1968 সালের প্যারিস। ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল সময়। ফিল্ম অঙ্গনসহ ফ্রানসের সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও বইছে ঝড়। লাল পতাকা উড়ছে মিছিলে রাস্তায়। এমন একটি সময়ে ফিল্ম নিয়ে চলচ্চিত্র কর্মীদের প্রোসেশনের মধ্যে দেখা হয় তিন তরুণ তরুণীর। এদের একজন আমেরিকার। অন্য দুইজন প্যারিসের দুই টুইন ভাই বোন। খুব দ্রুত বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাদের। টুইন দুজনের বাবা ফরাসি লেখক। তাদের বাড়িতে থাকতে আসে ম্যাথিউ। রাতে আবিষ্কার করে ভাই-বোনের মধ্যকার অদ্ভূত সম্পর্কের ব্যাপার। ইসাবেলের সঙ্গে ম্যাথিউর প্রেমপর্বের সূচনা ঘটে একদিন। তারপর ম্যাথিউ জানতে পারে। ভাই থিওর সঙ্গে তার যে সম্পর্ক তা স্রেফ টুইন ভাই-বোনের জটিল মানসিক ও শারিরিক শেয়ারিং-র বেশি কিছু নয়। ব্যাপারটার মধ্যে যৌন কোনো প্রণোদনা নেই। কিন্তু তাদের তিন জনের দ্্বন্দ্ব চলতেই থাকে। এক সকালে মিছিল থেকে ঢিল ছুটে আসে তাদের জানালাতেও। প্রেম ও মানসিক দ্্বন্দ্বে লিপ্ত তিন বন্ধু আকস্মিকভাবেই মিছিলে যাগ দেয়।
এ হলো কাহিনীর খানিকটা। কিন্তু মেকিং-এ আছে আরও অনেক কিছু। এই তিনজনই ফিল্ম পাগল তাদের আলাপের ফাঁকে ফাঁকে আসে নানা ফিল্মের দৃশ্য ও ঘটনার উল্লেখ। ফলে ফরাসি ফিল্মি পরিস্থিতির এক দারুণ টুইস্টিং হয়ে উঠেছে ড্রিমার্স। আর রাজনীতি একে এমন এক অর্থ দিয়েছে যাকে জটিল ছাড়া আর কিছু বলে বোঝানো যায় না।
বার্নার্দো বার্তোলুচি এই ছবিটি তৈরি করেছেন 2003 সালে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০