somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিনক্রোনিসিটি বা মিনিংফুল কো-ইনসিডেনস ও ড. ইউনুস

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Synchronicity শব্দটার জন্মদাতা [লিংক=যঃঃঢ়://সুংঃরপংধরহঃ.নষড়মংঢ়ড়ঃ.পড়স/2006/10/যঁসধহ-সরহফ-পধৎষ-লঁহম-ধহধষুঃরপধষ.যঃসষ]কার্ল জুং [/লিংক]যিনি এনালিটিক্যাল সাইকোলজির জনক। সিনক্রোনোসিটির কাছাকাছি বাংলা হয়তো কাকতালীয়। তবে ব্যাখ্যা আরো গভীর। আমেরিকান এক বন্ধুর সাথে ফোনে আলাপে গতকাল সকালেই ওর স্পিরিচুয়াল এক্সপেরিয়েনসের বিষয়ে আলাপ প্রসঙ্গে ও জানাচ্ছিলো ড. জেন গুডওয়ালের কথা। বলছিলো কিভাবে এক দিন গাড়ি চালানোর সময়ে জেন গুডওয়ালের লেকচার তার সম্পূর্ণ ভাবনা, চিন্তার জগতকে পরিবর্তন করে দিয়েছিলো। কিভাবে জেন গুডওয়ালের একটা লেকচারএকজন মানুষের রিয়েলিটি সম্পর্কে ধ্যানধারনা পরিবর্তন করে দিতে পারে সেটা শেয়ার করছিলো ও। জেন গুডওয়ালের ছবি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে দেখেছি কিন্তু জানতাম না ভদ্র মহিলা এতটা অসাধারন কনট্রিবিউট করেছেন এনিম্যাল কনজারভেশন বিশেষ করে আফ্রিকার শিংপাঞ্জিদের নিয়ে। উনি একজন প্রাইম্যাটোলজিস্ট এবং পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ এক্সপার্ট। টারজান ও ড. ডু লিটল দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তার কৈশরের স্বপ্ন ছিলো আফ্রিকায় যাবেন তিনি। তার সেই স্বপ্নকে সত্যি করেন তিনি এবং হয়ে ওঠেন পৃথিবীর অন্যতম সেরা স্কলার। পরিবেশ, প্রকৃতি নিয়ে তার ভাবনাগুলো অসাধারন। তার জীবনের পুরোটাই তিনি ডেডিকেট করেছেন তার এই প্যাশনের পেছনে।

[লিংক=যঃঃঢ়://সুংঃরপংধরহঃ.নষড়মংঢ়ড়ঃ.পড়স/2006/10/ফৎ-লধহব-মড়ড়ফধষষং-সবংংধমব-পড়হঃৎরনঁঃরড়হ.যঃসষ]জেন গুডওয়াল সম্পর্কে[/লিংক] পড়তে পড়তে গুগল হেডকোয়ার্টারে ওর দেওয়া একটা [লিংক=যঃঃঢ়://ারফবড়.মড়ড়মষব.পড়স/ারফবড়ঢ়ষধু?ফড়পরফ=3763187418980465301]ভিডিও লেকচার শুনছিলাম[/লিংক]। গগুল আর্থের সাথে জেন গুডওয়াল ইনসটিটিউটের রিসার্চ কোলাবরেশন রয়েছে। তার অসাধারন লেকচারটা শুনতে শুনতে হঠাৎ এক জায়গায় চমকে উঠি। তার মতো মাপের একজন মানুষ বলছিলেন মাইক্রো-ক্রেডিটের কথা। তানজানিয়ার গ্রামে কিভাবে সেই মাইক্রোক্রেডিটের কনসেপ্ট ভাগ্য বদলায় হাজার হাজার নারীর। আরো চমকাই যখন তিনি বলেন ড. ইউনুস তার অন্যতম অনুপ্রেরণা। ড. জেনের কাছে একজন সত্যিকারের মানবতাবাদী মানুষ।

