নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কওমী মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

* ঘোর বিভ্রান্তি থেকে হেদায়াতে আসতে কিতাবের সাথে হিকমাতের শিক্ষা লাগে। হিকমাতের শিক্ষা না দিলে বিভ্রান্তি থেকে হেদায়াতে আসা যায় না এবং আলেমও হওয়া যায় না।রাসূলকে (সা.) আল্লাহ পশুপালন ও ব্যবসায় হিকমাত শিক্ষা দিয়ে তারপর কিতাব শিক্ষা দিয়েছেন।তারমানে জীবিকা উপার্জনের শিক্ষা আগে হবে, কিতাব শিক্ষা পরে হবে।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।


* মাদ্রাসা শিক্ষা হলো আল্লাহর পথে ডাকার শিক্ষা। এতে প্রথমে হিকমাত শিখে, তারপর উত্তম ওয়াজ শিখে, তারপর উত্তম পন্থায় তর্ক করার শিক্ষা লাগবে।নতুবা লোকেরা আল্লাহর পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে যায়। হযরত আদমের (আ.) ছিল কৃষি হিকমাত। হযরত হাওয়ার (আ.) ছিল বস্ত্রবুনন হিকমাত। হযরত ইদ্রীসের (আ.) ছিল বস্ত্র সেলাই হিকমত। হযরত দাউদের (আ.) ছিল সামরিক, সুর ও প্রকৌশল হিকমাত। হযরত সুলাইমানের (আ.) ছিল সামরিক, মৎস্য শিকার ও ভাষা সংক্রান্ত হিকমাত। হযরত লোকমানের (আ.) ছিল চিকিৎসা, ভাস্কার্য ও কাঠের কাজের হিকমাত। হযরত মুছার (আ,) ছিল পশুপালন হিকমাত। হযরত মোহাম্মদের (সা.) ছিল পশুপালন, ব্যবসায় ও সামরিক শিক্ষা।সুতরাং আলেম হতে আগে লাগবে জীবিকা উপার্জনের হিকমাত। ব্যবসায় হিকমাতের সাথে গাণিতিক হিকমাত যুক্ত। এর সাথে আরো যুক্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা আইসিটি।

হিকমাতের মধ্যে সবচেয়ে বড় হিকমাত হলো নিজের শত্রু ও আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার সামরিক হিকমাত। দ্বিতীয় সেরা হিকমাত হলো অদৃশ্য শত্রু (জীবাণু) প্রতিরোধক হিকমাত। কভিডের সময় এর একটি ছিল লকডাউন হিকমাত। আর অপছন্দের সরকার তাড়ানোর জন্য ছিল সাটডাউন হিকমাত। এসব শিক্ষায় যা ব্যয় করা হয় তা’ আল্লাহর পথে ব্যয় করা হয়। রাসূলের (সা.) হিকমাতের জন্য পশুপালন, ব্যবসায়, গণিত, আইসিটি, কৃষি, চিকিৎসা ও সামরিক হিকমাত লাগবে।

উত্তম ওয়াজের শিক্ষা হলো ফিকাহ শিক্ষা।কারণ এর মাধ্যমে কওমকে ভয় প্রদর্শন করা হয় এবং এর মাধ্যমে কওমকে সাবধান হতে হয়। এটি হলো কিতাব। কিতাব হলো- (কোরআন+হাদিস)-মানসুখ। কিতাবের ক্ষেত্রে কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ শিক্ষা বাধ্যতা মূলক। তর্কের উত্তম পন্থা হলো ভাষা শিক্ষা। কারণ পরস্পর পরস্পরের ভাষা না জানলে তর্ক করা যায় না। এর জন্য লাগবে নিজস্বভাষা ও বিদেশী ভাষা। নিজস্বভাষা হলো মাতৃভাষা ও আরবী ভাষা। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বিদেশী ভাষা হলো ইংরেজী। কারণ এটি সবচেয়ে বেশী বিদেশী মানুষের ভাষা। কওমীতে যে বিদেশী ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয় তাতে খূব কম লোক কথা বলে।

মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য লাগবে- ব্যবসায়, গণিত, আইসিটি, কৃষি, চিকিৎসা ও সামরিক হিকমাত শিক্ষা। কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ কিতাব শিক্ষা। বাংলা, আরবী ও ইংরেজী শিক্ষা। মোট বার বিষয় শিক্ষা ছাড়া কেউ আলেম হয় না। আল্লামা হওয়া অনেক দূরের বিষয়।কওমী মাদ্রাসায় উক্ত বারটি বিষয় শিক্ষা দেওয়া হয় না বিধায় কওমী মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না। সেখানে অল্প বিধ্য শিক্ষা দেওয়া হয়, যা বিপজ্জক শিক্ষা। এরা যদিও নিজেদেরকে মস্তবড় তালগাছ মনে করে বাস্তবে এরা হলো ক্ষতিকর আগাছা।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

* কওমী শিক্ষা বন্ধ না করে একে উপকারী শিক্ষায় প্ররিণত করতে হবে।তারজন্য এতে হিকমাত শিক্ষাকে প্রধান্য দিতে হবে। রাসূলের (সা.) হিকমাত ছিল- পশুপালন, ব্যবসায়, গণিত, আইসিটি, কৃষি, চিকিৎসা ও সামরিক হিকমাত শিক্ষা। এসব শিক্ষাকে যুগউপযোগী করতে হবে। নতুবা এগুলো বেদরকারী শিক্ষায় পরিণত হবে।তাতে এটি উপকারী থাকবে না এবং তখন এটি হিকমাত হিসাবেও বিবেচিত হবে না। হিকমাত শিক্ষা ঠিক থাকলে কওমী অনুৎপাদক শিক্ষা হবে না। আর তখন তাদের মধ্যে পেশাগত অদক্ষতাও থাকবে না। যারা কওমী আলেম হয় এরা অযথা চিৎকার দেওয়া ছাড়া দরকারী কোন কাজ করে না।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আলেম দিয়ে কি হয়? কি হবে?
কওমী মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না, তৈরি হয় ধার্মিক। আর এই ধার্মিকেরা আগুন দেয়, লুটপাট করে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলেম পরিচয়ে অন্য কিছু হলে তারা ইসলামের নামে অনিসলামী কাজ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১২

অগ্নিবাবা বলেছেন: আলাদা করে গাছের সাথে পরিচয় করার কি দরকার? ফল খেয়েই বুঝে গেছি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: গাছের সাথে পরিচয় না থালে এক ফল খেয়ে অন্য ফল খাওয়ার কথা বলে থাকেন।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কওমি মাদরাসার পড়ালেখার মানোন্নয়নের স্বার্থেই এর সিলেবাস যুগোপযোগী করা উচিত।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তারা ইসলাম মনে করে মহাউত্তেজিত হয়ে যা করে সেটা আসলে ইসলামের একাংশ।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

দেশে মাদ্রাসা নামক কিছু থাকা উচিত নয়।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সঠিক পদ্ধতির মাদ্রাসা থাকা অতীব জরুরী।

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মাদ্রাসায় কোন ভালো মানুষ তৈরী হয় না।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার এ মন্তব্য সঠিক নয়।

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৫

বাজ ৩ বলেছেন: নতুন নকিব ভায়ের সাথে একমত।আসলে কওমি মাদরাসা প্রাচীন সিলেবাস অনুসরন করে,সেটা অবশ্যই ভালো।কিন্তু পাশাপাশি যুগোপযোগী করারও প্রয়োজন রয়েছে

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অবশ্যই।

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেশে আগুন লেগে আছে আর আপনি আছে কওমি মাদরাসায় পড়লেই আলেম হওয়া যায় না নিয়ে । :(

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আগুন নিভানোর সাথে আরো পাঁচ কাজও করতে হয়।

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: দেশে আগুন লেগে আছে আর আপনি আছে কওমি মাদরাসায় পড়লেই আলেম হওয়া যায় না নিয়ে ।

@কুতুব: সনেট কবি মানুষিক ভাবে শান্তিতে আছেন। দেশের অবস্থা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন;
তিনি তার ফোকাস ঠিক রেখেই ব্লগিং করছেন।
বরং আমি-আপনি শুধু শুধু ব্লগে পকপক করছি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এক্সিডেন্ট আমাদের নিত্য সাথী। কান্নার সাথে রান্নাও লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.