নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরাতাম মুসতাকিমের হিদায়াত হলো ফিকাহ, কোরআন ও হাদিস হলো এর সহায়ক

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৮



সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তার প্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৬৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭। হে রাসূল! তোমার রবের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা’ প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি তাঁর রেসালাত প্রচার করলে না। আল্লাহ তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।

* কোরআন ও এর বিবরণ হাদিসে মানসুখ আছে, কিন্তু এর কোনটিতে মানসুখের তালিকা নেই।সেজন্য সিরাতাম মুসতাকিমের অভিন্ন পথ পেতে কোরআন ও হাদিসের গভীরজ্ঞান সমৃদ্ধ আল্লাহর সুন্নাত এমন ফিকাহ লাগে যাতে কোন পরিবর্তন ও ব্যতিক্রম নাই। আল্লাহ অনুমোদীত এমন ফিকাহ থাকলে আল্লাহর বান্দাগণ মতভেদ থেকে আত্মরক্ষা করতে পারতেন। ফিকাহ দিয়ে আল্লাহ কওমকে ভয় প্রদর্শন করতে এবং ফিকাহ অনুযায়ী আল্লাহ কওমকে সাবধান হতে আদেশ করেছেন। ফিকাহের কাজে আল্লাহ জিহাদ থেকে বেশী লোক নিযুক্ত করতে আদেশ করেছেন। এটা রেসালাতের কাজ ছিল না। এটা ছিল রেসালাতের সাহাবায়ে কেরামের (রা.) কেরামের জন্য ফরজে কেফায়া। তাঁদের কেউ এটি না করায় তাঁরা রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় পরস্পর মতভেদে লিপ্ত হয়েছেন।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।

সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

* রাসূলের (সা.) ইন্তেকালেরপূর্বে ফিকাহ সংকলন করে রাসূলের (সা.) মাধ্যমে তাতে আল্লাহর অনুমোদন নিলে সবচেয়ে ভালো ফিকাহ পাওয়া যেত।রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের পর ফিকাহ সংকলন করে আমিরের অনুমোদন নিলে তাতেও হিদায়াতে সমস্যা হতো না। এটি না করায় সাহাবায়ে কেরাম (রা.) প্রথমে মতভেদে লিপ্ত হয়েছেন। পরে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন। তাতে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) মুমিন থাকলেও অন্যরা কাফের হয়ে গেল। এভাবে কাফের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঈমান পৃথিবী ছেড়ে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। যাতে ইসলাম (শান্তি) নষ্ট হয়। কারবালায় জান্নাতের যুব ইমাম হযরত ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর প্রতিপক্ষে কোন মুমিন খুঁজে পাননি। তারা তাঁর মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দিলে মদীনাবাসী এর প্রতিবাদ করে। তাতে ইয়াজিদ তাঁদেরকে লাঞ্চিত করে। তখন মদীনার ঘর সমূহের ভিতর বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হয়। অবশেষে আখারিন একশতবার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) যিনি রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের (রা.) সাথে একত্রে মিলিত হননি, তিনি ফিকাহ সংকলন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করলে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ঈমান পৃথিবীতে ফিরে আসে। এরপর সবচেয়ে পরাক্রান্ত আব্বাসীয় খলিফা আমির হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফার (র.) ফিকাহ পরিশোধন করে অনুমোদন করলে এটি আল্লাহর সিরাতাম মুসতাকিমে পরিণত হয়।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।

* আমির অনুমোদীত ফিকাহ ছেড়ে আমিরের অনুমোদন বিহীন ফিকাহ মেনে লোকেরা মু’মিনদের পথ ছেড়ে অন্য পথে জাহান্নামে চলে যায়। যারা এমন বিভ্রান্ত লোকদের পথকে জান্নাতের পথ বলে তারা মূলত আলেম নয়।মৃত্যুর পর এরা আলেমের মর্যাদা পাবে না। কারণ এরা এদের মিথ্যা কথা দ্বারা কওমকে পথভ্রষ্ট করে। আমির অনুমোদীত ইসলামের গভীর জ্ঞান ফিকাহ না মেনে ইসলামের ভাসা ভাসা জ্ঞানে ভেসে থাকলে বা অতি গভীর জ্ঞানে তলিয়ে গেলে লোকেরা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে খারেজী হয়ে যায়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১৬

বাজ ৩ বলেছেন: আলাম আ'হাদ ইলাইকুম ইয়া বানি আদামা আল লা—তা'বুদুশ্শাইত্বন।ইন্নাহু লাকুম আদুউ্‌উম মুবী-ন।ওয়া আনি'বুদু-নি।হাযা সির-তুম-মুসতাকি—ম। (সূরা ইয়াসিন)

আল্লাহর আনুগত্য করাই সিরাতাম্মুসতাকিম।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ ফিকাহ দিয়ে ভয় প্রদর্শন করতে বলায় এবং ফিকাহ অনুযায়ী সাবধান হতে বলায় ফিকাহ মানাই আল্লাহর আনুগত্য এবং সিরাতাম মুসতাকিম।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯

