নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি কাল্পনিক প্রেমের গল্প (শেষ পর্ব)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২

১ম পর্ব

২য় পর্ব





হাসপাতাল আমার কোন কালেই পছন্ড না । কিন্তু এই হাসপাতাল টাকে ঠিক হাসপাতালের মত মনে হচ্ছে না । মনে হচ্ছে কোন নির্জন বাগান বাড়িতে চলে এসছি । পুরো হাসপাতাল জুরে এক আলো আধারির খেলা ।

ত্বন্নীঁকে রাখা হয়েছে চার তালার কোন একটা কেবিনে । লিফটে থেকে বের হয়ে যেন অন্য জগতে চলে এলাম । চারিদিকে আলোর বন্যা । পুরো করিডরে অসংখ্য মানুষ । তার মধ্যে আমাদের ক্লাসের অনেকে আছে ।

আমাদের কে আসতে দেখে দেখলাম এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক আমাদের দিকে এগিয়ে এল ।

“তুমি অপু ?”

আমি কোন কথা বললাম না । কেবল একটু মাথা নাড়লাম ।

“এসো আমার সাথে ।“

আমি খ্যাল করলাম করিডরের প্রত্যেকটা চোখ আমার দিকে নিবদ্ধ । কেমন জানি অসস্তি লাগছিল আমার । ভদ্রলোক আমাকে ত্বন্নীর কেবিনে নিয়ে গেল ।

ত্বন্নী তখন চোখ বন্ধ করে আছে । একজন ডাক্তার যেন কি একটা কাগজ দেখছিলেন ।

আমাদের ঢুকতে দেখে বললেন “আর কিছুক্ষনের মধ্যে সেন্স আসতে পারে ।“

ভদ্রলোক বললেন ডক্তর, “এ হল অপু ।“

“ ওকে ফাইন । ও কেবিনেই থাকুক । সেন্স ফিরে যদি ওকে দেখে তাহলে পেসেন্ট মেন্টালি সাপোর্ট পাবে । আর এখন করো থাকার দরকার নেই । ওকে ? আর কোন সমস্যা হলে তো আমরা আছি ।“

এই কথা বলে ডাক্তার চলে গেলেন ।

ভদ্রলোকও চলে গেলেন । তবে চলে যাওয়ার আগে আমাকে বললেন “আমার মেয়েটা খুব জেদি । যখন যা চেয়েছে তাই পেয়েছে তো তাই এমন হয়েছে । জোর দিয়ে কিছু বলার অধিকার তো আমার নেই কেবল তোমাকে অনুরোধ করতে পারি ।“

বলতে বলতে ভদ্রলোক কেঁদে ফেললেন । আমি খুব অসস্তির মধ্যে পড়লাম ।

“ত্বন্নী সারা জীবন যা চেয়ে আমি তাই ওকে এনে দিয়েছি । কিন্তু এবার ও এমন কিছু চেয়ে যা আমার সামনে থাকা সত্তেও আমি ওকে এনে দিতে পারছি না ।“

আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না । ভদ্রলোক আর কিছু বলতে পারলেন না । আস্তে আস্তে চলে গেলেন । আমি ত্বন্নীর পাশে এসে বসলাম । ত্বন্নীর মুখ টা কি নিশ্পাপ লাগছে । সাদা ধবধবে বিছানায় শুয়ে আছে । আমি কিছুক্ষন ওর দিক থেকে চোখ ফেরাতেই পারলাম না । এই পরীর মত মেয়েটা আমার আজ আমার জন্য এই বিছানায় শুয়ে আছে ।

যতই ত্বন্নীর উপর রাগ থাকুক ওকে ভাল তো আমি ঠিক বেসেছিলাম । জীবনের প্রথম ভালবাসার অনুভূতি তো ওর হাত ধরেই পেয়েছি । ওকে এই অবস্থায় দেখে মনের মধ্যে শান্তি কি আর লাগে ? কেন জানি নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয় । আজ আমার কারনেই ও এখানে ।

