নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক শৌখিন রিক্সা চালকের গল্প

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২৫


বহুদিন ব্লগে নিজের গল্প লিখি না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মনস্তাত্ত্বিক-ভাবে জটিল হয়ে যাচ্ছি।ইদানীংকালের লেখায় সে ভাব স্পষ্ট।
আজকাল নিজের গল্প বাদ দিয়ে ‘বনের মোষ’ তাড়াচ্ছি। বুঝে না বুঝে জটিল থেকে জটিলতর বিষয় নিয়ে গাল-গপ্পো করছি। অথচ কত-শত নিজের গল্প জমে আছে- কিংবা প্রতিনিয়ত কতই না গল্প জমা হচ্ছে। আমার লেখালেখির শুরু যখন তখন কল্পনাতেও আসেনি কোন একদিন ব্লগ হবে, কিংবা সামাজিক মাধ্যম সারা বিশ্বের লেখকদের মনের ভাব প্রকাশের একটা বড় মাধ্যম হয়ে উঠবে। টুক টাক নিজের মনে লিখতাম- ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিনি কখনো।
আমার আজকের লেখা তখনকার সময়ের ‘তিন চাকায় বাঁধা জীবন’ নামের একটা সিরিজের খণ্ডিত অংশ। এই সিরিজটা ছিল রিক্সা চালকদের বিচিত্র জীবন আচার আচরণ নিয়ে বাস্তব ঘটনা। আমি ধারনা করছি ব্লগের প্রায় সবাই জীবন চলার পথে এমনতর কিছু ঘটনা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। আমার পাশাপাশি সবাই তাদের সেই ঘটনাগুলো শেয়ার করবে বলে আশা করছি।
***
সাল ২০০০; খুব ভোরবেলা । ভাল করে আলো ফোটেনি । শীত সমাগত তাই চারিদিক ঘিরে আছে হালকা কুয়াশার চাদর। আমি আসছিলাম আমার এক বন্ধুর বাসা থেকে সারারাত জেগে আড্ডা দিয়েছি । আড্ডা শেষে সবাই যখন ঘুমোবার বন্দোবস্ত করছিল তখন আমি বের হয়ে এসেছি , উদ্দেশ্য বাসায় গিয়ে ঘুমাব- কারন নিজের বিছানা ছাড়া আমার ঘুমটা ভাল হয়না ।
হালকা একটা টি শার্ট পরে ছিলাম যদিও একটু একটু শীত করছিল তবে শীতটা উপভোগ করছিলাম । গলি থেকে বের হয়ে প্রধান রাস্তায় এসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম রিক্সার জন্য । কিন্তু এত ভোরে হয়তো রিক্সা নিয়ে কেউ বের হয় না মিনিট দশেক এভাবে অপেক্ষার পরে এভাবে দাড়িয়ে না থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়াই সমীচীন মনে করলাম। ওখান থেকে আমার বাসার দূরত্ব ছিল প্রায় চার কিলোমিটারের মত । এটুকু পথ হেটেই যাওয়া যায় কিন্তু রাত্রি জাগরণের জন্য শরীরটা খুব অবসন্ন লাগছিল । হাটতে হাটতে প্রায় কিলোমিটার খানেক চলে এসেছি কিন্তু রাস্তা একদম ফাকা একটা রিক্সাও নজরে আসছিল না চারিদিকে সুনসান নীরবতা এই আমাদের ঢাকা শহর ভাবাই যাচ্ছিল না মনে হচ্ছিল আমি হয়তো ভুল করে অন্য কোথাও এসে পরেছি । নিস্তব্ধতা ভেদ করে শুধু দু’য়েকটি ট্রাক দুরন্ত গতিতে শব্দের ঝড় তুলে চলে যাচ্ছিল । আচমকা কোত্থেকে এক রিক্সা চালক আমার পাশ ঘেঁষে তার রিক্সা নিয়ে দাঁড়াল ।
হাসি হাসি মুখে জিজ্ঞেস করল ’যাবেন?’
আমি অবাক হলাম আরে এযে মেঘ না চাইতে বৃষ্টি। ভাড়া বা গন্তব্য কিছুই না বলে তার রিক্সায় চেপে বসলাম।
চালকটি সিটে বসে হেলে-দুলে মনের সুখে রিক্সা চালাচ্ছিল।তার রিক্সা চালানোর ধরন নাদুস-নুদুস চর্বি বহুল দেহ ও সুখী চেহারা আমাকে বিস্মিত করল।
তাকে দেখে আমার বদ্ধমূল ধারনা হল নিকট অতীতে এর অবস্থা নিশ্চয়ই সচ্ছল ছিল। আকস্মিক কোন দুর্ঘটনার জন্যই হয়তো সে বাধ্য হয়েছে রিক্সা চালাতে; কিন্তু রিক্সা চালানোর ধরণ দেখে মনে হচ্ছে রিক্সা চালিয়ে সে বেশ মজা পাচ্ছে ও ব্যাপারটাকে সে দারুণভাবে উপভোগ করছে। তার যে শারীরিক গঠন তাতে রিক্সা চালাতে তার কষ্ট হওয়ারই কথা- তাছাড়া আমি যা ভেবেছি তেমন পরিস্থিতিতে যদি কেউ বাধ্য হয় রিক্সা চালাতে তাহলে তার মানসিক অবস্থা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। স্ব ভাবতই তার চেহারায় বিষণ্ণতার ছাপ পরতে বাধ্য। আমার খটকা লাগল তাকে জিজ্ঞেস না করে পারলাম না,’ভাই আপনে কি নতুন রিক্সা চালান ?’
সে আমার দিকে মুখ ঘুরিয়ে রহস্যপূর্ণ হাসি হেসে সংক্ষিপ্ত উত্তর দিল ,’না’।
’কিন্তু আপনার রিক্সা চালনা দেখে তো মনে হচ্ছে আপনি নতুন চালক?’
সে মুখ না ঘুড়িয়েই আমার প্রশ্নের উত্তর দিল তবে এবার সংক্ষিপ্ত নয় বিস্তারিত। যদিও কথা বলছিল রিক্সা চালাতে চালাতে কিন্তু আমার শুনতে একটুও সমস্যা হচ্ছিল না কেননা রাস্তা ছিল একদম ফাঁকা নিরিবিলি।
’জন্ম তার এক অতি দরিদ্র পরিবারে। অর্থনৈতিক দীনতার জন্য জীবনের শুরু থেকেই চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে ,তার বাবা খুব অল্প বয়স থেকেই তাকে বাধ্য করত বিভিন্ন কষ্টকর কাজ(তখনকার কিশোরের দৃষ্টিতে)করার জন্য । তবে বাবার অলক্ষ্যে মায়ের প্রচেষ্টায় সে কয়েক ক্লাস পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে।অন্য সবার মত সেও স্বপ্ন দেখত বড়লোক হবার। ভাবত; এই পরিবেশ থেকে পালিয়ে গেলেই সে নিশ্চিত কয়েক বছরের মধ্যে বড়লোক হয়ে যাবে ।তবে কিভাবে এ চিন্তা কখনই তার মাথায় আসেনি। প্রায়ই সে সুযোগ খুঁজত বাড়ি থেকে পালানোর তবে সুযোগ পেলেও সাহসে কুলোতো না। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অরো অবনতি হল,তখন সে সবে কৈশোর পেরিয়েছে। একদিন চরম সিদ্ধান্ত নিল,সাহসে ভর করে একটি ট্রাকের পিছনে চেপে পালিয়ে আসল ঢাকা।
কপর্দক শূন্য অবস্থায় কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝতে পারল কি ভুলটাই না সে করেছে। ক’দিনেই তার দ্রুত বড়লোক হবার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। তখন বেঁচে থাকার সম্ভাব্য যে কিছু করতে সে প্রস্তুত। কোন পথ না পেয়ে অগত্যা আদিম ব্যবসা ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করল।
বেশ কিছুদিন ভিক্ষা করেছিল। যে বস্তিতে থাকত সেখানকারই একজনের অনুপ্রেরণায় সে ভিক্ষা পেশা ছেড়ে রিক্সা চালাতে শুরু করল। তখন ঢাকায় রিক্সার সংখ্যা ছিল নগণ্য। বছর তিনেক রিক্সা চালানোর পর তার মাথায় একটা ব্যবসায়িক বুদ্ধি চাপল;নিজের কিছু জমানো টাকা ছিল। তাই দিয়ে সে দুটো জরাজীর্ণ রিক্সা কিনে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চলার উপযোগী করল তারপর সেগুলো কিস্তিতে বিক্রি করল।
তবে বিক্রির আগে ক্রেতার(চালক) সাথে চুক্তি (মৌখিক)করল যতদিন তারা কিস্তির টাকা শোধ না করতে পারবে ততদিন তাকে ভাড়া দিতে হবে। বস্তিবাসী দরিদ্র ক্রেতারা সানন্দেই তার এই শর্ত মেনে নিল।
কয়েক বছরের মধ্যেই এভাবে সে অনেকগুলো রিক্সা বিক্রি করল। আয় যখন বাড়তে শুরু করল তখন সে রিকসা চালানো ছেড়ে দিল। পরিবর্তে সে খুব অল্প দামে একটা জায়গা কিনে রিক্সা গ্যারেজ করল। সেখানেই শুরু করল পুরনো রিক্সা জোড়াতালি দিয়ে নতুন রিক্সা বানানোর কাজ।
হাতে তার তখন প্রচুর কাঁচা পয়সা। দু’জন কর্মচারী রেখে তাদের কে গ্যারেজের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে সে হাত পা ছাড়ল। জীবনের বেশীর ভাগটাই সে অতি কষ্টে কাটিয়েছে এবার একটু বিশ্রাম নিতে চাইল। প্রায় সারাদিন শুয়ে বসে কর্মহীন দিন যাপন করতে লাগল।
অলস জীবন যাপন ও সুস্বাদু ভোজন তাকে ধীরে ধীরে গ্রাস করল। স্বভাবতই সে দ্রুত মুটিয়ে যেতে থাকল- সেই সঙ্গে আলগা হতে থাকল তার শরীরের মজবুত বাঁধন।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের জীবাণু এসে স্থায়ী বাসা বাঁধতে লাগল সেই চর্বি-বহুল আপাত সুখী দেহে।
রোগ সারাতে অগত্যা তাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হল। ডাক্তার ঔষধের পাশাপাশি তাকে পরামর্শ দিল ওজন কমাতে। বছর দুয়েক ধরে সে অনেক ভাবে চেষ্টা করেছে, কিন্তু ওজন তো কমছিলই না বরং আরও বেড়ে যাচ্ছিল। শেষ মেষ সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পুরনো পেশা অর্থাৎ রিক্সা চালনাকেই বেছে নেয়ার।
কথা বলতে বলতে আমার বাসার কাছে এসে পড়লাম। রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া দিতে চাইলে সে কোন মতেই নিল না।বলল,’আপনাদের দোয়ায় আল্লা আমাকে অনেক দিয়েছে!’
বিস্মিত আমি তাকে শেষ প্রশ্ন করলাম,’আপনার স্বপ্ন কি পুরন হয়েছে?’
আমার প্রশ্ন তাকে কিছুটা হয়ত বিব্রত বা বিভ্রান্ত করল! সে মুহূর্তকাল চুপ থেকে ঘামে ভেজা চকচকে মুখে আমার দিকে চেয়ে বলল,’জ্বী,এখন আমি শতাধিক রিক্সার মালিক ,মিরপুরে আমার নিজের চারতলা একটা বাড়ি আছে। ছেলেমেয়েদের ভালো স্কুলে পড়াচ্ছি। এর থেকে বড় স্বপ্ন দেখার সামর্থ্য আমার ছিল না।’
কথা শেষ করে সে বিদায় নিয়ে রিক্সা ঘুড়িয়ে চলে গেল। আমি তার গমন পথের দিকে চেয়ে রইলাম। তার হেলে দুলে রিক্সা চালানো দেখে মনে হচ্ছিল পুরনো পেশায় ফিরতে পেরে সে দারুণ খুশী? তবে সে অবশ্যই বিরল কিছু ভাগ্যবানদের মধ্যে পড়ে।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন মানুষও আছে বাব্বা
ধনী হয়েও পুরাতন পেশা ধরে রেখেছে সে। তাও দ্বিধাহীন।
ভালো লাগলো তার গল্প

