somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি হ্যালোইন উৎসব

১৩ ই মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[প্রাপ্তির জন্য কোন পোষ্ট করা হয়নি, সবার লেখা দেখে কি লেখব সেটাই ঠিক করে উঠতে পারিনি। তাই এই লেখাটা পোষ্ট করতে ইতঃস্তত বোধ করছি। ক্ষমা কইর্যা দিয়েন ভাই সকল।]

হ্যালোইন হচ্ছে ভুতের উৎসব। আয়্যারল্যান্ড থেকে আসা এই উৎসবটি মূল ছিল একটি বিশ্বাস, প্রতিবছর নভেম্বরের 1 তারিখ সে বছরের মৃত আত্মারা কোন জীবিত মানুষের ঘাড়ে ভর করতে আসে। আর তাই জীবিত মানুষেরা বিভিন্ন আয়োজন করে তাদের তাড়াতে চায়।

এই অনুষ্ঠানের সাথে দুটো ব্যাপার জড়িত। একটা হল ট্রিক অর ট্রিট (trick-or-treat), আর আরেকটি হল জ্যাকের বাতি (Jack-o-lantern)। ছোট ছোট বাচ্চারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে আর দরজা নক করে বলে ট্রিক অর ট্রিট, তখন আপনার দায়িত্ব হচ্ছে তাদের ঝুলিতে কিছু ক্যান্ডি বা খাবার দাবার দিয়ে দেয়া। অর্থাৎ আপনি তাদের ট্রিট করলেন, কিন্তু ট্রিকটা যে কিভাবে করে সেটা আমার জানা নেই।

জ্যাকের বাতি নিয়ে একটা গল্প চালু আছে। জ্যাক ছিল ভীষন মাতাল আর ধুর্ত। একবার সে খোদ শয়তানকে ধোকা দিয়ে এক গাছে ওঠাল আর গাছের গোড়ায় একে দিল ক্রুশ। এতে করে শয়তান গাছ থেকে আর নামতে পারেনা। শয়তান আর তাকে জ্বালাতন করবেনা এরকম একটা শপথ করার পর তাকে মুক্তি দিল। বিপত্তি বাধল যখন সে মারা গেল। ঈশ্বর তাকে স্বর্গে ঢুকতে দিলনা কেননা সে ছিল পাজী, আর শয়তান তাকে নরকে ঢুকতে দিলনা কেননা সে খোদ শয়তানের সাথে বদমাইশি করেছে। কিন্তু শয়তান তাকে সঙ্গে দিল একটা এম্বারের বাতি আর সেটা যাতে নিভে না যায় সেজন্য দিল টার্নিপ নামের মিষ্টি আলু জাতীয় সবজির খোলস। এই বাতি নিয়ে জ্যাকের যাত্রা অন্ধকারের দিকে। ইউএসএ তে এই প্রথা চালু হবার পর টার্নিপের পরিবর্তে লাল কুমড়ার ব্যবহার শুরু হয়, দামে সস্তা আর প্রচুর পাওয়া যায় বলে। বিস্তারিত পাবেন এখানে http://wilstar.com/holidays/hallown.htm আর এখানে http://en.wikipedia.org/wiki/Halloween

গত নভেম্বরে আমার প্রথম হ্যালোইন উৎসব দেখার সুযোগ হয়। পরের দিন আমার একটা প্রজেক্ট সাবমিশন ছিল তাই ঘন্টাখানেকের বেশী সময় কাটাতে পারিনি উৎসবটাতে। ইউনিভার্সিটির কাছে, টেম্পি শহরের ডাউনটাউন রাস্তা মিল এভিনিউতে শুরু হয় উৎসবটি। নীচে দেয়া ছবিতে দেখতে পাবেন বিভিন্ন মানুষের সাজগোজ করে আসা নমুনা। এরমধ্যে একটা ছবি আগের পোস্টে দিয়েছিলাম। একটি উল্লেখযোগ্য মেয়ের ছবি আমার তোলা হয়নি। মেয়েটির বয়স, 18/19 হবে। সে পরী সেজে এসেছিল, হাল্কা সবুজ রঙের ব্রা পেন্টি আর পাতলা একটা পাখা পরে। ছবিটি তুলিনি বলে এখনও আফসোস করি।

একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, বিভিন্ন মুভির ক্যারেক্টার খুব উঠে আসে উৎসবটায়। বিশেষ করে সদ্য রিলিজ প্রাপ্ত ছবির। আর বেশ কয়েক যায়গায় গীটার, ড্রামস ইত্যাদি নিয়ে গানবাজনা হচ্ছিল। মিল এভিনিউ যায়গাটা অবশ্য এমনিতেই মজার, শুক্রবার রাতে হৈ চৈ গানবাজনা লেগেই থাকে।

এরই মাঝে লক্ষ্য করলাম এক লোক এই সমস্ত অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে ঈশ্বরের পথে আসার জন্য চেঁচিয়ে যাচ্ছে। কেউ শুনছে না কিন্তু সে তার মত চেঁচিয়ে যাচ্ছে। নীচের ছবিতে দ্রষ্টব্য ব্যাটম্যানকে দেখলাম লোকটার সামনে গিয়ে পাখা উঁচু করে ধরল, আর লোকটা আরো উত্তেজিত হয়ে চেঁচাতে শুরু করল। অথচ সবাই ব্যাটম্যানকে তালি দিতে লাগল। উইয়ার্ড এটিচিউড।

যাই হোক বেশ মজাই লেগেছিল সেখানে গিয়ে। ছবি পোস্ট করলাম বেশ কিছু, আশা করি মজাটা শেয়ার করতে পারব।

ছবি পরিচিতি:
1। কঙ্কালের সাথে
2। গ্রিম রিপার (আত্মা সংগ্রহকারী ভুত) এর সাথে আমরা
3। আরো কিছু ভুত
4। স্টার ওয়ার্সের ডার্থ ভেডারের সাথে
5। লর্ড অভ দ্যা রিংসের ক্যারেক্টারদের সাথে টুসি
6। ব্যাটম্যান ও রবিন
7। যুদ্ধাহত মানুষের বেশে
8। উ লা লা ...
9। নরকের মানুষদের সাথে
10। টুসি গ্লোডেন টিকিট পেয়েছে চকলেট ফ্যাক্টরীতে যাবার...
11। কয়েকজন বাংলাদেশীদের সাথে

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×