মাননীয় প্রধানমন্ত্রী -সফল অপারেশন কাকে বলে ?
এটার একটু ব্যাখ্যা দিলে বুঝতে সুবিধা হ'তো।
জঙ্গীদের হত্যা করে জিন্মিদের মুক্ত করার যে সাফল্যের কথা বলা হয়েছে,তা আমার কাছে এক প্রকার নির্মম কৌতুক বলেই মনে হোচ্ছে।
সুসাইড স্কোয়াডের জঙ্গীরা যখন তাদের ভাষায় কোন অপারেশনে যায় তখন তারা আত্মহণন করার পণ করেই যায়।তারা মুটামুটি শতভাগ নিশ্চিত হয়েই যায় যে তারা আর ফিরে আসবেনা ।
দু'জন পুলিশ অফিসারের আত্মত্যাগকে অবমাননা বা ছোট করার জন্য নয় ।তাদের প্রতি সন্মান রেখেই বলছি ,তারা আসলে নির্বোধের মত আত্মহত্যা করেছেন বলেই আমার দৃষ্টিতে প্রতিয়মান।সসস্র একটি জঙ্গী গ্রুপকে মোকাবেলা করার ন্যুনতম ধারনা তাদের নেই বলেই মনে হয়েছে ।মনে হয়েছে তারা কোন ছিচকে চোর বা পকেটমারকে ধরতে গিয়েছে।জঙ্গীদের মোটিভিশন সম্ভন্ধে বিন্দুমাত্র ধারনা না থাকলেই কেউ এভাবে তাদের মোকাবেলা করতে যায় বলে আমার বিশ্বাস।৬ জঙ্গীর মৃত্যুকে গোণায় না ধরলেও ২২ জন মৃত্যুবরণ করেছে এই ঘটণায়।আহত হয়েছে তার চাইতেও বেশি ।তারপরও কি আমরা একে সফল অপারেশন বলবো! তাদের যে টার্গেট ছিলো বিদেশি হত্যা করবে তার পুরোটাই সম্পন্ন করেছে তারা।বরং জঙ্গীরাই তাদের মিশন পুরন করেছে বলে প্রতিয়মান।প্রকৃতপক্ষে জঙ্গীরা নিজেদের জিবন বাচানোর জন্য কোন রকম নেগোশিয়সনেই যায়নি।যতটুকু করেছিলো তা ছিলো শুধুই বিভ্রান্ত করার চেষ্টামাত্র.।
বিচ্ছিন্ন ঘটণা-
পুলিশ এতদিন যে এনকাউন্টারের গল্প বলতো-এখন এই ঘটণাকে তারা কিভাবে ব্যাখ্যা করবে।প্রকৃতপক্ষেই এটি একটি সত্যিকারের এনকাউন্টার ছিলো।এই ঘটণায় প্রমাণ হলো সত্যিকার অর্থে এনকাউন্টার হোলে জঙ্গীদের সামনে পুলিশই অসহায়।এত বাগারম্বর করে যে অভিযান পরিচালিত হলো তার রেশও কাটে নাই ।তার পুর্বেই জঙ্গীরা বুঝিয়ে দিলো তাদের কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারে নাই পুলিশ।তারমানে জঙ্গীরাই বরং প্রশিক্ষিত আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনির চাইতে দুই ধাপ এগিয়ে।তাহোলে ঐ অভিযান কি তামাশায় পরিনত হয়নি।ইতিপুর্বে ইটালিয় নাগরিক তাভেলা হত্যাকান্ডের পর কি পদক্ষেপ ও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে তা বুঝে গেলাম এত বড় মাশুল দিয়ে।১জন দু'জন নয় ২২জনকে হত্যা করে সরাসরি চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।আমি শতভাগ নিশ্চিত কোটি টাকা ব্যায় করে লাগানো রাস্তার ক্যামেরাগুলো এখনও কাজ করেনা।চেকপোষ্ট গুলো বসানো হয় শুধুই সান্তনা দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে।কুটনৈতিক বেস্টনির ভেততরেও যে সরকারের কোন বাহিনির তিক্ষ্ন নজরদারি নেই বেশ স্পষ্ট.
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের যত সদ-ইচ্ছাই থাকুকনা কেনো সঠিক লোক সঠিক যায়গায় না থাকলে সফলতা আশা করা বৃথাই।যেভাবে প্রতিটি ঘটণার পর বিচ্ছিন্ন ঘটণা বলে গুরুত্বহিন সিল দিয়ে পরবর্তি ঘটণার রাস্তা করে দিচ্ছে।সেভাবেই হয়তো আরো বড় কোন দুর্ঘটণার জন্য অপেক্ষা করবে।এরপর হয়তো সরকারের কোন দায়িত্ববান ব্যাক্তি বলে বসবেন বিদেশিরা রেস্টুরেন্টে গেলো কেনো এটা তাদেরই দোষ।পুলিশই যেহেতু মাঠে থাকে সর্বক্ষন কাজেই তাদেরকেই প্রথম সক্ষমতা অর্জন করতে হবে এই দানবিয় শক্তির মোকাবেলা করার জন্য।আধুনিক সাঁজে ও যুগোপযোগি ট্রেনিং ও বুদ্ধিমত্তায় এগিয়ে থাকলেই সম্বব হবে এই জানোয়ারদের মোকাবেলা করে উচিত শিক্ষা দেওয়ার।
জঙ্গী নিয়ে আর ছেলেখেলা নয় এবার যেনো সত্যিকার অর্থেই এর শেকড় খুজে বের করা হয়।মাস্টারমাইন্ড শনাক্ত করে রিক্রুট করার সকল পথ সিলগালা করে বন্ধ করে দিতে হবে বাংলার মাটিতে।জিরো টলারেন্স কথায় নয় কাজেই প্রমাণ করার সময় এখন।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