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ এমন অনেক মানুষ আছেন আমাদের চারপাশেই। কজনের খবর রাখি।
আমাদের আড্ডার কাছে পলিও আক্রান্ত এক লোক হুইল চেয়ারে ভিক্ষা করেন দীর্ঘদিন। অবশ্য কারো কাছে কখনো টাকা পয়সা চান না- যে যায় দেয় দোয়া দরূদ পড়ে নেয়।
সেদিন জানলাম, তাঁর এক ছেলে ওমানে থাকে, আরেক ছেলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করছে, তাঁর বউ আজমার ফ্যাশনে চাকুরি করে; মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পায়। আমি এই কথায় বিশ্বাস নবা করায় এয়ামার এক বন্ধু গোপনে তোলা এক ভিডিও দেখালো, আশে পাশে কেউ নাই দেখে সে ঝোলা থেকে দামী স্মার্টফোন বের করে ভিডিও কলে প্রবাসী ছেলের সাথে কথা বলছে।
সে কেনই বা এই পুরনো পেশায় আছে আর তাঁর ছেলে বউরা কেমনে মেনে নিচ্ছে সে একটা রহস্য বটে।
ধন্যবাদ আপু অনেকদিন বাদে আমার ব্লগে আসার জন্য। আপনার লেখা নিয়মিত পড়ি কিন্তু অনেক সময় মন্তব্য করার কিছু খুঁজে পাই না।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি তো ভাবলাম ভুতের গল্প বলবেন ! তাও যাক একজন সফল মানুষের গল্প শোনা গেলো !

