| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেরজা তপন
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
( রাজনীতিবিদদের জন্য অগ্রীম সতর্কতাঃ এরা হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে এক হাত হারিয়ে হাসতে হাসতে বলে যখন,দেশের জন্য প্রয়োজন হলে আরেক হাত দিব- তখন কি আপনাদের মনে হয়; শুধু আলু পটোলের দামের জন্য এরা এই ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত? মিলেনিয়াম, জেন জি আর আসছে আগামীর আলফা প্রজন্মের পালস বোঝার চেষ্টা করুন। না হলে আপনাদের দশা হবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার থেকেও করুণ।)
তারেক জিয়া যা বলবে সেইটাকে বেদবাক্য মেনে আপনাদের অন্ধ সাপোর্ট করা মেনে নিতে পারছি না।
আমি নিশ্চিত তারেক জিয়া যদি বলত এইমুহুর্তে গনভোট দেশের জন্য অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ আপনারা সবাই সেই কথা সাপোর্ট করতেন- ইনিয়ে বিনিয়ে তার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরতেন।
মানুষ শুধু মোটা ভাত মোটা কাপড় আর মাথা গোঁজার ঠাই চাইলে হাসিনা্র আমল খারাপ কি ছিল? এলিটের খোলস থেকে বেরিয়ে আসুন। তথাকতিথ সাধারন মানুষ এখন অনেক বোঝে।
আপনারা আদ্যির পাঞ্জাবী পড়ে জমকালো গাড়িতে চড়ে - একগাদা হনুমানের 'হুপ্ হাপ্' হুঙ্কারের সাথে মঞ্চে আসীন হয়ে কোর্মা পোলাওয়ের ঢেকুর তুলতে তুলতে, লাখ টাকার সেলফোনে ' সোশ্যাল মিডিয়া'তে নিজের গুনগানের আখ্যান দেখতে 'জনগন মোটা ভাত আর কাপড়ের জন্য হাহাকার করতেছে' এই চিন্তায় হাউমাউ করে কাদবেন আর চিরায়ত প্রথায় সেই আর্য আর ইতরের ভাগ করবেন, সেই দিন শেষ হয়ে আসছে। ভবিষ্যত প্রজন্ম যে কোন দাবানল নিয়ে আসছে সেটা কল্পনাতেও নাই আপনাদের।
( এখানে ভবিষ্যতে দিল্লীর পরিবর্তে লন্ডন ও হতে পারে।)
ভারত থেকে ঋত্বিক ঘটক, সুনীল, জ্যোতি বসু এই দেশে তাদের বাপ দাদার জমিদারির ভিটা দেখতে এসে তাদের সেই সুখের দিনগুলোর কথা তুলে আবেগার্ত হয়ে যায় আর আমরা অতি আবেগে কেঁদে বুক ভাসাই। কেউ বলে না তাদের জমিদার বাপ ঠাকুর্দা-রা কি পরিমান অত্যাচার করেছে। আপনারা যে ভাবে যে যুক্তিতেই বলেন না কেন তারেক দুধে ধোয়া তুলসী পাতা নয়, তার ও তার দলের অতীতের অপকর্মের দায়ভার নিয়ে তবে এইসব 'আম জনতা'র চিন্তায় ঘুম নাই এই জাতীয় ডায়লগ ঝাড়তে হবে।
তারেক যা বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের চাটুকারেরা আহা কি ডায়লগ বলে 'চিক্কুর' দেয়।
সাহেব কহেন, ‘চমৎকার! সে চমৎকার!’
মোসাহেব বলে ‘চমৎকার সে হতেই হবে যে!
হুজুরের মতে অমত কার?’
সাহেব কহেন, ‘কী চমৎকার,
বলতেই দাও, আহা হা!’
মোসাহেব বলে, ‘হুজুরের কথা
শুনেই বুঝেছি, বাহাহা বাহাহা বাহাহা!’
...
সাহেব কহেন, ‘কী বলছিলাম,
গোলমালে গেল গুলায়ে!’
মোসাহেব বলে, ‘হুজুরের মাথা! গুলাতেই হবে!
দিব কি হস্ত বুলায়ে!’
