নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১)
শহর কাকে বলে তা বোঝার আগেই আমি মাঝে মাঝে একটা শহরের স্বপ্ন দেখতাম; সেই শহরে দেখতাম আকাশের গায়ে হেলান দেয়া বাড়ি, সমুদ্র, জেটিতে লাইন দিয়ে রাখা নৌকা... বাড়িগুলো অদ্ভুত, আবার যে গাড়িগুলো শহরের রাস্তায় চলত সেগুলোও অদ্ভুত, ঘোড়া ছাড়াই সেই গাড়িগুলো চলত! আবার কখনো দেখতাম আকাশে রূপালী রঙের মাছের মত জিনিস ভাসছে, সেগুলো আবার পাখিও না!
অদ্ভুত এই স্বপ্নটা দেখতে খুব ভালো লাগতো। একদিন আমি বড়বোন মেরীকে বললাম স্বপ্নের কথা। মেরী শুনে বলল, হয়ত আমি স্বপ্নে প্রাচীন পৃথিবীর কোন ছবি দেখেছি; প্রাচীনকালের সেই সুন্দর পৃথিবী, যাতে নেমে এসেছিল ঈশ্বরের অভিশাপ; তারপর তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। হয়তো কোন ভাবে আমার স্বপ্নে সেই ছবি আসছে...
অবশ্য একথা বলেই মেরী আমাকে সতর্ক করে দিল, আর কাউকে যেন এসব কথা না বলি। অন্য কেউ এ ধরনের কোন ছবি বা স্বপ্ন দেখেনা, সুতরাং তাদের কাছে এসব বললে বিপদ ঘটতে পারে! আমার বয়স অল্প হলেও, আমি মেরীর সতর্কবাণীর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলাম; আমাদের এই সমাজে কোন অস্বাভাবিকতা বা বিচ্যুতি সহ্য করা হয় না একেবারেই, আমার এই স্বপ্ন দেখা যদি অস্বাভাবিক কিছু হয় তবে আমার বিপদ হতে পারে। তাই আমি স্বপ্নের কথা আর কারো কাছে বললাম না। পরে অবশ্য স্বপ্নটা প্রায় ভুলেই গেলাম; বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই স্বপ্ন দেখা আস্তে আস্তে কমেও আসছিল...
ভালোই হয়েছিল; মেরী স্বপ্নের ব্যাপারে সতর্ক না করলে হয়তো রোজালিনের সাথে আমার যোগাযোগের কথা কাউকে বলে বসতাম, আর তারপর দুজনেই মহা বিপদে পড়তাম! যোগাযোগের ব্যাপারটা আমরা দুজন ঠিকমতো বুঝতাম না, কিন্তু এটুকু বুঝতাম যে এটা স্বাভাবিক নয়। এমনিতে আমি নিজেকে স্বাভাবিক একটা ছোট ছেলে বলে ভাবতাম, আমার জীবনযাত্রাও স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু নিজেকে নিয়ে প্রথম সন্দেহ জাগে সোফীকে দেখার পরে।
সোফিকে প্রথম দেখেছিলাম বাঁধে খেলতে গিয়ে।আমার বয়স তখন বোধহয় দশ হবে। বাঁধটা ছিল আমার বাসা থেকে অনেকটা দূরে। সেখানে যেতে প্রথমে গরুর গাড়ি চলার পথ ধরে দক্ষিণ দিকে অনেকটা গিয়ে, তারপর অনেকগুলো মাঠ পেরোতে হত। এই বাঁধ নাকি প্রাচীন মানুষদের বানানো; এর উপর আমি অনেকবার উঠেছি, কিন্তু কখনও এর অন্য পাশে কি আছে দেখতে যাইনি, আমার মনে হতো সেটা একটা সম্পূর্ণ অপরিচিত জগত হতে পারে! বাঁধের এপাশে এক জায়গায় আমি একটা ছোট্ট শুকনা ঢালু নালা আবিষ্কার করেছিলাম। নালাটা এমন, এটা দিয়ে কিছুদূর গড়িয়ে নামলেই একসময় বাতাসের মধ্যে দিয়ে উড়ে গিয়ে নরম বালিতে পড়ে যাওয়া যেত।
সেদিনও আমি নালা বেয়ে গড়ানোর খেলা খেলছিলাম। যখন চতুর্থবার গড়াতে যাব, তখনই শুনি কেউ বলছে, "এই"! চারপাশে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেলাম না প্রথমে, তারপর দেখি একটা ঝোপের পাতাগুলো একদিকে সরে গিয়ে কোঁকড়া চুলে ঢাকা একটা ছোট্ট মুখ উঁকি দিল, মুখে উদ্বিগ্ন ভাব কিন্তু চোখ দুটো ঝিকমিক করছে। একটু সময় দেখে নিয়ে আমি উত্তর দিলাম "কি বলছ?"