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ভুতের গল্পের স্টক শেষ! সামনে কোন ভুত প্রেত দেখলে সে গল্প কমুনে।
ঠিক ক'জন মানুষের এমন সপ্ন পুরণ হয়। ব্যাটা ভাগ্যবান।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১১

মিরোরডডল বলেছেন:




থ্যাংকস শেরজা জীবন থেকে নেয়া চমৎকার একটা গল্প শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু এটা সিরিজের একটা খণ্ড, বাকি কাহিনীগুলোও প্লীজ শেয়ার করবে।
কল্প কাহিনীর চেয়ে জীবন থেকে নেয়া এমন অভিজ্ঞতা শুনতে বেশি ভালো লাগে।

তবে সে অবশ্যই বিরল কিছু ভাগ্যবানদের মধ্যে পড়ে।

আমি বলবো শেরজাও ভাগ্যবান কিছু সময়ের জন্য এমন একজন মানুষের সান্নিধ্যে ছিলো।
এই রিকশাওয়ালা ভাইকে আমার পছন্দ হয়েছে :)

শেরজা স্টকে আর কি কি আছে?


৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: মন মানসিকতা অনেক জটিল কুটিল হয়ে গেছে আপু।
আজাইর‍্যা কামে মানুষরে খোঁচাখুঁচি করি।
এখন মনে হয় এইসব ছেলেমানুষি লেখা। কিন্তু এসব গল্পের অন্যরকম এক স্বাদ আছে- এসব গল্পের প্রাণ আছে সে কথা ভুলে যাই।
সে লোক মিরপুর ১১ নম্বরে থাকত দেখি খোঁজ বেঁচে আছে কি না।
অনেক অনেক কিছু আছে স্টকে। আমি মেয়েদের কিন্তু খুব ভয় পাই- সেই নিয়ে একখান গল্প আছে আমার নারী-ভীতি। একদম সত্য গল্প :) আমি জানি আপনার বিশ্বাস হবে না !
এখন থেকে সত্তুরভাগ নিজের অভিজ্ঞতার গল্প লিখব। ত্রিশভাগ জটিল কুটিল আব-জাব।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর কাহিনি। এতটা অবশ্য আশা করি নি।

একজন রিকশাওয়ালাকে নিয়ে আমারও একটা গল্প আছে, নাম আয়না। তবে, সে গল্পটা শুনেছিলাম আমার এক বন্ধুর কাছে।

মানুষের জীবন কত বৈচিত্রময় হতে পারে, এ রিকশাওয়ালার জীবন তার অন্যতম উদাহরণ।

আপনি লিখেছেনও অনেক সুন্দর।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: আয়না গল্প কি ব্লগে দিয়েছিলেন? দিলে লিঙ্ক দিয়েন আর না দিলে অপেক্ষায় রইলাম ...
আমরা বারবার ভুলে যাই মানুষের বাস্তবিক জীবনের ঘটনা অনেক রহস্য উপন্যাসকে হার মানায়।
ভাল লাগলে আরো কিছু এমন গল্প শেয়ার করব।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




আমার শেরজার মতো অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু অনেক মজার মজার রিকশাচালকের ঘটনা আছে।
একটা বলি।

আমি আর এক ফ্রেন্ড যাচ্ছি। রিকশাওয়ালা ভাই গলা ছেড়ে গান গাচ্ছে আর রিকশা একদম উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, পংখী।
ফ্রেন্ডকে বললাম আমার কিন্তু ভয় লাগছে, যে কোন মুহূর্তে আমি পড়ে যেতে পারি। বললাম, ভাই একটু আস্তে চালাবেন?

উনি তখন হাসি দিয়ে পেছনে তাকিয়ে আমাকে বলে, এতো ডরান কেন আফা?
মরতেতো একদিন হইবই, দুইদিন আগে আর পরে।

বললাম, ভাই তাই আজকেই আপনি আমাদের পাঠাতে চাচ্ছেন, একটু দয়া করলে দুইদিন পরে যেতে পারি।
:)

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
আমার অভজ্ঞতায় বলে; কোন রক্সা চালক উরাধুরা চালাইলে, মেয়েরা যদি ভয় পেয়ে অনুরোধ করে আস্তে চালাইতে তবে সে নিশ্চিত আরো জোরে চালাবে!! :)

আপনার শেষের কথাটা চমৎকার ছিল। পড়াশুনাকালীন এ ঘটনা না কি?

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলে আমি সময়ই পাই না বড় পোস্ট পড়ার। ছোট পোস্টগুলা পড়ি।

আমার দেখা একজন সেনাবাহিনীর লোক আছেন যিনি রিটায়ার্ডের পরে আগে ঘরোয়া হোটেল ছিল মতিঝিলে সেখানে দারোয়ানের চাকুরী করতেন। অথচ ঢাকায় তার পাঁচতলা বাড়ী আছে। তার এ পেশাকে আমি সম্মান জানাই। যখন আইজি গেইট থাকতাম মধুমিতা হতে বাসে উঠতে হতো, পথে যেতে যেতে প্রতিদিন দু চার কথা হতো হাসি মুখে।

ধন্যবাদ

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: ঘরোয়াতো এখন আর নেই। এখন তাঁর কি আর কোন খবর জানেন।
সেনাবাহিনীর সৈনিকেরা অবসরে গেলে অনেকেই দারোয়ান বা সিকিউরিটি গার্ডের( অফিসিয়াল) চাকুরি করে। অনেকেই মিশোন শেষ করে চাকুরির আঠারো বছর পূর্ণ করে যৌবনের মধ্যগগনে বেশ টাকা পয়সা নিয়ে অবসরে যেত। সেই টাকা ব্যাবসা ও বাড়িঘরে লগ্নী করত। এঁর পাশাপাশি সিকিউরিটির চাকুরি ছিল উপরি পাওনা।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য আপনার সেই অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকের গল্প।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



খুব ভালো ও মজাদার একটি গল্প পড়েছি। কথায় আছে - কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে। গল্প ভালো লেগেছে। +++


৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়েও খুব মজা পেয়েছি ভাই।
আসলে ওটা পড়েই আমার মনে হয়েছে আজ নিজের গল্প শেয়ার করার জন্য।
আপনার আরো অভজ্ঞতার গল্প শোনার জন্য মুখিয়ে আছি...

