আগে যা লিখেছি তার পর থেকে..............
সেদিন রাতে যখন নীলার সাথে কথা বলছি, কথা বলার এক ফাকে নীলা বলেই বসল সে আমাকে ভালোবাসতে চায়, এবং গভীর ভাবে ভালোবাসতে চায়। কিন্তু আমি একটা শর্ত জুুরে দিলাম,"তোমার পুরোন প্রেমিককে যেদিন সম্পূর্ন ভাবে ত্যাগ করতে পারবে সেদিনই তোমার প্রেমে সারা দিব" ।নানা মানুষকে অনুসরন এবং তাদের চরিত্র বিবেচনা করে আমি যে ফলাফল পেলাম, তা অনুযায়ী নীলা তার পূরনো প্রেমিককে ছাড়তে পারবেনা। কারন একটা গবেষনায় বলা হয়েছে ,যে সম্পর্ক পাচঁ বছরের পরও টিকে থাকে তা কখনো ভাঙ্গেনা (যদিও আমারটা পাচঁ বছর পর টেকেনি) ।সেখানে নীলার সম্পর্ক আট বছরের এবং তারা দুজনেই শারিরীক সম্পর্কে আসক্ত।
নীলার সাথে রাত-দিন কথা বলতে থাকলাম, একটুু সুযোগ পেলেই তাকে ফোন করে বসতাম, সেও তাই করতো। একপ্রকার আসক্ত হয়ে পরেছি তার সাথে কথা বলাই, তারও অনেক কারন আছে, তার সাথে কথা বললে কখনোই মনে হতনা যে এই কদিন যাবৎ তার সাথে কথা বলছি, মনে হতো গত সাত জনমের পরিচয় আমার তার সাথে, যেন সবই জানি আমি তার সম্পর্কে এবং সেও আমার সম্পর্কে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে রেখেছে অনেক আগেই। একবার কথার মোহে পড়ে গেলে দুজনেই অচেতন হয়ে যেতাম, কখন যে রাত গভীর হয়ে সকাল হয়ে যেত টেরই পেতামনা। একটা ছেলে আর এটা মেয়ের সম্পর্ক যে এতটা গভির হতে পারে তা আমি নীলার সাথে মেশার পরই বুঝতে পেরেছি।
নীলা সবসময় বলতো "আমি আমার মনের মানুষ পেয়েছি" আমিও মনে মনে ভাবতাম " আমিও কি পেয়ে গেলাম???"
নীলাকে নিয়ে আমার এমন সন্দেহে থাকার কারন হলো তার পরিচয়। নীলান্জনা বড়ুয়া, নীলার পুরো নাম । যদিও বর্তমান সময়ে এসব কিছু সমাজে তেমন প্রভাব ফেলেনা, তারপরও আমার পূর্বপুরুষদের আত্মা যেন আমার সামনে এখনো বাধা হয়ে দাড়াঁচ্ছে।
নীলার সাথে পরবর্তী ডেটিং ঠিক করা হলো, শহরের বাহিরে যাব আমরা, জায়গাটা একটা রেস্টুরেন্ট তার সামনে এক বিশাল দিঘি, এবং প্রেমিক- প্রেমিকাদের জন্য বোনাস সরূপ একটা ঝোপ রয়েছে। আমাদের সাথে যাবে আমার বন্ধু ও তার প্রেমিকা প্রেমা। নীলা এবং প্রেমা বান্ধুবী ও কাজিন। তারা সকাল সকাল নির্দ্দিষ্ট স্থানে চলে আসলো, আমি একটা সিএনজি নিলাম, ভাড়া বেশি চাওয়াই অর্ধেক পথের নিলাম বাকীটা লোকাল বাসে যাবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম।
কিছুদূর যাওয়ার পর প্রেমা সিএনজি থেকে নেমে বন্ধুর বাইকে উঠে পরলো, আমি আর নীল সিএনজিতে ................
আরো বাকী আছে....
ঘরে থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৭