নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐ বিষন্ন মুখে হাসি আমি ফোটাবো

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:১৩

ঈশিতা প্রথমে বুঝতেই পারল না কি হচ্ছে । ওর চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল । ও আসলে ভাবতেই পারে নি যে আমি এই রকম একটা কাজ করবো বা করতে পারি ।

যখন লিফটের দরজা দিয়ে বের হলাম পিছন ফিরে চাইলাম । এতো দিন পর এই প্রথম ওর চোখে আমি বাষন্নতার জায়গায় এক টুকরো বিশ্ময় দেখতে পেলাম । ঈশিতা এতোটাই বিশ্মিত হয়েছে যে হয়তো ও ভুলেই গেছে এই ফ্লোরেই ওকে নামতে হবে । আস্তে করে লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে গেল । আমি আমার কেবিনে ঢুকে পরলাম ।

প্রথম যে দিন আমি এই অফিসে যোগদিই সেই দিনই ঈশিতার প্রতি আমি ইন্টারেস্টেড হয়ে উঠি । একনম্বর কারন হল আমার পোষ্টটা টা ঈশিতার আন্ডারে । ম্যানেজার সাহেব যখন আমাকে ঈশিতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল তখন আমার মনে হল এই টুকু একটা পিচ্চি মেয়ের আন্ডারে আমি কাজ করবো ?

এই পিচ্চি মেয়েটা আমার বস ?

দ্বিতীয় কারনটা হল পিচ্চি হলেও মেয়েটা অসম্ভব গম্ভীর । প্রয়োজনের একটাও বেশি কথা বলে না । আমি ভেবে পেলাম না এই টুকু বয়েসে মেয়েটা এতো গম্ভীর্য পেলো কোথা থেকে ?

প্রথম দিনে এই কথাটাই কেবল আমার মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতে লাগল । এমনটা কেন হবে !

আমার বস হওয়ার সুবাধে ঈশিতার সাথে আমার কথা বলার অনেক স্কোপই তৈরি হতে লাগল । কিন্তু ঈশিতা সেই আগের মতই । প্রয়োজনের একটাও বেশি কথা মেয়েটা বলে না । কয়দিন পরই এক কলিগের কাছ থেকে মেয়েটার এমন গাম্ভীর্যের কারন জানতে পারলাম । জানতে পেরে মোটামুটি একটা সক খেলাম ।

মেয়েটা বিবাহিত । ও মাই গড ! এটু টুকু পিচ্চি মেয়ে বিবাহিত । আরো জানতে পারলাম মেয়েটার খুব সুখী একটা সংসার ছিল ।

আগে সবার সাথে খুব মেলামেশা করত ।সবার সাথে কথা বলত , হাসতো । খুব প্রাণ চঞ্চল একটা মেয়ে ছিল । কিন্তু মাস ছয়েক আগে একটা দুর্ঘটনায় মেয়েটার স্বামীটা মারা যায় । তারপর থেকেই মেয়েটা এমন চুপচাপ হয়ে যায় । তারপর থেকেই মেয়েটার উপর আমার আকর্ষন আরো বেড়ে যায় ।

আমি উপায় খুজতে শুরু করলাম কিভাবে ঈশিতাকে আবার স্বাভাবিক করা যায় ! কিভাবে মেয়েটার মুখে হাসি ফোটানো যায় ! এসব ভাবতে ভাবতে একটা সময় আমি লক্ষ্য করলাম আমি সারাটা সময় কেবল ঈশিতার কথাই ভাবছি । যতক্ষন অফিসে থাকি ততক্ষন কেবল ওর আসেপাশে থাকতে ইচ্ছা করে । কোন না কোন কাজের বাহনায় আমি ঈশিতার কেবিনে যেতে লাগলাম । ওর সাথে একটু বাড়তি কথা বলার চেষ্টা করতে লাগলাম । খুব যে বেশি লাভ হল তা বলব না , কিন্তু আমি নাছড়বান্দা । আমি চেষ্টা করতেই থাকলাম ।

কিন্তু সব ভাল কাজে বাধাতো আসবেই । কয়দিন আগে আমার হাতে আমার প্রমোশন লেটার এসে হাজির হল । তাতে বলা হয়েছে আমাকে সিনিয়র অফিসার পদে অধিস্থিত করা হয়েছে । তারমানে ঈশিতার সমান পদ । কিন্তু সমস্যা হল আমার আমার পোষ্টিং হল অন্য শাখায় ।