আলামিন১০৪ বলেছেন: সিরাতুল মোস্তাকিম এর সঠিক অর্থ অনেকে জানেনা
সুরা ফাতেহা দেখুন, যারা পথ ভ্রষ্ট ও ক্রোধ নিপতিত তাদের পথ নহে

হাদিসে আছে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি রেখা টানলেন এবং বললেন, এটা আল্লাহ্‌র পথ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:


সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ১১ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
১১। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রথমে একটি সরল রেখা টানলেন এবং তার ডান দিকে দুটো সরল রেখা টানলেন এবং বাঁ দিকেও দুটো সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি রেখার মধ্যবর্তী স্থানে হাত রেখে বললেন, এটা আল্লাহর রাস্তা। এরপর তিনি এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন, আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে’। -(সূরা আল আনআমঃ ১৫৩)।

* আল্লাহর পথ মধ্যের অভিন্ন পথ। ডান বামের বিভিন্ন পথ আল্লাহর পথ নয়। আর আল্লাহ যেহেতু ফিকাহ মানতে বলেছেন, সেহেতু ফিকাহের বাইরে আল্লাহর পথ নাই। আমির অনুমোদীত ফিকাহ একটাই। সুতরাং আমির অননুমোদীত বিভিন্ন ফিকাহ দিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টির দরকার নাই। সেগুলো আল্লাহর পথ নয়।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১

আলামিন১০৪ বলেছেন: মন্তব্য পুরাটা আসতেছে না কেন?
সিরাতুল মোস্তাকিম এর সঠিক অর্থ অনেকে জানেনা
সুরা ফাতেহা দেখুন, যারা পথ ভ্রষ্ট ও ক্রোধ নিপতিত তাদের পথ নহে

হাদিসে আছে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি রেখা টানলেন এবং বললেন, এটা আল্লাহ্‌র পথ এরপর তিনি এ রেখার ডানে ও বামে আরো কয়েকটি রেখা টানলেন এবং বললেন, এগুলোও পথ। এসব প্রত্যেক পথের উপর শয়তান দাঁড়িয়ে থাকে, এরা তাদের পথের দিকে আহ্বান করে অতঃপর তিনি তাঁর কথার প্রমাণ স্বরূপ কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেন: “নিশ্চয়ই এটাই আমার সহজ সরল পথ।

মানুষ অনেক প্রশ্নের উত্তর খুজে শেষে না পেয়ে, মনমত পথ তৈরি করে, যেরকমটা আরবরা করেছিল, আল্লাহর কাছে চেয়ে অধৈর্য হয়ে, শেষে ফেরেস্তা-ওলী-জিন দের মুর্তি বানিয়ে পুজা করা শুরু করে

মুসা আঃ এর অনুপস্থিতিতেও এ তারা এক বাছুর আকৃতি ফেরেস্তাকে দেখে তার পুজা শুরু করে

আবার দেখুন, আরবদের মতো সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও স্রষ্টাকে (ভাষাগত উচ্চরাণের বিবর্তনে রহমানকে তারা এখন অন্য নামে ডাকে) বাদ দিয়ে অন্য দেব দেবী (ফেরেস্তা বা জীন হতে পারে, কোরআনের এক আয়াতে বলা আছে) কে পুজা করে। স্রষ্টার মন্দির আপনি সারা ভারত খুজেও একটা দুইটার বেশি পাবেন না...আল্লাহকে পাওয়ার জন্য তারা অন্য মিডিয়া বেছে নিয়েছে, কেউ কেউ প্রকৃতিকেও পুজা করে কারণ তিনি সব কিছুতে বিরাজমান এই যুক্তি দেখিয়ে

এগুলো হলো ভ্রান্ত পথ- পীরপুজারীরাও তেমনি

তাই তো আমরা প্রতি রাকআতে বলি- ইহ দিনা সিরাতুল মুস্তাকিম

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উপরে সিরাতুম মুসতাকিম সংক্রান্ত প্রতি মন্তব্য দেয়া আছে। সেখান থেকে দেখে নিবেন।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৭

আলামিন১০৪ বলেছেন: জী ভাই সবজান্তা, আমার পোস্টের উত্তরে কোন যুক্তি তো দিলেন না

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার পোস্টের উত্তরে কোন যুক্তি উপস্থাপন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সময় পেলে চেষ্টা করব।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আল্লাহর পথ সঠিক পথ, ঠিক কইলাম কিনা?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সুনিশ্চিতভাবে সঠিক বলেছেন।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: একটু ক্লিয়ার হওয়ার প্রয়োজন।আমার মতে কুরআন হাদীস থেকেই ফেকার উৎপত্তি।কুরআন হাদীস ব্যাতিত ফেকাহর কোনো অস্তিত্ব নেই।ঠিক কিনা?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ফিকাহ ইসলামের গভির জ্ঞান। এর জন্য কোরআন ও হাদিসের বাইরে যাওয়ার দরকার নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.