ফক্কু চাচ'য় কয় আওয়ামীলীগের সব মামলা আমরা তুলে নিব। আমরা থাকতে আপনাদের গায়ে কেউ ফুলের টোকাও দিয়ে পারবে না। ( কি আমার নাপিত রে পনের বছর কোন রকম জান বাচানো ফরজ বইলা নিজেরাই দৌড়ের উপ্রে থাকলেন এখন 'রবিনহূড' সাজছেন)
( কেউ রেফারেন্স চাইলে এই ভিডিওর ৭ মিনিট থেকে দেখুন।)
সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলাপাইন যখন মাইঙ্ক্যা চিপায় ফেলাইলো তখন কয়, আমি বলেছি শুধু যাদের বিরুদ্ধে হয়রানীর মামলা আছে তাদের কথা , পরে আবার ভোল পাল্টাইলো; আমিতো আমার এলাকা মানে ঠাকুরগায়ের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কথা শুধু বলেছি।
জনগন সেই গাণ্ডু নাইরে মামা! ডিজিটাল দুনিয়ায় এখন ডিলিট আর এডিট বলে কিছু নাই- এইগুলা শুধু সান্তনা! অতএব সাধু সাবধান!!
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: সহমত। একথা অনেক গুণীজনেরাও বলছেন। ধন্যবাদ
২|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: ঋত্বিক ঘটক এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কেউই জমিদার পরিবারের সন্তান নন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাবা ছিলেন দরিদ্র স্কুলমাস্টার। মাদারীপুরের এক গ্রামে সুনীলের জন্ম। তাঁর মামারা কলকাতাবাসী এবং সম্পদশালী ছিলেন যেটা "একা এবং কয়েকজন" উপন্যাসে সুনীল লিখেছেন। দেশভাগের পরে তাদের পরিবার কলকাতায় সেই মামাদের বাড়িতে বেশ কিছুকাল অবস্থান করেছিল। তারপরে কলকাতাতেই স্কুলমাস্টার একটা চাকরি পায়। সুনীলের আত্নজীবনী "অর্ধেক জীবন" এ কলকাতায় তাদের ভাড়া বাড়ির বর্ণনা আছে। ২৫ বা ৩৫ টাকা ভাড়ার একটা বাড়িতে ৮-১০ জন একসঙ্গে থাকতেন। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে কবিতার খাতা নিয়ে বসতেন।
ঋত্বিক ঘটকের পরিবারও জমিদার ছিল না, তবে তাঁর পিতা ব্রিটিশ সরকারের ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, সে হিসেবে বিত্তশালী। তাঁর জন্ম ঢাকায়, কিন্তু তাঁর স্মৃতিতে রাজশাহীর বর্ণনাই বেশি। এখানেই তার পিতা বাড়ি কিনেছিলেন আর রাজশাহী কলেজ থেকে ঋত্বিক আই পাশ করেন।
এদের কারো বাপ-ঠাকুর্দাই বাঙলার মানুষের ওপর কোন অত্যাচার করেননি। এদের নামে মিথ্যা গল্প বানিয়ে আপনি মূলত জামাতিদের বর্ণবাদী এবং জঙ্গি বয়ান প্রমোট করছেন!
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: @ শ্রাবণধারা আপনি বিষয়টাকে দেখি একেবারেই ব্যক্তিগতভাবে সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়েছেন। এটা জাস্ট চটুল উদাহরণ মাত্র! আমি নিজেও কখনো তাদেরকে এভাবে বলতে বা করতে দেখিনি। আপনার মন্তব্য আসল বিষয় থেকে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরানোর জন্য যথেষ্ট। তবে ভাই সুনীলের সম্বন্ধে আপনার মনে হয় জানার একটু ঘাটতি আছে আরেকটু ভালোভাবে জানুন।
আপনি বলতে চাচ্ছেন; জমিদাররা কখনোই অত্যাচার করেনি?
৩|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০২
মামুinসামু বলেছেন: "হুজুরের মতে অমত কার"... হুজুরদের লাভের সাথে যারা লাভবান হয় তারাই তো মোসাহেবী করবে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু মানুষ লাভ ছাড়াও করে। আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছে- এরা অতি কট্টর!
৪|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এবার কি তবে জামাতকে ভোট দিব তপন ভাই? আপনি কাকে ভোট দিবেন বা কাকে ভোট দিলে ভালো হয় বলে মনে করেন?
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা কি প্রশ্ন করলেন!! আওয়ামীলীগ/বিএনপির বিরোধীতা করা মানে জামাতের সাপোর্ট?
তবে জামায়াতকে ভোট দেয়া তো অপরাধ নয়- নাকি? বাংলাদেশের কোনও দলই এখনো জনগনের দল হয়ে উঠতে পারেনি- এবং এর নুন্যতম চেষ্টাও নেই।
আর আপনি আমার থেকে বেশী না হলেও কম বোঝেন না- আমি আপনাকে পরামর্শ দেব কোন স্পর্ধায়!
