মাদ্রাসা ছাত্রদের এই আত্মঘাতি হওয়ার সমস্যাটি এখন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একটি রাজনৈতিক সমস্যা। কেউ একে ধ্বনাত্মক বিষয় হিসেবে দেখেন না। মাসুদা ভাট্টি তো দেখার প্রশ্নই উঠে না। তো এই ঋণাত্মক বিষয়টির আবহ ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে তিনি বেহেশত, হুরপরী, শহীদ হওয়ার লোভ ইত্যাদির কদর্য রূপটি তুলে ধরেছেন। তাতে তিনি হয়তোবা সফলতা পেয়েছেন। কারণ এই কদর্য বিষয়টিকে অনেকে উপন্যাসিকের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
লেখাটিতে আহত হয়েই নিশ্চয়ই 'ওয়ালি' যিনি জামায়াত-মনস্ক বলেই এই ব্লগে পরিচিত তিনি একটি তার ভাষায় উপন্যাসের খসড়া ফেঁেদছেন। তাতে তিনি ভুট্টা, কলা ইত্যাকার ফল ব্যবহার করে লেখকের যৌনতা-সংক্রান্ত বর্ণনার জবাব দিতে চেষ্টা করেছেন। ওয়ালির সেই ভুট্টা বিষয়ক লেখায় দেখা গেলো দিনের বেশিরভাগ সময় তুমুল বিতর্ক হচ্ছে। সব যে খুব এ্যাকাডেমিক আলোচনা হচ্ছে তা বলা যাবে না। অনেক সময়ই সেসব আলোচনা শ্লীলতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এক সময় দেখা গেল রাসেল একা লড়াই করছেন ওয়ালিসহ গোটা কয়েকজনের সাথে। সেসব মন্তব্যগুলো আগ্রহউদ্দীপক। পড়ে দেখতে পারেন।
তবে মাসুদা ভাট্টি যখন তার দ্্বিতীয় কিস্তি জমা দিলেন তখন খুব একটা পাঠক উপস্থিত ছিলেন না। সুতরাং খুব বেশি আলোচনা এ নিয়ে হয়নি। আমার মনে হয় কালকের সকালের ইনিংসে এ নিয়ে আবার তুলাধুনা শুরুহবে।
তা এই যে বিতর্ক, দুই প্রান্তের দুই পক্ষের মধ্যে, মন্দ কি? বিতর্কইতো আমরা চাই। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ না হয়ে যদি এসব বিতর্কে আরেকটু শুদ্ধতা বজায় রাখা হয় তবে তা হয়ে উঠবে আরো আনন্দের, হয়ে উঠবে হৃদয়ের খোরাক।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০