somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেলেনা

০৫ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৬:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইতালিয়ান পরিচালক গিওসেপে তরনাটেরো 1988 সালে তৈরি করেছেন সিনেমা নিয়ে স্বপ্নময় এক ভালোবাসার ছবি সিনেমা প্যারাদিসো। আর 2000 সালে বানালেন মেলেনা। বয়সন্ধিকালের স্বপ্নময়তার ছবি। এই ছবির মূল চরিত্র সিসিলির 13 বছরের বালক রেনাতো ও বয়স্ক গৃহবধু মেলেনা স্করদিয়া। 14 বছরে পড়ার সময় রেনাতো পায় একটি সারা শহরে টহল দিয়ে বেড়াবার মতো একটি সাইকেল ও মেলেনাকে দেখার চোখ। সে হয়ে পড়ে নিশব্দ আততায়ীর মতো প্রেমিক। অসম বয়সী হলেও রেনাতো পাগলপারা প্রেমে পড়ে শহরের সবচেয়ে সুন্দরী এই মহিলার। মেলেনাকে নিয়ে তার কল্পনার বাধ ভেঙে যায়। সারাক্ষণ মেলেনা মেলোনা করতে থাকে। তাকে ফলো করে। সুমদ্রের তীরে বসে তাকে চিঠি লেখে.... সিনোরিানা মেলেনা...। দ্্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সময় মেলেনার স্বামী যুদ্ধে গিয়ে মারা গেছে বলে খবর রটলে মেলেনার ওপর চোখ পড়ে শহরের ক্ষমতাবানদের। তারা খাদ্য ও নানা অজুহাতে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। নাজি সৈন্যরা শহর দখল করে নিলে তাদের হাতে পড়ে প্রিয় মেলেনা। যুদ্ধ শেষে গৃহবধুদের সম্মিলিত আক্রমণের মুখে শহর ছেড়ে চলে যায় মেলেনা। এই দীর্ঘ সময়ে তার সঙ্গে ছিল একজনই। ওই কিশোর রেনাতো। যুদ্ধের পর মেলেনার স্বামী ফিরে এসে দেখে মেলেনা শহর ছেড়ে চলে গেছে আর কেউ তার ড়োজ জানে না। রেনাতো তাকে চিঠি লিখে মেলেনার খবর দেয়। মেলেনা সম্পর্কে লোকের কথা প্রসঙ্গে নিজের মত দেয়। একদিন স্বামী তাকে খুঁজে পায় সে ফিরে আসে স্বামীর বাহুলগ্ন হয়ে। রেনাতোর সঙ্গে তার দেখা হয়। শেষ সাক্ষাতের পর রেনাতো ফিরে আসে। তার বয়সন্ধির আইকন মেলেনার কাছ থেকে দূরে। রেনাতো বলে, বহু নারীর সঙ্গ পেয়েছে সে। কিন্তু মেলেনার মতো কেউ না। সারাজীবন আর মেলেনার কথা ভুলেতে পারে না সে। কিন্তু এই মেলেনাই তাকে কোনোদিন ভালোবাসার কথা জিজ্ঞেস করেনি। শুধু রেনাতো কেন অনেকের জীবনেই মেলেনার আবির্ভাব ঘটেছে। এই অসম বয়সের সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে কিয়েসলোভস্কির ক্ল্যাসিক এ শর্ট ফিল্ম অ্যাবাউট লাভ। ভালোবাসার এটা একটা প্যাটার্ন। কিশোরদের বেড়ে ওঠার ভালোবাসা। স্পর্শকাতর, উইটি আর আনন্দময় এই ছবি। যুদ্ধের ভয়াবহতাও কম নয়। তবু ভাধভাঙা ভালোবাসার কথাই বারবার মনে পড়ে। ইচ্ছা হয় মনিকা বেল্লুচিকে চিঠি লিখি... সিনোরিনা মনিকা.....
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৬:৫৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×