এটা যে দুপুরে ড. ইউনুস নোবেল পুরস্কার পেলো সেই সকালের খবর। তখনও নোবেল পুরস্কার ঘোষনা দেওয়া হয় নি। ড. জেনের ভিডিওর শেষ দিকে এসে তার কিছু এক্সপেরিয়েনস শুনে অশ্রুসজল চোখে ভিডিওটা শেষ করি। প্রাণীদের নিয়ে তার কাজের অভিজ্ঞতা ছাপিয়ে তখনও ভালো লাগছিলো তার মাপের একজন মানুষের কাছে ড. ইউনুসের কাজ, সেই সুবাদে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্বমাপের কাজের স্বীকৃতির কথা শুনে। গুগল ভিডিওতে তার লেকচারটি [লিংক=যঃঃঢ়://ারফবড়.মড়ড়মষব.পড়স/ারফবড়ঢ়ষধু?ফড়পরফ=3763187418980465301]শুনতে পাবেন এখানে[/লিংক], দেওয়া গুগল হেডকোয়াটর্ারে।

তখনও ঘুনাক্ষরেও ভাবিনি আজ দুুপুরেই নোবেল পুরস্কারেরর অসাধারন খবরটা শুনবো। শুনলাম। কার্ল জুংয়ের মিনিংফুল কো-ইনসিডেন্টের কথা মনে পড়লো। সিনক্রোনিসিটি। কাকতালীয়।

কিছু বড় কথা সেটা না। বড় কথাটা হলো ড. ইউনুসের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি এবং আমাদের নেগেটিভ মানসিকতা নিয়ে। এই মানসিকতা কি জাতীয় সমস্যা? হীনমন্য একটা জাতি হিসেবে কি আমাদের পরিচয়টা ধ্রুবক? এটা কি কোন মানসিক রোগ?

একটা জাতির জন্য নোবেল পাওয়া কতখানি গৌরবের এটা কি শিক্ষিত হয়ে মানুষগুলোর বোঝা খুব কঠিন? দেশের সন্মানটাকি ব্যক্তি ড. ইউনুসকে ছাপিয়ে আমাদের মননে জায়গা করতে পারে না?

আশ্চর্য্য লাগে!

ড. ইউনুসের শান্তিতে নোবেল পাওয়াটা অং সাং সুচি অথবা শিরিন এবাদীর চাইতে অনেক বেশি যথার্থ। তাদের কনট্রিবিউশনটা খুব সীমিত, একটা নির্দিষ্ট দেশ, নির্দিষ্ট সমাজের ভিতরে। অন্যদিকে ড. ইউনুসের মাইক্রোক্রেডিট মডেলটা প্রায় বিশ্বের 100টারও বেশি দেশে সফলভাবে প্রয়োগ হচ্ছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা থেকে শুরু করে সারা পৃথিবী যখন ড. ইউনুসকে অভিনন্দন জানাচ্ছে; যখন সবাই খুশি যে নাহ এবার একটা পলিটিক্যাল ব্যক্তিকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয় নি (পেতে পারতো ব্লেয়ার বা বুশও!! খোদা রহম করছে আরেকটা হিপোক্রেসি থেকে) - বরং দেওয়া হয়েছে মানুষের জন্য কাজ করা একজনকে।

রেফারেনস:
:: [লিংক=যঃঃঢ়://সুংঃরপংধরহঃ.নষড়মংঢ়ড়ঃ.পড়স/2006/10/ফৎ-লধহব-মড়ড়ফধষষং-সবংংধমব-পড়হঃৎরনঁঃরড়হ.যঃসষ]ড. জেন গুডওয়াল সম্পর্কে তথ্য ও লিংক[/লিংক]

:: তার দেওয়া [লিংক=যঃঃঢ়://ারফবড়.মড়ড়মষব.পড়স/ারফবড়ঢ়ষধু?ফড়পরফ=3763187418980465301]একটা অসাধারন টক[/লিংক]।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৬ ভোর ৪:১৩
১৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×