somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একাত্তরের কয়েকটি দিন --গল্প থেকে লেখা জার্নাল

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শিরোনামটা এমন হলেও পারত একাত্তরের কয়েকটি দিন --গল্প থেকে লেখা জার্নাল , কিংবা শুধুই গল্প । তাই প্রথমেই বলে নেই এটা কোন ভাবেই ইতিহাস নির্ভর লেখা নয় , এটা আমার ভীতু বাবার স্মৃতি থেকে থেকে শোনা গল্প । গল্পটা টা শুধুই আমার , আমার প্রিয় একটা গল্প ।এমন একটা গল্প যেখানে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই ,কোন ভূমিকাও নেই শুধুই কিছু মানুষের প্রতি মুগ্ধতা । গল্প টা আমি বহু বার শুনেছি , তাই আপনাদের শোনালাম । তবে স্মৃতি বিভ্রাট জনিত কিছু কম বেশি থাকতে পারে ।


গল্প টার শুরু এরকম ,

প্রথম দিন গুলো....২৬ ,২৭, ২৮, ২৯ .....


২৫ শে মার্চ রাতে ঢাকায় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে আমরা শুধু এটুকু জানতাম ।তখন তো এত সহজে খবর পাওয়া যেত না । শুনলাম বঙ্গবন্ধু নাকি স্বাধীনতা ডিক্লেয়ার করেছে । তখনও পর্যন্ত আর তেমন কিছু জানতাম না ।

কিন্তু চারদিকে কেমন যেন একটা গুমোট ভাব । এদিকে কিন্তু দেখলাম বিহারী আর বাঙ্গালী দের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছে । । দেখলাম ট্রাকে করে বিহারীদের লাশ নিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে তখনও ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না ।

২৬ তারিখ এভাবে গেল । আমরা কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার একটা বাসায় থাকি , সেখানে আবার যে ছেলেটা রান্না করে সেই ছেলেটা আবার সেদিন আসেনি । আমাকে এক বন্ধু ওর বাসায় আমাকে খেতে বলেছে ভাবলাম পরিস্থিতি ভালনা তাই তারাতারি যেয়ে খেয়ে চলে আসি । সন্ধ্যায় গেলাম ,খেতে বসেছি সবাই পরিস্থিতি নিয়ে গল্প করছি । রেডিও টা ধরানো ছিল ।

এমন সময় হঠাৎ করেই , শুনলাম আমি মেজর জিয়া বলছি ...



ঘোষণা এমন ছিল প্রায় যতদূর মনে পড়ে ,

আমি মেজর জিয়া বলছি , on behalf of Bongobondhu Sheikh Mujibur Rahman ,I declare myself as a provisional president of Bangladesh. We want support from all. Insha’Allah victory will be ours .


এমন ইংরেজি আর বাংলায় , কয়েকবার করে বলল । আমরা তখন আর খাব কি , উঠকণ্ঠায় আর আকস্মিকতায় কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না । প্রায় কোনরকমে খাবার শেষ করে তারাতারি বাসায় ফিরে যাব , এমন সময় এক পরিচিত লোক আসল ,স্যার মুক্তি যুদ্ধ তো শুরু হয়ে গেছে , ওই খানে গুলি আর বন্দুক দেয়া হচ্ছে (স্থানীয় কোন আওয়ামী লীগ নেতার বাসা থেকে ) , আমি কত গুলি নিয়ে আসছি । দেখি কি সে লুঙ্গিতে করে কতগুলো গুলি নিয়ে আসছে !

বাসায় ফিরলাম তারাতারি , আমাদের বাসা পুলিশ লাইনের কাছে । একটু পরই শুনি সেখান গুলির শব্দ । পুরদমে গুলি শুরু হয়ে গেল । আর তার জবাবে শুনলাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে মর্টারের গুম গুম শব্দ । আমাদের বিল্ডিঙয়ে এসে পড়তে লাগলো গুলি । আমি , আমার বন্ধু আমরা সবাই তারাতারি সবাই মেঝেতে বসে পড়লাম । সেদিন সারা রাত্রি এভাবে গুলি চলল , আর আমরা নির্ঘুম জেগে রইলাম ।

সকাল বেলা থেমে গেল । এখানে তো আর থাকা যাবে না । আমাদের কলোনি নিরাপদ হতে পারে , চিন্তা করে আমরা সেখানে যাওয়া ঠিক করলাম ।

আজাদের সাথে আমার বন্ধুত্ব আছে , আমি ঠিক করলাম সেখানেই যাব ।

যেহেতু কাল সারা রাত ঘুমাইনি , আজকে আর জেগে থাকতে পারলাম না ।ঘুমায়ে পড়লাম ।ঘুম থেকে যখন উঠলাম প্রায় সন্ধ্যা । চারদিকে চুপচাপ কোন সাড়া শব্দ নেই, ব্যাপার কি !