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বাংলার নাটক/মুভী/টেলিফিল্ম পাড়ায় কাজ হয়নি এমন বিরল ভাগ্যবান গল্প নিয়ে?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: তেমন করে চোখে পড়েনি। এমন বিরল ভাগ্যবান মানুষ ছড়িয়ে ছীটিয়ে আছে শহরের আনাচে কানাচে- তাদের নিয়ে ফিল্ম/ নাটক কিংবা ওটিটি-তে কাজ হওয়া উচিৎ।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম উনি বোধ হয় ছদ্মবেশী পার্ট টাইম ছিনতাইকারী হয়ে থাকবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার ধারনা সঠিক হয়নি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: ২০০০ সালের দিকে রিক্সা চালকেরা চিনতাইয়ের সাথে জড়িত ছিল বলে মনে হয়না। তবে সন্ধ্যা হলে একটু সম্ভাবনা ছিল।
বেশীরভাগ ছিনতাইকারী দিনে ঘুমায় :) :)

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: গল্প চমৎকার হয়েছে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই মহাজাগতিক চিন্তা।
এরপরে আপনি কি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিবেন তাই নিয়া আমি মহা চিন্তায় আছি!

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: রিকশা কিন্তু আসলেই লাভজনক ছিলো একসময়। মাঝখানে ছিল সিএনজি। এখন অবশ্য সিএনজির রমরমা অবস্থা নাই।
সে শৌখিন রিকশা ব্যবসায়ী যদি এখন সামনাসামনি হয় তাহলে চিনতে পারবেন?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: এখন রিক্সা চালকদের আয় রোজগার বেশী মনে হয়- যাদের অটো রিক্সা আছে তারা অল্প কষ্টে বেশ কামাচ্ছে।
তবে আয় থেকে চাহিদা বাড়ছে অনেক বেশী।

মনে হয় না তাঁকে আর চেনার কোন সম্ভাবনা আছে।

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবশ্যই তিনি বিড়ল ভাগ্যবান। আসলে জীবনের গল্পগুলো বুঝি এমনই, মাঝে মাঝে কল্পনাকেও হার মানায়।

এরকম আরও গল্পর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।+++++

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: গ্রাম থেকে ফিরে এসে গ্রামের স্মৃতি নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন দেখলাম। মনে হচ্ছে এবারের ঈদ দারুণ উপভোগ্য ছিল।
জ্বী হাঁ যাপিত জীবনের গল্প এখন থেকে বেশী লেখার আছে। প্রতিদিনতো একটি গল্প এমনিতেই তৈরি হয় :)

১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

শাওন আহমাদ বলেছেন: কি সুন্দর বর্ণনা! আমি চোখের সামনে সব দেখতে পাচ্ছিলাম। বাস্তব গল্পও মাঝেমধ্যে কল্পনার মতো মনে হয়।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আমার এই সাদামাটা গল্পে আপনি এতটা মোহিত হয়েছেন জেনে আপ্লুত হলাম।
এমন ব্লগার পাঠক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বটে।
কিছু বাস্তব ঘটনা নিশ্চিতভাবে কল্পনাকে হার মানায়।

১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রথমত আপনার লেখার হাত বেশ দারুণ ! আমার খুব প্রিয় এক লেখকের স্বদ আপনার লিখাতে পেলাম ! আজকে অবশ্য মুজতবা গন্ধ লেখাতে নেই । এটা অনেকটা আরাম দিয়েছে , আজকের লেখা জুড়ে শুধুর শেরজা গন্ধ ।

এই জীবনে যদি আমি কোন রোমান্টিক গল্প অবসাদ ছাড়াই পড়ে থাকি তবে তা হলো অরণ্য সারোয়ারের গল্প ! আপনার লেখাতে সেই স্বাদ পেলাম । আপনাকে কাছে পেলে সারাদিন বসে বসে এসব গল্প শুনতাম । আমার এক স্যার যার কাছে থেকে লজিক্যাল একাউন্টিং শিখেছিলাম , তিনি বলতেন আশপাশ থেকে শিক্ষা নিবি দেখবি তুই জ্ঞানী হয়ে গেছিস । আপনিও তেমন জ্ঞানী হয়ে গেছেন !!


ভালো কথা যে সময়ের কথা বললেন সে সময় আমার বয়স মাত্র ৩ ‍!

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন তখনতো আমি তিন নম্বর প্রেম করছি- আপনার বয়স আর আমার প্রেমের সঙ্খ্যায় কাটাকুটি :) :) (মজা করলাম)

আমার বড় দুর্ভাগ্য যে আমি লেখক 'অরণ্য সরোয়ারে'র গল্প পড়িনি। ইচ্ছে রইল পড়ার।
কি যে বলেন, এখনো আমি প্রতিটা লেখা পোস্টের আগে ঘামতে থাকি। ভয় হয়; না জানি কে কোন ভুল-ভাল ধরে!

