নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসঙ্গ পথচারী

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ

তারপরও মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে ঘুরে দাড়াব.....।

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইলি জুজু বুড়ির চমকের অপেক্ষায়

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

ইসরাইলের আসলে নতুন করে কোন চমক দেখানোর আপাতত আর কিছুই নেই। ১৯৫০-১৯৭০ এ সময়কালে পশ্চিমাদের সরাসরি সহায়তায় ফিলিস্তিনীদের সব এলাকা দখল করে বেশ এলেম তারা দেখিয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক এ প্রক্রিয়ায় মার্কেট স্যাচুরেশন বলে যে কথাটা আমরা শুনি সেটাই ঘটে গেছে। এখন ইসরাইলকে তার আসে পাশের সব আরব ভুখন্ড দখল করতে হবে যদি নতুন করে চমক দেখাতে হয়।

এবার কি ইসরাইল সেরকম কিছু একটা করে ফেলবে?

৬০ লক্ষ ইহুদি নিধনের পরও যেহেতু ইহুদি জাতি বহাল তবিয়তে আছে, সেহেতু ফিলিস্তিনীরাও টিকে থাকবে। যদি এ যাত্রা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনীও মৃত্যুবরন করে তবুও তারা টিকে থাকবে। অবশ্য গাজায় পরমানু বোমা ব্যাবহার করলে তা ভিন্ন কথা। ১০ লক্ষ গাজাবাসীর মধ্য থেকে যারা গুটিকয়েক বেচে থাকবেন তাদেরকে মানুষ ফিলিস্তিনী হিবাকুশা বলবে।

এবার কি ইসরাইল সেরকম কিছু একটা করে ফেলবে? (ইসরাইলিরা নোবেল পাওয়া বুদ্ধিমান প্রানী। হিটলারের গ্যাস চেম্বারের মত প্রাচীন পদ্ধতি ব্যাবহার না করে, পরমানু বোমা নামক ব্রক্ষ্মাস্ত্র ব্যাবহার করলে করতেও পারে।)

চলমান যুদ্ধে সব হারানো ফিলিস্তিনীদের চাইতে বরং আমাদের দেশের ইহুদী শুভানুধ্যায়ীদের কান্নাকাটি বেশী। একটা কাজ করা যায়। আমাদের দেশের ইহুদী শুভানুধ্যায়ীদের জমি-জমা, অ্যাপার্টমেন্ট অধিগ্রহন করে, রোহিঙ্গাদের কাছে হস্তান্তর করে দিলে কেমন হয়? মনে হয় তখন তাদের কান্নাকাটি বন্ধ হবে। নির্ঘাত হবে। :)

ইহুদিদের সবচেয়ে বড় যে দূর্বলতা তা হলো তাদের জীবনের মূল্য আর বসত বাড়ীর জমির মূল্য। তাদের দুটোই চাই।

অপরপক্ষে ফিলিস্তিনীদের দূর্বলতা কেবল তার বাপ দাদার জমি। জীবন দিয়ে হলেও সে তার জমি তার অধিকারেই রাখতে চায়। যারা জীবন রক্ষা করে তথাকথিত শান্তিপূর্ন আন্দোলন করেছে, তারা না জীবন রক্ষা করতে পেরেছে না জমি রক্ষা করতে পেরেছে। কিছুই পারেনি। যেমনটা পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনী ভুক্ষন্ডে অহরহ ঘটছে। কিন্তু গাজায় এতো অবোরোধ দেয়ার পরও তারা তাদের অতি মূল্যবান ইহুদী প্রান রক্ষা করতে পারলো না। (ফিলিস্তিনীদের জমি ফিরিয়ে দিয়ে শান্তি রক্ষা বা জীবন রক্ষা করবে এই যু্ক্তি ইসরাইলিরা মানে না। তারা মনে করে তাদের সামরিক শক্তিই তাদের ইসরাইলিদের নিরংকুশভাবে রক্ষা করবে আর ফিলিস্তিনী জমি জবর দখল তা সয়ংক্রিয় ভাবে চলতেই থাকবে)। একজন ইসরাইলির প্রান হারানো মানেই ইসরাইল সামরিক বাহিনী, ইসরাইল গোয়েন্দা বাহিনী এবং সর্বোপরি ইসরাইল রাষ্ট্রের ব্যার্থতা।

অন্যদিকে ১০ ফিলিস্তিনীর জীবনের বিনিময়ে যদি ২ জন ইহুদির প্রান যায় এবং সেই সাথে ফিলিস্তিনী জমিও রক্ষা পায়, তবে সেটই ফিলিস্তিনী জনগনের অর্জন। হামাস সেটাই করছে।