৫|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আওয়ামীলীগ/বিএনপির বিরোধীতা করা মানে জামাতের সাপোর্ট না। কিন্তু মেথড অফ এলিমিনেশনে জামাতই তো এসে দাঁড়ায়।
আপনি জিজ্ঞাসা করেছেন, জামায়াতকে ভোট দেয়া অপরাধ কি না। আমি কি বলেছি যে অপরাধ? আমি শুধুমাত্র জানতে চেয়েছি যে সব বাদ দিলে জামাতই সর্বোত্তম বিকল্প হয় কি না।
পরামর্শ চাইতেই পারি। আপনি তো আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। আর যেহেতু ব্যবসা করেন, তাই বাস্তববুদ্ধি বেশি। দুনিয়াকে দেখেছেনও বেশি। পরামর্শ দেয়াটা স্পর্ধা না। দিতে পারেন নির্দ্বিধায়।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আমার প্রতিমন্তব্যটা দেখেন; তবে জামায়াতকে ভোট দেয়া তো অপরাধ নয়- নাকি? এটা আমার উত্তরের সাথে আপনার মতামতের জন্য একটা প্রশ্ন করা।
গত দুইবার আমি লীগের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলাম। জামায়াতের কিছু বিষয় সাপোর্ট করলেও জামায়াত আমার পছন্দের দল নয়- ক্ষমতায় এসে ওরা ভোল পালটে দিতে পারে, বি এন পি'কে তাও কিছুটা প্রেডিক্ট করা যায় তবে জামায়াত আন প্রেডিক্টেবল একটা দল। আমার সাপোর্ট ছিল তরুনদের দলের প্রতি, অনেক সপ্ন ছিল ওদের নিয়ে। কিছু পোস্টও দিয়েছিলাম ওদের পক্ষে- কিন্তু ওরাও দিন শেষে ' সব শেয়ালের এক রা'।
আমি নিজেই চরমভাবে হতাশ! আপনাকে আর কি পরামর্শ দিব।
৬|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: লীগের আমলে লীগ সমর্থকেরা একটা বয়ান জারী রেখেছিল যে, '' আপা ভাল , কিন্তু উনাকে মিসগাইড করেছে উনার চারপাশের লোকজন''। আপা পালানোর পর যখন একের পর এক কল রেকর্ড ফাশ হল, তখন কি দেখছি আমরা ? ঠিক একই অবস্থা বিএনপি সমর্থকদের। ''বিদেশে থাকায় তারেক দেশের অবস্থা ঠিক বুঝতে পারছেন না!! সব দোষ মির্জা ফখরুল আর সালাউদ্দিনের! উনারা মিসগাইড করতেছে!! বিএনপির এইসব নেতাদের সাথে তারেক রহমানের কল রেকর্ড ফাশ হলে আলু চাষীর দুঃখে কাতরের রহস্যও বের হয়ে যাবে
যাই হোক মুল দোষ ইন্টারিম সরকারের। তারা কেন বিএনপির সব জনস্বার্থবিরোধি আবদার মেনে নিচ্ছে।? এদের চেপে ধরা ধরকার। এনসিপি এই ইস্যূতে শক্ত অবস্থানে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ বিক্রি হয়ে গেছে পুরোপুরি। এই দুই বেইমান এনসিপির শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতাকেও কিনে ফেলে , দলের মাঝে ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু বিক্রি হয়ে গেছে আর কিছু বিক্রি হবার জন্য বাজারদর বাড়াচ্ছে। তবে আমি বিশ্বাস করতে চাই 'এখনো কিছু ভালো মানুষ রাজনীতিতে আছে'।
আমরা সঠিক সময়ের সঠিক মানুষের জন্য অপেক্ষায় রইলাম...
৭|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৭
রাসেল বলেছেন: আমাদের দেশের স্ব-দাবীকৃত ভালোমানুষদের কথা শুনে এবং কাজ দেখে, রজনীকান্ত সেন গানটি মনে পড়ল-
তুমি আমার অন্তঃস্থলের খবর জান,
ভাবতে প্রভু আমি লাজে মরি!
আমি দশের চোখে ধুলো দিয়ে
কী না ভাবি আর কি না করি!
----------------------------
যেমন পাপের বোঝা এনে প্রাণের আঁধার কোণে রাখি
অমনি চমকে উঠে দেখি, পাশে জ্বলছে তোমার আঁখি
তখন লাজে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে চরনণতলে পড়ি
বলি‘বমাল ধরা পড়ে গেছি ; এখন যা কর হে হরি ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কবিতার মর্মার্থ বুঝতে গিয়ে বে-দিশা হয়ে গেলাম!!