কয়েক মুহূর্তের দ্বিধা, তারপরই ঝোপের ডালপালা সরিয়ে একটা ছোট মেয়ে বেরিয়ে এলো। দেখে মনে হল আমার চাইতে বয়সে ছোটই হবে, হলুদ জামা পরেছে, হলুদ ফিতা দিয়ে বাঁধা চুল, জামার সামনের দিকে একটা কাপড়ের ক্রস সেলাই করা। আমি অবাক হয়ে মেয়েটাকে দেখছিলাম। মাঝেমাঝে আমাদের কিছু অনুষ্ঠান হয়, যেখানে কয়েক মাইলের মধ্যে থাকা সব পরিবার একত্রিত হয়। কিন্তু এই মেয়েটিকে তো তাদের মধ্যে দেখি নি!
- "তোমার নাম কি?"
- "সোফি। তোমার?"
- "ডেভিড"। আমি বললাম, "তুমি কোথায় থাকো?"
- "ওইদিকে", হাত নেড়ে বাঁধের অন্য পাশে কোন্ দিকে দেখালো, কিছু বুঝলাম না।
আমার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নালার দিকে তাকিয়ে বলল, " গড়িয়ে নামা খুব মজা, না?"
আমি একটু দ্বিধা করলাম তারপর বললাম, "হ্যাঁ, দেখবে একবার?" শুনে সোফি আমার দিকে তাকিয়ে অল্পক্ষণ কি জানি ভাবলো, তারপর মন স্থির করে দৌড়ের উপরে উঠে, নালা দিয়ে গড়িয়ে নামল। আমি দেখলাম ওর চোখ দুটো খুশিতে ঝকমক করছে! "আবার" বলে সে আবার গড়িয়ে নামল। কিন্তু তিন নাম্বার বার নামার সময় গোলমাল হয়ে গেল! বালির স্তুপ এর মধ্যে যেখানে পড়ার কথা, সেখানে না পড়ে সে বাঁদিকে কিছু দূরে পড়ল। আমি ভাবলাম, ও উঠে গেলেই আমি খেলা শুরু করব। কিন্তু দেখি সে বসেই রইল। আমি বললাম, "উঠে পড়ো", "পারছিনা তো... খুবই ব্যথা", সোফি বলল।
আমি ওর পাশে বসে ঝুঁকে দেখলাম; দেখি সোফির বাঁ পা বালুর নিচে দুটি পাথরের মাঝখানে আটকে গেছে। আমি চেষ্টা করে পারলাম না, সোফিকে বললাম, "তুমি পা মোচড় দিয়ে বের করার চেষ্টা করো!" সোফি কান্না চেপে পা বের করার চেষ্টা করল, কিন্তু তাতে ব্যথা শুধু বেড়েই যাচ্ছিল। একটু ভেবে আমি বললাম, "জুতার ফিতাটা কেটে পা জুতা থেকে বের করে নিয়ে আসো" সোফি আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলো, "না না না, এটা করা যাবে না"!
আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করা যায়! জুতো খুলে পা বের করলেই জুতোটা বের করে আনা যেত...
এবার সোফি ব্যথায় ফোঁপাতে শুরু করলো।
চলবে??
==================================================================================
আশির দশকে আমেরিকা আর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শীতল যুদ্ধ চলছিল, দু'দেশের হাতেই ছিল অনেকগুলো পারমাণবিক অস্ত্র। ভুল মানুষের হাতে পড়ে এই অস্ত্রগুলো ব্যবহার হবার সম্ভাবনা ছিল; তাতে এক মূহুর্তের মধ্যে যে প্রলয় নেমে আসবে তার বিধ্বংসী রূপ নিয়ে নানারকম জল্পনা কল্পনা করা হত, ব্যবহৃত হত আইনস্টাইনের সেই বিখ্যাত উক্তি, "চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের অস্ত্র হবে মাটির ঢেলা।"
পারমাণবিক যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সাড়াজাগানো টেলিফিল্ম, "The day after" view this link আমেরিকার ছোট, শান্ত শহর ক্যানসাসে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হবার পর মূহুর্তে যে ধ্বংসের তান্ডব শুরু হয়, অধিবাসীদের উপর যে দুর্যোগ নেমে আসে, তা এই সিনেমায় দেখানো হয়েছিল। সেই সময়ে এই সিনেমা খুবই ভীতিকর বাস্তবতা বলে মনে হতো। "The day after" দেখার রেশ মন থেকে মিলিয়ে যাবার আগেই রাশিয়ার চেরনোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটে, আর আমরা প্রত্যক্ষ করি পারমাণবিক বিস্ফোরণের ভয়াবহতা! এই সময়েই আমি "The Chrysalids" বইটা পড়ি; view this link এটা একটা বিজ্ঞান- কল্পকাহিনী। এই বইয়ে পারমাণবিক বিস্ফোরণের পরের পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে; যেখানে জন্ম নেয় অনেক বিকলাঙ্গ মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদ। পারমাণবিক বিস্ফোরণের কত বছর পর সেখানে প্রাণের বিস্তার ঘটেছে তা স্পষ্ট করে লেখক বলেননি, এমনকি পারমাণবিক বিস্ফোরণের উল্লেখও করেননি, কিন্তু পোড়া ভূমি আর তাতে বিকিরণের বর্ণনা দিয়েছেন তা স্পষ্টতই তেজস্ক্রিয়তার ফলে সৃষ্ট।
