নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসঙ্গ পথচারী

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ

তারপরও মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে ঘুরে দাড়াব.....।

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, আমেরিকা ও এক চোখ কানা সিন্ডিকেট

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

ব্লগে যারা অন্ধের মত এক তরফা হামাসকে দায়ী করছেন তাদের একটা প্যাটার্ন খেয়াল করলাম:

/প্রথমত ইসরায়েলি এবং পশ্চিমা প্রোপাগান্ডা মিডিয়া যা বলছে হুবহু তার কপি ক্যাট গল্পই তারা বলছে।

/যত দোষ নন্দ ঘোষ অথবা কেস্টা ব্যাটাই চোর। ঘুরে ফিরে হামাস দায়ী, পুরো গাজাবাসী ফিলিস্তিনীরা দায়ী।

/নিঃসন্দেহে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্পদের যত ক্ষয়ক্ষতি এবং জীবনহানি হয়েছে তা হয়েছে আরবদের।‌ অন্যায়ের বিরূদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষারা আন্দোলনে নেমে, এমন কিছু নেই যে যা তারা হারায়নি। ইসরাইলিরা হচ্ছে দখলদার। পশ্চিমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতায় দখলদারিত্ব করতে গিয়ে তাদের কিছু প্রাণহানি হবে বা হয়েছে, এটিই স্বাভাবিক।

লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে যে "এক চোখা" এই "সিন্ডিকেটের" নজরে ইসরাইলের এসব অপকর্ম চোখে পড়ে না আর পান থেকে চুন খসলেই মানে আত্ম রক্ষার জন্য কোন একটা উদ্যোগ নিলেই এরা সবাই একযোগে হা রে রে বলে তেড়ে আসে, ফিলিস্তিনীদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে। এমন মনোভাব যেন ফিলিস্তিনীরা এদের জন্মগত শত্রু আর সমান্তরাল ভাবে ইসরাইলিদের আইডেন্টিকাল টুইন।

হাইপোথেটিক্যালি এসব এক চোখা সিন্ডিকেট সদস্যদের জমি বা অ্যাপার্টমেন্ট যদি তাদের পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশি অথবা একেবারেই অচেনা কোন মানুষ উড়ে এসে জুড়ে বসে দখল করে নেন তবে বিনা বাক্য ব্যয়ে ওনারা তা মেনে নিবেন। মেনে তো নিতেই হবে নচেৎ তাদের সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা তাদের "হামাস" বলে গালি দিবে।

/এরিয়েল শ্যারনের এর মত এই এক চোখ কানার দলের বিবেক বুদ্ধিতে ইসরায়েলিদের কোন অপকর্মই চোখে পড়ে না। হামাস বা ফিলিস্তিনীরা তাদের সংগ্রামের অংশ হিসেবে যেকোনো উদ্যোগ নিলেই এদের বিবেকে তা খারাপ, তা চূড়ান্ত অমানবিক। ওদিকে অ্যামনেশিয়া আক্রান্ত বাংলা সিনেমার নায়কের মত ইসরাইলিদের পেছনের করে যাওয়া যাবতীয় অপকর্ম ও উস্কানি মূলক কার্যক্রম তারা ঘুনাক্ষরেও মনে করতে পারেনা (হয়তো ভবিষ্যতে কোন এক ভিলেন তাদের মাথায় লাঠির বাড়ি দিলে তবেই সবকিছু মনে পড়বে)।

/এদের আসলে তিন মাসের জন্য গাজা এলাকায় ইন্টারনসিপ এর ব্যবস্থা করা উচিত। ভাগ্য ভালো থাকলে আমেরিকান জনগণের ট্যাক্স এর পয়সার বোমা (যা সাধারনতঃ এফ-৩৫ বিমানের মাধ্যমে আকাশ থেকে নিক্ষেপ করে) থেকে বেঁচে আসলে আসতেও পারে।

কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে কভু আশি বিষে দংশেনি যারে।

/জেনে রাখা ভালো:
ফেনটিনাল নামক ব্যাথানাশক ওপিঅয়েড ড্রাগের নেশায় বুদঁ হয়ে থাকা আমেরিকান গৃহহীনেরা টেরও পায় না যে তাদের সম্পদ দিয়ে যুদ্ধ করে ইসরাইলিরা। আমেরিকানদের একটা বড় অংশ মেডিকেল ইন্সুরেন্স এর বাইরে। স্টুডেন্ট লোনের উৎপাতে মধ্যবিত্ত আমেরিকানরা উচ্চ শিক্ষার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এসব কিছু ছাপিয়ে আমেরিকান রাজনৈতিক নেতাদের মূল লক্ষ্য সর্বদা ইসরাইলকে মাথায় তুলে রাখা। নিজের দেশের জনগণকেই তারা পোছে না আর তারা আবার খবর রাখবে ফিলিস্তিনীদের?