তবে রজনীকান্ত সেন চমৎকার বলেছেন সেটা মেনে নিতেই হয়।
৮|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
হ্যালো ফ্রেন্ডস, কেমন আছে শেরজা এবং হাসান।
পোষ্ট এবং দুজনের মন্তব্য পড়লাম।
জামাতকে ভোট দেয়া আসলে একধরণের অপরাধ, যদি দেশের মঙ্গল চাই।
ধর্মীয় আইন কখনও একটা দেশের রাষ্ট্রীয় আইন হতে পারেনা বা হওয়া উচিত না।
মেয়েরা যেখানে স্পেসে চলে যায়, সেখানে আমাদের বাংলার নারীদের পাঁচ ঘণ্টা কাজের কথা বলে বাক্সবন্দী করতে চায়।
যে দল এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী মন্তব্য করে, তাদের ভোট দেয়া মানে নিজের দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে অপরাধী হওয়া।
বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে, আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নারী পুরুষ একসাথে কাজ করতে হবে। জামাত হচ্ছে সেই চলার পথের বাধা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যে লাইকের বন্যা!!
আমার লেখা থেকে লোকজন বেশি আপনার মন্তব্য পছন্দ করেছেন। এখানে উত্তর দেবার মত বেশি কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।
আপনার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে কেন জামায়াতের মত ধর্মীয় দলগুলোকে ভোট দেয়া যাবে না। এসব যুক্তির কিছু কিছু অংশ খন্ডন করতে চাইলে বিশাল প্রবন্ধ লিখতে হবে। তর্ক বিতর্ক বাদ দিয়ে তবে আপনার কথা মেনে নিয়েই জানতে চাচ্ছি, আমরা এখন কার উপরে ভরসা করতে পারি?
@ বহুদিন পরে আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে দারুন ভিডিও আনন্দিত হলাম!
৯|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
হাসান মাহবুব আর মেঠোপথ২৩ এর মন্তব্য এবং আপনার জবাব পড়ে " জুলভার্ন" এর সাম্প্রতিক পোস্টে আমার করা নীচের মন্তব্যটি প্রাসঙ্গিক বলে তুলে ধরছি-----
৭১ এর পর থেকে দেশে যা যা ঘটেছে এবং এখনও ঘটে চলেছে তাতে একজন নাবালকও বুঝতে পারে, এদেশের রাজনীতিকরা কখনও মানুষের জন্যে কথা বলেনি, মানুষের জন্যে রাজনীতি করেনি। সব দলের নেতারাই নিজেদের আখের গোছানোর কাজটিই করে গেছেন।
সামনের সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে কেবলমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে তাদের নিজেদের ভেতরের কামড়াকামড়ি দিন দিন বেড়েই চলেছে । এতে দেশের ভবিষ্যত যে অন্ধকারে ঢেকে যাবে তা তেনারা ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না বা ক্ষমতায় যাওয়ার উদগ্র লোভে চোখে দেখছেন না।
দেশ ও জনমানুষের আকাঙ্খার কথা ভাবার মতো বিবেচনাবোধ সম্পন্ন-প্রজ্ঞাবান কোনও নেতা কি কখনও ছিলেন বা এখন আছেন? নেই , ছিলোনা কোনও কালেও। এখানেই আমাদের হতাশা আর দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়। আর এই ফেলার শুরুটা হয় “ভোট” দেয়ার মধ্যে দিয়ে । যার অংশগ্রহনকারী আমরা জনগণ, আবার কিছুদিনের মধ্যেই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে হেচকিও তুলে ফেলি আমরা জনগণই । যার কেচ্ছা কাহিনী ব্লগের পাতাতে তো বটেই পত্র-পত্রিকাতেও আমরা প্রতিদিনই দেখতে পাই । প্রতিদিনের খবরের কাগজের পাতাতে আমাদের স্বপ্নপুরনের কোন কথা নেই বরং স্বপ্ন ভঙ্গের ফন্দিফিকিরেরই জয়গান সেখানে । দেশের দক্ষিনাঞ্চলে একটি পুরোনো প্রবাদ আছে –
“ ডিম পাড়ে হাসে, খায় বাঘডাঁশে (বড় বন-বেড়াল)” ।
রসিকতা করে বলা হলেও কঠিন একটি সত্য ধরা পড়েছে এতে । আপনার পরিশ্রমের ফসল চলে যাচ্ছে অন্যের পেটে, এই সরল সত্যটিই প্রবাদটির উপপাদ্য । আমরা ডিম (৭১, ৯০, ২৪ সহ সকল গণঅভ্যুত্থান) পেরেই যাচ্ছি আর সব ডিমই খেয়ে ফেলছে রাজনীতিকরা!
ভেবে দেখুন, ভোট সর্বস্য এই রাজনীতিতে আমরা কি পেয়েছি ?