একটু পর কাজের ছেলেটা বলল স্যার উনারা তো নাই , চলে গেছে , আপনি ঘুমাচ্ছেন দেখে আর আপনাকে বলে নি ।বলে কি ! ছেলেটা একটু বোকা , বলছে , স্যার সামনের পাহাড়ে অনেক আর্মি উঠতেছে । ব্যাপার কি দেখার জন্য গেলাম ।

সামনে পাহাড় , ডিসি হিলের একটা সাপোর্ট পাহাড় । সেখানে কয়েকশো আর্মি উঠেছে ।পাহাড়ের পড় মাঠ , মাঠের এই পাশে এই বাড়ি । আমাদের ওয়াপদা কলোনিতে নিরাপদ মনে করে অনেকে গাড়ি রেখে গিয়েছে , কয়েকশ গাড়ি । এই গাড়ি আর বিল্ডিঙয়ের আড়ালে কাউন্টার পজিশন নিয়েছে সম্ভবত মুক্তি বাহিনী । অন্ধকার ঠিক বোঝাও যাচ্ছে না ।

আমার আসলে যাওয়া উচিত ছিল আমাদের সিকিউরিটি অফিসার ক্যাপ্টেন চৌধুরির বাসায় ।এমন কিছু হবে আমি তো ভাবতেও পারিনি । কিন্তু এখন আর বের হবার উপায় নেই । আর্মি আর মুক্তি বাহিনী হোক , সম্মুখ সমর এমন একটা ব্যাপার সন্দেহ হলেই গুলি ।কি করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না , মনে হচ্ছিল আজই শেষ ।


কাজের ছেলেটাকে বললাম, বাঁচতে চাইলে একটাও শব্দ করবি না , সব লাইট অফ করে পর্দা টেনে দিলাম । অন্ধকার পুরো নামতেই অ্যাটাক শুরু হয়ে গেল ,এই বাড়িটা যেহেতু মাঝখানে আর অজস্র গুলি এসে পড়তে লাগলো । বুঝলাম এভাবে হবে না , গুলি এসে গায়ে লাগবে ।। বাথরুম ছিল মাঝখানে ,গুলি এখানে ডাবল দেয়াল ভেদ করতে পারবে না । দুটো তোষক এনে বাথরুমে বিছিয়ে দিলাম ।এবার কিছুটা নিরাপদ মনে হল ।

এদিকে যুদ্ধ কিন্তু চলছে পুরদমে ,এখান থেকে শোনা জাচ্ছে , ইংলিশে , বাংলায় সমানে কমান্ড দিয়ে যাচ্ছে , গুলি , আর চিৎকার আহতদের ! সেকি ভয়াবহতা বলে বোঝানো যাবে না ।
রাতে শুধু ভাত ছিল , আমরা সেই ভাত খেলাম অন্ধকারে বসে । রাত গভীর থেকে গভীর হতে লাগলো , যুদ্ধ চলছে , বাড়ছে চিৎকার আর কান্না । এভাবে শেষ রাতের দিকে কিভেবে যেন ঘুমিয়ে পড়লাম , সকাল বেলা ঘুম ভাঙল কাকের চিৎকারে !

এবার আর ভুল করলাম না । ঠিক করলাম ক্যাপ্টেন চৌধুরির বাসায় যাব । দরজা খুলেই দেখি সিঁড়িতে একটা লাশ ,দেখেই কেঁপে উঠলাম , সেই রকম ফুলে উঠেছে ।যেতে যেতেই কয়েকটা লাশ দেখলাম , কারো পাশে বন্দুক পরে আছে ।

এই দিকে আমাদের ম্যানেজার , আরও সবাই ক্যাপ্টেন চৌধুরির বাসায় আগেই জড় হয়েছিলেন । আর কিভাবে যেন জানতে পেরেছিল ,আমি এই খানে একা ছিলাম ।আজাদের এমন ব্যাবহারে সবাই খুবি বিরক্ত । ওরা ভাবছিল আমি শেষ !
ওখানে দেখি সব অন্য রকম । ড্রয়িং রুমে যেন একটা মুক্তিবাহিনীর ছোট খাট দপ্তর । ক্যাপ্টেন চৌধুরির তো মুক্তিবাহিনীতে যোগাযোগ আছেই , আর তার শালা মেজর ।আমাদের ক্যাপ্টেন সেই রকম সাহসী মানুষ, উনাকে ক্যান্টনমেন্ট উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন , কিভাবে কিভেবে জানি আমাদের ওয়াপদার জীপ নিয়ে ।

তারপরের দিন গুলোর কথা.......