কিন্তু আমি ঈশিতাকে ছেড়ে কিভাবে যাবো ? মোটেই যাবো না । প্রমোশনের খ্যাতা পুড়ি আমি । লাগবে না আমার প্রমোশন । চুপচাপ বসের কেবিনে গেলাম । গিয়ে বললাম আমার প্রোমোশনের দরকার নাই । আমাকে যেন আগের পদেই রাখা হয় ।

বস শুধু অবাক হল না যেন আকাশ থেকে পড়ল তাও আবার সাত আসমানের উপর থেকে । কিন্তু আমার কাজ করার রেকর্ড মোটামুটি ভাল । তাই বস আমার কথা রাখলেন ।

সেই দিনই ঈশিতা আমার সাথে প্রথম কথা বলল । মানে কাজের বাইরে কোন কথা বলল । ওর কেবিনে গেছিলাম একটা কাজে । কাজ শেষে কেবিন ছেড়ে যাবো ঠিক এমন সময় ও পিছন থেকে ডাকল ।

-অপু সাহেব একটু শুনুন ।

-জ্বি বলুন ?

-আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি ? যদি কিছু না মনে করেন ।

-হ্যা অবশ্যই ।

ঈশিতা খানিকটা ইতস্তত করে বলল

-আচ্ছা আপনি প্রমোশনটা রিফিউজ কেন করলেন ?

আমি হাসলাম । বললাম

-আসলে সাভারে পোষ্টিং দিচ্ছিল তো তাই ইচ্ছা করলো না যেতে ।

ঈশিতা আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকল । কি বিষন্ন সেই দৃষ্টি ! তারপর বলল

-আপনি যেটা চাচ্ছেন সেটা কখনও সম্ভব না । কখনও না ।

আরে মেয়েটা বলে কি ? তার মানে আমার আচরন ওকে কিছুটা ভাবিয়েছে । ও কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছে । আমি একটু হাসলাম । বললাম

-যদি লক্ষ্য থাকে অটুত দেখা হবে বিজয়ে ।

-মানে ?

-কোন মানে নেই । আমি আসি । আমি আবার হাসলাম ।

কেবিন থেকে বেরনোর আগে আমি আবার ঘুরে দাড়ালাম । বললাম

-ঈশিতা !

ঈশিতা মুখ তুলে চাইল ।

-আমি আপনার মুখে আমি হাসি ফোটাবোই ।

আর দাড়ালাম না । ঘুরে চলে এলাম ।

তারপর আমি ওর আশেপালে থাকি । প্রত্যেকটা কাজে ওকে জানান দেওয়ার চেষ্টা করি যে আমি আছি তোমার আসেপাশে । যতক্ষন না তুমি হাসছো ততক্ষন আমি নড়ছি না । কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না । ঈশিতা ঠিক আগের মতই রয়ে গেল । আগের মতই চুপচাপ আগের মতই বিষন্ন ।

তবে একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করতাম আমার উপস্থিতিতে ওর চেহারার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আনতো । তবে এটা সিওর বুঝতাম না যে ওটা অস্বস্তি ছিল নাকি আনন্দ । এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিল । ঈশিতার সাথে দেখা হচ্ছিল কথা হচ্ছিল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না । মেয়েটার বিষন্ন চেহারায় কিছুতেই পরিবর্তন আনতে পারছিলাম না ।

তারপর আজকের দিন এল । অফিসে আসতে আজ একটু দেরি হয়ে গেছিল । লিফটের সামনে এসে দেখি ঈশিতা দাড়িয়ে আছে । আমাকে দেখেও যেন দেখল না ।

আরে এটা কেমন কথা হল ? আমরা একসাথে কাজ করি দুএকটা কথাতো বলা যায় !

আমি খানিকটা হেসে বলল

- গুড মর্নিং

ও যথারীতি আমার দিকে না তাকিয়েই বলল

-গুড মর্নিং ।

লিফট চলে এল । মাত্র দুজনই । আর কেউ উঠল না । আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম যেন আর কেউ না ওঠে । দরজা বন্ধ হতেই ঈশিতাকে বললাম

-মানুষের সাথে এরকম ব্যবহার করা কিন্তু ঠিক না ।

-আপনি কি আমাকে বলছেন ?

-না আপনাকে কেন বলব ? আমার পাশের ফ্লাটে একটা পেট মোটা লোক থাকে সে সবসময় মানুষকে খুব হার্ট করে । তাকে বললাম কথাটা ।

ঈশিতা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে । আমি আবার বললাম

-এটা কি ধরনের প্রশ্ন হল ? অবশ্যই আমি আপনাকেই বলতেছি ।

-অপু সাহেব আমি এমনই ।

-কিন্তু আপনিতো এমনটা ছিলেন না ।

-কেমন ছিলাম এটা প্রশ্ন না এখন কেমন আছি এটাই প্রশ্ন ।

-আমার খুব খারাপ লাগে আপনার এরকমটা দেখে । আপনি কি পরিবর্তন হতে পারেন না ? নতুন করে জীবন শুরু করা কি যায় না ?

