নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামের আলোয় আলোকিত হতে চাই । বই পড়তে ভালোবাসি ।

এ পথের পথিক

কে জিজ্ঞেস করে আমরা কোথায় যাব ? আমরা তো বলেছি, আমাদের যাত্রা অনন্তকালের দিকে । আল মাহমুদ ................. দিল্লীর দাসী যালিম খুনি হাসিনা ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার অভ্যুথানের কারনে ভড়তে পালিয়ে যায় । ইতিহাস জানতে দেখুন আমার পোস্টে আগস্ট ২০২৫ ।

এ পথের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী মুক্তি, নারী অধিকার এবং রোকেয়া

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩


সাম্প্রতিক সময়ে রোকেয়া নিয়ে এদেশে একপ্রকার ঝড় বইছে, ঘটনার মুল কারন আমি জানতাম না, আজ সকালে এক ছোট ভাই আমাকে বলল স্যারের রোকেয়াকে নিয়ে পোষ্ট দেখেছি কি না, সাথে নিচে আপলোড করা ছবিটা আমাকে দিল । পরে বিষয়টা এক বন্ধু জানাল 'স্যার রোকেয়াকে কাফির মুরতাদ এরকম কিছু একটা বলেছেন' ।

আমি খবরের কাগজের কাটিং এ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বলা কথা দেখে রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম ।
রোকেয়াকে মুরতাদ কাফির বলার সাথে উস্কানিমুলক বক্তব্য, রোকায়াকে অবমাননা, বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ধর্মকে অপব্যাখ্যা করে নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা, রোকেয়ার নাম কাজ আদর্শকে ভয় পাওয়া, বিভ্রান্তি ছড়ানো এসবের কি সম্পর্কে ? এসব কেন আসছে ?

চলুন এবার জেনে আসি কাফির কাকে বলেঃ কাফির শব্দটি কুফর থেকে উৎকলিত। ‘কুফর’ শব্দের অর্থ হচ্ছে অস্বীকার করা, অবিশ্বাস করা অথবা গোপন করা। বাংলাতে ‘কাফের’ শব্দের অর্থ করা হয় অবিশ্বাসী । যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত দ্বীন ইসলাম বা ইসলামের কোন অংশকে, ক্বুরানুল কারীম বা এর কোন আয়াত, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম অথবা কোন একজন নবী অথবা রাসূলকে অস্বীকার করে, ইসলামি আকিদাহ বা এর মৌলিক কোন ধর্মীয় বিশ্বাস বা অকাট্য দলিল দিয়ে প্রমানিত ইসলামের কোন বিধি-বিধানকে অস্বীকার করে, অবিশ্বাস করে, প্রত্যাখ্যান অথবা এইগুলো নিয়ে হাসি-ঠাট্টা বা অবজ্ঞা করে, নিঃসন্দেহে সে ব্যক্তি একজন কাফের। কাফের চির জাহান্নামী, সে কোনদিন জাহান্নাম থেকে বের হতে পারবেনা। অনন্তকাল সে জাহান্নামে কঠিন শাস্তি পেতে থাকবে।
উদাহরণঃ ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে ‘রাসুল’ বা আল্লাহর দূত হিসেবে বিশ্বাস করেনা, ক্বুরানুল কারীম ‘আল্লাহর কালাম’ বিশ্বাস করেনা, একারণে তারা কাফের, তারাও চির জাহান্নামী যদিওবা তারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। অনুরূপভাবে নাস্তিক যারা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা তারাও কাফের। সোর্সঃ কাফের কাকে বলে? - সালাফি ফোরাম
এবার জেনে আসি মুরতাদ কাকে বলেঃ ঈমান আনয়নের পর কুফরীতে ফিরে যাওয়াকেই মুরতাদ বলে। প্রকাশ্যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে গালি দেয়া, শরী‘আতের কোন অংশকে অস্বীকার করা, প্রকাশ্যে স্বজ্ঞানে বড় শিরক করলেই একজন মুমিন কাফির হয়ে যায়, যাকে মুরতাদ বলে। সোর্সঃ মুরতাদ কাকে বলে?- মাসিক আল ইখলাস

