মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন তাদের বিচার করছেন ........আদালত। শেখ মুজিব তাদের ক্ষমা করেছিলেন বলে যে জাতি তাদের ক্ষমা করেছে এরকম নয়। এতএব তাদের বিচারের আওতায় আনা যথাযথ। আবার বিপরীত মতও আছে্। শেখ মুজিবকে যদি ঐ সময়কার জাতির নেতা মেনে নেয়া হয় তাহলে ঐ সময়ে তার করা চুক্তির বিরোধীতা করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে প্রথমত তার চুক্তিকে অবৈধ, অন্যায্য সাব্যস্ত করা উচিত।
আমার মত হল শেখ মুজিবের এভাবে সবাইকে ক্ষমা না করে অন্তত কিছু লোককে (যাদের ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ছিল) ফাসির কাষ্ঠে ঝুলানো দরকার ছিল।
যা হোক সেটি হয়নি বলে একটা ল্যান্জা রয়ে গিয়েছিল। আজ সেটা কাটতে হচ্ছে।
আর আজ যখন একটি বিচার হচ্ছে (সেটি নিয়ে যার মনে যতই প্রশ্ন থাকনা কেন) সেটির ল্যান্জাটা কমপক্ষে কেটে দিতে হবে । যাতে করে অচিরেই আরেকটি ল্যান্জা বের না হয়।
সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী বি এন পির একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন। তাকে ফাসিতে ঝোলানো হেয়েছে। আর এর দ্বারা বি এন পির রাজনৈতিক অবস্থানে যেভাবে আওয়ামিলীগ থেকে পিছিয়ে গেছে তা পূরন করতে বি এন পিকে আওয়ামিলীগের হেভী ওয়েট কোন নেতাকে অবশ্যই ফাসিতে ঝোলাতে হবে।
আর রাজনৈতিকভাবে শেখ পরিবারকে পচানোর জন্য হাসিনার বেয়াই গুরত্ব পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
তাই এ ল্যান্জা কাটতে হাসিনাকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
মহিউদ্দীন সাহেবকে ধন্যবাদ তিনি এ ল্যান্জা কাটতে আওয়ামিলীগকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে।
হাসিনা ভাল করবে যদি নিজের জমিনের আগাছাগুলো নিজেই উপড়ে ফেলেন।
খালেদা উপড়ানো শুরু করলে তা খুব বেশী নির্দয়ও হতে পারে।
কারন প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আমারা একে অন্যের চেয়ে এগিয়ে। কারন আমরা খুব বিশ্বাস করি "ক্ষমা যেন ক্ষীন হেথা দূর্বলতা"।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫০