তোমার দ্বিতল ভবন থেকে নিচে প্রধান ফটকে
নেমে আসবে না , সে আমি নিশ্চিত জানি ।
তবে আমি নিচ হতে মাথা উঁচু করে আর তুমি ওপর
হতে মাথা নিচু করেই চোখাচোখি করো আরেকবার।
একদা যখন পিতৃগৃহে ছিলে গোলাপ সমেত আমি
কোনদিনও সদর দরজায় প্রবেশ করতে পারিনি ।
সাড়ে বাইশ থেকে উনচল্লিশ হয়ে গেলো
কেউ কেউ মালিক হলো বাগান সমেত গৃহের ,
তোমার কাছে পেলো অবারিত প্রবেশের ছাড়পত্র ,
অথচ আমি দাঁড়িয়ে রইলাম সেই চেনা গলির মুখে ।
তোমার কি রক্তচাপ বাড়ে না কখনো ,
মাথার ব্যাথাটা কি মাথাচারা দিয়ে উঠেনা পুনর্বার ?
নির্ঘুম রাতে কি দমবন্ধ হয়ে বুকচেপে ধরেনা একাকীত্ব ,
শেষ ট্রেনটিও যদি চলে যায় তোমাকে একাকী ছেড়ে ,
এক হাতে ব্যর্থ টিকিট নিয়ে নিস্ফলা আবেদন তোমার ।
মাথায় কেউ হাত বুলিয়ে দিক বা না দিক যখন ,
নিষিদ্ধ প্রহরে কুড়ি বছরের পুর্বের বেদনায় চিনচিন ব্যাথা।
সে রকম যদি হয়ে যায় তবে আর কাউকে
না পাবার ভান করে আমাকে খবর দিও তুমি ।
রোগী দেখবার নামে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করবো আমি
আর তোমার শয্যাপাশে রেখে আসবো গোলাপ ।
নিয়ে আসবো শীতল আলিংগনের সুরভিত হাহাকার ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৩