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

নতুন বলেছেন: নিবোর্ধের লক্ষন হইলো তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেনা। তারা অতীতের ঘটনা নিয়ে বেশি ভাবে আর নিজের জজবা মেটাতেই ব্যস্থ থাকে।

হামাসের অবস্থা হইলো সেই মূর্খের মতন যে ইসরাইলকে থাপ্পর দিয়ে বদলায় হাত, পা কেটে নেওয়ার পরেও খুশি যে অতীতে চোখ হারিয়েছে তাই আজ একটা থাপ্‌পর তো দিতে পেরেছে।

ফিলিস্তিনের উপরে অবশ্যই অবিচার করা হয়েছে। তাদের দেশ অন্যদের দখলে গিয়েছে কিন্তু রাজনিতিক ভুলের জন্য অনেক শক্তিশালী হয়েছে ইসরাইল। এখন হামাসের থাপ্পরে ইসরাইলের কিছুই হবেনা। বরং তারা হামাসের হাত, পা কেটে দেবে এবং হামাসের সমর্থকেরা হামাসকে বাহবা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করবেনা।

এই সমস্যার রাজনিতিক সমাধান করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের নিজেদের রাস্ট আলাদা করে দিতে হবে যেখানে ইসরাইলীরা প্রবেশ করতে পারবেনা। তখন ফিলিস্তিনিরা মানুষের মতন বাচার অধীকার ফিরে পাবে।

আপনার মতন যারা হামাসের এই হামলার সমর্থন করেন তারা ফিলিস্তিনিদের উন্নতি চান না। ( কারন এই হামলায় কোন দিন ইসরাইলীদের পরাজিত করতে পারবেন না সেটা আপনিও জানেন)

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @নতুন:
আপনার মতন যারা হামাসের এই হামলার সমর্থন করেন তারা ফিলিস্তিনিদের উন্নতি চান না। ( কারন এই হামলায় কোন দিন ইসরাইলীদের পরাজিত করতে পারবেন না সেটা আপনিও জানেন)।

ইসরাইলি নেতৃত্ব কখনোই দখলকৃত ফিলিস্তিনি জমির বিনিময়ে শান্তি চায়নি। তারা একাধারে জমি কেড়ে নিয়েছে এবং এখনো নিচ্ছে, (পশ্চিম তীরে, যদি তারা সাময়িক সময়ের জন্য হলেও এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতো তাহলেও বোঝা যেত যে তারা শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধ রাখেনি), নাগরিক অধিকার সম্পূর্ণ কেড়ে নিয়েছে আবার তারা ফিলিস্তিনিদের সহিংস প্রতিক্রিয়া নয় বরং শান্তিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া আশা করে।

ফিলিস্তিনের উন্নতির মানে যদি এই যে পশ্চিম তীরের ফাতাহ কর্তৃপক্ষের মতো অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের পাতে ফিলিস্তিনিদের বাপ-দাদার জমি শান্তিপূর্ণভাবে তুলে দিবে তবে এই উন্নতির দরকার নেই।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: /ইয়াসির আরাফাত ছিল। এখন নেই, হামাস এসেছে। কিন্তু আপনাদের লাভঝাপ দেখলে মনে হয় এবার হামাস তো শেষ হয়েই যাবে এবং সেই সাথে হামাসের শূন্যস্থান আর কোনদিনও পূরণ হবে না, হামাসের জায়গায় আরো ভয়াবহ কোন গোষ্ঠী আসবে না। আপনাদের এমনটা মনে হওয়ার কারণ কি?

/৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করেও সফল হননি হিটলার কিন্তু ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের মেরে কেটে সফল হয়ে যাবে এটা মনে করার কারণ কি?

