্যবহার করা হয়েছে। হয়তো এরা জানেই না কি জন্য তাদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। কিংবা এদেরকে অন্য কিছু বোঝানো হয়েছে। কিডন্যাপাররা আমাদের সব কিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খোজ নিয়েছে এবং আমাদেরকে দির্ঘ দিন পর্যবেক্ষন করেছে। তুমি লোক লাগিয়ে জানার চেষ্ঠা করো কোন অপরিচিত লোক আমাদের বিষয়ে এখানকার কারো কাছে খোজ খবর নিয়েছে কি না, বিশেষ করে চন্দ্রের বিষয়ে? যাদেরকে এ কাজে লাগাবে তাদেরকে বলে দিবে আমাদের এলাকার ছোট বড় বৃদ্ধ এক জন লোকও যেন জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বাদ না যায়। যদি দেখা যায়, অপরিচিত কেউ আমাদের বিষয়ে কারো কাছে কিছু জানতে চায় নি তাহলে এই এলাকার লোক অবশ্যই কিডন্যাপের সাথে যুক্ত আছে। অন্যের কাছ থেকে ওদের তথ্য সংগ্রহ না করা মানে এখান থেকেই কেউ ওদেরকে তথ্য সরবরাহ করেছে। তাই অন্যকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজনই ওদের হয় নি। অবশ্য লোক জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করলেও এখানকার লোক যে যুক্ত নেই এটাও বলা যায় না। তবে এখানকার কেউ যুক্ত থাক বা না থাক সুত্র পাওয়ার জন্য আমাদের সব কিছুই খতিয়ে দেখতে হবে।

রুদ্রর বিশ্লেষনি ক্ষমতা যতই দেখছেন ততই অবাক হয়ে যাচ্ছেন বোরহান উদ্দিন। রুদ্রর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন তিনি। রুদ্র বলে চললো- শহরের আবাসিক হোটেলগুলোতেও খোজ নেয়ার ব্যবস্থা করো। কিডন্যাপের জন্য নিশ্চয়ই বাহির থেকে লোক এসেছে। মুল কাজটা মুলত বাহিরের লোকেরাই করেছে। এখানকার লোক দিয়ে মুল কাজ করার মতো বোকা তারা নয়। তারাও জানে এখানকার লোক দিয়ে মুল কাজ করলে সহজেই তারা ধরা পরে যাবে। তারা এমন লোকদেরকে দিয়ে কাজ করিয়েছে যাতে তাদের মুখ কেউ দেখে ফেললেও পরবর্তিতে তাদেরকে খুজে পাওয়া না যায়। কাজেই বাহির থেকে অবশ্যই লোক এসেছে। আর তারা কোথাও না কোথাও থেকেছে। হোটেলে খোজ নিয়ে দেখো সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া যায় কি না? জানার চেষ্ঠা করতে হবে পুরো মেলা জুড়ে এক মাস কেউ হোটেলে ছিলো কিনা এবং চন্দ্র কিডন্যাপের দিন কারা হোটেল ত্যাগ করেছে? এদের লিস্ট তৈরি করে খোজ নিতে হবে। শুধু এই শহরে নয়, আশপাশের শহরের হোটেলগুলোতেও খোজ নেয়ার ব্যবস্থা করো।

- তোর কি মনে হয় আবাসিক হোটেলগুলো খুজলে কোন সুত্র পাওয়া যাবে?

- না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারন ওরা প্রচন্ড ধুর্ত। আবাসিক হোটেলকে ওরা এড়িয়ে চলবে। তারপরেও খোজ নেয়া দরকার। ওদের যেকোন একটি ভুলই হয়তো আমাদেরকে চন্দ্রের কাছে যাওয়ার পথ দেখাবে। তাই সব কিছুই খতিয়ে দেখতে হবে। এতো বড় কাজ যেহেতু তারা করেছে সেহেতু তার সুত্র আমরা ঠিকই পাবো কিন্তু আমাদেরকে কোন কিছু এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। আশপাশের গ্রামগুলোতেও লোক লাগিয়ে দাও। মেলাকে উদ্দেশ্য করে প্রায় সবার বাড়িতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আত্মিয় এসেছে। এই আত্মিয়দের লিস্ট তৈরি করো এবং প্রত্যেকের সাথে যোগাযোগ করো। শুধু মেলার জন্যই তারা বেড়াতে এসেছিলো নাকি আত্মিয়ের ছদ্মবেশে কারো অন্য উদ্দেশ্য ছিলো সেটা জানার চেষ্ঠা করতে হবে। আমার মনে হচ্ছে, চন্দ্রের জন্য ওরা যে এক মাস ফাদ পেতে বসেছিলো- এটাই ওদের সবচেয়ে বড় ত্রুটি। বাহির থেকে যাদেরকে আনা হয়েছে তাদেরকে এক মাস কোথাও না কোথাও থাকতে হয়েছে। ওদের থাকার জায়গাটা খুজে পাওয়া গেলেও আমরা হয়তো সুত্র পেয়ে যেতে পারি। চন্দ্রকে বিক্ষিপ্ত ভাবে খুজে লাভ নেই। ওকে যেমন ছক কষে কিডন্যাপ করা হয়েছে তেমনি ওকে খোজার জন্য আমাদেরকেও ছক কষতে হবে।

- তোর কথা শুনে আমার মনে হচ্ছে তুই হয়তো কিছু একটা করতে পারবি। তোর ভাইদেরকে নিয়ে তুই একটা টিম গঠন করে নে। তুই তোর মতো করে চন্দ্রকে খোজ। তবে কোন রিস্ক নিস না। সমস্যা হলে আমাকে জানাবি।

- আমি যে কোন রিস্ক নিবো নানু।

- ওরা সাংঘাতিক। ওরা যে কোন কিছু করতে পারে। আমি আর কাউকে হারাতে চাই না।

- আমাকে তুমি হারানোর খাতায় ধরে রেখো নানু। চন্দ্র আমার স্ত্রি, ওকে কিডন্যাপ করার জন্য যারা দায়ি তাদের প্রত্যেককে আমি পরপারে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।

- তুই এ সব পারবি না রুদ্র। একটু ভুল করলে উল্টো ফল হতে পারে।

- ফল যাই হোক নানু, হয় মরবো নয়তো আমার চন্দ্রকে উদ্ধার করবো।

বোরহান উদ্দিন নাতির দিকে তাকিয়ে থাকলেন। সে তাকিয়ে থাকার মধ্যে নাতির জন্য গর্ব ফুটে উঠলো। চন্দ্রের জন্য রুদ্রকে বেছে মোটেও ভুল করেন নি তিনি। চন্দ্রের স্বামি হওয়ার যোগ্যতা এক মাত্র রুদ্রের ভিতরেই আছে এবং সেটা ষোল আনাই আছে। রুদ্র আবার বলে উঠলো- আমি এবার উঠছি নানু। কিছুক্ষন পরে মেলার মাঠে যাবো।

- যা। কিন্তু সাবধানে থাকিস। কোন সমস্যা দেখলেই আমাকে জানাতে বিলম্ব করবি না।

- ঠিক আছ।

কাচারি ঘর থেকে বেড়িয়ে এলো রুদ্র। সুর্য উঠে গেছে। আজ ওর অনেক কাজ। আজ ওকে কোন না কোন সুত্র খুজে পেতেই হবে।

চলবে.....

চন্দ্র উপন্যাসের ভুমিকা ও পর্ব সমুহের সুচিপত্র
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×