গনতন্ত্র পেয়েছি বলে আনন্দে বগল চাপড়ানো একদল সুবিধাবাদী সুশীল শ্রেনী পেয়েছি । দেশের সম্পদ লুট এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার উজার করে পয়দা হওয়া হাযার খানেক কোটিপতি পেয়েছি । আর “ভাত দে হারামযাদা” বলা এক জনগোষ্ঠী পেয়েছি। এই তো আমাদের অর্জন!!!!
তাই ভোটের জন্যে আমার নিজের কোনও মাথাব্যথা নেই। তথাকথিত রাজনীতিকদের নিয়েও কোনও আশাবাদ নেই।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০০
শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় ভাই, আপনার মন্তব্য মানেই অন্যরকম কিছু। আপনাড়া সুদীর্ঘ সময় ধরে পোড় খাওয়া ঋদ্ধ ব্লগার, এক জীবনে তো কম দেখলেন না! বড্ড অভাগা কিংবা 'অধিক সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট' হওয়া জাতি আমরা। সেই সাথে ভয়ঙ্কর এক মানসিকতার মানুষ আমরা। কেউ কিছু ভিন্ন কথা বললে বা ভিন্নভাবে চিন্তা করলেই চমৎকার কিছু ট্যাগ দিয়ে ও তার চরিত্র হরন করে খাদের কিনারায় টেনে নামিয়েছে এ জাতি।
সঠিক ও শুদ্ধভাবে ভাবার মানুষ তো কিছু অবশ্যই ছিল; কিন্তু এদেশের রাজনীতির এই পঙ্কিল রাস্তায় নামতে চাননি তারা।
'নরকের এক দিকের দেয়াল ভাঙ্গা, স্বর্গের দ্বাররক্ষী কড়াভাবে নোটিশ করল নরকের রক্ষীকে।
নরকের রক্ষী হেসে বলল, সমস্যা নেই জনাব, ওদিকটায় আমি সব বাঙ্গালীদের রেখেছি- চিন্তা করবেন না ওই ভাঙ্গা দেয়াল দিয়ে কেউ স্বর্গে পালাতে চাইলেই পেছন দিক থেকে সবাই মিলে টেনে ধরবে।''
পরিশেষে আপনার মন্তব্যের ফের কয় লাইন তুলে ধরছি চমতকারভাবে সত্য কথাগুলো তুলে ধরবার জন্য।
৭১ এর পর থেকে দেশে যা যা ঘটেছে এবং এখনও ঘটে চলেছে তাতে একজন নাবালকও বুঝতে পারে, এদেশের রাজনীতিকরা কখনও মানুষের জন্যে কথা বলেনি, মানুষের জন্যে রাজনীতি করেনি। সব দলের নেতারাই নিজেদের আখের গোছানোর কাজটিই করে গেছেন।
সামনের সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে কেবলমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে তাদের নিজেদের ভেতরের কামড়াকামড়ি দিন দিন বেড়েই চলেছে । এতে দেশের ভবিষ্যত যে অন্ধকারে ঢেকে যাবে তা তেনারা ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না বা ক্ষমতায় যাওয়ার উদগ্র লোভে চোখে দেখছেন না।
১০|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আমরা এখন মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পড়াই আর 'জুলাই যোদ্ধা' দের জন্য ফান্ড রেইজিং করি
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: নিজের হাতে আইন তুলে নেয়াটাই অপরাধ সেটা যার জন্যই হোক না কেন। মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সবার নজরে আনার জন্য এমন কাণ্ড ঘটানো হয়ে থাকে তবে সেটা ভয়ঙ্কর অপরাধ নিঃসন্দেহে।
তবে 'জুলাই যোদ্ধা' দের জন্য ফান্ড রেইজিং করা খারাপ কিছু নয় বলে আমি মনে করি। সেটা আপনার পছন্দ হোক না হোক।
১১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:১৮
রোবোট বলেছেন: শ্রাবণধারার সাথে যুক্তিতে না পেরে এখন চটুল উদাহরণ ধরণের কথা ঘুরানো দেখে আমোদিত হলাম। এটা কাদের যেনো ট্রেনিংবুকে আছে। চালিয়ে যান।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: বড্ড লেগেছে ভাই? যতদূর মনে পড়ে এ জীবনে তো একবারও আমার ব্লগ মাড়াতে দেখিনি- আজ হঠাৎ মন্তব্য- প্রতিমন্তব্য সবকিছু মুখস্থ করে যেটা দিতে নেমেছেন!!
আকার ইঙ্গিতে বলেন কেন ট্যাগ দিলে সরাসরি দিবেন! হলাম আমি বাঁশের কেল্লা রগ কাটা আর মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী জামাত-শিবিরের অতি আদর্শ সমর্থক, আপনার কোন সমস্যা ভ্রাতা?