সত্যিই সকাল বেলা ওর সাথে একটু বেশি খারাপ ব্যবহার করা হয়ে গেছে । এতো টা কঠিন আচরন না করলেও চলতো । অন্তত ভালবাসার এই দিনে তো এমন করা ঠিক হয় নি ।

সেদিনের পর ত্বন্নী প্রায়ই আমার সাথে কথা বলতে চাইতো । ক্ষমা চাইতো । এমন কি আমার সব বন্ধুদের কেও ও কনভেন্স করে ফেলেছিল । তারা সবাই আমার কাছে ওর সুপারিশ নিয়ে আসতো । কিন্তু আমি এসব পাত্তা দিতাম না । ওকে এড়িয়ে চলতাম ।

তবে আজ সকালে ক্লাসে আসার সময় সুমন আমাকে বলল যে আজ ত্বন্নী কোন সিন ক্রিয়েট করতে পারে । সত্যি তাই করল ও । কারনও ছিল ।

আজ ভেলেনটাইন । ভালবাসার দিন । ক্লাস শেষে বের হতে গেলাম ত্বন্নী পথ আটকালো ।

“অপু তুমি কি এখনও আমাকে ক্ষমা করবা না ! অন্তত আজ ভালবাসার দিনে ?”

ত্বন্নীর মুখ দেখে মনে হচ্ছিল যেন ও সত্যি কথা বলছে । আমার ইগো আর সেল্ফ রিস্পেক্ট, যাতে ও চরম ভাবে আঘাত করেছে, কিছুতেই ওর কথা বিশ্বাস করতে দিলো না । বরং ওর কথা শুনে মেজাজ টা আরো খারাপ হয়ে উঠল ।

“ শোন ভালবাসা কি জিনিস সেটা তোমার মত মেয়ে কোন দিন বুঝবে না । বুঝতে পারবেও না । আর আমি ? সারা জীবন যদি একা একা মরেও যেতে হয় তবুও তোমার মত মেয়ের কাছে যাবো না ।“

“অপু বিশ্বাস ...”

“বিশ্বাস ? তোমাকে ? নো ওয়ে । পথ ছাড়ো । আমার কাজ আছে ।“

মুর্তির মত কিচ্ছুক্ষন ত্বন্নী দাড়িয়ে থাকলো । তারপর আমাকে বলল “তুমি তো বিশ্বাস করলে না । আমি তোমাকে সত্যি ভালবাসি । আর তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকতে আমি পারবো না । এটা আমি তোমাকে বুঝিয়ে দেবো ।“

আমি হেসে ফেললাম ।

“মরে যাবে ? তুমি ? আমার জন্য ? হা হা হা !”

আমি হাসতে থাকি । পুরো ক্লাস তখন আমাদের দিকে তাকিয়ে । তখন আমার মজাই লাগছিল ।

ত্বন্নী আর কিছু বলল না । দেখলাম ওর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল । কাঁদতে কাঁদতেই ও চলে গেলো ।

সুমন পাশেই ছিল । আমার কাছে এসে বলল “এভাবে না বললেও পারতিস !”

সত্যি কি তাই ? নিজের কাছে প্রশ্ন করলাম এভাবে না বললেও কি পারতাম ? তখন এই প্রশ্নের উত্তর জানা ছিল না । এখন ? এই কেবিনে বসে ? এখনও কি ঐ প্রশ্নটার উত্তর আমি জানি ? যখন সুমনের কাছ থেকে প্রথম খবর টা শুনি কেঁপে উঠেছিলাম । কিন্তু পরক্ষনেই আমার ঈগো মাঝখানে চলে এসছিল । আর ঈগোর কাছে আমার সব কিছু পরাজিত হয়েছিল কিন্তু এখন এই পরিস্থিতি তে আমি কি করব ? যেখানে একদিকে রয়েছে ত্বন্নীর ভালবাসা আর ওর বাবা কান্না সাথে ওর জন্য আমার মনের বন্ধ করে রাখা স্বপ্ন । আর অন্য দিকে আমার ঈগো । কোন দিকে যাবো আমি ? হঠাত্ দেখলাম ত্বন্নীর চোখের পাতা যেন একটু কেঁপে উঠল ।

