ফ্রাঁসোয়া ত্রুফোর জুল অ্যান্ড জিম
২৬ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৪:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ত্রিভূজ প্রেমের কাহিনী। জুল ও জিম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জুলকে দেখলে সবাই জিমের কথা জিমকে দেখলে জুলের কথা জিজ্ঞেস করে। নিজেদের মধ্যে শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে তারা খুব ফ্রি। বান্ধবী বিনিময় পর্যন্ত করে। তাদের বন্ধুত্বেজীবনে আসে ক্যাথরিন নামের এক নারী। একসঙ্গে কিছু দিন কাটাবার পর জুল ঘোষণা করে ক্যাথরিনকে সে বিয়ে করতে চায়। নিজেরে মনের মধ্যে ক্যাথরিনের জন্য ভালোবাসা ছিল, তবুজিম মেনে নেয়। মাঝে পড়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জার্মান জুল ফ্রেঞ্চ জিমের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আবার সব সামলে যখন তাদের দেখা হয় তখন জুলস ও ক্যাথরিনের একটা বাচ্চা হয়েছে। তারা থাকে এক নির্জন এলাকায়। সেখানে জিম পেঁৗছালে ক্যাথরিনের অদ্ভূত মতিগতির কথা বলে। ক্যাথরিনের তৃতীয় এক ব্যক্তির সাথে প্রেম হয়েছে। এবং তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে সে। জিমকে সে সাবধান করে দেয় ক্যাথরিন বিষয়ে। কিন্তু জিম ঠিকই ক্যাথরিনের প্রেমে পড়ে। জুল মেনে নেয়। উৎসাহিত করে তাদের। তারা ঠিক করে একটা বাচ্চা নেবে। কিন্তু বাচ্চা আর হয় না। তখন জিম চলে যায়। গর্ভে সন্তান এসেছে বলে আবারও জিমকে ডেকে আনে ক্যাথরিন ও জুলস। কিন্তু এবার জিম ঘোষণা করে সে তার আরেক প্রেমিকাকে বিয়ে করবে। এখানেই তাদের বিচ্ছিন্নতার সূচনা। ক্যাথরিন আর জুলের সংসার তৃতীয় ব্যক্তির সাথে ক্যাথরিনের প্রেম একই ভাবে চলতে থাকে। হঠাৎ একদিন দেখা মেলে জিমের। জিমকে আদর করে তারা বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। ক্যাথরিন তাকে জিমকে ডাকে তার সঙ্গে কিছু কথা আছে বলে। দুজনে গাড়িতে ওঠে। ক্যাথরিন জুলকে বলে, তারা ক িকরে তা খেয়াল করার জন্য। জুল দেখে ক্যাথরিন সোজা ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে সোজা নদীতে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে।
এই ছবিটা তৈরি হয়েছিল 1962তে। ক্রিটিকরা একে সিনেমাটিক বা ফিল্মি মুভি আখ্যা দিয়েছিলেন।
এটি ত্রুফোর তৃতীয় ছবি। আমার কাছে সম্পর্কের অন্তঃশীল জটিলতা নিয়ে তৈরি এই ছবিটি সবসময়ের সেরা একটি ছবি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬
পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:
وَجَعَلۡنَا...
...বাকিটুকু পড়ুনষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)
০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ...
...বাকিটুকু পড়ুন
আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু...
...বাকিটুকু পড়ুন
কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;...
...বাকিটুকু পড়ুন