১২|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অবস্থা যেমনি হোক আমি একজন আশাবাদী মানুষ
ঘোর অমানিশাতেও আলোর দিশা পাই দেখতে । যদিও
পোস্টের লেখা আর বিজ্ঞ পাঠকদের কথামালাতে দেখি
এক অবিসম্ভাবী আলো-আঁধারের খেলা , তবে এটাও সত্য
আমাদের মানব জীবনে আলো আঁধারের দ্বন্দ্ব চিরন্তন
ইতিহাস বারবার করেছে প্রমান আঁধার যত গভীরই হোক
তার আড়ালেই পরবর্তী আলোর বীজ লুকিয়ে করে সন্তরন।
আঁধারেও আলো থাকে শুধু একটি কবিত্বময় বাক্য নয়
এটি মানব সমাজের বিবর্তন, রাজনীতির পাঠ, ধর্মের দর্শন
আর আধ্যাত্মিকতার সত্যকে একসূত্রে করে দেয় বন্ধন ।
আঁধারের মাঝেও আলো থাকে এ বিশ্বাসটুকু ধারণ করে
মনস্ত করেছি নীজব্লগে বহুদিন বাদে লেখা একটি দিব ঢেলে।
শুভেচ্ছা রইল
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আহ্ ডঃ এম এ আলী ভাই, আপনাকে দেখে যে কি ভাল লাগছে। মাঝে মধ্যে আপনি হারিয়ে গেলে ভয় পাই। আশা করি খানিকটা সুস্থ আছেন?
***
আপনি তো বাঙ্গালী হিসেবে সুদীর্ঘ একটা সময় এই জাতির সাথে কাটালেন। পৃথিবীর অনেক জাতি গোষ্ঠীকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখার সুযোগ আপনার হয়েছে নিশ্চিত।
বলুনতো এমন গোলমেলে জাতি আর পেয়েছেন একটাও? কতগুলো প্রজন্ম শুধু আশায় বুক বেধে চলে গেল পরপারে( এমন তো নয় আমরা ফিলিস্তিনীদের মত, আমাদের তো সবই ছিল।)- এখনো আমরা সেই আশা নিয়েই বেঁচে আছি। জানি এই দেশের আর কিছু নিকট ভবিষ্যতে হবে না তবুও গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে যাই, ইশ্বর তো বধির নন। তিনি কোণ একদিন শুনবেন নিশ্চয়ই।
আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম ...
১৩|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখিত।
পোষ্ট টি ভালো হয়নি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত আপনার ভালো লাগার জন্য আমি পোস্টটি করিনি।
১৪|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগের এহেন অবস্থায় অনেকেরই পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে
; আম্লিগ ছাড়া সব রাজাকার!
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: ইটা হক কতা! তবে এই কাতারে বি এন পি ও যোগ হইছে। উনাদের সাথে না থাকলেও রাজাকারের খাতায় নাম উঠে যাবার সমূহ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
১৫|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপারটা তো আমাদের দেশে একেবারে কমন । এই দেশের কোন রাজনৈতিক দল এবং দলের কর্মীরা দেশের মানুষের কথা ভাবে না। দলগুলো ভাবে কিভাবে নিজেরা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের পেট ভরবে। ক্ষমতায় যেতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ধর্মের চেতনা (আর যুক্ত হচ্ছে) জুলাই চেতনা ব্যবহার করে আসছে। ব্যবহার করবে। আর তাদের দলের কর্মী এই বলয় থেকে বের হতে পারে কোণ দিন? রাজনৈতিক শুয়োরগুলো তাদের নেতার কথার বিরুদ্ধে একটা কথা বলে না, বলার ক্ষমতাই রাখে না। শেখ হাসিনা/তারেক রহমান/জামাতের আমীর শফিকুর যদি আজকে বলে, গরুর মুত খাও, এরা বিনা বাক্য গরুর মুত খাওয়া শুরু করবে। শুধু শুরুই করবে না গরুর মুত যে কতটা পুষ্টিকর সেটা নিয়ে হাজার শব্দের রচনাও লিখে ফেলবে!
উপরে দেখি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসীদের এখনও ব্যবসা বন্ধ হয় নি। নিজেদের যখন সাদেক হোসেন খোকাকে মেরে রক্তাক্ত করে তখন এদের মনে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চেতনা কাজ করে না!