বিজ্ঞ আর অভিজ্ঞ হচ্ছি। আর সেই অভিজ্ঞলব্ধ জ্ঞান বাড়ছে- সেটাকে যদি আপনি জ্ঞানীর কাতারে ফেলেন তাহলে কিচ্ছু বলার নেই।
অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।- মনোগ্রাহী মন্তব্যের ডালা খুলে বসার জন্য।

১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকে বলেন, মানুষ তার অভিজ্ঞতার বাইরে লিখতে পারেন না। এই কথাটি কি আপনি বিশ্বাস করেন?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে সেটা হয়তো সত্য- যদি অভিজ্ঞতা কিন্তু পড়ার অভিজ্ঞতার মধ্যেও পড়ে। পুরোপুরি উপলব্ধি করার জন্য আরেকটু বয়স বাড়তে হবে

১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রিকশা নিয়ে তেমন অভিজ্ঞতার কথা মনে আসছে না। তবে আমার পর্যবেক্ষণ হোল গ্রাম বা ছোট শহরের রিকশাওয়ালারা যাত্রীর সাথে গল্প করতে করতে রিকশা চালায়। দেশের রাজনীতি এবং সমাজ নিয়ে তারা বেশী আলাপ করে। এভাবে সময় কেটে যায় গল্প করতে করতে। আমার কাছে এটা খুব ভালো লাগে। আমিও এদের সাথে গল্প করতে থাকি। গ্রামে বা ছোট শহরগুলিতে মানুষ রিকশাওয়ালাদের ঢাকা বা অন্যান্য বড় শহরের মত নিচু দৃষ্টিতে দেখে না। যাত্রী এবং রিকশা ওয়ালা উভয়েই মনে করে তারা অনেকটা প্রতিবেশীর মত। শ্রেণী বৈষম্য চোখে পড়ে না। গ্রামে গেলে গ্রামের কোন পরিচিত রিকশাওয়ালাকে আগে থেকেই বুকিং দেয়া যায়। সময় মত এসে আপনাকে বাসা থেকে নিয়ে যাবে।

বনানী এলাকায় একবার এক রিকশাওয়ালার সাথে কথা বলার সময় জানতে পারলাম যে সে মাসে ১৫ দিন বনানী এলাকায় রিকশা চালায় আর বাকি ১৫ দিন সে তার গ্রামের বাড়ি ময়মনশিংহে গিয়ে পরিবারের সাথে আরাম আয়েশ করে। বনানীতে রিকশা ভাড়া অপেক্ষাকৃত বেশী তাই ১৫ দিনের আয়ে সে বাকি ১৫ দিন দেশে গিয়ে আরাম আয়েশ করতে পারে। আর তাছাড়া ময়মনশিংহ যাওয়ার সময় এবং খরচ দুইটাই কম। ছোট ট্রাকে উঠে বা ট্রেনে চড়ে অল্প টাকায় সেখানে যাওয়া যায়।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথার সাথে সহমত। গ্রামের আরোহী আর রিক্সা চালক দুজনেই আন্তরিক থাকে। অনেকদিন পরে গ্রামে গিয়ে অনেকেই রিক্সা চালকের কাছ থেকে এলাকার হাল হকিকতের খবর নেয়।
ঢাকা শহরে কোরবানীর ঈদ আর রোজার ঈদে উল্লেখযোগ্য হারে রিক্সা চালক বেড়ে যায়। এই দু'মাস উদয়-অস্ত পরিশ্রম করে আয় উপার্জন করে গ্রামে গিয়ে প্রায় সাং বছরের খরচ তুলে নিয়ে যায়। এরা মৌসুমী চালক- এদের ভাড়া যত বেশীই দেন মন ভরতে পারবেন না। ঢাকায় টাকা ওড়ে এই ফর্মুলায় তারা বিশ্বাসী। এঁদের সাথে লক্ষাধিক ফকির ও আসে।
ধন্যবাদ - আপনার বড় মন্তব্য মিস করছিলাম।

১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭

করুণাধারা বলেছেন: ভোরের নির্জন রাস্তায় হঠাৎ রিক্সা, আমি ভেবেছিলাম কোন ছিনতাইকারীর গল্প হবে। একেবারেই অন্যরকম গল্প। কখনো ভাবিনি কেউ পয়সাকড়ি হবার পর আবার রিকশাওয়ালার কাজ করে।

আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে যে রিক্সাচালকেরা তারা ছিনতাইকারীর সহযোগী, কিংবা থেমে থাকা গাড়ির আয়না ভেঙে নেওয়া রিক্সাওয়ালা কিংবা প্রতারক রিক্সাওয়ালা...

আপনার এই গল্পটা ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিও তাহলে একই রকম ভেবেছিলেন!
হ্যাঁ একটু ভিন্নধারার কিছু গল্প নিয়ে সাজানো এই সিরিজ। বহু বছর তেমন করে রিক্সায় চড়া হয় না- হলেও খুব অল্প দুরুত্বে। সবাই খুব ব্যাস্ত গল্প করার সময় আর এখন নেই কারো।

আপনার স্মৃতিগুলো তিক্তকর সন্দেহ নেই। তবে গ্যারান্টি দিচ্ছি শেষ পর্বটা পরে আপনার আবেগও উথলে উঠবে নিশ্চিত।
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। কাছে দূরে যেখানেই থাকেন- ব্লগের সাথে থাকবেন আশা রাখছি।

১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিদেশে এরকম খুব দেখা যায়। টাকার জন্য নয় স্রেফ নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য কাজ করে। আশি উর্ধ এক বৃৃদ্ধ ট্যক্সিচালকের সাথে কথা বলে জানলাম যে তিনি একদা এক ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন। ছেলে মেয়ে সব উচ্চ প্রতিষ্ঠিত।টাকার জন্য নয় , নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য তিনি ট্য্যক্সি চালান। ম্য্যকডোনাল্ড বা অন্য অন্যান্য ফাস্ট ফুড শপেও এরকম বৃ্দ্ধ বৃ্দধাদের খুব দেখা যায়। লোনলিনেস জিনিষ্টা খুব ভয়ঙ্কর বুড়ো বয়সে। এটা কাটাতেই মুলত , সবাই কাজ করে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমি এমন একজনের ট্যাক্সিতে চড়েছিলাম যিনি রাশিয়ার প্রথম 'স্পেস শাটলে'র (বুরান) ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
আসলে পশ্চিমে কোন কাজকেই অবমুল্যায়ন করা হয় না- সেটা যে কারো যে কোন পেশায় আসাকে সহজতর করে- তারপরে একাকীত্ব ভয়ঙ্কর এক অভিশাপ!
অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।

১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: মাঝে মাঝে জীবনের গল্প গুলো সত্যি অবাক করে দেয় । আপনি এমন একজন মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন । আমার অবশ্য এমনটা হয় কম । কারণ আমি পথে ঘাটে মানুষের কথা বার্তা বলি একদম কম । তাই আমার জানা হয় না খুব একটা ।

আপনার এই শৌখিন রিক্সা চালকের গল্প পড়ে আমার একটা গল্প লেখার ইচ্ছে জাগলো খুব । দেখা যাক লেখা যায় কিনা !

