অনিকেত কামাল
"ডাঃ প্রীতি কামাল চৌধুরী স্কুল এন্ড কলেজ" একটি নাম একটি ঐতিহ্য, একটি প্রেরণার উৎস, একটি অাদর্শের প্রতীক। শব্দগুলো যেন এখন জমধরা ইতিহাস। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চুলচেরা বিশ্লেষণেও প্রত্যাশিত সাফল্যের দেখা মিলছে না। জেলা তো পরের কথা উপজেলায় যে ১১টি স্কুল কলেজ অাছে তার মধ্যে এটিই সর্ব নিম্নে। এবার হয়ত মঞ্জরী কমিশনের অনুমোদনও বন্ধ হয়ে যাবে। ডাঃ কামালের তিরোধানের পর হতেই দুর্গতির শুরু। মিসেস কামাল (প্রীতি চৌধুরীও) দেশের বাহিরে থাকেন। ছোট ভাই ডঃ হেলাল চোধূরী কৌশল করে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিযে প্রিন্সীপাল মুরাদ অাহম্মেদকে দেশের বাহিরে প্রশিক্ষণে পাঠিয়েদেন।
২০৯৯ সালের এইচ এস সি পরিক্ষায় পাশের হার "ডাঃ প্রীতি কামাল স্কুলএন্ড কলেজ"শতভাগই নয় বরং অনলজলী বোর্ডের মধ্যে প্রথম। অবাক বিস্ময়ে শুধু জেলা নয় সারা দেশ রীতিমত থ'বনে চলে গেছেন। এরই সুবাদে বোর্ড কতৃপক্ষ উক্ত কলেজকে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করেছেন। অনুষ্ঠানে বোর্ডের মহাপরিচালক অদৃশ্য চোধুরীকে নাটকীয় সাফল্যের রহস্য জানতে চাওয়া হলে বলেন অামি ফাইনাল পরীক্ষার অাটমাস অাগে টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে ছাএছাত্রীদের ফরমফিলাপ করে নিই তাতে ৫৫ ভাগ ছাএছাত্রী পাশ করে। অামি কোচিং চালু করি । প্রত্যেকের বাসায় নোটিশ পাঠায় বোর্ড নির্দেশের মতো বোর্ডের নিয়মে পরীক্ষা নিই ৮০ ভাগ পাশ করে। বাকি ২০ ভাগের জন্য শেষ কৌশল নিলাম অন্য রকম। ছাত্রছাত্রীদের হঠাৎ একদিন একটা ম্যাজিক নোটিশ দিলাম। শুক্রবার সূর্যগ্রহণের সময় নয় মিনিট কলেজ মিলনায়তনে একজন ম্যাজিশিয়ান অাসবেন উনাকে যারা যারা একটি করে কপালে কিস দিতে পারবেন তার বিনিময়ে পাশের গ্যারান্টি দিবেন।
মিলনায়তনের বিশাল কক্ষের ভিতর একটি ছোট রুম তৈরি করা হলো একাদিক দিয়ে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে যেতে হবে। ম্যাজিক রুমের চারদিকে (দরজা ব্যতীত) অায়না সেট করা হলো। যে প্রবেশ করে সে নিজেকে ছাড়া অন্য কিছু দেখে না। সময় ত্রিশ সেকেন্ডের বেশি নয় এবং বের হওয়ার সময় বক্স হতে লটারীর মতো একটি করে কাগজ নিয়ে বের হতে হবে।
উক্ত কাগজে যা লিখা ছিল । এই কথা কেউ কাউকে বলতে পারবে না, বললে অাড়াল থেকে যিনি মহাশক্তিধর যাদুকর দেখছেন সেই রাতেই তার মৃত্যু হবে।
"তুমি সেই একমাত্র ছাত্র যে তোমার জীবন তুমি নিজেই অধ্যয়নের মাধ্যমে সাফল্য ছিনিয়ে অানতে পার।'
গল্প থেকে শিক্ষাঃ
তুমিই সেই একমাত্র ব্যক্তি যে তোমার জীবন পরিবর্তনের জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ঠ। তোমাকে সাহায্য করতে পারো তুমি নিজে, সুখী করতে পারো নিজে। তোমার জীবন তখন বদলে যায় না যখন তোমার বন্ধুরা বদলায়, যখন তোমার অভিভাবক বদলায়, তোমার জীবন তখনই বদলায় যখন তুমি নিজে বদলাও। তোমার সক্ষমতা সম্পর্কে তোমার নিজের বিশ্বাসের সীমাটা যখন তুমি অতিক্রম করতে পারো, শুধু তখনই তোমার জীবন বদলায়, পূরন হয় জীবনের লক্ষ্য গুলো। নিজের আলোয় আলোকিত করো চারপাশ
কাল্পনিক
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১