যখন রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা শুরু হয়, তখন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঝূঁকি নিয়ে অনেক লেখা পড়ি। আমি একটা পোস্ট দেই এ নিয়ে, তারপর আখেনাটেনও দেন। এরপর এ সংক্রান্ত আরো অনেকগুলো লেখা পড়ি; হাস্যোজ্জ্বল কিছু তরুণের ছবি দেখে উদ্বিগ্ন হই, যারা সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় গেছে! বহুদিন আগে পড়া "The Chrysalids" বইয়ের কথা মনে পড়ে আমার, বইটা খুঁজে বের করে আবার পড়ি। সামুতে সকলের সাথে শেয়ারের জন্য কাহিনীটা নিজের মতো করে লেখা শুরু করি, তারপর লেখা বন্ধ করে দেই...কয়েকদিন আগে ব্লগার তানজির আহমেদ সিয়ামের চেরনোবিল নিয়ে লেখা সিরিজ পড়ে ইচ্ছা হল আমার লেখাগুলো ব্লগে দেই...
"Chrysalids" শব্দের অর্থ গুটির ভেতরে থাকা শুককীটের প্রজাপতিতে পরিণত হওয়া; বইয়ে পারমাণবিক দুর্যোগের কয়েকশ', বা হাজার বছর পরের এক এলাকার কয়েকজন মানুষের গল্প বলা হয়েছে যারা তাদের সমাজে গুটিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পোঁছে গিয়ে নিজেদের বিকশিত করতে পারে, প্রজাপতির মতোই। যুক্তরাষ্ট্রের সংস্করণে এই বইয়ের নাম Re-Birth বা নতুন জীবন। এই নামটাই আমার পছন্দ।
চেরনোবিল নিয়ে সামুতে প্রকাশিত কিছু লেখার লিঙ্ক, রূপপুর পাবিকে নিয়ে আমার আর আখেনাটেনের লেখার লিঙ্ক, আর আরো কিছু লিঙ্ক এখানে দিলাম।
১)চেরনোবিল: রূজেল
২)রূপপুরের জন্য চেরনোবিল দুর্ঘটনার বার্তা
৩) পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে জার্মানি।view this link
৪)পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গঠন হবে কোম্পানি। view this link অথচ আগে বলা হয়েছে পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে রাশিয়া!
৫) আখেনাটেনের পোস্ট: view this link
৬) আমার পোস্ট: view this link
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ, এই লেখা নিয়ে আর আগাব কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম, কারণ বিদেশি নামধারী মানুষদের নিয়ে লেখা কতটুকু গ্রহনযোগ্যতা পাবে তা বুঝতে পারছিলাম না। (নাম বদলানোর সম্ভব নয়, কারণ যে এলাকাকে ঘিরে কাহিনী এগিয়েছে সেখানে এই নামগুলোই উপযুক্ত) আপনাদের কথায় ভরসা পেলাম; গল্প আগাবে ইন শায়া আল্লাহ।
এই পর্বের শেষে ভূমিকা দেবার কারণে ছোট হয়েছে। পরের পর্বগুলো আপনার কথামত ডাবল করেই দেব।
রূপপুর পাবিকে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু আপনার আমার গ্রাম না, সমস্ত দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। আল্লাহ রক্ষা করুন।
প্রথম মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: সূর্যের থেকে বালু গরম।
অবশ্যই চলুক। সমস্যা কি? সমস্যা নাই।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: সূর্যের থেকে বালু গরম। অত্যন্ত মূল্যবান কথা বলেছেন।
সমস্যা নাই? তাহলে চলুক!