এবার ঈশিতা খানিকটা কঠিন গলায় বলল

-দেখুন আপনার কি ভাল লাগে না লাগে তাতে আমার কিছু যায় আসে না ঠিক আছে । আপনার সাথে কথা বলতে ভাল লাগছে না ।

কি ? মেজাজটা খানিকটা খারাপ হল । এই মেয়েটার কথা ভেবেই আমার সারাটা দিন যায় । আমার কেবল এই চেষ্টা থাকে কিভাবে এর মুখে হাসি ফোটাবো আর এই মেয়ে কিনা আমাকে গোনার মধ্যেই নেই নেয় ।

আমি কি জলের টানে ভেসে এসেছি । ঈশিতার মুখোমুখি গিয়ে দাড়াই । ও কিছু বলার আগেই ওর হাত দুটো চেপে ধরলাম । বললাম

-এই মেয়ে তোমার প্রবলেম কি ? আমার সাথে এমন কেন কর তুমি ?

আমার তখন রাগে শরীর কাঁপছে । নিজের মধ্যে নেই আমি । কি করছি কি বলছি কিছুই ঠিক নেই । তোমাকে আজ আমি মজা দেখাচ্ছি । বলেই ওকে চেপে ধরে চুম খেলাম ওর ঠোটে । বেশ লম্বা করেই ।

যখন হুশ হল ততক্ষনে লিফটের দরজা খুলে গেছে । ভাগ্য ভাল যে দরজার বাইরে কেউ ছিল না । আমি লিফট থেকে বের হয়ে এলাম । যথন পিছনে ফিরে তাকালাম লিফটের দরজাটা বন্ধ হচ্ছে । আর প্রথম বারের মত ঈশিতার চেহারায় বিষন্নতার জায়গায় আমি বিশ্ময় দেখতে পেলাম ।



কাজ টাজ করছিলাম । কিন্তু মনটা ঐ দিকেই পড়ে ছিল । একটু দুষ্চিন্তাও হচ্ছিল । না জানি ঈশিতা কি একশন নেয় । তবে আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল ও কাউকে কিছু বলবে না । সারা দিনে একবারও ঈশিতার কেবিনে যাই নি ।

পরদিনও গেলাম না । কিন্তু পরদিন অফিস ছুটি হবার একটু আগে পিয়ন এসে একটা চিরকুট দিয়ে গেল । বলল ঈশিতা দিয়েছে । চিরকুট টা খুলে দেখলাম

অপেক্ষা করবেন প্লিজ ।



প্রথমে ভেবেছিলাম ঈশিতা হয়তো খুব ঝাড়ি মারবে । কিন্তু ওকে বেশ নরম দেখাল । আর সব থেকে বড় কথা হল ওর চেহারায় বিষন্ন ভাবটা তুলনা মূলক ভাবে কম ।

অফিসের সামনের একটা রেস্টুরেন্টে বসলাম আমরা । সত্যি বলছি আজ ঈশিতাকে দেখতে খানিকটা অন্য রকম লাগছে । আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আজ ঈশিতা হাসবে । আমার এতো দিনের চেষ্টা আজ সফল হবে ।

আমি আগে মুখ খুললাম, বললাম

-তোমাকে সুন্দর লাগছে ।

একেবারে আপনি থেকে তুমি । হাহাহা !!!

-এই কথা কেন বললেন ?

-কারন আজ তোমার চেহারায় বিষন্নতাটা কম । একটু আছে তবে আমার বিশ্বাস এখন আমার সাথে কথা বলার পর তাও থাকবে না ।

-আপনার বিশ্বাসে সমস্যা আছে । আপনি যা ভাবছেন তার কিছুই হবে না । আমি শুধু একটা কথা জানতে আপনাকে এখানে নিয়ে এসেছি ।

-তাও তো নিয়ে এসেছ ! বল তোমার কথা ।

-আপনি কেন করলেন কাজটা ?

-কোন কাজটা বল তো ?

-শুনুন ঢং করবেন না । আপনি খুব ভাল করেই জানেন কোন কাজটা !

সরাসরি ঈশিতার চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম

-তুমি কি শুধু এই কথাটা জানার জন্যই আমাকে এখানে নিয়ে এসেছ ?