আপনাদের কাছে নির্ঘাত এরকম খবর হয়তো থাকতে পারে যে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এ যাত্রায় গাজায় পারমাণবিক বোমা নামক ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ করবে। নিক্ষেপ করে তারা পৃথিবীতে সভ্যতা রক্ষা করবে।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

অরণি বলেছেন: ফিলিস্থিনিদের ভুমি দখলের কথা কেউ বলছেনা।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: যারা বলছে না তাদের ভূমি রোহিঙ্গাদের দিয়ে দিলেই মুখ ফুটে কথা বেরোবে..... ;-)

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

জিকোব্লগ বলেছেন:



ব্লগে যারা এক তরফা হামাসকে দ্বায়ী করেছে এরা আসলে ইসলাম বিদ্বেষী।
এই পদ্ধতিতে এদেরকে অতি সহজেই সনাক্ত করা যায়। এদের আসল নাম
যেহেতু মুসলিমদের মত, এরা মুসলিমদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে ভালো
কাজ করতে পারবে। এদেরকে অতি সহজেই মোসাদ , র , এফবিআই সামান্য
কিছু ডলার বা সুবিধার বিনিময়ে কাজে লাগাতে পারবে।

আরব বিশ্বে ঐক্যবদ্ধতা ভাঙতে ঠিক এদের মত বিশ্বাসঘাতকরা পিছন থেকে
কলকাঠি নাড়ছে । আর এই জন্যেই ইসরাইল ও পশ্চিমারা শুরু থেকেই
ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে ফিলিস্তিনি দখল করার সুযোগ পাচ্ছে ও করে যাচ্ছে।
ফলে ফিলিস্তিনিও স্বাধীনতা পাচ্ছে না।

শুধুমাত্র আরব বিশ্ব থেকে ফিলিস্তিনিরা পূর্ণ সহায়তা পেলে, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের
এতো অত্যাচার করতে পারতো না, ফিলিস্তিনিদেরও এতো দুঃখ কষ্ট থাকতো না।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: যারা বলছে না, তাদের বাপ দাদার জমি জমা আর অ্যাপার্টমেন্ট রোহিঙ্গারা দখল করে নিক কিছুই বলবে না।

গ্যারান্টেড।

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এমনকি পশ্চিমা বিশ্বের আপত্তি সত্ত্বেও জায়নবাদী ইসরায়েল প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনীদের উৎখাত করে বসতি শুধু বাড়িয়েই যাচ্ছে। যারা এসব ভূমিদস্যুদের সাফাই গায়, তারা শূকরের বিষ্ঠার চেয়েও অধম বললেও, অযৌক্তিক হবে না।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: একটা কাজ করা যায় তাহল এক চোখ কানা সিন্ডিকেটের সদস্যদের জমি জমা অ্যাপার্টমেন্ট (উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এবং নিজের কেনা) অধিঃগ্রহণ করে শরণার্থী রোহিঙ্গাদের দিয়ে দিলেই হয়। বিনিময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সিট তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা যেতে পারে।

আইডিয়াটা জটিল না?

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: হামাসকে যারা কাঠগড়ায় বসাতে চায়, ওরা আরা উন্নয়ন সমর্থক। সূত্রটা সেখানে

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: নাস্তিক নামের খোলসে ইসলাম বিদ্বেষী আর জন্মসূত্রে পাওয়া মুসলমান নামধারী উপাদান সমাজে বিদ্যমান আছে।

নইলে রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম কেন বাড়ে? সিন্ডিকেশন করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট কেন দেয়া হয়? সমাজে আস্তিক নাস্তিক এছাড়াও ব্যবসায়ীদের বড় অংশ একটা স্রেফ টাকা পয়সার ইবাদত করে, টাকা পয়সা ছাড়া কিছুই বোঝেনা। এরা সূরা তাকাছুর জীবনে পড়েছে কিনা সন্দেহ আছে।

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬

নতুন বলেছেন: ফিলিস্তিনের উন্নতির মানে যদি এই যে পশ্চিম তীরের ফাতাহ কর্তৃপক্ষের মতো অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের পাতে ফিলিস্তিনিদের বাপ-দাদার জমি শান্তিপূর্ণভাবে তুলে দিবে তবে এই উন্নতির দরকার নেই।

আপনি যদি কখনো ছিন্তাইকারী বা ডাকাতের হাতে পড়েন তবে কি করবেন?

* ১ নং- ছিন্তাইকারীর উপরে আক্রমন করে আপনার মোবাইল/টাকা বাচানোর চেস্টা করবেন? ফলাফল সে আপনাকে একটা গুলি করেছে পায়ে। তারপরেও আবার ঝাপিয়ে পড়বেন ??? কারন আপনার কস্টের টাকায় কেনা মোবাইল???