রোকেয়াকে কাফির, মুরতাদ বলা হলে কিভাবে উস্কানিমুলক বক্তব্য বা অন্য যা তারা বলেছে তা কিভাবে হয় ? স্যারের তাকফির সঠিক না ভুল তা আলেম সমাজ বিবেচনা করবে, যদি ভুল হয় তা সংশোধনের দায়িত্ব তাদেরই, সেটা তো যারা ইসলাম পালন করে না তাদের দায়িত্ব না ।
আবার এই নারী পরিষদ বলেছে ধর্মকে অপব্যাখ্যা করে নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা, রোকেয়ার নাম কাজ আদর্শকে ভয় পাওয়া, বিভ্রান্তি ছড়ানো । আমরা দেখতে পাচ্ছি ইসলাম এর ওপরে বেসিস করে স্যার কাফির মুরতাদ বলেছে । ইসলাম যদিও প্রচলিত ধর্ম না ইসলাম দ্বীন । অর্থ দাড়াল ইসলামকে অপব্যাখ্যা করা হয়েছে কি হয়নি সেটা ক্ষতিয়ে দেখবে আলেম সমাজ, যারা ইসলামের কিছুই জানেনা তারা দাবি করছে ধর্মকে অপব্যাখ্যা । এইটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয় ।

চলুন এবার জেনে আসি এই বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সম্পর্কেঃ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ১৯৭০ সালে বেগম সুফিয়া কামালের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি নারীর সমঅধিকার, ক্ষমতায়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। যৌতুক বিরোধী আন্দোলন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন, পুনর্বাসন কেন্দ্র (*রোকেয়া সদন*) স্থাপনসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সোর্সঃ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ - বাংলা পিডিয়া
তাহলে আমরা জানলাম নারী পরিষদ কি কি বিষয়ে কাজ করছে । আমি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ওয়েব সাইট বিগত প্রায় ১ বছরের December 14, 2024 থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ফেসবুক পেজ এবং ওয়েব সাইটে ঘুরাঘুরি করে যা বুঝতে পারলাম এরা শুধু সেমিনার, মানবন্ধন আরো কি কি নিয়ে পড়ে আছে ।
তারা নারীর অধিকারের জন্য, নারীর নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য কি কি করেছে তা দেখতে পায়নি । আমার পোস্টে বিভিন্ন সময়ে নারীর ওপরে নির্যাতন, ধর্ষন সম্পর্কে লিখেছি । এসব খবর কি তাদের কাছে পৌছেছিল না ? নাকি তারা দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে ?
যারা রোকেয়াকে নবীর আসনে বসিয়েছে তারা আসলেও কেউ ইসলাম জীবন বিধান হিশেবে পালন করেন কি না জানিনা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বেশীর ভাগ সদস্য পালন করে না ( তারা পর্দা করে না, খাম্বা পুজা করছে ) । তাহলে রোকেয়াকে কাফির মুরতাদ বলা হলে তাদের কি সমস্যা ?
নাকি রোকেয়াকে মুসলিম হিশেবে উপস্থাপন করে নারী জাগরনের অগ্রদুত বলে কিশোর, কিশোরী, নারীদের বিভ্রান্তীর মধ্যে ফেলে ইসলাম থেকে দূরে রাখা তাদের উদ্দেশ্য ?
আসলে বাংলার মানুষের কাছে মুসলিম হিশেবে উপস্থাপন করলে সমাজের ভেতরে পশ্চিমা এজেন্ডা সহজে পুশ করা যাবে, এটাই তাদের হাতিয়ার । তাদের সংঘর্ষ আসলে আদর্শিক ইসলাম বনাম পশ্চিমা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.