মাস ব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনা
দীর্ঘ সময় দন্ডায়মান-শ্রবণরত কুরআন,
তোমার সম্মুখে তারাবীহ্, তাহাজ্জুত আর
শেষ রাতের বরকতময় রাসূলের সাহরি,
যখন কমিয়েছে দুরত্ব, বান্দাকে করে তুলেছে
অতিশয় প্রিয়।
তখন আকাশের কিঁনারায়-উঁকি দেয়
এক অবর্চনীয় সওগাত-শাওয়ালের বাঁকা চাঁদ।
মুখে মুখে খুশির বারতা, ইশারা রোজার পরিসমাপ্তি।
তখন মুমিন হৃদয় বাঁধ ভাঙ্গে আনন্দে
মুখে মুখে ধ্বনিত হয় তোমার প্রশংসা নিজেরই অজান্তে।
বছর ঘুরে-আসে ফিরে, মোদের জীবনে
ফিরে আসে ঈদুল ফিতর।
এ দিন আমাদের রিয়াজত ও সাধনার
তাইতো এ দিনের এত সমাদর।
এ দিন বৈশিষ্টমন্ডিত ও গাম্ভীর্যপূর্ণ দিন
শ্রেষ্ট আনন্দ উৎসবের দিন।
যে দিন ফিরে ফিরে আসে ধনী গরীবের ব্যবধান ভুলাতে
শ্রেষ্ট এ আনন্দ উৎসবের দোলাচলে দোলাতে।
সমাজ-জিজ্ঞাসা, সাম্য-মৈত্রী, প্রেম ভ্রাতৃত্বের এ মহা উৎসবে
সহযোগিতার হাতকে করে প্রসারিত ,
পরস্পরে শুভেচ্ছা আন্তরিকতা ও সহমর্মিতা বিনিময়ে
গড়ে তোলে মানবিক ও সামাজিক সু-সম্পর্ক।
ব্যবধান থাকেনা ধনী-গরীবের
শিক্ষিত-অশিক্ষিত কিংবা সাদা কালোতে
এক হয়ে মিলে সবাই এক কাতারে।
থাকে না কলহ বিবাদ, হিংসা বিদ্বেষ
সকলে মিলে সুস্বাদু খাবারের আস্বাদন
আর পোশাকে পরিচ্ছদে থাকে সমতার বুনন।
দীর্ঘ এক মাস বরকতময় রোযা পালন
আর সাদকাতুল ফিতরা প্রদান,
এরপর সৌভাগ্য ও ছাওয়াবের আশায় আশাবাদী হয়ে
ছুটে যাওয়া পুরুস্কার বিতরণের স্থান ঈদগাহে
তোমার মহত্ত্ব প্রকাশের মধ্যদিয়ে।
দীর্ঘ একটি মাস তোমার একটি বড় বিধান
সিয়াম সাধনা করতে সমর্থ হয়েছি
তুমি তওফীক দিয়েছ তাই,
এজন্য কৃতজ্ঞতা তোমার প্রতি
কৃতজ্ঞতার সাথে বেড়েছে প্রত্যাসা।
দান কর সন্তুষ্টি দান কর ক্ষমা
আমরা পাপাচারী নয়, পূণ্যবানদের আনন্দ চাই
ঈদের আনন্দে যেমন খুশি
তেমনি খুশি হতে চায় পরকালে তোমার সাক্ষাতে।
আমাদের এ ত্যাগে নেই কোন কৃত্রিমতা নেই কোন লৌকিকতা
তবে কি পাব না সজ্জিত জান্নাত
পাব না ব্যাইয়ান, জান্নাতের সেই দরজা
যার প্রবেশাধিকার শুধু রোজাদারদের।
ঈদগাহে আদায় করবো দু-রাকাত শোকরের নামায
নামায শেষে দু-হাত পেতে পেশ করবো তোমার দরবারে
হৃদয়ের সব চাহিদা, কামনা করবো মার্জনা,
তুমি সব চাওয়া কবুল করেছ সে আশা নিয়ে ফিরবো নিজ গৃহে ।
এই তে ঈদ, এই তো মোদের আনন্দ।
পার্থিব কোন সাফল্য তো চাইনা, চাই বছরের বাকিটা সময়
যত বেশি তোমার ঈবাদত করবো তত বেশিই তো আমাদের খুশি।
ঈদের দিনে আনন্দ করবো নবীজীর আনন্দের মত নিস্কলুষ
করবো সারাদিন আনন্দ শরীয়াতের সীমানায়।
জীবনের সকল আনন্দ খুশি তোমার প্রতি নিবেদিত,
রমজানের কষ্ট এর ব্যাখাকৃত বিধিবিধান
এর মর্যাদা ও আত্নীক অনুশীলন
ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে যে মহৎ চিত্র প্রকর্ষ উদীষ্ট
জীবনের প্রতিটি মুহুর্তূ সে শিক্ষাই থাকুক চির জাগরুক,
যথার্থ এই শিক্ষা বাস্তবায়িত হোক সকলের জীবনে
পৃথিবীটা হোক শান্তির নীড় তোমার অপার অনুগ্রহ বর্ষণে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২২