ফলাফল ছিন্তাইকারী আপনাকে মেরে ফেলবে এবং মোবাইল নিয়ে যাবে?

আপনার অধীকার আছে আপনার সম্পদ বাচানোর জন্য চেস্টা করা। সেটা কেউই দ্বীমত করবেনা।

কিন্তু ছিন্তাইকারী একটা গুলি করার পরেও আবার ঝাপিয়ে পড়া বোকামী এটা বলার মতন বুদ্ধি দুনিয়াতে অল্পকিছু জিহাদী ছাড়া বাকী সবারই আছে।

২ নং তরিকা:- যখন কেউ ছিন্তাইকারীর হাতে একা পড়েই যাবে। এবং প্রথমে প্রতিবাদে যখন একটা গুলি করেই ফেলেছে ।তখন উচিত মোবাইল দিয়ে, মানিব্যাগ দিয়ে হাসপাতালে যাবার জন্য গাড়ী ভাড়াটা দেবার জন্য অনুরোধ করা।

জীবন থাকলে সুস্থ হয়ে পুলিশে কম্প্লেন করা এবং ক্ষমতা অর্জন করে ফিরে আসা এবং মোবাইল উদ্ধারের চেস্টা করা এবং তার সাজার জন্য চেস্টা করা।

এখন আপনারা যদি মাথার ব্যবহার না করে গোয়াড়ের মতন জিহাদী জজবায় হামাসে অনুসরন করতেই থাকেন। তবে চালিয়ে যান দেখুন কি হয়।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের হাতিয়ার না বরং রাজনিতিক যুদ্ধ করতে হবে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: হ্যাঁ মজার কথা বললেন। ব্যাপক বিনোদন দিলেন। পশ্চিম তীরের ফাতাহ কর্তৃপক্ষ যেমন ইহুদী বসতি স্থাপনকারীদের হাতে জমি জমা দিয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করে সেরকম রাজনীতি করতে বলছেন।

এক কাজ করেন, কালকেই সকাল সকাল নিজের থাকার জায়গাটা রোহিঙ্গাদের সাথে বিনিময় করে ফেলুন। আপনি ও আপনার পরিবার সমেত থাকবেন কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আর রোহিঙ্গা থাকবে আপনার জায়গায়। কেমন?

হামাস অনেকদিন পরে ইসরাইলিদের সামান্য একটা চড় দিল আর ওতেই আপনাদের দিশেহারা অবস্থা। আপনাদের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যে হামাস সঠিক পথেই এগোচ্ছে। ‌

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: মোবাইলের জন্য তো পুলিশে কমপ্লেন করেছি কিন্তু মোবাইল দুটো তো এখনো পেলুম না। এখন একেবারে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের মতোই আমার অবস্থা। ওরা যেমন জমি হারিয়ে সুখে শান্তিতে আছে, আমিও তেমনি মোবাইল হারিয়ে সুখে শান্তিতে আছি। কি খুশি তো?

কদিন পরে আপনার স্ত্রী কন্যাদেরও যখন সন্ত্রাসী তুলে নিয়ে যাবে তখন আপনি পুলিশে কমপ্লেন দিবেন, ঘাটে ঘাটে বিস্তর টাকা পয়সা খরচ করবেন, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদবে আর আপনি শান্তিতে থাকবেন, ফিলিস্তিনিদের মত।

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮

নতুন বলেছেন: মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: হ্যাঁ মজার কথা বললেন। ব্যাপক বিনোদন দিলেন। পশ্চিম তীরের ফাতাহ কর্তৃপক্ষ যেমন ইহুদী বসতি স্থাপনকারীদের হাতে জমি জমা দিয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করে সেরকম রাজনীতি করতে বলছেন।

সমস্যা নাই। সবার বোঝার ক্ষমতা এক রকমের না।

হামাসের নেতারা এমন হামলা করতেই থাকবে, মরতেই থাকবে। তাদের ঘিলুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ভাবনা আসবেনা।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: হিসাব খুবই সহজ। ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে জোর করে দখল করা জমি ফিরিয়ে দাও, শান্তিতে থাকো।

