আড্ডাবাজ ইংরেজী ভার্সন আড্ডার বলগ প্রায় একবছর ধরে চালিয়ে আসছে। আগামী মাসে পালন করব আড্ডার প্রথম বার্ষিকী। নিজের নাম না দিয়ে আড্ডাবাজ নাম দিয়ে লেখার রহস্য ও কৌতুহূল সবার। স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে আড্ডা ছিল নিত্যসংগী। ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতাম আড্ডা দিয়ে। বাঙালী আড্ডা দিবে না, এতো হয় না। দেশ উদ্ধার করি আড্ডার আসরে, সর্বশেষ কীর্তিকলাপ রোমন্থন করি আড্ডায়। তাই, আড্ডা আমার নেশা। তাই, আড্ডার আসরে আমার নাম একেবারে নগন্য বিষয়। বলে না, 'নাম দিয়ে কি হয়, নামের মাঝে পাবে নাকো সবার পরিচয়'। নামের জন্য আমার লেখা নয়। কোন বাহবার জন্য নয়। কোন সনদের জন্য নয়। কাওকে উদ্ধারের জন্য নয়। সকল চাওয়া-পাওয়ার উর্দ্ধে বাস করে আমার লেখা। আমার অগোছানো ভাবনাগুলো আড্ডায় তুলে ধরতে চাই অন্যদের ভাবনা ও চিন্তায় আলোড়ন জাগাতে। সমাজে পরিবর্তন আসে ভাবনার হাত ধরে। তাই, আমার নামে কিছু আসে যায় না। যে পোস্টম্যান চিঠি নিয়ে আসে, ক'দিন তার নাম আর জীবন সংগ্রাম আমরা জানতে চাই? পোস্টম্যানের চেয়ে তার হাতের চিঠিটার মূল্য অনেক বেশী। আমার নাম ও জীবনবৃওান্তের চেয়ে, 'আড্ডা'র মূল্য ও গুরূত্ব অনেক বেশী। আমি আবৃওি করতে থাকি:
"আনিলাম
অপরিচিতের নাম
ধরণীতে,
পরিচিত জনতার সরণীতে।
আমি আগন্তুক,
আমি জনগণেশের প্রচন্ড কৌতুক।
খোলো দ্বার,
বার্তা আনিয়াছি বিধাতার।
মহাকালেশ্বর
পাঠায়েছে দুর্ল্যক্ষ অক্ষর,
বল দুঃসাহসী কে কে
মৃতু্য পণ রেখে
দিবি তার দুরূহ উওর"।
শেষের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০