ঈশিতা চট করেই উত্তর দিল না । কিছুক্ষন পর মাথা নাড়িয়ে জানিয়ে দিল যে ওর আরো কিছু বলার আছে ।

-আগে তোমার কথা শুনি ।

খানিকটা সময় চুপ করে থেকে ঈশিতা বলল

-আপনি যে কাজটা করেছেন ঠিক এমনই একটা ঘটনা আমার জীবনে এর আগেও ঘটেছে ।

-মানে ?

-মানে সজিব । আমার হাজবেন্ড । বিয়ের আগে ও আমাদের পাশে ফ্লাটেই থাকতো । একদিন লিফটের মধ্যে আপনার মতই কথা বলতে বলতে আমাকে চেপে ধরে কিস করেছিল । ওর খুব রাগ করার চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু পারি নি । ঐ ছেলেটা কিভাবে যে আমার মনটা নিজের করে নিল বুঝতেই পারলাম না । আমার সব কিছুই যেন ওর ছিল । আমার সব আবেগ অনুভূতি ভালবাসা সব কিছুই ওর ছিল । ও চলে যাবার পর ওর সাথে সাথে এ সব কিছুও হারিয়ে গিয়েছিল । কিন্তু ...

-কিন্তু কি ?

-আজ আমি আপনার উপর রাগ করতে পারছি না । আপনি যে কাজটা করেছেন অভিয়াসলি আপনার উপর আমার রাগ করা উচিত্ কিন্তু আমি রাগ করতে পারছি না । আমি কাল সারাটা রাত কেবল আপনার কথা ভেবেছি । আপনি এতো দিন যে আমার পিছনে লেঘেছিলেন তার প্রতিটা কথা আমি কাল রাতে ভেবেছি । খানিকটা অবাক হয়েছে ।

তারপর একটু ইতস্তত করে বলল

-খানিকটা খুশিও হয়েছি ।

খুশি ?

ওমাইগড !

এই মেয়েটা কি বলছে !

এই সুযোগ । আমার যা বলার তা বলেই ফেলতে হবে ।

আমি ওর হাত ধরলাম । ঈশিতা অন্য দিকে তাকিয়ে থাকল । আমি বললাম

-আমার চেহারাটা তো এতোটা খারাপ না যে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে । জানো কলেজ লাইফে আমার পিছনে কত গুলো মেয়ে ঘুরতো !

ঈশিতা মুখে একটু যেন হাসির আভা দেথতে পেলাম । তবে ওর চেহারার বিষন্নতা পুরোপুরি কেটে গেছে ।

ওকে বললাম

-জীবনটাকে সব সময় সচল রাখতে হয় । এটাই জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট । কিন্তু তুমি তোমার জীবনটাকে থামিয়ে রেখেছ । একটা জায়গায় আটকে রেখেছ । এতে যেমন তুমি কষ্ট পাচ্ছ তোমার আসেপাশের মানুষ গুলোও কষ্ট পাচ্ছে । এটা কি ঠিক হচ্ছে বল ?

ঈশিতা আবার মাথা নাড়াল ।

-তাহলে কেন এমন করছ ? তোমাকে একটা গল্প বলি । একটা ছেলে একটা মেয়ে অনেক ভালবাসত । কিন্তু একদিন মেয়েটা মারা যায় । এতে ছেলেটা খুব বেশি কষ্ট পায় । সারা দিন কান্না কাটি করে মন খারাপ করে থাকে । একদিন ছেলেটা মেয়েটাকে স্বপ্নে দেখলো । স্বপ্নে দেখলো যে মেয়েটার চারিপাশে খুব চমত্কার পরিবেশ । গাছগাছালি রংবেরংয়ের জিনিস পত্রে ভরপুর । কিন্তু কেবল মেয়েটা যেখানে আছে তার আসেপাশে সবকিছু কেমন যেন প্রানহীন বিবর্ণ । ছেলেটা আরো লক্ষ্য করল আসেপাশের সবার ঘরে আলো জ্বললেও মেয়েটার ঘরে কোন আলো জ্বলছে না ।

ছেলেটা জানতে চাইল তোমার এমন কেন অবস্থা ।

মেয়েটা বলল আমার এ অবস্থার জন্য তুমি দায়ী ।

ছেলেটা খুব অবাক হল । বলল কেন ? মেয়েটা বলল তুমি যে আমার জন্য সারাদিন কান্নাকাটি কর তোমার সেই চোখের জল এসে আমার ঘরের মোমবাতি নিভিয়ে দিয়ে যায় । এই জন্য আমাকে অন্ধকারে থাকতে হয় । আর তুমি যে মন খারাপ করে থাকো তোমার সেই বিষন্নতা আমার চারিপাশটাকে প্রান হীন করে তোলে ।

ঈশিতা বলল

-এ গল্প আপনি কোথা থেকে শুনেছেন ?