কিন্তু দখলদারদের ফর্মুলা হল আমার মর্জি মাফিক ফিলিস্তিনিদের জমি আমি জোরপূর্বক দখল করেই যাব কিন্তু এর বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন করা তো দূরে থাক, ঢিল ছোড়াও যাবে না। ফিলিস্তিনীরা মিছিল এর মাধ্যমে অহিংস আন্দোলন করবে। সেখানেও ইসরায়েলি‌ গুলি ছুঁড়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করবে। এরকমটা যখন হবে, তখন দেখবেন ইসরাইলের দোসরদের কোন কথা নেই, চুপচাপ, শান্তিতে। ইসরাইলরা সশস্ত্রভাবে আত্মরক্ষার্থে সবকিছুই করতে পারবে। এটা ওদের ন্যূনতম অধিকার। বিপরীতে ফিলিস্তিনীরা অস্ত্র হাতে তুলে নিলে ওটা সন্ত্রাস, ওটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি বলেছিলাম ব্লগের নাস্তিক আর মুনাফেকরা ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে। সোনাগাজী এই কথা শুনে আমার উদ্দেশ্যে কিছু তির্যক মন্তব্য করেছেন। এই দুই দলের মধ্যে উনি যে কোন দলে সেটা একটা বড় প্রশ্ন।

কোন মুসলমান ইসরাইলের সমর্থক হতে পারে না। গত ৭৫ বছরে ইসরাইল কত হাজার বা লাখ ফিলিস্তিনি মেরেছে আর ফিলিস্তিনিরা কত জন ইসরাইলিকে মেরেছে। এই সরল হিসাব থেকেই অনেক কিছু বোঝা যায়। যদি কারও বোঝার ইচ্ছা থাকে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: সোনাগাজীর একমাত্র কাজ,
আগাছা পরগাছার মত পোষ্ট প্রসব করা,
যার তার ব্লগে হামলে পরে নিলর্জ্জের মত ব্যাক্তি আক্রমন করা,
আর নিজে ব্যাক্তি আক্রমনের শিকার হওয়ার পর আক্রমন থেকে বাচতে কাপুরুষের মত অন্যদের কমেন্ট ব্যান করা,
সর্বপোরি ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করা।

এই প্রকারের পরিবেশ দূষনকারী ব্লগে থাকলে, ব্লগ কর্তৃপক্ষকে হয়তো তাদের ওয়েব সাইটে ETP-Effluent treatment plant বসাতে হতে পারে :)

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: বাস্তবতাকে মেনে নেওয়াই বুদ্ধি মানের কাজ।আপনার পরিকল্পনা মতো আপনি কাজ করে যান তবে সেটা হতে হবে বাস্তবের সাথে সংগতিপূর্ণ।

১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মন্তব্যের জবাব দেয়ার সময় মন্তব্যের ডান পাশে সবুজ রঙের তীরে ক্লিক করবেন। তখন একটা বক্স আসবে। সেই বক্সে মন্তব্য করলে মন্তব্যকারীর কাছে বার্তা আসে যে তার মন্তব্যের জবাব দেয়া হয়েছে। আপনি যেভাবে জবাব দিচ্ছেন তাতে মন্তব্যকারী বুঝতে পাড়ছে না যে আপনি মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন। আপনি কার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছেন সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। অনুমান করে নিতে হচ্ছে। তবে মোবাইল থেকে ব্লগিং করলে আপনার মত সমস্যা হতে পারে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: বাসার বাইরে মোবাইল থেকে করেছিলাম, কোন উপায় ছিল না। আবার বাসায় গিয়ে উত্তর দিতে গেলে ততক্ষনে মাথা থেকে আইডিয়াই নাই হয়ে যেত।

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: ভাবতেই অবাক লাগে !! যাদের বিমান নেই, তাদের উপড় বিমান হামলা করে নিবিচারে নারী-শিশু হত্যা করছে যে জালিমরা, আমাদের কিছু ব্লগার কোন আক্কেলে ঐ জালিমদের পক্ষে লেখে-মাথায় আসে না।ভাবতেই অবাক লাগে !! যাদের বিমান নেই, তাদের উপড় বিমান হামলা করে নিবিচারে নারী-শিশু হত্যা করছে যে জালিমরা, আমাদের কিছু ব্লগার কোন আক্কেলে ঐ জালিমদের পক্ষে লেখে-মাথায় আসে না।

১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: হামাস যত বার ইজরাইলকে অক্রমণ করেছে, ইজরাইল আত্মরক্ষার নামে তত প্যালাস্টাইনকে গিলে ফেলেছে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৬