এখানে এসে স্বস্তি পেলাম । আমাদের দিনকাল এমন , আমি আর কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার , আমাদের ম্যানেজার উনি আবার বিহারী , উনি আছেন সপরিবারে , আর ড্রয়িং রুমে সেই মেজর ওয়্যারলেস ,রেডিও এসব নিয়ে সারাক্ষণই তারা যোগাযোগ করছে মুক্তিবাহিনীর সাথে , কমান্ড করছে , এসব দেখি । আর কোন কাজ নাই ।

রান্না হয় , খিচুড়ি , সবাই একই খাবার একই সাথে খাই , ঢালাও বিছানা তে ঘুমাই ।

-ক্যাপ্টেন কিভাবে যুদ্ধে যেত সেটা বল .....

ওহ আমাদের ক্যাপ্টেনের কথা শোন, উনার মত সাহসী মানুষ খুব কম দেখেছি । উনি বের হত সন্ধ্যায় , পাগলের বেশে , একটা লুঙ্গি পড়ে খালি গায়ে গান গাইতে গান যেত , পাগলের অভিনয় করে পাকিস্তান আর্মি বুঝতেও পারত না , ভাবত পাগল । পাগল কে আর গুলি করত না । উনি নিজেই বলত পাক আর্মির সামনে দিয়েই আসলাম , আমাকে কেউ সন্দেহ করে না ।খাবার গুলি , ওষুধ পত্র এসব নিয়ে যেত ।
আফসোস তার এই ছদ্দবেশ শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গিয়েছিল ।

এপ্রিলের শুরুর দিকে , মুক্তিবাহিনী শহরের দিকে যে প্রতিরোধ করেছিল তা আর্মি ছত্র ভঙ্গ করে দিছে , বেসির ভাগ মুক্তিবাহিনী এখন শহরের বাইরে পাহাড়ে সংঘটিত হওয়া শুরু করল । সেখান থেকে তারা এখন শহরে আক্রমণ শুরু করলো । আমার মনে আছে , প্রথমেই মুক্তি বাহিনি কাপ্তাইয়ের ১৩২ কেভি টাওয়ার পুরো উপড়ায়ে দিয়েছিল ।

সেই মেজর আর বাসায় ই আসে না , উনি দেখলাম পুরাই পাহাড়ে জঙ্গলে চলে গেল । শহরের নিয়ন্ত্রণে এখন পুরাই আর্মি । আমরা কেউই বাসা থেকে বের হইনা , কারন আর্মি বাসায় বাসায় খুঁজে মুক্তি বাহিনীর কাউকে পেলেই সবাইকে মেরে ফেলছে ।
এদিকে তো খাবারে টান পড়ছে , দোকান পাট ও সব বন্ধ । শহরে যাওয়া রিস্ক । ক্যাপ্টেন করল কি একটা জীপে নিয়ে গেল , দোকানদারের বাসায় যেয়ে তারে উঠায়ে নিয়ে এসে দোকান খুলায়ে চাল ডালের বস্তা নিয়ে ফেরত আসল । আমরা তো খুবই ভয় পাচ্ছিলাম ।

চারপাশে এত লাশ প্রায় সব সিটি কর্পোরেশন এর গাড়ি এসে নিয়ে যায় , কিন্তু বাসার কম্পাউন্ডের মধ্যে দুটা লাশ রয়ে গেছে সেটা আর ওরা দেখেনি । এখন ওই লাশ তো ফুলে উঠেছে । এমন গন্ধ যে কাছে যাওয়াই মুশকিল ।

এখন ম্যানেজার এর বাচ্চা তো ছোট , সে কিভাবে যেন সেই লাশ দেখেছে , খুবই ভয় পেয়েছে । সে সারা দিনই বলছে , আব্বুজি মুঝে ডরা তি হ্যায় , আর কোন কথা নাই ।ম্যানেজার ক্যাপ্টেন কে বলল এখন কি করা যায় বলেন তো , ?

স্যার এক কাজ করি , গেটের কাছের লাশটা তো প্রায়ই কাক খেয়েই ফেলেছে , একটা কম্বল দিয়ে প্যাঁচায়ে গেটের কাছে রেখে আসি , ওরা নিয়ে যাবে , আর এটা অনেক ফুলে গেছে , এটা নেয়া যাবে না, এটা এখানে কবর দিয়ে ফেলি ।

তো আমরা করলাম কি কোদাল , দা যা আছে নিয়ে বাইরে গেলাম , কবর খুঁড়তে, আর তো আর্মি পাহাড় থেকে সাথে সাথে ফাঁকা গুলি করা শুরু করল ,আমরা সবাই এক দৌড়ে ভিতরে এসে পড়লাম , ওরা কি ভাবছে জান ?