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার হাতে তো গল্প জমে অঠে মুহুর্তে। শুধু ভাবনা কুঠুরিতে একটু নাড়াচাড়া দিলেই হয়।
আগে রিক্সা চালকদের সাথে অনেক গল্প করতাম- কিছু সত্য মিথ্যার পাশাপাশি চমকপ্রদ কাহিণীও উঠে আসত তাদের কথায়।
এই সিরিজে ভালো-মন্দ সব মিলিয়েই গল্প গুলো আছে।
সাথে থাকবেন বরাবরের মত-ধন্যবাদ।

অফ টপিকঃ একটু আগে মন খারাপ করার মত একটা নিউজ দেখলাম; দুই বাংলার জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক 'সমরেশ মজুমদার' আই সি ইউ তে চিকিৎসাধীন আছেন।

২০| ০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১২:৫২

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: চমৎকার গল্প। আমিও রিক্সাওয়ালাদের সাথে মাঝে মধ্যে গল্প করতাম। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি তাঁদের একজনের সাথে ধর্ম বিষয়ে কথা বলতে যেয়ে তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তি দেখে অবাক হয়েছিলাম। আমাদের বাসার সামনে এক ড্রেন ছিল, তাঁর জন্য এক মেথরকে নিয়ে আসতাম পরিস্কার করার জন্য, তাঁর রাজনীতি নিয়ে জ্ঞান দেখে আমি ওবাক হয়েছিলাম, সে ছাত্র ইউনিয়ন করতো সত্তুরের দশকে।

০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি! তাহলেতো ভ্রাতা আপনার থলিতে অনেক গল্প জমে আছে ওদের নিয়ে।
এখুনি লিখে ফেলুন -না হলে পরে স্মৃতি বিশ্বাসঘাতকতা করবে।
একজন মেথরের এমন একটা বিরল গল্প পাবলিকলি বলা উচিৎ।

মন্তব্যে আসার জন্য ও দারুন দুটো ঘটনা শেইয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন নিরন্তর!

২১| ০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,



ইদানীং ব্লগে খুব একটা আসা হয়ে ওঠেনা। আজ একবার সকালে ( যেখানে এখন আছি) ঢুঁ মেরে আপনার লেখাটিই ব্লগের প্রথম পাতার শুরুতেই দেখে গেছি। আর এখন লগইন করেছি মন্তব্যটি করতে। অনেকের লেখাই পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। এই মন্তব্যটি করে সেসব পোস্টেও হয়তো যাবো।

তো এই পোস্ট বাস্তব জীবনের একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। মানুষের যে কতো রূপ!
এবার এক রিক্সাওয়ালার কথা বলি - তখন ছাত্র এবং পাশাপাশি সাংবাদিকতা করছি। প্রেস ক্লাবে আড্ডা দিয়েই দিনের বেশির ভাগ সময়টা কাটে। বন্ধু বান্ধব মিলে চা-সিগ্রেট-সিঙারা ভাগাভাগি করে খাওয়ার মতো আনন্দ আজও কোথাও পাইনি। যাক, যা বলছিলুম ---- সক্কাল বেলা উঠেই নাস্তা সেরে বেলা নয়টা দশটার মধ্যে প্রেসক্লাবের আড্ডায় পাছা ছোয়াতে না পারলে দিনটাই মাটি হয়ে গেছে মনে হতো তখন। একদিন সকাল থেকেই অঝোর বৃষ্টি।
বেলা নয়টা সাড়ে নয়টা বাঝে। " ঘরেতে আর মন নাহি রয়" অবস্থা। কি করি! পাশের বাসায় থাকা বন্ধু হারুন আমার নিত্য দিনের সঙ্গী। পকেটে চার আনা ( অনেক পয়সা তখন) নিয়ে ওকে সাথে করে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বেরুলাম। লাগোয়া বাসাবাড়ীর বারান্দা - টিনের চালের আড়ালে আড়ালে বৃষ্টি বাঁচিয়ে গলির মাথার মতি মিয়ার মুদি দোকানের ঝাঁপের তলে এনে দাঁড়ালুম। বৃষ্টির যে অবস্থা ইহজন্মে থামবে মনে হয়না। সিগ্রেট খেতে খুব ইচ্ছে করছে এখন। কিন্তু পকেটের রেস্ত যা তাতে হাত দিলে প্রেস ক্লাবের পাশে থাকা "রুচিতা" রেষ্টুরেন্টে বসে দু'জনে ভাগাভাগি করে দু' আনার এককাপ চা আর এক আনা দিয়ে "ষ্টার" সিগ্রেট ঐ একবারের বেশি আর খাওয়া যাবেনা। তাহলে দুপুরে বাসায় খেতে যাবার আগ পর্য্যন্ত আড্ডা বজায় রাখতে হলে চা-সিগ্রেটের কি হবে? হারুনের পকেট গড়ের মাঠের মতো ফাঁকা। কি করি ? এই বৃষ্টিতে প্রেসক্লাবে যেতে হলে রিক্সা ছাড়া আর গতি নেই। বরিশাল সদর রোডের টাউন হলে থাকা প্রেসক্লাবে যেতে হলে রিক্সা ভাড়াই চার আনা। (অবাক লাগছে আপনাদের ? ) এর মধ্যে দু'চারটে রিক্সাওয়ালা, যাবো কিনা জিজ্ঞেস করে হতাশা নিয়ে ফিরে গেছে। ভাবছি, রিক্সায় গিয়ে পকেট খালি করার কোনও মানে নেই। বৃষ্টি থামলে হেটেই যাবো রোজ যেমন যাই! ওদিকে বৃষ্টি থামার লক্ষন নেই। অধৈর্য্য হয়ে উঠছি দু'জনেই। অথচ টাউনহলে যেতে হবেই। এই সময় এক অপেক্ষাকৃত তরুন রিক্সাওয়ালা এসে আমাদের দেখে থামলো। বললো - "মাশসাইব ( মাষ্টার সাহেব), যাইবেন কৈ আম্নেরা ?" মেজাজ ভালো নেই রিক্সায় যাওয়ার মতো পয়সা নেই বলে। তাই নিজেদের অক্ষমতা বুঝতে না দেয়ার জন্যেই সেই রিক্সাওয়ালাকে ভাগিয়ে দিতে রস করে বললুম - " এই বিস্টিতে আর কৈ যামু মিয়া জাহান্নাম ছাড়া ?" সাথে সাথে এক মূহুর্ত না ভেবেই রিক্সাওয়ালার জবাব - " চলেন মাশসাইব ঐহানেই লৈয়া যাই!"
বেশ মজা লাগলো তার ঐ বুদ্ধিদীপ্ত কথায় । বললুম - "চলো তাহলে ঐখানেই যাই।"
গল্প করতে করতে রিক্সাওয়ালা আমাদের টাউনহলের প্রেসক্লাবে নামিয়ে দিলো। পকেট থেকে শেষ সম্বল চার আনা বার করলুম তাকে দেবো বলে। আমাদের অবাক করে দিয়ে রিক্সাওয়ালা বললো - "মাশসাইব আপনারা ছাত্র মানুষ । পয়সার টানাটানি আছে । পয়সা দেয়া লাগবেনা । আমিও আপনাগো টাইন্না মজা পাইছি..." । রিক্সাওয়ালা চলে গেলো সেই বৃষ্টির ভেতরে এক দেবদূতের মতো!

