নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারিদিকে নাগিণীরা ফেলিছে নিঃশ্বাস.......

সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত...............।

তায়েফ আহমাদ

ঘুমাতে অত্যন্ত ভালোবাসি। আর ভালোবাসি পড়তে। স্বপ্ন দেখি একটি স্বপ্নীল পৃথিবীর। সত্যকে ভালোবাসি, হোক তা নিজের মতের বিপরীত।

তায়েফ আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিফাজত-ই-ইসলাম এর লং মার্চ ও গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিরোধে কুরআন-হাদীসের 'অপ'ব্যবহার

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২২

কয়েকটা কথা বলে ফেলা দরকার বলে মনে করছি।

যদি ভুল না বুঝে থাকি তবে বলতে হয়, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসীর দাবীতে সৃষ্ট গণজাগরণ মঞ্চের সেক্যুলার চরিত্রের পরিবর্তন হওয়া শুরু করেছে ব্লগার রাজীব হত্যা পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের আলোকে। সে সময় থেকেই গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে-বিপক্ষে কুরআন-হাদীসের রেফারেন্স নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখছি; নতুন নতুন সংগঠনের জন্ম হতেও দেখছি।

যাই হোক, কথা বলতে চাইছি, কুরআনের বাণী ও হাদীসের উক্তিসমূহের উদ্দেশ্যমূলক ও সুবিধামূলক ব্যবহার নিয়ে।

দু'টি উদাহরণ দিচ্ছি।

'হিফাজত-ই-ইসলাম' এর লং মার্চের বিরুদ্ধে সূরা হিজরের বিখ্যাত আয়াত (“আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্যই আমিই এর সংরক্ষক” ) যত্রতত্র ব্যবহার করতে দেখছি এবং এর ব্যবহার করে ইসলামের সংরক্ষনের দায়িত্ব মহান আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে চাইছেন তারা সেটি অনিচ্ছাকৃত করলে আল্লাহ হেদায়াত দান করুন আর ইচ্ছাকৃত করলে আল্লাহ মাফ করুন। শুধু বলতে চাই, সাহাবাকেরাম(রা) ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব আল্লাহর হাতে ছেড়ে বসে থাকলে আবুবকর (রা) কুরআনের গ্রন্থীকরন করতেন না আর উসমান(রা) এর প্রমিত সংস্করণও করতেন না! আরেকটা কথা হচ্ছে, ইসলামে লং মার্চের বৈধতা-অবৈধতা নিয়ে। কম্যুনিস্ট মাও যে দঙ-এর আবিষ্কার বলে যাঁরা একে ইসলামের চোখে অবৈধ বলে ফাতওয়া দিচ্ছেন, তাঁদের শুধু মনে করিয়ে দিয়ে চাই যে, বর্তমান দুনিয়ার বস্তুগত ও অবস্তুগত সকল আবিষ্কার ও ধ্যান-ধারনা, যেগুলোকে ঘিরে আমাদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে, তার প্রায় সবই অমুসলিমদের আবিষ্কার/মস্তিষ্কপ্রসূত এবং আমরা সবাই এগুলোকে কম-বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করে যাচ্ছি। 'বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট'

এবার, দ্বিতীয় উদাহরণে আসি। 'হিফাজত-ই-ইসলাম' এর কোন এক নেতা লং মার্চকে মহানবীর(স) হিজরতের তুলনা করছেন। যদি সত্যি বলে থাকেন তো আল্লাহ মাফ করুন। জীবনের সবকিছু পেছনে ফেলে চিরদিনের জন্য জন্মভূমি ত্যাগের মাহাত্ম্য কখনোই এই লং মার্চের সমানতালে আলোচিত হতে পারে না। 'হিফাজত-ই-ইসলাম' এর ১৩ দফা দাবীগুলোও পড়লাম। তাদের এই দাবীগুলো কখনোই একটা ইসলামী শর্‌ইয়াহ ভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মান ছাড়া মেনে নেয়া সম্ভব নয় আর একটা রাষ্ট্র বিনির্মান প্রকৃত অর্থে একটা রাজনৈতিক বিষয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে এই লং মার্চকে আর অরাজনৈতিক বলার সুযোগ নেই।

বলে রাখা ভাল, দুই পক্ষেই বড় বড় উপাধি সমৃদ্ধ ওলামারা কথা বলছেন আর আমাদের মত সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন এবং জাহান্নামের পথে ধাবিত হচ্ছেন। সুরাহ ফুস্‌সিলাত-এর একটি আয়াতের কথা মনে পড়ছে। কিয়ামাতের দিন জাহান্নামীরা বলবে,'...হে আমাদের পালনকর্তা! যেসব জিন ও মানুষ আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল, তাদেরকে দেখিয়ে দাও, আমরা তাদেরকে পদদলিত করব, যাতে তারা যথেষ্ট অপমানিত হয়।' ওলামাদের কুরআন শিক্ষা দেয়ার ধৃষ্টতা আমার নেই!



সর্বশেষে একটা হাদীসের দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে (তার সত্য যাচাই না করে) তাই বলে বেড়ায় বা প্রচার করে”[মুসলিম]'। 'ফেসবুকে যাই দেখে নিজের মতের সাথে মিল পাই, তাই শেয়ার করি'- এই ধরনের মনোভাবের পরিবর্তন হওয়া জরুরী। আল্লাহ আমাদের সকলের জীবন ও সম্পদের হিফাজত করুন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.