খালেদা-ইয়াজ চাইনা, চাইনা হাসিনা-জলিল, চাইনা নীজামী। হাসিনা, খালেদা সব সমান পাপী, এরা সবাই শোষক। কিছুই আসে যায়না, ভোটে খালেদা জিতল, না হাসিনা জিতল, কে কার সাথে জোট করল। নীজামী জোটে এল কি না এল, তাতে সাধারণ মানুষের কোন চাওয়ার প্রতিফলন নেই। এরশাদ কোন জোটে গেল, এতে কারো পেটে একবেলা বেশী ভাত জুটবে না। এ হলো শোষকদের, অসৎদের, খুনীদের রাজনৈতিক দাবার চাল। কার ভাগে কতো বেশী পড়বে, এ চালে তার হিসেব নিকেশ হয়, সাধারণ মানুষের ভাগ আগের মতোই অপরিবর্তিত শুন্য। এই দাবার চালে শত শত মানুষ মরে, মায়েদের, বাবাদের, শিশুদের কান্নায় আকাশ ফাটে, আমরা হাহুতাশ করি, কিন্তু এতে এই ভুয়া রাজনীতিবিদদের কিছুই যায় আসে না। কখনো বিএনপি পিস্তলের গুলিতে মানুষ হত্যা করে, আওয়ামী লীগ করে পিটিয়ে, জামাত কারো গলার রগ কেটে। এরা সবাই হত্যাকারী, এরা সবাই শোষক, প্রতারক ও সন্ত্রাসী।
হয়তো ইয়াজুদ্দিন আপাত: শান্ত করবেন দেশ। এমনও হতে পারে, হাসিনা তার হরতাল, অবরোধ আন্দোলনে আবার গদীতে বসার পথ বের করে নেবেন। এমনও হতে পারে, ইয়াজুদ্দিনএর সাহায্যে আবার খালেদা তথা বিএনপিই গদী জাপটে ধরায় সফল হবেন। এমনও হতে পারে যে সেনাবাহিনী দখল করবে শাসনভার। কিন্তু ফলাফল সেই একই রয়ে যাবে। আবারো আরো কিছু শোসক পরিবারের পত্তন ঘটবে, আরো কিছু সাধারন মানুষ প্রান দেবে, আরো কিছু পবিবার হারাবে তাদের সর্বস্ব। এই গনতান্ত্রিক পরিবর্তন সেই পরিবর্তন নয়, যাতে সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খার সামান্যতম প্রতিফলও এতে দেখা যেতে পারে।
সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন তখনই ঘটবে, যেদিন দলমতনির্বিশেষে মানুষের ঢল নামবে জনপদে। জনস্রোতের ধারায় ভেসে যাবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত ও তাদের তোষামোদকারী পাতি রাজনৈতিক অস্তিত্বগুলো। জনস্রোতের আগুনে পুড়বে শোসকদের দালানকোঠা ও চোরাই কোষাগার। নতুন কোন গনতান্ত্রিক শপথে আবারো মুক্ত হবে দেশ। আত্ম, সমাজ ও রাজনৈতিক শুদ্বিতে শুদ্ধ হবে মাটি, সমাজ ও শহর বন্দর। সেখানে অসৎ রাজনীতি, বাজনীতিবিদ ও তোষামোদকারীদের কোন স্থান থাকবে না; তাদের ঝেটিয়ে পাঠানো হবে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে। সে সময় হয়তো এখনো আসেনি, কিন্তু আসবে কোন আগুনঝরা দিনে। আসুন আমরা তারই অপেক্ষায় থাকি ও তারই সন্ধান ও গঠনে আমাদের শিক্ষা, মনন, চিন্তাশৈলী ও বোধকে প্রসারিত করি।