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার পর ভয়ঙ্কর সব ভাবনা মাথার আশে পাশে ঘুরছে, আর সন্ত্রস্ত করে তুলছে।
ক্যাপশনের ছবি আর শিরোনাম দেখে যা ভেবেছিলাম, পড়ার পর তার উল্টো অনুভূতি মনকে আচ্ছন্ন করে দিচ্ছে।
তবে লেখার স্টাইলটা ভাল লেগেছে। পরিশ্রমলব্ধ সব লিঙ্ক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টে প্লাস +
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
করুণাধারা বলেছেন: বইয়ে অনেক কাহিনী সম্পর্কিত ছবি আছে, কিন্তু কপি রাইটের কিছু আছে কিনা জানা না থাকায় সেগুলো দিতে পারলাম না, সাধারণ একটা ছবি দিতে হল, যার সাথে কাহিনীর তেমন সম্পর্ক নেই।
এই কাহিনী কয়েকজন মানুষের, যাদের যোগাযোগ হতো টেলিপ্যাথির মাধ্যমে। কাহিনীতে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, ভবিষ্যতের মানুষেরা পরষ্পরের সাথে যোগাযোগ করবে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে। এই জিনিসটা আমার কাছে খুব আগ্রহোদ্দীপক মনে হয়, আমার কেন যেন মনে হয় টেলিপ্যাথি না হলেও ভবিষ্যতের মানুষের মাথার মধ্যে চিপ লাগানো থাকবে, তাই দিয়ে তারা কথা বলবে। অবশ্য সেটা দেখার সুযোগ আমার হবে না।
মাত্র চল্লিশ বছর আগে কি কেউ ভাবতে পেরেছিল, হাতের মুঠোয় ছোট যন্ত্র দিয়ে হাজার মাইল দূরের মানুষকে দেখা আর কথা বলা যাবে! ভবিষ্যতের পৃথিবী নিয়ে আমার প্রচন্ড আগ্রহ। কিছু মেধাবী মানুষ সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, নাকি ক্ষমতাবান কিছু মুর্খ সভ্যতাকে ধ্বংস করবে সেটাই দেখার বিষয়। এই কাহিনী পড়লে সেই ভাবনা মাথায় আসবেই। আশা করি সাথে থাকবেন।
প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে যা যা মাথায় এসেছিল, কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি ব্লগার নীল আকাশ তা হুবহু বলে দিয়েছে। আমার জন্য অবশ্য ভালোই হলো, টাইপ করার কষ্ট থেকে বাচলাম।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: নীল আকাশের উত্তর আপনারও উত্তর? আচ্ছা, বেশ। আমি তো আর চাঁদগাজী না যে আপনাকে প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশন বলব!
পরের পর্বে নীল আকাশকে না পেলে আবার আপনি গরহাজির হবেন না তো?
প্লাসে লাইক।
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২
শের শায়রী বলেছেন: বোন লেখার শুরুতে আমি ভাবছিলাম অতিলৌকিক কোন গল্প। এখন দেখি পারমানবিক দূর্যোগ নিয়ে সায়েন্স ফিকশান। যেহেতু আগেই আপনি কিছুটা লিখছেন তাই আমাদের দাবী অনুযায়ী প্রতিদিন এক পর্ব দিয়ে আমাদের উৎকন্ঠা শেষ করুন। ধৈর্য্য ধরে পরের পর্ব গুলোর জন্য অপেক্ষায় আছি। মুগ্ধ পাঠ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: এই গল্প শুরু হয়েছে ছোট বাচ্চাদের দিয়ে, তাই আমি আমার সন্তানদের এই গল্প শোনাতাম আর তারা করলা গেলার মত মুখ করে শুনত। পরে বুঝতে পেরেছি, এটা ছোটদের গল্প না...
এবার আপনাদের শোনাতে এলাম, আশা করছি আপনাদের তেমন বিরক্তিকর লাগবে না।
চেষ্টা করব প্রতিদিন এক পর্ব করে দিতে। সাথে থাকবেন আশাকরি।
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কল্পবিজ্ঞানে আপনি অত্যন্ত সপ্রতিভ আপু। এখন আমার ব্লগে আসার সময় নয়, মেঘের পড়ার সময়। কিন্তু আপনার পোস্টটি পড়ে লগইন না করে পারলাম না। ভীষণ সুন্দর করে শুরু করেছেন আপু। কিন্তু পেটে ক্ষুধা রেখে উঠে গেলাম। দেখি আপনি পরবর্তী খাবার কবে দেন।
ফুটনোট পড়ে আরো বিষণ্ন হলাম। কিন্তু কি আর করার...
শুভকামনা প্রিয় আপুকে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৯
করুণাধারা বলেছেন: নাহ্, কল্প বিজ্ঞান লেখা আমার কম্ম নয়, পদাতিক চৌধুরী। অন্যের গল্প নিজের মতো করে বলা, কতটা হচ্ছে দেখা যাক!
