নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তব এবং সাধারন মানুষ আমার লিখার জীবন। এখানে রানা নামের একজন অতি সাধারন ব্যক্তির দৈনিক জীবন এবং তার দৃষ্টিতে সমাজের বর্তমান অবস্থা এবং এর প্রভাব তার নিজের ভাষায় প্রকাশ করা হবে।

আমি রানা

আমি বিশেষ কেউ বা কিছু না। যা মনে আসে যেভাবে মনে আসে তাই লিখি।

আমি রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবিবার নীলার বিয়ে.......(৫)

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৮

রবিবার নীলার বিয়ে.......(১)
রবিবার নীলার বিয়ে.......(২)
রবিবার নীলার বিয়ে.......(৩)
রবিবার নীলার বিয়ে.......(৪)
এরপর থেকে................

কথায় আছে বেকার মানুষের চোখ এবং মুখ লজ্জা কোনটায় নাই। আমি কথাটা জানতাম এবং নিজেকে এইসবের উর্ধ্বে ভাবতাম, কিন্তু আমিযে সবার মতোই লজ্জাহীন তা এবার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। প্রেমিকার টাকাকে নিজের টাকা মনে করা, নাস্তা করে বিল দেওয়ার জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকা , সিগারট খাওয়ার জন্য টাকা খুজে নেওয়া , প্রয়োজনীয় ছোট-খাটো জিনিস গুলো গিফট হিসেবে চাওয়া ইত্যাদি বিষয় গুলোতে আমি আমি অভ্যস্ত হয়ে উঠছিলাম।

একদিন সকালে নীলা সামান্য শপিং এর জন্য বের হলো, আমিও সেখানে গিয়ে হাজির। শুধু এখানেই না সে যেখানেই যাচ্ছে আমিও সেখানেই হাজির হয়ে যাচ্ছি(যদিও নীলা খুব কমই বের হতো)। দুপুরে বের হলে আমরা একটা সপিং সেন্টারের খাবারের দোকানে বসতাম। আর বিকালে বের হলে সিআরবি । সিআরবি যাওয়ার সময় বেশির ভাগ সময় নীলা আমাকে নিয়ে যেত, সে রিক্সা নিয়ে আসতো আমি তাতে উঠে পরতাম। ফেরার সময়ও তাই হতো।
একদিন সিআরবি তে বসে আছি স্বাভাবিক কথা বলছিলাম, বিড়ি ফুঁক ছিলাম হঠাৎ রনি ফোন করলো: " কইরে তুই?" এইতো সিআরবি তে বসে আছি, আমি বললাম। ওখানে কি করিস? । নীলার সাথে বসে আছি। "আচ্ছা আসবো নাকি?" চলে আয়, আর হা আসার সময় সিগারেট নিয়ে আসিস। "আচ্ছা" বলে রনি ফোনটা রাখলো। পরবর্তী বিশ মিনিটে রনি পৌছে গেল।(সত্যি বলছি রনির বাইকটা যখন নিজের চোখে দেখলাম, কলিজাটা বিশাল বড় হয়ে গেল। আসলে এটাই মনে হয় বন্ধুত্ব আলাদা একটা শক্তি থাকে বন্ধু পাশে থাকলে ।)
নীলার সাথে কথা বলছি, রনি বেকগ্রউন্ডে মিউজিক দিয়ে যাচ্ছে অনরগল। হঠাৎ করেই মন চাইলো নীলাকে জড়িয়ে ধরি। কিন্তু পাবলিক প্লেস তা সম্ভব না। নীলার ডানদিকে বসাছিলাম, তার ডান হাতটি শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম, প্রথমে নীলা চোখ বড় করে ফেলে পরে রনি আছে বলে নিজেকে সামলিয়ে নেয়। রনি আমার দিকে তাকিয়ে গান বন্ধ করে আস্তে করে উঠে চলে যায়। আমি এভাবে প্রায় বিশ মিনেট তাকে ধরে রেখেছিলাম।
সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে আমার পক্ষে এখানে থাকা সম্ভব না। যদিও যেতে মন চাইছে না। রনিকে বিদায় দিলাম। আমি আর নীলা রিক্সায় উঠলাম।নীলা আমার বাম দিকে বসা আর আমি আমার হাতের মুঠোই শক্ত করে নীলার হাতটা ধরে আনমনে রিক্সাওয়ালা কাকার দিকে তাকিয়ে আছি, সেও একনাগারে পেডেল মেরে যাচ্ছে, একবার উপরের দিকে উঠছে আবার নিচের দিকে নামছে।
নীলা আমার বাম গালে চুমু দিয়ে দিল। আমিও কি এই সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম???? খানিক বিলম্ব না করে আমিও তার ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসলাম। কয়েকটি মুহূর্তে ঘটনাটি ঘটে গেল কিন্তু রেস রয়ে গেল অনেকক্ষণ।
কাল আমার জন্মদিন।নীলা সারাদিন ব্যস্ত প্লেন করা নিয়ে....কাল সারা দিন তার সাথেই কাটাতে হবে। কোন কথা বলতে বা শুনতে সে রাজিনা। বার বার জিজ্ঞাসা করছে কোথায় যাবো? আমি বললাম দেখা যাক কাল কি হয়..................................
চলবে.............................
ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: বেকার মানুষের ক্ষুধা যেমন আছে লজ্জাও আছে। বরং অন্য সবার চাইতে বেকার মানূষের লজ্জা বেশিই আছে।
বিয়ের আগে চুমু টুমু ঠিক না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৬

আমি রানা বলেছেন: লজ্জা অনেক বেশি তাই তো তাসের ঘরের মতো যে কোন সময় ভেঙে পরে।
নাদান দিল কি আর বিয়ের অপেক্ষা করে?

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নান্দনিক লেখনী ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৯

আমি রানা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। দোয়া রাখবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.