কি যেন মনে হল, ইচ্ছা হল ওর হাতটা ধরি ।

ওর হাতটা ধরলাম । মনে হল যেন ওর হাতটা খানিকটা কেঁপে উঠল । ওর হাতটা আর ছাড়লাম না ।

মনে মনে বললাম প্রথম বার ভূল করেছিলাম তোমাকে ভালবেসে । দ্বিতীয় বার ভূল করেছিলাম তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে । আর তৃতীয় ভূলটা করতাম যদি আজ তোমার হাত টা না ধরতাম ! কিন্তু আমি সে ভূল করিনি । এই দেখো তোমার হাতটা আমি ধরেছি ।

জানি না আমার হাত ধরার জন্যও কিনা অথবা ওর এমনিতেই এখন সেন্স ফেরার সময় হয়েছিল । ও চোখ মেলল । ও হয়তো আশা করেছিল আমি আসবো না । ওর চেহারা কেমন জানি একটা শান্তির ছায়া দেখতে পেলাম ।

ও কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে চাইল । আমি ইশারায় কথা বলতে মানা করলাম । কথা না বললেও ও ওর দুর্বল হাত দিয়ে আমার হাত চেপে ধরতে চাইলো । আমি বুজতে পারছি ও বল পাচ্ছে না তবুও হাতটা চেপে ধরা চেষ্টা করেই যাচ্ছে ।

আমি এবার আমার দুহাত দিয়ে ওর হাত খানি ধরলাম । ওকে আশ্বাস দিলাম যে এই হাত ছুটে যাবে না । আমি ওর হাত ধরে ওর পাশে বসে আছি । আর ও পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে । যেন পলক ফেললেই আমি হারিয়ে যাবো ।

ওর দিকে তাকিয়ে থাকতেই দেখলাম ওর চোখ দিয়ে অশ্রুর ধারা নিচে নেমে চলেছে । নিরব অশ্রু দিয়ে যেন বলতে চাইছে আমি তোমাকে সত্যিই ভালবাসি । এই প্রান দিয়েই ভালবাসি । হঠাত্ লক্ষ্য করলাম যে আমার চোখ দিয়েও পানি পড়ছে । সাথে সাথে ওর প্রতি আমার যত রাগ ছিল ওই চোখের পানি দিয়ে সব ধুয়ে মুছে চলে গেল । ত্বন্নীর ভালবাসার কাছে আমার ঈগো পরাজিত হল । ওর চোখের জল মুছে দিতে দিতে বললাম “.....”

কি যে বললাম তা না হয় শুনলেন । প্রিয় পাঠক, এই টুকু নিজে নিজেই কল্পনা করে নিন । কাল্পনিক গল্পের শেষ এখানেই ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:৪৯

ব্রেথ অব ফেট বলেছেন: hmm! +

০৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: hmm!!

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:৫০

ফারিয়া বলেছেন: '' ''
এই হল ভালোবাসা, বড় পেচানো ধাঁধাঁ মনে হল!
গল্পটা ভাবাবে, সুন্দর হয়েছে।

২৮ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :) :)

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৮

ধলা বিলাই বলেছেন: নিরব ভালোবাসা......................পেলাচ
+

২৮ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :) :D :D B-) B-)

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৩

অণুজীব বলেছেন: :-B :-B :-Bপুরাই বাংলা সিনেমা।

২৮ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: হুম :D :D :D

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ ভোর ৫:১৯

দুঃখ বিলাসি বলেছেন: 8-|

০৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: হুম !!

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ফিল্মি গল্প। তবে ভালো লেগেছে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: :):)

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

সাজেদুল 74 বলেছেন: ত্বন্নি বাদে অন্য .।.।।। না থাক একই নাম তো অনেকের থাকে

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২২

অপু তানভীর বলেছেন: হুম থাকে !!

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

স্বপ্ন নীল বলেছেন: ++++++++++++++++

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: :):):):)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.