মেঘের পড়ার সময় আপনি মন্তব্য করার জন্য লগইন করেছেন জেনে অনুপ্রাণিত বোধ করছি, কিন্তু এটাও বলি মেঘকে পড়ানোর সময়টা পুরো মনোযোগ ওর ওপরেই রাখবেন- আপনার ফাঁকি দেয়া ধরে ফেললে ও-ও আপনাকে আরো বেশি ফাঁকি দিতে উৎসাহিত করতে পারে।
মেঘের জন্য শুভকামনা।
এবার বেশি দিয়েছি- আশা করি ক্ষুধা মিটেছে! শুভকামনা।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: পারমানবিক দূর্যোগ, ঐতিহাসিক তথ্য আর আমাদের প্রেক্ষাপট নিয়ে
গভীরে গিয়ে লিখলে সকলেই আগ্রহ বোধ করবে ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৪
করুণাধারা বলেছেন: স্বপ্নের শঙ্খচিল, আপনাকে অনেক দিন পর পেয়ে ভালো লাগলো।
কেবলমাত্র পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে তেজস্ক্রিয়তা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মাটি ও পানিতে থেকে যায়, তার ফলে মানুষ, প্রাণী আর উদ্ভিদের মধ্যে বিকলাঙ্গতা দেখা দিতে পারে। সেই কথা মনে করে এই গল্প পোস্ট করা। পারমাণবিক শক্তি নিঃসন্দেহে বিশাল শক্তি, কিন্তু একে ব্যবহারের ঝুঁকিও অনেক।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৩
মা.হাসান বলেছেন: ১৯০৩ সালে জ্যাক লন্ডন 'দা কল অফ দা ওয়াইল্ড' লিখেন। একটা গৃহপালিত কুকুর কি ভাবে আবার বুনো হয়ে ওঠে এই সব ম্যাও প্যাও নিয়ে কাহিনী। জ্যাক লন্ডন বুঝতে পারেন তার লেখায় বাক নামের কুকুরটার চরিত্রে একটু বেশিই কঠোরতা দেখিয়েছেন। এটা ব্যালেন্স করার জন্য ১৯০৬ সালে তিনি 'হোয়াইট ফ্যাং' লিখেন। এখানে তিনি একটা জংলি নেকড়ে-কুকুর কিভাবে ডোমেস্টিকেটেড হয় তা দেখিয়েছেন।
উন্নয়নের বিপক্ষে লিখলে পক্ষেও লিখতে হবে। আমি কিছু আইডিয়া দিয়ে দিতে পারি। লিখতে পারেন- ২০৪১ সালের দিন রাত্রি। মানুষ কত উন্নত সভ্যতা তৈরি করেছে, কত সুখে আছে এসব নিয়ে লিখতে পারেন। মাঝে মাঝে আমারও লিখতে ইচ্ছে করে, লেখার হাত নেই বলে পারি না।
আপোকালিপস এর পরে ঘটনা নিয়ে অনেক গল্প-উপন্যাস-মুভি আছে। আমার মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছে ২০০৯ সালের দা রোড নামের একটা সিনেমা।
এখানে ট্রেলারের লিংক দিলাম, ভালো লাগলে পুরোটা খুঁজে দেখতে পারেন।
গল্প যেটুকু দিয়েছেন ভালো লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪২
করুণাধারা বলেছেন: যাক, অনেক দিন পর আপনাকে পাওয়া গেল!!
উন্নয়নের বিপক্ষে কখন লিখলাম? আমি তো কেবল উন্নয়ন দেখি। সেজন্যই তো রাজউকের সৃষ্ট জনভোগান্তি নিয়ে সিরিজ লিখতে গিয়েও থেমে গেলাম! এসব লিখতে গেলে সব ফ্লাইওভার ঢাকা পড়ে যাবে...
তবে আইডিয়া ভালো দিয়েছেন- ২০৪১ সালে বাংলাদেশ কতটা উন্নত হবে সেসব নিয়ে লিখতেই পারি, আশাকরি প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন; যেমন হাতিরঝিল হবে সানফ্রান্সিসকো, আর কোন কোন জায়গা কি হবে মনে করতে পারছি না। তবে ক্যাসিনো ব্যবসা মায়ামীকে ছাড়িয়ে যাবে নিশ্চয়ই... প্রতি কৃষকের একাধিক ট্রাক্টর থাকবে...
লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, পরে দেখতে হবে।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখাটা আকর্ষনিয় ছিল। কিন্তু কে কি ভাববে বিদেশি নাম দিলে কি হবে অথবা কেন লেখাটা হচ্ছে এত সব ব্যাখ্যা পড়তে গিয়ে লেখার আকর্ষন হারিয়ে গেল।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: আমি আসলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ঝুঁকি নিয়ে লিখতে চাচ্ছিলাম, শেষে রূপপুর সংক্রান্ত অনেকগুলো লিন্ক দিয়েছি। কিন্তু পারমাণবিক দুর্ঘটনা নিয়ে লেখা এই গল্পকে আমাদের দেশীয় করতে পারলাম না নামগুলোর জন্য, এটাই বলেছি।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সূর্যের থেকে বালু গরম। অত্যন্ত মূল্যবান কথা বলেছেন।
সমস্যা নাই? তাহলে চলুক!
অবশ্যই চলবে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: চলুক তবে!