(বাস্তবতা হলো ১৯৮৫ সালের দিকে ইসরাইল হেযবুল্লাহ্‌র জোর ঠ্যাংআনী খেয়ে নিজেদের দক্ষিন লেবানন থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, তারপর স্হলভাগে অভিযান চালাতে গিয়ে ২০০৬ এর লেবানন যুদ্ধে কি ধরাটাই না খেলো। নিকট অতীতে হেযবুল্লাহর সাথে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ট্র্যাক রের্কড খুব ইতিবাচক কিছু নয়। ইদানিংকালে হামাসের সাথে যুদ্ধ করেও খুব দৃশ্যমান কিছু তারা অর্জন করতে পারছে না। না তারা তাদের রকেট নিক্ষেপ থামাতে পারছে, না উল্লেখ করার মত হেভিওয়েট হামাস নেতাদের হত্যা করতে পারছে।)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২১

মৃতের সহিত কথোপকথন বলেছেন: ভালো লিখেছেন

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:



ফিলিস্তিন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে মুল্যবান লেখা।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: ইসরাইলের হটাৎ হটাৎ আক্রমণেই শুধু পালাইস্টাইনীরা মারা যায় না। সত্য তো হচ্ছে ,প্রতিদিনই তিল তিল করে অপমান ,আঘাত ,জেল জুলুমের দ্বারা ,মানসিক ভাবে ফিলিস্তিন জাতিকে মেরে ফেলতেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বপ্নহীন ভাবে বেড়ে উঠেছে নিরাশার মাঝে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১৫

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ইসরাইলিদেরও আপাতত তেমন কিছু করার নেই। বেশ কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনী নিরস্ত্র আরব হত্যা করা ছাড়া আর কি করবে? আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময়ই যদি ওরা ওদের আসে পাশের সব আরব রাষ্ট্র (যেমন লেবানন, জর্ডান, সিরিয়া) দখল করে নিতে পারত, তবে এখনকার হিসাব নিকাশ অন্যরকম হতো। যেহেতু ইসরাইলিদের যোদ্ধা হিসাবে অজেয় মনে করা হয়, সেহেতু একাজটা তারা ৬০ ও ৭০ এর দশকে সহজেই করতে পারত। তখন ভুখন্ড হারিয়ে অন্যান্য আরবরাও ফিলিস্তিনীদের কষ্ট বুঝতে পারতো।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: ইহুদিরা বুদ্ধিমান বেশী। পরিনতি অতি চালাকের মতোই হবে । ১১০০ শতকে ক্রুসেডাররা জেরুজালেমে মুষলমানদের সাথে ইহুদিদেরও কচুকাটা করেছিলো। আবারও দুনিয়ার অর্ধেক ইহুদি এক জায়গায় হয়েছে। কে করেছে ? কেন করেছে ?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:০৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ইসরাইলিরা আগে যেভাবে যুদ্ধ করে অভ্যস্ত ছিল, যুদ্ধের ধরন ধারন কিন্তু সেই ৬০-৭০ সালের মতো নেই। এখন প্রথাগত বা কনভেনশনাল ওয়ারফেয়ার বলে কিছুই নেই। তাই ইসরাইল বা তার মিত্ররা যদি এটা আশা করে যে ঠিক এই সময়কার যুদ্ধে হামাস আর হেযবুল্লাহ্ যোদ্ধারা, মিশরীয় বা সিরীয়ান সৈনিকদের মতো উস্কো খুস্কো চুলে, কালি মাখা মুখে, দু হাত তুলে গর্ত থেকে বেড়িয়ে এসে আত্মসমর্পন করবে, তবে তারা ফ্যান্টাসির জগতে বসবাস করছে।

এখনকার যুদ্ধ অ্যাসিমেট্রিকাল ওয়ারফেয়ার, যা হামাস ও হেযবুল্লাহ্ যোদ্ধারা অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। ইসরাইলিরা এখন পর্যন্তু স্হল অভিযান শুরু করেনি। করবে কি করবে না এই দোলাচলে আছে। কারন, শুরু করলেই আবার ইসরাইলি রক্তপাত। ফরমুলাতো পোস্টেই উল্লেখ আছে। যেখানে জমির জন্য ফিলিস্তিনীরা জীবন দিতে প্রস্তুত, সেখানে কোন অবস্হাতেই ইসরাইলিরা জীবন দিতে প্রস্তুত না, আবার ফিলিস্তিনীদের যথেচ্ছ উচ্ছেদ করে জমি তাদের চাইই চাই। এই একটা জায়গায় মনস্তাত্বিকভাবে ফিলিস্তিনীরা এগিয়ে আছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:০৯

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: মুসলমানদের শাসনামলে ইহুদি, খ্রীষ্টান, হিন্দু সবাই নিরাপদে ছিল। নিরাপদে না থাকলে বা মুসলমানদের মানসিকতা যদি এখনকার ইসরাইলিদের মত হতো, তবে স্পেন এখন মুসলমান রাষ্ট্রই থাকতো। স্টেট অফ ইসরাইল বলেও কিছু থাকতো না। আর দক্ষিন এশিয়া হিন্দুরা থাকতো সংখ্যালঘু হিসাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.