আজ বিএনপির লংমার্চ তিস্তায় পৌছেছে, সমাবেশও শুরু হয়েছে। বিএনপির এই লংমার্চে সবারই যে লাভ হয়েছে তা নয়, তবে তিস্তা ব্যরেজের আশেপাশের লক্ষাধিক কৃষকের অবষ্যই লাভ হয়েছে। এমনও হতে পারে এই লংমার্চ শেষে বিএমপির পাওনার ঝুলি ফাকাই রবে। তবে যাই হোক লংমার্চের মূল লক্ষ তিস্তার পানির অংশ একদিনের জন্য হলেও তো আদায় হয়েছে।
আপনারা দেখেছেন বিএনপি কোন কর্মসূচি দিলেই আওয়ামী-লীগ তা খারাপ বলবেই। এবার হানিফ সাহেব এই লংমার্চকে গাড়ি মার্চ উল্লেখ করেছে। বিএনপির নৈরাজ্য, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও লংমার্চের নামে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্টের চক্রান্তের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে ১৪ দল ২৬ এপ্রিল খুলনায়, ২৭ এপ্রিল ঢাকার সাভার ও ২৮ এপ্রিল ময়মনসিংহে জনসভার ডাক দিয়েছেন।
অথচ এই লংমার্চে তেমন কোন কিছুই হয়নি, তবে বিএনপি কিছুটা হলেও মনুষের কাছে যেতে পেরেছে। যা আওয়ামী-লীগের জন্য খারপই বলা যায়। কেননা গত সরকারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এটাই বিএনপির একমাত্র সফল সমাবেশ। আর এর কারণ সরকার এতে বাঁধা দিতে পারেনি। এর আগে বিএনপি যখনই সমাবেশের ডাক দিয়েছে ততবারই ঢাকাকে বিছিন্ন দ্বীপ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আপনাদের মনে হতে পারে তাতে তো সরকারের তেমন কিছুই করার ছিল না, তখনতো শ্রমিক ও বাস মালিকেরা গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছিল। আসলেই কী তাই?
হরতালে যদি গাড়ি চলে তো সে সময় কেন নয়? তখনতো আর পিকেটাররা গাড়ি পোড়াতো না, কারণ গাড়িতে তাদেরই কেউ না কেউ আছে। এটা বাদ দিন, রাজধানীর সকল আবাসিক হোটেলের বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল যেন আবাসিকগুলোতে কেউ না থাকতে পারে।
আর গত নির্বাচনে খালেদার বাড়ির সামনে বালিভর্তি ট্রাক দিয়ে গাড়ি চলাচল আটকে দেয়া, খালেদাকে বাড়ি থেকে বের হতে না দেয়া, নিজ দলের নেতা-কর্মীদের সাথে দেখা না করতে দেয়া। অথচ দেশের শিক্ষিত সমাজ, শুধীজন কেউ তেমন কিছুই বলেননি। দেশের ৬০ শতাংশ মানুষই ভোট দিতে পারেন নি। তারপরও আমরা স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বেঁচে আছি।
আসলেই আপনি আমি যাই বলি না কেন, বিএনপি ও আওয়ামী-লীগ দুই দলেই জিয়া ও শেখ মুজিবের আদর্শ থেকে অনেক দুরে সরে গেছে।