নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তর বার বার

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪


ভুমিকম্প হচ্ছে নাকি? শরীর ঝাঁকি দিচ্ছে; সৌম্য ঘুমের চোটে চোখ খুলতে পারেছে না। অনেক কষ্টে চোখ খুলতেই দেখলো একটা ছায়ামূর্তি ওর ওপরে ঝুঁকে আছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মানুষটা ওর কাঁধ ঝাকিয়ে উদ্বিগ্ন স্বরে বললো “বাবু...এইইই বাবুউউ...”

- উফফ!!! বাবা...কি হলো? দিলেতো ঘুমের বারোটা বাজিয়ে...এখন কটা বাজে?
- রাত পোনে তিনটা!! ওঠ শিগগীরই ...এই বাবুউউ!!!
- ইশশ্ রে ...মাঝ রাতে কেন উঠবো? যাওতো...একটু ঘুমাই।
- তুই বুঝতে পারছিস না...একটু পরেই গোলাগুলি শুরু হবে...আমাদের রান্নাঘরের পাশের করিডোরে শেল্টার নিতে হবে...
- বাবা...যাওতো তুমি...যত্তোসব!! প্রতিদিন রাতে ঘুম নষ্ট!!!
- বাবু...লক্ষী বাবা আমার...এভাবে জানালার পাশে শুয়ে থাকলে পাকিস্তানীদের গুলি খেয়ে মরবিতো...
- বাবা!!! কত্তো বার বলবো? এটা ২০১৬ সাল... ১৯৭১ না...
- তুই ছাড়া আমার কে আছে বলতো!!! স্বাধীন কথা শুনলো না... দ্যাখ না ওকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে গেলো...

বাবাকে ও আজ নিজের হাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শুতে এসেছে; ডাক্তার যে কি প্রেসক্রাইব করলো? নাকি মানুষগুলোর মতো ওষুধেও ভেজাল...কে জানে!! সৌম্য জানে এখন ওকে উঠতেই হবে; না হলে বাবাকে শান্ত করা যাবে না। গত একমাস ধরে বাবা না নিজে ঘুমাচ্ছে না ওকে ঘুমাতে দিচ্ছে। জেগে থাকলেই সৌম্যর প্রচন্ড রাগ হতে থাকে; অনেক কষ্টে রাতে যখনি একটু চোখ লেগে আসে তখনি বাবার স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু। শালা!! কি যে একটা বাঞ্চোত জীবন!! শ্বাসের নীচে বিড়বিড় করে নিজেকে অশ্রাব্য কিছু গালি দেয় ও; রাগের চোটে মুখে থুতু জমে গেছে। সৌম্য বিছানায় উঠে বসে; গ্রীলের ফাঁক দিয়ে তীব্র ঘৃনা নিয়ে থুতু ফেলে।

বাইরে ল্যাম্পপোষ্টের আলো; জানালার বাইরে তাকাতেই গলির মাথাটা আলো আঁধারিতে চোখে পড়লো। মাসখানেক আগে ঠিক ওই খানটাতে লাল আর লাল; স্বাধীনের শরীরে এত্তো রক্ত ছিলো!! গলায়, ঘাড়ে কি গভীর জখম!!! আর একটু হলেই মাথাটা শরীর থেকে আলাদা হয়ে যেত!! সবাই বললো চাপাতির দাগ; কি ভাবে জানবে সৌম্য? ওতো কোনদিন মানুষকে চাপাতি দিয়ে জবাই করতে দেখেনি। তবে গরুকে দেখেছে; ভাইয়াকে কি ওরা গরুর মতোই মাটিতে ফেলে কুপিয়ে ছিলো? উহহহ্...এই জন্যই সৌম্য জেগে থাকতে চায় না...এই জন্যই!! এখন ওর ইচ্ছা করছে কোপাতে; একটা চাপাতি থাকলে সৌম্যও কোপাতো। জানতে ইচ্ছা করে চাপাতি যখন মাংসের মাঝে ঢোকে কেমন শব্দ হয়? ঘচাৎ? নাকি মোলায়েম নরম ঝপ? ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটা দেখতে কেমন লাগে? সৌম্যর তীব্র রাগ হচ্ছে। কোপানোর পরে কি শান্তি লাগে? রাগ কমে?