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: একটা আঠারো-বিশ তলা বিল্ডিং এ আগুন লাগলে পানির অপর্যাপ্ততার কারণে শহরের সকল ইউনিট ফায়ার সার্ভিস মিলে নেভাতে নেভাতে যেখানে দীর্ঘ সময় লেগে যায়, ধোঁয়ায় মানুষ মারা যায় কিংবা আতংকে লাফিয়ে পড়ে; সেখানে রুপপুরে কি পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ পাওয়া যাবে? কিংবা ফুকুসীমার মতো ডেডিকেটেড কর্মী পাওয়া যাবে, যারা নাতী-নাতনীদের ভবিষ্যতের জন্য সুইসাইড স্কোয়াড হিসেবে রেডিয়েশন এলাকায় মেরামত করতে যাবে? মনে হয় না, আমরা বরাবরই স্বার্থপর জাতি। যাইহোক, বাকী অংশটা পড়তে চাই।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০২
করুণাধারা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন ফয়সাল রকি। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয় প্রচুর পানি প্রবাহ আছে এমন জায়গায়। ১৯৬০ সালে পরিকল্পনা নেয়ার সময় রূপপুরের পাশে ছিল প্রমত্ত পদ্মা নদী, আজ সেখানে ধূধূ বালুচর। সেই বালুতে মাথা গুঁজে আমরা ভাবছি কোন প্রলয় ঘটবে না। তবু মাঝে মাঝে কেউ সংশয় প্রকাশ করেন, যেমন [|https://www.prothomalo.com/opinion/article/1635449/সেই-রূপপুর-আর-এই-রূপপুর|view this link]
এটা কোন ছেলেখেলা নয়, সেটা কেউ বোঝে না।
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ও বড় দুর্নীতি
এই পারমাণবিক রূপপুর প্রকল্প । আপনার এই লেখায় যে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন এটাই সত্যি ।
সোফির কাহিনী প্রথমে বুঝতে পারি নাই কিন্তু এখন পড়ে খুবই ভালো লাগছে পরের পর্বে যাচ্ছি পড়তে ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৪
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, পরিচিতদের দেখা পাওয়া সবসময়ই আনন্দের- আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে।
মনে করতে পারছি না নামটা, কিন্তু একটা মহাকাশ যানে বিস্ফোরণ ঘটেছিল কয়েকটা টাইলসের ত্রুটি থাকার জন্য। আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কিছুদিন পর পর যেভাবে পরিকল্পনা পরিবর্তন হচ্ছে, অদক্ষ ভারতকে নেয়া হয়েছে, এর ফলে আমাদের উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া একেবারে ঠিক। আমি চাই না, তেজস্ক্রিয় বিকীরণের কারণে সোফির মত কোন শিশু এদেশে জন্ম নিক।
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ মুক্তা নীল।
১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক দিন পরে আজ আপনার লেখা পড়ছি!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। আপনি কিন্তু একেবারেই পোস্ট দেন না!
বাবুসহ আপনার পরিবারের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।
১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: বেশ অন্যরকম একটি লেখা। ভাল লেগেছে
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২
করুণাধারা বলেছেন: হ্যাঁ, এটা অন্যরকম লেখা। সম্প্রতি ব্লগে চেরনোবিল দুর্ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে পড়ার পর এই গল্পটা মনে পড়ল। রূপপুর নিয়ে সবসময়ই আতঙ্কে থাকি।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দুইটা পর্বই অফলাইনে পড়েছি
অনেক ভালো লেগেছে আপি
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ছবি। এমন পৃথিবী কেবল গল্পেই থাকুক, মানুষের শুভবুদ্ধি যেন সবসময় অশুভের বিরুদ্ধে জয়ী হয়। তাহলেই আমাদের বংশধরেরা একটা সুন্দর জীবন পাবে।
মন্তব্য ও প্লাসে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
চমৎকার লেখা আপনার। চমৎকার সাইন্স ফিকশন।
রূপপুর পার হলেই আমাদের বাড়ি। কোন অঘটন ঘটলে কি যে হবে!
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫০
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ সৌরভ।
আমার মনে হয় আপনাকে আগেও বলেছি, রূপপুরে দুর্ঘটনা ঘটলে ঢাকা আর ঈশ্বরদীতে তেমন কোন তফাৎ হবে না। তবে আমার মনে হয় আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন। ভালো থাকুন।
১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
নিজেই অবাক হচ্ছি, এই লেখাটিতো আমি সম্ভবত প্রথম দিনেই পড়েছি। মন্তব্য কি করবো মনে মনে তাও ভেবে রেখেছিলুম। কিন্তু কেনো যে দেয়া হলোনা !!!!!!!