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: আমি এই বিষয়টা না লিখলে হয়তো আপনার এই ঘটনাটা আড়ালেই থেকে যেত- জানা হোত না কোনদিন।
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ঢাকার প্রেসক্লাব- তাই একটু অবাক হচ্ছিলাম!
আহা বন্ধুদের সাথে চা, সিঙ্গারা আর সিগারেট ভাগ করে খাবার মজা আর কোনকিছুই মিলবে না কোনদিন। একদম ঠিক
'মাশসাইব' কথাটা প্রথম শুনলাম। ইদানিক আপনি ব্লগে ফাঁকি দিচ্ছেন। আপনার ঘটনাবহুল দীর্ঘ জীবনের অনেক গল্প কাহিনী থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা।
দারুন এই ঘটনাটা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

২২| ০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একদিন বাস স্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে রিকশা ঠিক করতে অপেক্ষমান রিকশাওয়ালাদের দিকে তাকাচ্ছি, এমন সময় এক রিকশাচালক আমার কাছে এসে বলল, উঠেন। আমি গন্তব্যের ঠিকানা বলতে যেতেই সে হরহর করে বলে দিলো। আমি অবাক হওয়ার সুযোগ পেলাম কই? তাকে ভাড়া জিজ্ঞেস করার আগেই সে বলল, "বিশ টাকা"। আমি প্রশ্ন করার আগেই সে উত্তর দিলো, "গত তিনদিন ধইরা আমি আপনারে নিয়া যাই, আপনে হয়তো খেয়াল করেন নাই"। আমি প্রচন্ড আবেগে আপ্লুত হলাম, উনার একটা ছবিও তুলেছিলাম মোবাইলে। এখন হাতের কাছে নাই, থাকলে শেয়ার করা যেত।

আরেকবার অফিস থেকে ফিরে রিকশা ভাড়া দেয়ার সময় অফিসের দামী নোটবুক রিকশার সিটে রেখে মানিব্যাগ বের করে ভাড়া দিতে গিয়ে ভুলে সেটা আর না নিয়ে বাসায় ফিরি। বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে চা খাওয়ার আগে মনে হল আমার নোটবুক গেল কই? একটু চিন্তা করতে মনে পড়লো, রিকশায় ফেলে এসেছি... গেল, সে কি আর ফিরে পাবো। কি মনে করে বাসা হতে বের হয়ে গলির মুখে এসে আশেপাশে তাকাচ্ছি, দেখি একপাশে হতে একটা রিকশাচালক আমাকে ডাকছে। তার কাছে যেতেই সে বললো, "আপ্নে ভাড়া দিয়া যাওয়ার পর দেখি সিটের উপর এইটা পইড়া আছে। ভাবলাম যেহেতু গলিতে গেছেন, নিশ্চয়ই এখানেই থাকেন। না পাইলে বাইরে আইবেন। তাই বইসা আছি।" মুড়ি মাখানো কিনে আয়েশ করে খাচ্ছিলো। তাকে কিছু টাকা দিতে গেলে সে নিতে অস্বীকৃতি জানালো। গরমের দিন ছিলো, জোর করে তাকে একটা কোল্ড ড্রিংক্স কিনে হাতে ধরিয়ে বাসায় ফিরলাম।

রিকশাচালকদের নিয়ে অনেক অনেক স্মৃতি আছে, শৈশব আর কৈশোর কেটেছে যে এলাকায় সেখানে ছিলো রিকশার গ্যারেজ, দু দুটো। অনেক রিকশাচালকের সাথে তখন মিশেছি, কাছের থেকে তাদের দেখেছি। হাজারো গল্প আছে তাদের নিয়ে। এমনও রিকশা চালক দেখেছি, যে শুধু নেশার টাকা যোগাড় করতে রিকশা চালাতো। নেশা কেটে গেলে রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পরতো; প্রয়োজন মাফিক টাকা হয়ে গেলেই নেশার দ্রব্য যোগাড় করে ফের নেশার জগতে তলিয়ে যেত।

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: বাপরে!! রিক্সা নিয়েতো আপনার কাড়ি কাড়ি ঘটনা জমে আছে- আমিতো নস্যি।
আপনার হারিয়ে যাওয়া জিনিস ফেরত পাওয়া নিয়ে আমারও একতা গল্প আছে- তবে একটু রহস্যময়। তিন চাকায় বাঁধা জীবনের প্রথম গল্প সেটা। এখানে একটু উলটে পালটে দিয়েছি।
প্রথম ঘটনাটাও মজার; এতটা ভুলোমনের আপনি!! :)
চমৎকার কিছু ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সামনে এই নিয়ে আপনার বড় কলেবরের একটা লেখা পাবার আশা করতেই পারি। ভাল থাকুন।

২৩| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: কিন্তু সে ভাড়া না নিয়ে কেন রিকশা চালায় এই বিষয়টা বুঝলাম না।

০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: শারিরিক ফিটনেসের জন্য- সেটাতো উল্লেই করেছি কামাল ভাই। ভাড়া হয়তো নেয় সে- কিন্তু আমার সাথে একটা আন্তরিক সম্পর্ক হবার জন্য নিতে চায়নি।

২৪| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: কিন্তু তার আত্মিয় স্বজন অনেকেই চার তলা বড়ির মালিকের সম মানের।তারা যদি কেউ দেখে ফেলে।

০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: সে অল্প বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিল। সম্ভবত এখানে তাঁর কেউ ছিল না - আর সে শুধু খুব ভোর বেলা থেকে দু-চার ঘন্টা রিক্সা চালাত।

২৫| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

ইসিয়াক বলেছেন:






একজন রিকশাচালক ভাইকে নিয়ে চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা আছে। সেই ঘটনা নিয়ে একটা গল্পও লিখেছি কিছু দিন আগে।
পোস্ট ভালো লেগেছে।
শুভকামনা রইলো।

০১ লা মে, ২০২৩ রাত ৮:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। আপনার সেই গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম...
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন

২৬| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মানুষের স্বপ্ন আর সে ইচ্ছে পূরণে যদি প্ররিশ্রম করে তা তখন মানুষকে একসময় সাফল্য এনে দেয় সে প্রমাণ করতে পেরেছে আপনার গল্পের এই ভ্দ্রলোক। অনেক সুন্দর করে লিখা বাস্তব গল্পটি আরাম করে পড়ে নিলাম।

০১ লা মে, ২০২৩ রাত ৮:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হলাম। আমার সৌভাগ্য যে এমন ব্যতিক্রমী এক চরিত্রের সাথে পরিচয় হয়েছিল।
আশা করি বাকি পর্বগুলোতে সাথে থাকবেন।
শুভকামনা রইল।

২৭| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার একটা ছোট পোস্ট পেলাম তাই ভাবলাম একটা অভিজ্ঞতা রেখে যাই।

আপনার গল্প ২০০০ সালের আর আমারটা ৮০ দশকের। তখন আমি প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র। ঘটনা ক্লাস ফোর এবং ফাইভের মধ্যে হবে। আমার বাসা থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় 2.5 কিঃমিঃ, হেঁটেই যাতায়াত করতাম। সেসময় মাঝেমধ্যেই একজন (এই মানুষ একজন না বিভিন্নজন কখনও খেয়াল করিনি ) রিক্সা চালক আমাকে তার রিক্সায় করে অনেকটা পথ এগিয়ে দিত। ব্যাপারটা এমন হতো, আমি হেঁটে যাচ্ছি পেছন থেকে এসে বলে রিক্সায় উঠো কিছুদুর তোমাকে এগিয়ে দেই, আমি উঠে চলে আসতাম। নেমে কিছু টাকা অফার করবো তেমন কোন পরিস্থিতিও ছিল না। আমি স্কুলেই যেতাম ৫ পয়সা বা ১০ পয়সা হাতে নিয়ে।
আপনার গল্পটা রূপকথার মতো মনে হলেও ভালো লেগেছে। গল্পের নায়কের বয়স উল্লেখ থাকলে কল্পনা করতে সুবিধা হতো।
ধন্যবাদ।

০১ লা মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেকদিন পরে আপনার দেখা পেলাম আমার ব্লগে। বেশী বড় লেখার জন্য এ পথ আর মাড়ান না মনে হয় :(

মফস্বলের রিক্সা চালকেরা অনেক বেশী মানবিক ছিল- ওদের চাহিদাও কম ছিল। পাড়া মহল্লায় যারা রিকশা চালাত তারাও অনেক আন্তরিক ছিল।

লোকটার বয়স তখন ৪৫-এর মত হবে। জ্বী কিছু রূপকথা এমনই হয়। পরের পর্বগুলোতে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। ওহ্‌ নিজের গল্পটুকু শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

২৮| ০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১০:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা ! ভাবলাম আবার কৈতক কিনা !!!!
খুব ভালো লাগলো জীবনের গল্প। আশা করছি বাকিগুলো শেয়ার করবেন।

০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ঘরনার কৈতকতো আপনার পছন্দের না। আপনি এসেছেন দেখে কি যে প্রীত হলা আহা !!!

বারে বারে ঘুরে ফিরে এভাবে আসবেন।

২৯| ০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার কাছে কোন সঠিক উত্তর নাই। ধারণা করে বলছেন।

০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় কামাল ভাই- আপনি পুরো লেখাটা পড়েন নাই সম্ভবত। দয়া করে আরেকবার পড়ুন, এর বেশীরভাগ প্রশ্নের উত্তর আছে।
আর দু দশমিনিট কথা বলে এত বিস্তারিত কি জানা যায়??

৩০| ০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্লাস থ্রিতে পড়ি ১৯৮১ সালে। আমি আর আমার ছোট ভাই স্কুলে যেতাম রিক্সায় চড়ে। ভাড়া নিত ৫০ পয়সা বা ১ টাকা। যেতে লাগতো প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। আমার ধারণা এখন হলে ভাড়া হতো ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা।

০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: হুম এক সময় মফস্বলে রিকশায় আর কে চড়ত। রক্সা চালক সারাদিন চালিয়ে দু মুঠো অন্ন জোগার করতে হিমশিম খেয়ে যেত।
এখন অনেক রিকশাচালকের পাকা বাড়ি আছে। স্বাচ্ছন্দে জীবন কাটায়। আমার এক গল্প আছে একজন বাস ড্রাইভারি ছেড়ে রিক্সা চালাচ্ছে !!

৩১| ০৩ রা মে, ২০২৩ ভোর ৫:৩৪

জটিল ভাই বলেছেন:
গল্পটা যতোটা ভালো লেগেছে তারমাঝে "জটিল" শব্দটির বিচরণ আরো ভালো লেগেছ =p~
যদিও ভয় হয়, তা না আবার আপনাকে জটিল কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন করে :P
জটিলবাদ প্রিয় ভাই :)

০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমার লেখা ' কাগদা তো-ভ রাশিয়া' পড়েছেন?
সেই ঘটনা থেকে জটিলতম পরিস্থিতি আর কি-ই বা হতে পারে!!

পরের পর্বগুলো সাথে থাকবার আনুরোধ রইল। আর আপনার কাছ থেকে জটড়িল কিছু লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

৩২| ০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

শায়মা বলেছেন: বাপরে রিক্সাওয়ালার তারপরে আবার সুখী মানুষ এবং চার তলা বাড়ি।


অনেক ভালো লাগা ভাইয়া।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: তা আর কইতে আফা। :)

এই পোস্টে এসেও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

দারাশিকো বলেছেন: যেদিন প্রকাশ করেছিলেন এই পোস্ট, তখনই পড়ার চিন্তা ছিল - নানা ব্যস্ততায় পড়া সম্ভব হয়নি। আজ পড়লাম - গল্পটা অবাস্তব না, ঢাকা শহরে শতাধিক রিকশার মালিক এমন লোকের সংখ্যা কমও না। সমস্যা হলো - আপনার এই লোকের মতো তারা স্বপ্ন দেখতে পারে না, ফলে সম্পদ গড়লেও রাখতে পারে না। ছেলে মেয়েদেরকেও তৈরী করতে পারে না। এ্ই লোক সফল।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১১:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: সহমত প্রিয় ব্লগার।
আপনাকে দেখলে মনে হয় ঘরের মানুষ ফিরে এসেছে। বড় আরাম পাই। আরেকটু নিয়মিত হউন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.