-কোথা থেকে শুনেছি ইম্পর্টেন্ট না । মুল থিমটা ইম্পর্টেন্ট । তুমি কিন্তু তোমার ভালবাসার মানুষটাকেও কষ্ট দিচ্ছ । যে ঐ উপরে আছে তোমাকে দেখছে তাকে কষ্ট দিচ্ছ আর যে তোমার কাছে আছে তাকেও ।

ঈশিতা কোন কথা না বলে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল ।

-আচ্ছা আমি তাহলে কালকেই সাভারে পোষ্টিং নিয়ে নিচ্ছি । ঠিক আছে ?

ঈশিতা এবার অবাক হল ।

-কেন ?

-আরে আশ্চর্য আমার বউ যদি আমার উপরে জব করে তাহলে লোকে কি বলবে ? ঘরেও আমি বউয়ের কথা শুনবো আবার অফিসেও তার কথা শুনবো তাহলে কিভাবে হয় ?

ঈশিতা আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে হেসে ফেলল ।

এই প্রথম ওকে আমি হাসতে দেখলাম । হাসলে ওকে কি চমত্কারই না লাগে । হাসতে হাসতেই বলল

-আমার বয়েই গেছে তোমাকে বিয়ে করতে ! কত কিছু ভাবো না তুমি । ঠিক মত কথা শুরু করতে পারলাম না উনি বিয়ে পর্যন্ত চলে গেছে । বসে বসে স্বপ্নই দেখো তুমি ।

আমি কোন কথাই বলি না । কেবল ওর হাসি ভরা মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকি । মনে হয় আমি জয়ী হয়েছি ।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:২৪

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ভালো লাগল, ঈশিতা নামের আমার এক বন্ধু আছে :) +++++

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :) :)

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:২৯

তাসবীর আহমাদ বলেছেন: ভাল লাগল।

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :) :)

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:৩০

অপরাজেয়আমি বলেছেন: আসল্ই আমরা হরে্ই গেছি...

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: তাই???

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:৩৯

তৌফিকুর বলেছেন: Awesome sala

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :) :) :) B-) B-) B-)

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:৪৪

যাকারিয়া বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো। চালিয়ে যাও.....
শুভ কামনা রইলো..

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :) :) :)

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:১১

অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: এটা নিশ্চয় গল্প ? কিন্তু আমার জীবনে এ রকম বাস্তবতা আছে। শুধু মেয়েটির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমার যত চেষ্টা। অনেক নর্মাল হয়ে গেছে ও এখন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: হুম এটা নিশ্চয় গল্প । আপনার জন্য শুভ কামনা রইল । চেষ্টা চালিয়ে যান । দেখা হবে বিজয়ে ।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:১৯

নেফেরতিতি বলেছেন: বহুদিন পর এমন রোমান্টিক গল্প পড়লাম।ভালো লাগল খুব,

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০১

অপু তানভীর বলেছেন: অনেকদিন পর??? আমার পুরা প্রোফাইল জুরে কেবল রোমান্টিক গল্প । আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল ।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৩২

কালীদাস বলেছেন: :#> :> |-) |-)++++++++

০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: |-) |-) |-) !:#P !:#P =p~ =p~ :)

৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৫৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: পড়ে পড়ব।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: কেন ?? এখনই পড়েন। :) :) :) :)

১০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:২৮

ঈষাম বলেছেন: ভাল লাগলো..

০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :) :)

১১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৪:৩০

ফারিয়া বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা গল্প পড়লাম, তা কয়টা প্লাস নিবেন? B-)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: যে কয়টা দিবেন সেই কয়টাই নিবো :) :) B-) B-)

১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৩৬

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: বাহ দারুন! একটা মন ভাল করা গল্প। ভেতরের যে গল্পটা মোম নিভে যায় আমার খুব বেশী পছন্দ হয়েছে। ওটা কি আপনার? নাকি আগে থেকেই তৈরি হওয়া কোন গল্প?

অনেক ভাল লাগা রইলো।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:২১

অপু তানভীর বলেছেন: ভেতরের গল্পটা আগে থেকেই তৈরি হওয়া । বাকি সবটুকু আমার :) :) :) :)
আপু আপনার মন্তব্যের জন্য খুব ধন্যবাদ । :) :) :)

১৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

নক্ষত্রের নীল বলেছেন: B:-/ ভাল্লাগছে !!! !:#P

১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমারও ভাল্লাগছে !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.