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা হামাসের মত সশস্ত্র আন্দোলনে জড়িত না। তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ মিছিল করেন। তারা রাজনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন।

ফলাফল:
প্রতিবছরই পশ্চিম তীরের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমি অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা গিলে ফেলছে। তাদের প্রানহানী কিছু কম হচ্ছে কিন্তু নিজের জমি হারিয়ে ফেলছে চিরদিনের জন্য। নিজে তো বসবাস করতে পারলই না তার ভবিষ্যৎ বংশধরেরাও এর ফল ভোগ করলো।

/গাজাবাসী ফিলিস্তিনীরা সশস্ত্রভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের জীবনের স্বাভাবিক একটি ঘটনায় পরিণত করে ফেলেছে। ইজরাইলি অন্যায় আগ্রাসন হলে এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ হবে সশস্ত্র। এর কোন বিকল্প সেখানে নেই।

ফলাফল:
স্বাভাবিক ভাবেই ইসরাইলের প্রতি আক্রমণে ফিলিস্তিনীরা মারা যাচ্ছে বেশুমার। সশস্ত্র প্রতিরোধের কারণে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা গাজা এলাকার জমি দখলের কথা কল্পনাও করতে পারে না। বরং আগে যে অল্প কয়েকটা বসতি ছিল সেগুলো তারা ছেড়ে দিয়েছে। গাজাবাসীরা নিজেদের জীবন দিয়ে জমি রক্ষা করছে যেন তার উত্তরশুরিরা তা ভোগ দখল করতে পারে।

১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

আমি নই বলেছেন: কিছু কিছু অতি বুদ্ধিমান (নিজেরাই দাবী করে) ব্লগারের ধারনা হামাস আছে দেখেই ইসরাইল অত্যাচার করে। তাদের উদ্দেশ্যে বরতে চাই তাহলে পশ্চিমতীরে রাস্ট কয়েক মাসে ২০০+ হত্যা এবং এই বছরে ২৫০০+ অবৈধ বসতি স্থাপন করল সেটা কেমনে? পশ্চিমতীরে তো হামাস নাই, আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ফাতাহই আছে।

হামাসের বেপারে সন্দেহ করা যেতে পারে এমন গ্রহন যোগ্য যুক্তি একমাত্র ঢাবিয়ান দিয়েছেন, বাকি সব আবর্জনা।

@নতুন ছিনতাইকারি যদি প্রতিদিনই ধরে এবং আপনার সমস্ত কিছু কেরে নিতেই থাকে তাহলে কি করবেন? শক্তি অর্জনই বা করবেন কেমনে?

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ৬০ লক্ষ ইহুদি মারা যাওয়ার পরও যেহেতু তারা টিকে আছে, তেলাপোকার মত ফিলিস্তিনীরাও টিকে থাকবে, যত ভাবেই ইসরাইলিরা তাদের হত্যা করুক না কেন। সমস্যা আসলে ইসরাইলিদের নিয়ে। সংখ্যায় ওরা কম। ১ জন, শুধুমাত্র ১ জন ইসরাইলি নাই হয়ে যাওয়াটা ওদের জন্য একটা বিশাল ধাক্কা। সুতরাং ১০ জন ফিলিস্তিনীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে হলেও এই ধাক্কা/ঝটকা হামাস চালু রেখেছে যেন ইসরাইল একটা পর্যায়ে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য হয়।

ইসরাইলিরা অনেক মেধাবী, ফি বছর নোবেল পায়.....কিন্তু এ সব এ নিশ্চয়তা দেয় না যে, যে ভুল হিটলার করেছে, সেই একই ভুল বেহায়ার মত নকল করে ফিলিস্তিনীদের নাম নিশানা পৃথিবীর বুক থেকে নাই করে দিবে। ইসরাইলিরা এখনও কোন প্রমান দিতে পারে নি যে তারা হিটলারের চেয়েও এক্সট্রা অর্ডিনারী/অনন্য সাধারন। সে রকম কিছু করতে গেলে ইসরাইলিদের গাজায় লিটল বয় আর পশ্চিম তীরে ফ্যাটম্যান নিক্ষেপ করতে হবে।

তারপরও দেশের তাবৎ ইসরাইলি শুভানুধ্যায়ীরা ছেলেবেলার জুজু বুড়ির মত আমাদের ভয় দেখায় যে এই বুঝি ইসরাইলি দুষ্টু বুড়ি কপ করে সব খেয়ে নিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.