“বাবুউউউ...কি ভাবিস...ওঠতো...” সৌম্য উঠলো; করিডোরে বাবার হাত ধরে বাকিরাত মেঝেতে বসে থাকা। বাবা এসময়টা ফিসফিস করে এলোমেলো গল্প করে; মায়ের সাথে বিয়ের গল্প; স্বাধীনের গল্প; মুক্তিযুদ্ধের গল্প; সব হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো অন্ধকারে ভিড় করে। এসময়টা সৌম্যর খারাপ লাগে না; মনে হয় সব কিছু আগের মতোই আছে। বছরখানেক আগে হারিয়ে যাওয়া মা এক্ষুনি রান্নাঘরে হাঁড়ি পাতিল নাড়বে “বাবুউউউ...আজ তোর পছন্দের বুটের ডাল রেধেছি...বাইরে খেয়ে আসিস না যেন!!” পাশের ঘর থেকে ভাইয়া বেরিয়ে এসে বলবে “কিরে সমু...আজ শেভ করলি যে...কারো সাথে দেখা করবি নাকি? তোকেতো হেব্বি জোশ লাগছে রে!! পাত্তি লাগবে? লাগলে বল...”

ভোরের আলো ফুটলেই বাবার ভয় কমে যায়। বাবা ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু সৌম্যর ঘুম আসে না; খালি রাগ হতে থাকে; ইচ্ছা করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সব ফালা ফালা করে দেয়। দুপুরের দিকে কলিং বেলের আওয়াজ; সৌম্য দরজা খুলতেই পাশের বাসার খালাম্মা দাঁড়িয়ে।
- আজ গরুর মাংস রান্না করেছিলাম...ভাবলাম তোমাদের একটু দেই...তোমাদের ছুটা বুয়াতো কয়েক দিন ধরে আসছে না...”
গরুর মাংস শুনতেই সৌম্যর মনে পড়লো; চাপাতি, গরু, চাপ চাপ রক্ত।

- আমাদের লাগবে না...বাসায় খাবার আছে।
- তাতে কি হয়েছে? ফ্রিজে রেখে দাও...পরে খেয়ো!
- প্লিজজ!! আপনি যানতো! বল্লাম না লাগবে না!!
সৌম্যর আবারো প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। খালাম্মার মুখ ওর কথার ভঙ্গীতে লালচে হয়ে গেলো; বোঝাই যাচ্ছে উনি খুব অপমানিত হয়েছেন। ফিরে যেতে যেতে বিড়বিড় করে বললেন “এইসব কাফেরদের খাবার দিতে আসাই ভুল হইছে...এমনি এমনিতো কেউ খুন হয় না...ইন্টারনেটে আজে বাজে কথা লিখলেতো এরা মরবেই...”

সৌম্যর হঠাৎ করেই খুব ক্লান্ত লাগছে; এইসব কথা যে ও কতোবার কতো মানুষের কাছে শুনলো। ও, বাবা, ওরাতো আর বিচার চায় না। আইনের কাছেতো কখনোই কিছু আশা করেনি; কিন্তু মানুষের আদালত যে ওদের অপরাধী করবে সেটা হিসাবে ছিলো না!!! মানুষগুলো কেমন অচেনা হয়ে গেছে; একরাতে এক মুহূর্তে চেনা পৃথিবী বদলে গেছে। সৌম্য শুধু স্বাধীনকে হারায়নি; বাবাকে হারিয়েছে; চেনা মানুষগুলোকেও। চাপাতির কোপ থামেনিতো...ঝপাঝপ... ঝপাঝপ...এখনো চলছে!!