১৬|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
আপনার পোষ্ট ভালোলাগার অন্যতম প্রধান কারন লেখায় আবেগের উপস্থিতি কম যুক্তি দিয়ে গোছানো বিষয়ের উপর উপস্থাপনা থাকে বেশি। ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আবেগের থেকে যুক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া বেশি উচিত বলে মনে করি।
কেউ বলে না তাদের জমিদার বাপ ঠাকুর্দা-রা কি পরিমান অত্যাচার করেছে। যেমন আপনার এই কথার সাথে আমি একমত। শরৎচন্দ্রের লেখা "মহেশ" ও রাজা গৌরগোবিন্দের ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা সেই রকমটাই দেখতে পায়। শ্রদ্ধেয় ব্লগার ঠাকুর মাহমুদের এই বিষয়ে মন্তব্য দেখতে পারলে ভালো হতো, উনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি পোষ্ট একদম জেনারালাইজড করে লিখেছেন "এদেশের যত বড় স্কুল-কলেজ তা হিন্দু জমিদারদের দাম করা।"
আবার রাজাকারের সংখ্যা এবং মুক্তিযুদ্ধের নিহতের সংখ্যার তথ্য উপাত্ত দিয়ে আপনার লিখা পোষ্ট ও ঠাকুর মাহমুদ কে পায়নি। উনি সম্ভবত কোন ভ্রমন ছিল, তাই সংক্ষিপ্ত একটি মন্তব্য ইংরেজি তে করেছিল। এখন কথা হচ্ছে ব্লগার ঠাকুর মাহমুদের নাম ই কেন নিচ্ছি? উনি লিবারেল এবং মুক্তিযুদ্ধের ঘরানার একজন মার্জিত ব্লগার বলে মনে হয়েছে। উনার মতাদর্শের বিপক্ষের কোন লেখা পোষ্ট পেলে ট্যাগিং, খোঁচাখুঁচি বা ছোট করে কোন মন্তব্য করেন না। তাই এই উপযুক্ত বিষয়ের উপর উনার মন্তব্য দেখলে অনেক কিছুই বুঝতে সুবিধা হতো।
১৭|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
ছবি দুইটা দেখে মনটা খুবই খারাপ হলো।
কি হাসিখুশি মুখের বোকা ছেলেটা। হাত দিয়ে দিলো। বিনিময়ে কি পেলো বা পাবে? আমরা কেউ জানিনা .....![]()
১৮|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রেক্ষিত উপরে করা আমার মন্তব্যের উপর আপনার প্রতি মন্তব্য । আপনার এমন আন্তরিক খোঁজখবর পেয়ে সত্যিই
কৃতজ্ঞতা ও মমতায় ভরে উঠলাম।আমার অনুপস্থিতি নিয়ে আপনি ভয় পান এই কথাটা যতটা ভালোবাসার, ততটাই
দায়বোধের। ধন্যবাদ জানাই আপনার এই মানবিক স্পর্শের জন্য। হ্যাঁ, খানিকটা সুস্থ আছি, আর বাকিটা আপনারা পাশে
থাকলেই সামলে নিতে পারি।
আপনার কথাগুলো গভীর সত্যের বহনকারী। বাঙালির ইতিহাস, সংগ্রাম, সম্ভাবনা, বিভ্রম সবকিছু মিলিয়ে এটি যেন এক দীর্ঘশ্বাসে ভরা মহাকাব্য।সত্যিই, পৃথিবীর অনেক জাতিকে দীর্ঘ জীবনের পথচলায় পথে পথে দেখেছি; কোন কোন জাতির
কাছে হয়তো রূঢ় বাস্তব ছিল, কারো কাছে কঠিন লড়াই ।
কিন্তু আমাদের এই জাতির মতো আত্মবিভ্রান্ত yet hopeful মানসচিত্র খুব কমই দেখেছি।
আপনি অত্যন্ত যথার্থভাবে বলেছেন;
ফিলিস্তিনিদের মতো আমরা বঞ্চিত ছিলাম না; আমাদের ছিল সব, কেবল দৃঢ়তা আর সততার অভাবের জায়গাগুলো
পচে গেছে সময়ের গহ্বরে।
তবুও আশ্চর্যভাবে আমরা আশা ছাড়তে জানি না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেই আশারই পতাকা তুলে হেঁটে গেছে ,
কেও নীজ জীবন বিলিয়ে দিয়েছে নিস্বার্থভাবে , অনেকের নির্মম পঙ্গুত্ব বরন করে জীবন সংগ্রামে ভুগছে, তবু
তারা থেমেও যায়নি।এই আশাটাই হয়তো আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, আবার ঠিক এটিই আমাদের অন্তহীন
বেদনার উৎস।
তবু আপনি যেমন বলেছেনইশ্বর তো বধির নন।
হাঁ তিনি বধির নন । মানুষের আর্তনাদ, প্রতীক্ষা, ধৈর্য কোনো কিছুই অকারণ যায় না। সময়ের এক নীরব মুহূর্তে
হয়তো তিনিই নতুন আলোর দরজা খুলে দেবেন।
আপনার কথার এই গভীরতা, ব্যথা আর আশাবোধ আমাকে আবারও লিখতে অনুপ্রাণিত করল আঁধারের মাঝেও
আলো থাকে । আপনার লেখার উপর মন্তব্য লিখতে গিয়ে এক দারুন বোধদয় নিয়েই নতুন লেখায় ফিরে আসসি ।
যা আমার ব্লগে গতকালই প্রকাশ করেছি ।
আপনাদের প্রত্যাশা আমার লেখার অন্যতম চালিকাশক্তি।
শুভেচ্ছা রইল
১৯|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
- আগে আমার মনখারাপ হলে বই পড়তাম,কম্পিউটারে গেইম খেলতাম। এখন মেজাজ খারাপ হয়।
২০|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
আমরা এখন কার উপরে ভরসা করতে পারি?
