আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ। (ইবনে মাযাহ- ২২৪)
প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ, বছরে ১ মাস সিয়াম পালন করা ফরজ। তেমনি ফরজ জ্ঞান অর্জনের একটি সীমারেখা আছে।
পরিপূর্ণ মুসলিম হতে হলে যতটুকু ইলম প্রয়োজন তা অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ। সালাত, যাকাত, সওম, হজ্জ্ব ইত্যাদি ইবাদতের সঠিক পদ্ধতি এবং তা ভঙ্গ হওয়ার কারণ, ঈমান ভঙ্গ হওয়ার কারণ, শিরক, বিদআত, কুফুরীসহ সকল কবীরা গুনাহ সম্পর্কেও সঠিক ধারনা থাকা প্রয়োজন। শিরক করে কেউ মারা গেলে অজ্ঞতার অযুহাত দিয়ে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রেহাই পাবে বলে মনে হয় না, কারণ জ্ঞান অর্জন করা তার উপর ফরজ ছিল।
কিন্তু একশ্রেণীর মুসলিমদের কথা শুনলে মনে হয় শুধু আলেম-ওলামা, মুজতাহিদগনই জ্ঞান অর্জন করবে আর বাকিরা তাদের অন্ধ অনুসরণ করবে।
মাযারপূজারী একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- আপনারা এসব কেন করেন? এসব করার কথা কোরান-হাদীসে নেই বরং নিষেধ করা হয়েছে। সে বলেছিল- কোরান-হাদীস আমরা পড়তে জানিনা, আমাদের আলেমরা এসব করতে বলে, তাই করি।
যাচাই-বাছাই না করে যদি কারো অন্ধ অনুসরণ করা হয় তাহলে শিরক, কুফুরী ও বিদআতে লিপ্ত বিপথগামী মুসলিমরা কি কখনও প্রকৃত মুসলিম হতে পারবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২২