বিকেলের আলো মরে আসছে; সারাদিন ও বাসায়। ইদানিং কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না; কোথায় যাবে? কার কাছে? মানুষগুলো কেমন অদ্ভুত চোখে ওর দিকে তাকায়...মনে হয় সৌম্যর হাতেই চাপাতি। ফোন বাজছে; কে করলো? তাও আবার বাসার ফোনে? ইদানিংতো ল্যান্ড ফোনে কেউ কল করে না!! বাবা ঘুমাচ্ছে, উঠে না যায়!! সৌম্য তাড়াতাড়ি ফোন ধরলো। ওপাশে বড় চাচার গলা।

- কে সৌম্য? কেমুন আছো? চাচা বলতেসি...তুমার বাবা কই? তারে ফুন দাও...
- বাবা ঘুমাচ্ছে...এখন দেয়া যাবে না।
সৌম্য ওর বড় চাচাকে খুবই অপছন্দ করে; অত্যন্ত ধুরন্ধর লোক; উপজেলা চেয়ারম্যান। বাবার মাঝে মাঝে কথা হলেও উনার সাথে সৌম্যর সাথে খুব একটা কথা হয়না।
- ডাইকা দেও...একটু দরকারী কথা আসিলো...
- ঘুম ভাঙ্গানো যাবে না...বাবার শরীর ভালো নেই...
- অ...তা হইলে তুমারেই বলি...শরীরের আর দোষ কি? এমুন একটা ঘটনা হইলেতো শরীর মন সবই খারাপ হবার কতা...

সৌম্যর আবারো রাগে মুখ তিতা লাগছে...ঘটনা!! একটা ঘটনা? ভাইয়াকে ওরা কুপিয়ে মেরে ফেললো...সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো...এটা নিছকই একটা ঘটনা? গরু জবাইয়ের মতো খুবই সাধারন প্রত্যাহিক ঘটনা!!
- কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন...আমার একটু কাজ আছে...
- শোন...আমি শুনলাম যে তোমরা নাকি বলতেসো যে বিচার চাও না...ক্যান বলতো? ভিতরের ঘটনা কি?
- ভিতরের ঘটনা মানে কি?
- মানে নিজের দলের লুকেরাই কি মারছে নাকি? বিচার চাইলে কি নিজেরাই ফাসবা? এই নিজেরা নিজেরা মারামারি কইরাই দ্যাশটা শেষ হইলো!!

সৌম্য ঠাস করে ফোন রেখে দিলো; ফোন সেটটা মেঝেতে আছড়ে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ভাবলো একটা চাপাতি না কিনলেই নয়।
মাঝরাতে বাবা আবারো ডেকে তুললেন “জানিস বাবু...মিলিটারীরা ট্যাঙ্ক নিয়ে শহরে ঢুকে পড়েছে.....এক্ষুনি গোলাগুলি শুরু হবে...তাড়াতাড়ি ওঠতো!!” সৌম্য আজ বাবাকে বকলো না; ক্লান্ত স্বরে বললো “বাবা দেশটা কবে স্বাধীন হবে? আর যুদ্ধ ভালো লাগছে না...একাত্তরে জানতাম কাদের সাথে লড়ছি...এখন যে শত্রুদের চিনতে পারছি না...”

© শিখা রহমান

বিঃদ্রঃ সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। গল্পটা বছর দুয়েক আগে লেখা। আমার নিজের প্রিয় এই গল্পটা। আর এই গল্পটা নাটক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে মঞ্চস্থ হয়েছে ২০১৬ সালে।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শিখা আপু আপনি তো অনেক সুন্দর!!! ফেসবুকে আপনার ছবি। অনেক মায়াভরা মুখ যেন খোদার দেবদূত। বরাবরের মতো এ লেখাটিও ভালো লিখেছেন।দারুন সব গল্প লিখছেন ভাইয়ু।

আপনার কবিতায় শব্দ আছে উপমা আছে। আর কি লাগে।

ক্যারি অন!!!!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

শিখা রহমান বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। আমার গল্প-কবিতা আপনার ভালো লাগে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।

পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অফুরন্ত শুভকামনা। ভালো থাকবেন সবসময়।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: প্রথমেই বিজয়ের শুভেচ্ছা....