লেখার প্রথম অংশ "চলবে ????" প্রশ্ন রেখে শেষ করেছেন। চলবে তো অবশ্যই কারন তার সাথেই হয়তো মিশে থাকবে এক নিদারূন ধ্বংসের গল্প যে ধ্বংসযজ্ঞের কথা বলে গেলেন দ্বিতীয় অংশে।
আনবিক শক্তি যেমন মানুষের সভ্যতাকে তুরন্ত করছে তেমনি সভ্যতা ধ্বংসে এর বিভীষিকার ছবিটিও কম বেদনাদায়ক নয়। যোগ্য হাতে এমন শক্তির ব্যবহারও তাই কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রনের দাবী অবশ্যই রাখে। অযোগ্য হাতে এবং প্রতিশোধের তাড়নায় যে তান্ডবের জন্ম হয় তা তো আপনার উল্লেখিত চলচ্চিত্রেই আছে। আছে বাস্তবেও।
তাই সতর্ক, খুব সতর্ক থাকতে হবে এসব পারমানবিক বিষয় আসয়ের আগাগোড়া সবকিছুই হ্যান্ডল করার সময়। ভয় হয়, তেমন সতর্ক আমরা হয়ে উঠতে পারবো কিনা। ছোটখাট দূর্যোগ সামলাতেই আমাদের প্রানান্তকর অবস্থা, রূপগঞ্জ বা তার মতো আর কিছুতে যেখানে একটু পান থেকে চূন খসলেই কেয়ামত , তার বেলায় কি হবে ভাবতে চাইনে...............
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০২
করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
ঈশ্বরদীতে একটা, তারপর বরিশালে, তারপর আরো কোন জেলায়- এভাবে যদি একের পর এক পাবিকে স্থাপিত হতে থাকে তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি হওয়া অনিবার্য। তাই এটাকে কোন সহজ বিষয় হিসাবে না দেখে এটা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হওয়া দরকার। এসব নিয়ে ভাবার মানুষ কই? সবাই তো বালিশ নিয়ে ব্যস্ত!!
১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণ সাবলীলতায় লেখাটি লিখেছেন।
আর পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের কথা যা লিখেছেন সেটি নিয়ে বিশদ আর কিছু বলার নেই। এখন শুধু আমাদের চেয়ে থাকতে হবে যেন কোনো প্রকার বিপর্যয় না ঘটে।
দেখি 'সোফি'র কী অবস্থা হয়?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৭
করুণাধারা বলেছেন: সোফির অবস্থা কী হয় দেখতে থাকুন, আবার উধাও হয়ে যাবেন না যেন...
সময় করে তিন আর তার নাম্বার লিঙ্ক পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। পারমাণবিক বর্জ্য নিয়ে আমেরিকা, জার্মানি হিমসিম খাচ্ছে, আর আমরা কোম্পানি বানাচ্ছি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য!
১৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৪
সোহানী বলেছেন: লিখাটা আগে পড়লেও মন্তব্য নেই দেখে অবাক হলাম। সাধারনত আপনার লিখায় মন্তব্য ছাড়া বের হই না
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: আমি কিন্তু মন্তব্য আগে পাই নি!! তবে এখন পেয়ে অনেক ভালো লাগছে সোহানী।
২০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: অনেক পড়াশোনা করে লিখেছেন ।
অনুবাদ চমৎকার হচ্ছে ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম।
পারমাণবিক বিস্ফোরণ বা দুর্ঘটনা দুটোই আমার কাছে বিভীষিকাময় মনে হয়। এই গল্পটা সে কারণেই আকর্ষণীয় আমার কাছে।
২১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬
অজ্ঞ বালক বলেছেন: আাপু, প্লিজ মাইন্ড করবেন না। এই লেখাটা আনুমানিক মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ৩০ পাতা/১০০০০ শব্দ হওয়ার পর আমাকে একটু মেইল করা যাবে। আমি খুবই আগ্রহী হলাম বিষয়বস্তু শুনে। লেখাটা নিয়ে প্রকাশনীর মালিকদের সাথে বসতে চাই, দেখি তারা এপ্রুভ করলে উইল পাবলিশ ইট ইফ ইউ আর ওকে উইথ দ্যাট।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: মাইন্ড করবো কেন, আমি শুনে আনন্দে আপ্লুত হলাম...
