কোন সন্ত্রাসী বা দুস্কৃতিকারিরা নয় হরতাল অবরোধে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত রয়েছে।যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবিরের ও বিএনপির ছাত্রদলের দেশ বিরোধীরা।
আশা করি সংবাদপত্রে সঠিক উদৃতি দিয়েই সংবাদ পরিবেশন করবে।সন্ত্রসী বা দুর্বৃত্তরা কোন দলের পারপাস সার্ভ করেনা।পক্ষান্তরে আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা চলছে তাকে জঙ্গীবাদের উপর ভর করে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এই রকম জঙ্গী আন্দোলন তাদের পক্ষেই করা সম্ভব যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিলো।কারন তাদের মধ্যে দেশের প্রতি কোন দ্বায়বদ্ধতা নেই।তারা অন্য কোন দেশের দালাল বলেই পরিচিত।এবং বাংলাদেশের মানুষের উপর প্রচন্ড রকম ক্ষিপ্ত।
৭১-এর পরাজয়ের গ্লানি তাদেরকে আজো তাড়িয়ে বেড়ায়।সেই আক্রোশের প্রতিফলন দেখতে পাই আজকের অবরোধ বা হরতালের নামে যা চলছে।
ত্বত্তাবধায়ক সরকারের বাস্তবতা আজকের বাংলাদেশে আর অপরিহার্য নয়।
কারণ এই সুযোগে সুযোগ সন্ধানিরা ওৎ পেতে থাকে ক্ষমতা দখল করার জন্য।আর খালেদা জিয়ার বিএনপি ত্বত্তাবধায়ক ব্যাবস্থাটাকেই এতটা বিতর্কিত করে ফেলেছে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত এর স্বপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করাটা। তা নাহোলে আওয়ামি লীগের এর বিপরীতে অবস্থান নেওয়ার কোন কারন থাকতোনা।
৯০_এর পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে প্রতিটি নির্বাচনের সময় ত্বত্তাবধায়ক নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি করেছে বিএনপি।একমাত্র ২০০১ সালেই কোন ঝামেলা ছাড়া আওয়ামি লীগ সুন্দর ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে ত্বত্তাবধায়ক সরকারের নিকট।শুধু তাই নয় নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা ছিলো জামাত বিএনপির জন্য একটি নিয়মিত চর্চা।এত কিছুর পর আওয়ামি লীগের পক্ষে সম্ভব ছিলোনা ত্বত্তাবধায়ক ব্যাবস্থা বহাল রাখার।
এই পর্যন্ত যতগুলো বড় বড় রাজনৈতিক হতাকান্ড ঘটেছে তার প্রতিটির শিকার হয়েছে আওয়ামি লীগ অথবা প্রগতিশিল রাজনৈতিক শক্তিগুলো।
এখন সেটার টার্নিং পয়েন্টে এসে দাড়িয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতি।আমার মনে হয়না আওয়ামি লীগ আবার কোন ২১শে আগস্ট বা আহসান উল্ল্যা মাস্টার ও কিবরিয়া সাহেবের মত রাজনৈতিক হত্যাকান্ড মেনে নিবে।
আইনের শাসনের কোন বিকল্প নেই এই হত্যার রাজনিতি বন্ধ করার।তাই আজকের আওয়ামি লীগ অনেক ভুল ভ্রান্তির পরও সেই পথেই এগোনোর চেস্টা করছে।
আরেকটা বাস্তবতা হোচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে।দিবালোকের মত পরিস্কার হয়ে গেছে যে বিএনপি /জামাত ক্ষমতায় আরোহণ করতে পারলে বাংলার মানুষ আর কোনদিন এই বিচার পাবেনা।এমনকি।প্রয়োজনে তারা এই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা আফগানিস্থানে পরিনত করবে।এবং অসংখ্য ২১শে আগষ্টের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে।এটা ১০০% গ্যারান্টি দেওয়া যায়।
এখন বাংলাদেশের মানুষকেই ভাবতে হবে তারা কোন বাংলাদেশ চায়।এবং তার জন্য সোচ্চার হোতে হবে তাদের নিজেদের স্বার্থেই।এখন আর চুপ করে থাকার কোন অবকাশ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৬