স্মৃতিকে জলের সাথে তুলনা করা যায়.....
জলের ন্যায় স্মৃতিরও নির্দিষ্ট রঙ নেই... কখনো রঙিন কখনোবা সাদাকালো....

জীবনটাই তো একটা যুদ্ধ...
যে যুদ্ধ পরিপার্শ্বের সাথে, নিজের সাথে, সকলের সাথে.....
তাই তো বারেবারে ফিরে আসে একাত্তর.... জীবন যুদ্ধ....

কিছু কথা আজীবন বেঁচে থাকে.....
মনকে হাসায়, কাঁদায়....

এজন্যই তো আছে নস্টালজিয়া....
স্মৃতির টান.... যে টান অনেক সময় জীবনকে লন্ডভন্ড করে দিতে পারে....

স্মৃতি সূর্যের মতো মন আকাশে উঠবেই.....
স্মৃতিকে কে উপেক্ষা করতে পারে????
অতীত অতীতই.... পূর্বের ইতিকথা....

সুন্দর এ পোস্টে ভালোলাগা.....

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকেও। আপনি এমন সুন্দর সব শব্দমালা উপহার দেন যে মুগ্ধ হয়ে যাই। এমন মন্তব্য বার বার পড়তে ইচ্ছে হয় আর পড়িও।

"জীবনটাই তো একটা যুদ্ধ...
যে যুদ্ধ পরিপার্শ্বের সাথে, নিজের সাথে, সকলের সাথে.....
তাই তো বারেবারে ফিরে আসে একাত্তর.... জীবন যুদ্ধ.... "
--- খুব সুন্দর করে গল্পটার মূল বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

ভালো থাকুন প্রাচীন পক্ষী। পাশে থাকার জন্য আর মন্তব্যের মায়াজালের জন্য একরাশ মুগ্ধতা!! দেখা হবে কবিতায়, গল্পে আর ভালোলাগায়। শুভকামনা নিরন্তর!!

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমাদের দেশটা স্বাধীনতার আড়ালে আজও যেন পরাধীন


ভাল লাগল গল্পটি ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। স্বাধীনতা হয়তো বা এমনটাই, টিকিয়ে রাখার জন্য সবসময় যুদ্ধ করে যেতেই হয়!!

আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম। শুভকামনা নিরন্তর!!

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

অসাধারন একটা গল্প উপহার দেয়ায় ধন্যবাদ।

শেষ লাইনের পাঞ্চেই কোটি কোটি প্রাণ আজ দিশেহারা -
একাত্তরে জানতাম কাদের বিরুদ্ধে লড়ছি- এখন যে শত্রুদের চিনতে পারছি না।

এটা নাটক হিসেবে মঞ্চস্থ হয়েছে বললেন। কোন ভিডিও শ্যুট করা আছে কি? বা ইউটিউবে আপলোড করা থাকলে লিংকটা দিলে কৃতার্থ হবো।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। গল্পটা পোষ্ট করার পরে আপনার কবিতাটা পড়ে একটু অবাক লাগলো। গল্পটার সাথে আপনার কবিতার বক্তব্যের মিল আছে।

"একাত্তরে জানতাম কাদের বিরুদ্ধে লড়ছি- এখন যে শত্রুদের চিনতে পারছি না।" --- আসলে এই একটা লাইনেই অনেককিছু বলার চেষ্টা করেছি। আপনি এমন মনোযোগ দিয়ে গল্পটা পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।

ভিডিও আপলোড করা হয়নি, তবে আছে। আসলে যখন মঞ্চস্থ হয়েছে তখন নাটকের পরিচালক ভিডিও আপলোড করতে দেননি কারণ নাটকটা কয়েকটা শহরে মঞ্চস্থ হয়েছে। আপলোড করলে আপনাকে জানাবো নিশ্চয়ই। :)

ভালো থাকুন কবি, বিদ্রোহে আর ভালোবাসায়!! শুভকামনা অফুরন্ত।




৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

আফসানা মারিয়া বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে। আশা করি আপনার লেখা আরও মঞ্চস্থ হোক আর প্রচার পাক।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

শিখা রহমান বলেছেন: আফসানা মারিয়া আমার লেখায় আপনাকে স্বাগতম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমিতো নাট্যকার নই, তাই লেখা আরো মঞ্চস্থ হবে সে সম্ভাব্না কম। তবে আপনার শুভকামনা হাত পেতে নিলাম।

আশা করি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো। ভালো থাকবেন। শুভকামনা সতত!!

৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

অনেক সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ায় ধন্যবাদ।

আসলে সত্যিতো একাত্তরে জানতাম কাদের বিরুদ্ধে লড়ছি- এখন যে শত্রুদের চিনতে পারছি না

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

শিখা রহমান বলেছেন: তারেক ফাহিম আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

আপনাকেও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ও পাশে থেকে সবসময় অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকুন সবসময়, যুদ্ধে বা সন্ধিতে, দ্রোহে আর ভালোবাসায়। শুভকামনা সতত!!

৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: এরকম লেখা শুধু আপনার কাছে থেকে আশা
করা যায়। এভাবে লিখে যান শুভকামনা রইলো।

#হিংসা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

শিখা রহমান বলেছেন: পবিত্র হোসাইন এমন করে বললে ভালো লাগার সাথে সাথে ভয় লাগে। কি জানি কেমন লেখা প্রত্যাশা করছেন!! আমি তো আমার মতোই লিখি, যা মনে হয় তাই লিখি। যাই হোক আপনার শুভকামনা হাত পেতে নিলাম। ভালো লাগলে যেমন বলেন, ভালো না লাগলেও বলবেন আশা করি।

#হিংসা দেখে কিন্তু ভালো লেগেছে। আমার মতো সামান্য লেখককে হিংসা করার মতোও কেউ আছে এই ব্যাপারটাই অনেক বড় পাওয়া। আপনার হিংসা পাওয়ার জন্যেই লিখতে ইচ্ছে হবে জানেন তো?

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। পাশে থাকার জন্য আর হিংসার জন্য এত্তো ভালোলাগা। শুভকামনা নিরন্তর।

৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একাত্তরে জানতাম কাদের সাথে লড়ছি...এখন যে শত্রুদের চিনতে পারছি না...”

এই বিশ্বে স্থায়ী কিছুই না, এমনকি আমাদের সমস্যাগুলোও না।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

শিখা রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান "এই বিশ্বে স্থায়ী কিছুই না, এমনকি আমাদের সমস্যাগুলোও না।" --- ঠিক বলেছেন। সমস্যা বদলায়, আর আমরাও। আর ভালোবাসা থাকে, এগিয়ে চলা থাকে, আশা থাকে।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা কবি। শুভকামনা নিরন্তর।

৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার গল্প, বেদনার গল্প।
মানুষ যখন ট্রমার মধ্য দিয়ে যায়, তখন কোন যুক্তি-ই কাজ করে না আসলে।
শেষের লাইনটা দিয়ে অনেক কিছু বলে ফেলেছেন! ঘরের মানুষ যখন আপন থাকে না, তখন আপন-পর চেনা খুবই অসম্ভব একটা ব্যাপার!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

শিখা রহমান বলেছেন: ভুয়া মফিজ আপনাকে অনেকদিন পরে লেখায় পেলাম। অবশ্য আমি নিজেই সময়ের অভাবে ব্লগে নিয়মিত হতে পারি না। অফলাইনে অনেক লেখা পড়লেও মন্তব্য করা হয়ে ওঠে না।

বরাবরের মতো চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো। "ঘরের মানুষ যখন আপন থাকে না, তখন আপন-পর চেনা খুবই অসম্ভব একটা ব্যাপার!" --- যুদ্ধটা তখন খুব কঠিন হয়ে যায়।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার ও লেখক।


১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুয়া মফিজ আপনাকে অনেকদিন পরে লেখায় পেলাম ঠিকই ধরেছেন। বিভিন্ন ঝামেলায় প্রায় দু'মাস ব্লগের বাইরে ছিলাম। অনেক লেখা মিস করেছি, এর মধ্যে। আস্তে-ধীরে পড়তে হবে।

একটা নতুন লেখা দিয়েছি। সময় করে গরীবের ঘরে পা দিয়ে, দেখে একটু যদি বলতেন কেমন হয়েছে.....বড়ই কৃতার্থ হতাম! :)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: ভুয়া মফিজ আপনার লেখাটা অফলাইনে পড়েছি কিন্তু। যাচ্ছি একটু পরেই আপনার লেখাতে। :)

আর আপনি বুঝি গরীব? 8-| যার লেখায় এমন শব্দের মুক্তো মানিক ঝরে, যার লেখা এতো মানুষের ভালোবাসা কুড়ায় সে কিভাবে গরীব হয়?

ভালো থাকুন। এমনটাই গরীব থাকুন। দেখা হবে গল্পে, কবিতায়।

১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

হাবিব বলেছেন: শত্রুদের চেনা যত সহজ বন্ধুবেশে যে শত্রু আছে তাদের চেনা ততটাই কঠিন..

সবার মত আমিও ঐ শেষ লাইনেই গল্পের সারাংশ পেলাম
.
আপনার গল্পতো গল্প নয়..। আমার কাছে বাস্তব মনে হয়.।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: হাবিব বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত ও মুগ্ধ হলাম।

"শত্রুদের চেনা যত সহজ বন্ধুবেশে যে শত্রু আছে তাদের চেনা ততটাই কঠিন..
সবার মত আমিও ঐ শেষ লাইনেই গল্পের সারাংশ পেলাম"
--- এখনকার বাংলাদেশ যে এমনটাই!

আমার গল্প তোমার কাছে বাস্তব ঘেঁষা মনে হয়েছে শুনে আসলেই খুব ভালো লাগলো। চেষ্টা করেছি এই গল্পে বাস্তবতা তুলে আনতে, আমার সাধ্যমতো।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। শুভকামনা নিরন্তর কবি।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন আপু, একটানে পড়ে ফেললাম কোন প্রকার অন্যমনস্ক হওয়ার সুযোগ নেই কথার গাঁথুনিতে। চমৎকার লেখেন আপনি।

হ্যা, স্বাধীন হলেও জাতি এখনও অনেকটা পরাধীন ভীতু হয়ে থাকে মানুষ নামের অমানুষদের চাপাতির হুমকি ধমকিতে। এটা আমাদের জন্য অনেকটা লজ্জাজনক যে আমারা ধর্মনিরপেক্ষতা'কে এখনও ধর্মহীনতা মনে করে থাকি! স্বাধীনতার স্বাদ নিতে পারিনা পুরোপুরি।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: নয়ন আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। গল্পটা আপনার আগ্রহ ধরে রাখতে পেরেছে শুনে মন ভালো হয়ে গেলো।

"স্বাধীন হলেও জাতি এখনও অনেকটা পরাধীন ভীতু হয়ে থাকে মানুষ নামের অমানুষদের চাপাতির হুমকি ধমকিতে। এটা আমাদের জন্য অনেকটা লজ্জাজনক যে আমারা ধর্মনিরপেক্ষতা'কে এখনও ধর্মহীনতা মনে করে থাকি! স্বাধীনতার স্বাদ নিতে পারিনা পুরোপুরি।" --- খুব সুন্দর করে গল্পের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য ভালোলাগা রইলো।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। শুভকামনা নিরন্তর কবি।

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সুমন কর বলেছেন: বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা......গল্প বেশ হয়েছে। ভালো লাগা রইলো।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। গল্প ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।

শুভকামনা নিরন্তর কবি।

১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

রাজীব নুর বলেছেন: মহান বিজয় দিবসে সকলকে জানাচ্ছি বিজয়ের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। শুভকামনা নিরন্তর।

১৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান,




এখন চারদিকে নষ্ট সময়ের বাতাস! একাত্তুরের অপরিচিত মুখগুলি এখন ঠিকানা পাল্টে পরিচিতির লেবাসে। পরিচিত মুখের আড়ালেও চাপাতিতে ধার দেয়া অপরিচিত শত্রুরা যেন সে বাতাসে একটি অলিখিত যুদ্ধের ঘ্রান ছড়িয়ে দিচ্ছে যত্রতত্র। উনচল্লিশটি বছর পেরিয়ে সে ঘ্রান কারো জানার কথা ছিলোনা !!!!!!!!!!!!

