আজ মহান মে দিবস ।
অনেক সংগ্রাম আর লাখ মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় ।
১৮৮৬ সালে শিকাগো শহরের যে মানুষগুলো ৮ ঘন্টা কাজের দাবি আদায় করে ছেড়েছিল, আজ ১২২ বছর পরে মানুষ অনেক উন্নত হয়েছে । তাদের সভ্যতা অনেক এগিয়ে গি্যেছে । জীবন ধারা পাল্টছে । কিন্তু শ্রমজীবী মানুষদের কাজের সময় ৮ ঘন্টার কম হয়নি বরং ৮ ঘন্টার বেশি ই রয়ে গেছে ।
আমাদের দেশের একজন গার্মেন্টস শ্রমিককে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা শ্রম দিতে হয় । কোন কোন সময় আবার রাতেও কাজ করতে হয় যখন চাপ বেশি থাকে । গার্মেন্টস গুলোতে বড় বড় অফিসাররা কোন ভুল করলে কোন ক্ষতি নেই কিন্তু একজন শ্রমিক যদি কোন অন্যায় করে কিংবা অন্যায় নাও করে কিন্তু মালিকের কাছে অন্যায় মনে হয়েছে তবে তার গায়ে হাত তুলতেও কারো হাত এতটুকু কাঁপে না । নিজের প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর ঠকিয়ে যেতেও কারো খারাপ লাগে না । বরং এটাকেই সঠিক ভেবে বছরের পর বছর শোষন করে চলেছে তথাকথিত সুধী ভদ্র মালিক সমাজ ।
এই যদি হয় ১২২ বছর পরে শ্রমিকদের অবস্থা তাহলে ১৮৮৬ সালের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে শ্রমিকদের অধিকার আসলে কিছুই আদায় হয় নি । অন্তত আমাদের দেশে তো নয়ই ।
আবার শ্রমিক বলতে আসলে কাদেরকে বোঝানো হয়? যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা তাদের শারীরিক ও মানসিক শ্রম দিয়ে কাজ করে যান তাদের কে? নাকি যারা শুধু একটা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আওতায় কাজ করে যান তাদেরকে?
যদি প্রথম টা হয় তবে বলতে হয় রিক্সাওয়ালারাও শ্রমজীবী মানুষ । অথচ শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার আদায়ের এই দিনেও প্রচন্ড গরমের মধ্যে তাদেরকে পেটের দায়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে । তারা কি আদৌ প্রাপ্য অধিকারের ধারে কাছ দিয়ে যেতে পেরেছে?
পারেনি...
কারণ এই দিনটি শুধু মুখে মুখে শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার আদায়ের দিন, আসলে...
কারণ আমাদের তথাকথিত সুধী সমাজ শুধু লোক দেখানো কাজ করে শ্রমজীবী মানুষদেরকে অধিকার আদায়ের স্বপ্ন দেখান কিন্ত ...
কারণ আমরা ভদ্রসমাজের মানুষেরা দিন দিন বর্বরতা আর পাশবিকতাকেই মেনে নিচ্ছি আর নিজেদের স্বার্থে এর সাথেই সখ্যতা গড়ে তুলছি...
কারণ ...
আর নাইবা বললাম, কারণ ...