এই গল্পটা আমাকে খুব ভাবায়, সত্যি কি ভবিষ্যতের পৃথিবী এমন হতে পারে!! আমার ছেলে-মেয়েরা যখন আট আর দশ বছর বয়সী ছিল, তখন তাদের আমি এই গল্পটা বেশ কয়েকদিনে শুনিয়েছিলাম। অনেক বছর পর মনে হলো, ব্লগে লিখলে অনেক পাঠক পাওয়া যাবে, তাই এখানে লেখা শুরু করলাম। কিন্তু একটা সমস্যা হল, কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য কেউ আমাকে দায়ী করে কিনা এই চিন্তা; তাই মূল গল্প কাটছাঁট করে পোস্ট করা শুরু করি। গল্পের অঙ্গহানি হবার ফলে যা দাঁড়াল সেটা আমার মনোমত হচ্ছে না, কিন্তু শুরু যখন করেছি তখন শেষ করতেও চাই।
বইয়ের শুরুর দুই পৃষ্ঠা এখানে তুলে দিলাম, আপনি হয়ত বুঝতে পারবেন কপিরাইটের কথা বলা আছে কিনা।
যদি কোন অসুবিধা না থাকে, তাহলে আমি খুবই আগ্রহী আমার প্রিয় গল্পটা আরো পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে। সেক্ষেত্রে আগামী পর্বগুলো ভালো ভাবে লিখে অবশ্যই আপনার কাছে মেইল করতে পারব।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
২২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১০
অজ্ঞ বালক বলেছেন: ফ্র্যাংকলি স্পিকিং, অনুবাদের স্বত্ত নিয়ে প্রকাশনী ভাবে না। কারন বিদেশের লেখকরা এই দেশের ৫০০ কপি বইয়ে একশ টাকায় ১০ টাকা হারে রয়ালিটি নিয়ে চিন্তিত না, তারা এটা পাত্তাও দেন না। তাও বলি, এই বই প্রকাশের ৬০ বছর অতিক্রান্ত হইয়া যাওয়ায় (প্রথম প্রকাশ ৫৫) এখন কোনো কপিরাইট ক্লেইম নাই। আমার সাথে প্রকাশনীর কর্ণধারদের কথা হইসে। তারা বলেছে, বইমেলা শেষ হওয়ার পর আপনার পাণ্ডুলিপি (অসম্পূর্ণ হলেও) তাদের কাছে পাঠাতে। তারা আগে যাচাই-বাছাই করে ইয়েস জানালে ফারদার আপনার সাথে কথা বলবেন উনারাই। আপনি লিখতে থাকুন চাপ ছাড়াই, বই হলে হবে। না হলে নাই। আমরা পাঠকরা তো পড়ছিই।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৪
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অজ্ঞ বালক, এই সাধারণ লেখাকে আপনি এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন দেখে। আপাতত আমার একটাই চিন্তা, এটা শেষ করতে হবে! দেখি, যদি শেষ করতে পারি তখন ভাবব বই বের করা নিয়ে।
অনেক শুভকামনা।
২৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: 'স্লো এন্ড স্টেডি উইনস দ্যা রেস্' আপ্ত বাক্য স্মরণ করেই এসে বসলাম আপনার মহাকাব্যিক সিরিজের পাঠক হিসেবে ।
প্রথম পর্বটা খুব ভালো লাগলো । বিদেশী নামগুলোও কিন্তু গল্পের পটভূমিকে অপরিচিত করেনি । প্রথম পর্ব পড়ে মনে হলো চরিত্র গুলো কেমন যেন খুব চেনা । গল্পটাও মনে হয় আমাদের । খুবই ভালো লেগেছে প্রথম পর্বটা সে আপনার লেখার গুনেই। ঈশপের সেই কাছিমটার মতো অল্প অল্প করে পড়লেও একসময় ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে যাবো শেষ পর্ব পড়তে আমি জানি । ভালো থাকবেন ।
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৯
করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে এত দেরি করে ফেললাম, খুব দুঃখিত মলা..., কিন্তু আপনার মন্তব্য পেয়ে মনটা আনন্দে ভরে উঠলো!
গল্পটা অনেক দিন আগের, কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছিল, তাই ভাবলাম ব্লগে সবার সাথে শেয়ার করি। আশাকরি সাথে থাকবেন।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মলা..., শুভকামনা।
২৪| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১১:৫২
রাকু হাসান বলেছেন:
উপস্থাপনা সাবলীল । পড়তে সমস্যা হয়নি। নতুন একটি পর্ব শুরু করলাম ব্লগে । আরেকটি পর্ব চলছে । পতাতিক ভাইয়ার । দুটিই চলবে । বোনাস হিসাবে দারুণ বইয়ের সন্ধান পেলাম । ধন্যবাদ আপু । আপনার পুরো পর্ব পড়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। ভালো থাকবেন করুণাধারা আপু
০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন পর আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ রাকু।
কয়মাস আগে শুরু করা গল্প শেষও হয়ে গেছে। পুরোটা পড়ার অনুরোধ থাকলো।
শুভকামনা।
২৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অজ্ঞ বালক এর প্রাজ্ঞ মন্তব্যটি (২২ নং) পড়ে অতিশয় মুগ্ধ হ'লাম।
০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫০
করুণাধারা বলেছেন: আপনার পুনরায় আগমনে আমিও আনন্দিত হলাম।
অজ্ঞ বালক এর প্রাজ্ঞ মন্তব্যটি ... আপনার বিজ্ঞ মন্তব্যটিও ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: চলবে??? মানে অবশ্যই চলবে। আমি তো শুরু পড়ার সময় ভাবছিলাম আপনি হুট করে বাইরের প্লট নিয়ে লেখা শুরু করলেন কেন?
যতটুকু লিখেছেন তার ডাবল দেবেন প্রতি পর্বে। বেশি ছোট হয়ে গেছে। শুরু করতেই শেষ।
রূপপুর চলতে শুরু করার পর একদিন হুট করে শুনবেন, গাপ। আর গ্রামের বাড়ি উধাও হয়ে যাবে। আর কোনদিন যেতেও পারবো না।
ধন্যবাদ।