ভালো লিখেছেন।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকেও।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনি সবসময়েই মন্তব্যে মুগ্ধ করেন। গল্পের ও বর্তমানের অবস্থা খুব সুন্দর করে সুচিন্তিত মন্তব্যে তুলে ধরেছেন।

আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। গল্প ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।

শুভকামনা নিরন্তর মন্তব্যের যাদুকর।

১৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর অনেক সুন্দর আপনি ও আপনার লেখা।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

শিখা রহমান বলেছেন: ইসিয়াক আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

আশা করি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো। ভালো থাকবেন। শুভকামনা সতত!!

১৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা আপুনি আপনাকে। কত যত্ন করে লিখেছেন গল্পটি। ভাল থাকুন সবসময়।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

শিখা রহমান বলেছেন: সুজন আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। গল্প ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।

শুভকামনা নিরন্তর!!

১৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

আরোগ্য বলেছেন: বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা শিখা আপু।
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে গল্পটি। বিশেষ করে একটা জায়গা হাইলাইট করতে চাই।
“বাবা দেশটা কবে স্বাধীন হবে?
আর যুদ্ধ ভালো লাগছে না...একাত্তরে জানতাম
কাদের সাথে লড়ছি...এখন যে শত্রুদের চিনতে
পারছি না...”

আবারও কি আমাদের রক্ত দিতে হবে? স্বাধীন দেশে পরাধীন নাগরিক হয়ে থাকবো কতকাল?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

শিখা রহমান বলেছেন: আরোগ্য আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। গল্প অসম্ভব সুন্দর লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।

"স্বাধীন দেশে পরাধীন নাগরিক হয়ে থাকবো কতকাল?" --- এই প্রশ্নের উত্তর জানি না বলেই যে গল্পটা লিখতে হলো। তবে এও জানি দিন বদলের চাবিকাঠি যে আমাদের হাতেই।

শুভকামনা নিরন্তর!!

১৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: , প্রিয় আপুনি ,

সর্ব প্রথমে জানাই আপুনি, বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা নিন।
আপনি প্রকৃত কথাশিল্পী । লেখার যাদুতে একটুকরো একাত্তরকে গল্পে ফিরিয়ে আনলেন । স্বাধীনকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে যাওয়ার পরে বাবার যে হাহাকার সেটা সুন্দর ভাবে ওনার মাঝরাতে স্মৃতিভ্রমের মত আচরণের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আবার সৌম্যকে আধুনিকতার আদলে তৈরি করে একদিকে পিতার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন , অপরদিকে নিজ অগ্রজের হত্যার প্রতিশোধ স্পৃহায় টগবগ করে ফুটতে থাকা আধুনিক যুবক; যে সারাক্ষনই প্রতিশোধের স্বপ্ন দ্যাখে । আর এ কারণেই ছোটখাটো লোক - লৌকিকতাগুলো তার কাছে নেহাত তুচ্ছ বলে মনে হয় ; গরুর মাংস দিতে আসা খালামায়ের প্রতি তার আচরণের মধ্যে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
বড় চাচার চরিত্রটিও বেশ ভালোই এঁকেছেন । এই সমস্ত লোকগুলোই আপনজন সাজার ভান করে বিদেশী শক্তিকে পড়ুন শত্রুকে সহযোগিতা করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেন । সেজন্য তারা গোষ্ঠী কোন্দল বা অন্তর্ঘাতের গল্প ফেঁদে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য ওত পেতে থাকেন।