ভাবছে মনে হয় আমরা ট্রেঞ্চ খোঁড়ার জন্য গিয়েছি । ক্যাপ্টেন বলল , এক কাজ করেন , আমরা এক জন একজন করে যেয়ে মাটি খুঁড়ে আসি , তাহলে মনে হয় আর গুলি করবে না ।
তাই করলাম আমরা । এক জন যেয়ে খুঁড়ে আসি , ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসি , এভাবে কবর খোঁড়া হয়ে গেলে ক্যাপ্টেন যেয়ে একটা কম্বল দিয়ে ঢেকে কবর দিয়ে আসল ।

আহা যুদ্ধ , আহা মৃত্যু ।

একজন বাসায় এসে ক্যাপ্টেন এর কাছে পেট্রোল চাইল । তখন পেট্রোল পাম্প বন্ধ , তেল কোথাও পাওয়া যায় না । উনি তো গাড়ি নিয়ে যুদ্ধের সরবারহের কাজ করেন , তাই বললেন , ভাই , এক পাউন্ড ব্লাড দে সেকতা লেকিন এক পাউন্ড পেট্রোল নেহি দে সেকতা ।

আর এক দিন এক বিহারী আসলো দৌড়াতে দৌড়াতে । উনি ম্যানেজারের কেউ ছিল সম্ভবত , হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলল , স্যার আমাকে মুক্তি বাহিনী ধরছিল , আমি কোন রকমে ছাড়া পেয়ে আসছি ।

বল কি ক্যামনে ছাড়া পাইলা ?

স্যার আমাকে বলে , আমি নাকি বিহারী ! আমি বললাম যে কে বল্ল আমি বিহারী ? আমি রবীন্দ্রনাথের কবিতা শুনায়ে দিসি , তারপর আমাকে বাংলা বই পড়তে দিসে , আমি পড়ে শুনায়ে দিলাম , তারপর আমাকে ছেড়ে দিল !!!!

বিহারীরা যেহেতু পাকিস্তানি , তখন তাই কোন ছাড়াছাড়ি নাই , অনেক অবাঙ্গালীকে মেরে ফেলা হয়েছিল তখন। আবার বিহারীরাও অনেক বাঙ্গালীকে মেরে ফেলেছিল শেষের দিকে ।


বাংলা পড়তে না পারলে সেদিন তার খবর ছিল ! সেও এসে যোগ দিল আমাদের দলে !
এদিকে বিদ্যুতের তো বেহাল অবস্থা , ম্যানেজার সাহেব কে তো সার্কিট হাউজ থেকে আর্মি ডাকছে । আমরা তো জুনিওর আমাদের তেমন কোন কাজ নাই , আমদের অনেকেই দেশের বাড়িতে চলে গেছে , আমিও আর এখানে থাকলাম না , কিছু দূরে আমার চাচার বাসায় চলে গেলাম , ঠিক করলাম সহজে আর অফিসের দিকে যাচ্ছি না ।



কয়েকদিন পর ......


তেমন কোন কাজ নাই , ক্যাপ্টেন ম্যানেজার আরও সবাই বসে বসে তাস খেলে । এমন একদিন সন্ধ্যার সময় দুই জন লোক সিভিল ড্রেসে আসলো , ক্যাপ্টেন একটু এদিকে আসেন , সার্কিট হাউজ থেকে আপনাকে ডাকছে ।

তো উনি একে সাহসী মানুষ , তার উপর কিছু সন্দেহ করেননি , চলে গেলেন । একটু সামনেই আর্মির গাড়ি ছিল সেটা উনি জানতে পারেননি ।
সেই যে গেলেন , অপেক্ষা , অপেক্ষা , আর তো ফিরে আসেন না ।
সেই শেষ ,আর ফিরে আসেন নি । কোন খোঁজ ও পাওয়া যায়নি ।

পরদিন ম্যানেজার , কত খোঁজা খুঁজি , কেউ কিছুই জানেনা । কিছুই বলতে পারে না । ম্যানেজার বিহারী মানুষ , তার লিঙ্ক লাগায়ে কত যে খুঁজছে , লাশ ও যদি পাওয়া যেত !
পরবর্তীতে শুনেছিলাম , উনাকে তখনি মেরে ফেলা হয়েছিল ।
আমাদের ক্যাপ্টেন একজন অসাধারন মানুষ ছিলেন ,আমরা কত গুলো মানুষ তার বাসায় ছিলাম , খেয়েছি , সবই দেখাশোনা করা , মুক্তিযোদ্ধাদের সরবরাহ করা , কত কাজ যে উনি করতেন ।

আর সেই মেজর , তার কথা শুনেছিলাম , খুবই দুর্ভাগ্যজনক, শুনেছি পরবর্তীতে জিয়ার কেসে উনার কোর্ট মার্শাল হয়েছিল !!

যুদ্ধের তো আরও কতো গল্প আছে , এটাই ছিল আমার গল্প , আমার শোনা একটা সংক্ষিপ্ত গল্প ।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:২২
৩৯টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×