লুক, একেকজনের চাওয়া পাওয়া একেক রকম।
প্রতিটা মানুষের ভরসার জায়গা, সে কোথায় কমফোর্ট পায় তার ওপর নির্ভর করে।
আমার কথা যদি বলি, আমি ভোটার না।
যদি ভোট দিতে হতো কাকে দিতাম!
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো মোর অর লেস সবগুলোই একইরকম, নেতারা সবাই ক্ষমতালোভী, স্বার্থপর।
যদি কোন দলের ইশতেহার অযৌক্তিক মনে হয়, তাহলে আমি তাদের ভোট দিবো না, যেমন জামায়াত।
একসময় যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো, তারা এ দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের নীতি নির্ধারক হয়ে বসবে, স্যরি ম্যান, এটা মেনে নেয়া ইম্পসিবল।
Showing respect to all religion, there can be religious group to preach but not in mainstream politics. I personally don't support it at all.
বাকিদের দলগুলোর মাঝে যে প্রার্থী যোগ্য সে যেই দলের হোক, ইভেন স্বতন্ত্র হলেও তাকে দিবো।
যোগ্যতা বলতে প্রথমত, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পন্ন কেউ। তাকে হতে হবে সৎ, ক্লিন ইমেজ, কোন দুর্নীতি বা অপকর্মের অভিযোগ নেই, দেশপ্রেম আছে, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছে এরকম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, মেইনলি লিডারশীপ কোয়ালিটি মাস্ট। এরকম হলে তাকে ভোট দিবো। যদি না থাকে তাহলে দিবো না। অযোগ্য কাউকে ভোট দেয়ার চেয়ে ভোট না দেয়া ভালো।
@ বহুদিন পরে আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে দারুন ভিডিও আনন্দিত হলাম!
ভিডিও আনন্দিত কি জিনিস, বুঝলাম না
ভালো থাকবে শেরজা।
২১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: জুলাই গণ-অভ্যুল্থানের সমন্বয়কদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল তাদের মধ্যে কারও কারও উপদেষ্টা পদ গ্রহণ করে ইন্টেরিম সরকারে যোগ দেয়াটা। তবে 'জুলাই সনদ' এ স্বাক্ষর না করে আমার মনে হয় তারা কিছুটা বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।
২২|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইসসস! ছবিটি দেখেই সত্যিই অনেক মর্মাহত হলাম!! জুলাই আন্দোলনে এমন কতশত তরুণের জীবন যে নষ্ট হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। যে বা যারাই এদের ফুঁসলিয়ে রাস্তায় নামিয়েছে তাদের বিচার চাই, এমন শতশত তরুণের জীবনের দায়ভার কে নেবে? এদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা যদি ভালো কিছু পেতাম তাহলে হয়তো বিষয়টা মেনে নেয়া যেতো, কিন্তু দেশ আগে যা ছিলো এখনো তাই আছে, ঘুষ, দূর্ণীতি, চাঁদাবাজি সবত্র; তাহলে এতগুলো তাজা প্রাণ নষ্ট করে কি লাভ হলো?
২৩|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @মিরোরডডল - একসময় যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো, তারা এ দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের নীতি নির্ধারক হয়ে বসবে, স্যরি ম্যান, এটা মেনে নেয়া ইম্পসিবল। - কিন্তু আপনাকে তা মেনে নিতেই হবে, তারা তো আর জোড় করে ক্ষমতা দখল করছে না, জনগন যদি জামাতকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে তাহলে আমার বা আপনার এখানে কিছুই করার নেই; কারণ ইহাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। তাছাড়া বিএনপির উপরেও মানুষ চরম বিরক্ত তাই আমার মনে হয় মানুষ এবার জামাতকেই জয়যুক্ত করিবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিদেশে থাকায় তারেক দেশের অবস্থা ঠিক বুঝতে পারছেন না।