সবশেষে , " একাত্তরে জানতাম কাদের সঙ্গে লড়ছি ... এখন যে শত্রুদের চিনতে পারছি না....." বোধহয় সব স্বাধীন দেশের কমন চিত্র। সাম্রাজ্যবাদী আমলে গোলাগুলি খেলেও মানুষ কথা বলতে পারতো ; কিন্তু এখন শত্রু চিহ্নিত না করার ফলে হোক বা অন্য যে কোন কারণেই হোক, মানুষ কথা বলতে ভুলে গেছে। আমাদের এখন পিপুফিশো অবস্থা।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে ।



১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

আপনি প্রকৃত কথাশিল্পী । লেখার যাদুতে একটুকরো একাত্তরকে গল্পে ফিরিয়ে আনলেন । --- অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হলাম।

আপনার মন্তব্যে পড়ে মন আলো হয়ে গেলো। এমন মন্তব্যের জন্যেই লেখালেখি করতে ভালো লাগে। খুব মনোযোগ দিয়ে গল্পটা পড়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। মন্তব্যে কি সুন্দর করে গল্পের চরিত্রদের আলোচনা করেছেন!! অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সবশেষে , " একাত্তরে জানতাম কাদের সঙ্গে লড়ছি ... এখন যে শত্রুদের চিনতে পারছি না....." বোধহয় সব স্বাধীন দেশের কমন চিত্র। সাম্রাজ্যবাদী আমলে গোলাগুলি খেলেও মানুষ কথা বলতে পারতো ; কিন্তু এখন শত্রু চিহ্নিত না করার ফলে হোক বা অন্য যে কোন কারণেই হোক, মানুষ কথা বলতে ভুলে গেছে। --- সহমত!! খুব সুন্দর করে বলেছেন।

শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার ও লেখক।


২০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

বলেছেন: বিজয়ী শুভেচ্ছা

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। শুভকামনা নিরন্তর কবি।

২১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলেই এখনো অনেকের জীবন একাত্তরে আটকে আছে।

অদৃশ্য শত্রুর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

গল্পে যে বাস্তবতা ফুটে উঠলো তার কৃতিত্ব একান্ত লেখিকার।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

শিখা রহমান বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

"গল্পে যে বাস্তবতা ফুটে উঠলো তার কৃতিত্ব একান্ত লেখিকার।" --- অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হলাম।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। অশেষ শুভকামনা প্রিয় ব্লগার ও লেখক।


২২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: যুদ্ধ ভালো লাগছে না...একাত্তরে জানতাম কাদের সাথে লড়ছি
...এখন যে শত্রুদের চিনতে পারছি না...”

.....................................................................................
এযুদ্ধ চলতে থাকবে অনন্তকাল ,মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মেনে নেয় নাই তাদের পরাজয়
তাই সমাজে নানাহ যন্ত্রনা সৃষ্টি করে সুযোগ পেলে ।

২৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: যুদ্ধ ভালো লাগছে না...একাত্তরে জানতাম কাদের সাথে লড়ছি
...এখন যে শত্রুদের চিনতে পারছি না...”

.....................................................................................
এযুদ্ধ চলতে থাকবে অনন্তকাল ,মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মেনে নেয় নাই তাদের পরাজয়
তাই সমাজে নানাহ যন্ত্রনা সৃষ্টি করে সুযোগ পেলে ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: স্বপ্নের শঙ্খচিল সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

এযুদ্ধ চলতে থাকবে অনন্তকাল ,মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মেনে নেয় নাই তাদের পরাজয়
তাই সমাজে নানাহ যন্ত্রনা সৃষ্টি করে সুযোগ পেলে ।-
---সহমত!!!

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। শুভকামনা সতত!!

২৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

সেজুতি_শিপু বলেছেন: সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে যে গল্প। ভালো লাগা রইলো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

শিখা রহমান বলেছেন: সেজুতি "সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে যে গল্প।" --- মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো।

পাশে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা সতত!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.