যুদ্ধ অপরাধিদের বিচারের ট্রাইবুনালের মান কোন মানের সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিশ্বের কোন যুদ্ধ অপরাধি বিচারের ট্রাইবুনালের মান আমাদের ট্রাইবুনালের মত নয় ! নুরেমবার্গ বা টোকিও ট্রাইবুনাল ছিল সেনা আদালতের মত অথচ বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল সিভিল ট্রাইবুনাল। ঐ সমস্ত অদালতে নিজ দলিয় মতাদর্শের আইনজীবি নিয়োগ দেওয়া যেত না যেটা বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল এলাউ করে । এই ট্রাইবুনালের বিচার প্রক্রিয়া সমগ্র বিশ্ব অবোলোকন করার সুযোগ পাচ্ছে কিন্তু রুয়ান্ডা বা নুরেমবার্গ কোথাও এমন সুযোগ ছিল না ।
সাধারন বিচারে বিচারকে দীর্ঘায়িত করার জন্য যত রকমের অজুহাত বা প্রিভিলিজ আছে সেই সমস্ত বাংলাদেশের ট্রাইবুনালে দেওয়া হয়েছে কিন্তু ঐ সুযোগ ঐ সমস্ত ট্রাইবুনালে কখোন ছিল না।যার কারনে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য আসামিরা ইচ্ছা মত সময় নিয়েছে যদি কোন ভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলটা পার করা যায় তাহোলে বিএনপি পরবর্তিতে ক্ষমতায় এসে তাদের উদ্ধার করবে। ঐ সমস্ত ট্রাইবুনালে আপিল করার কোন সুযোগ ছিল না কিন্তু এখানে সুপ্রিম কোর্টে আসামী আপিল করার সুযোগ পাচ্ছে। ঐ সমস্ত আদালতে আদালতের রায় রিভিউ করার কোন প্রশ্নোই ছিলনা কিন্তু বাংলাদেশের আদালত রিভিউর সুযোগ দিচ্ছে। বিশ্বের কোন খানে যুদ্ধ অপরাধীদের শাস্তি বাস্তবায়নের জন্য ফৌজদারি আসামীদের মত জেল কোর্ড মানার কোন বিধান নেই তার মানে সরকার যখন মনে করবে তখন রায় কার্যকর করতে পারবে কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সে সুযোগ দিচ্ছে। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ অপরাধিদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ নেই কিন্তু বাংলাদেশে সেই সুযোগের জন্য ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং যুদ্ধ অপরাধিদের বিচারের প্রক্রিয়াতে বাংলাদেশ যে মান স্থাপন করেছে সেটা থেকে বিশ্বের যে কোন যুদ্ধ অপরাধি ট্রাইবুনাল অনেক পিছিয়ে আছে। যারা জামাতের টাকা খেয়ে এই ট্রাইবুনালের মান নিয়ে কথা বোলছে তারা কিন্তু স্পেসিফিকাংলি কিছুই বলছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