কিছু ছবি আছে যা দেখলে কেন জানি আপনা আপনিই মায়ার সৃষ্টি হয় ৷ আবার কিছু মূহুর্তে খালি নির্বাক হয়ে তাকিয়ে ছাড়া যেন আর কিছু করার থাকেনা ৷ তবুও সবাই চায় প্রতিবাদি সুরে গলায় ঝড় তুলতে ৷ কিন্তু সেটিকি আর সবার কপালে থাকে? প্রতিবাদ করতে পারে খালি প্রধাণমন্ত্রীর গুণধর সন্তানেরা, বিচার চাওয়ার অধিকার কেবল তাদের, গরীব জনতার বিচার চাওয়ার ফল হচ্ছে চার দেয়ালে ঘেরা জেলের কুঠুরি ৷
যদি জিজ্ঞাসা করি একের পর এক খুন হচ্ছে কিন্ত বিচার কেন হচ্ছেনা এর জবাবে কেউ হয়তো বলবে পুলিশ ক্লু পাচ্ছেনা ৷ ক্লু পুলিশ পায় ঠিকই কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় ৷
গরীব তোমার বিচার আল্লাই করবে তুমি কেদোঁনা ৷
কিছু পাওয়ার আনন্দে আত্মহারা হয়ে যে হাসিটুকু বের হয় তার মুল্য অনেক ৷ গরীবের মুখের তৃপ্তির হাসি যেন আজ অনেক দুর্লভ ৷ কেউ যেন তাদের মুখে হাসি ফুটাতে শিখেনি, শিখেছে কেড়ে নিতে সেই সুন্দর হাসিটুকু ৷
কিছুদিন আগে একটা ছবি দেখেছিলাম যেখানে স্বয়ং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান চুল কাটছেন আর তার সামনে দারিয়ে আছে ৭-৮ বছরের নিষ্পাপ এক শিশু ৷ এই হচ্ছে তার মানবাধিকার ৷ দিন দুপুরে বাইরে মিডিয়ার সামনে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে গলাবাজি আর নিজে সেটিকে সুন্দরমত এড়িয়ে চলা ৷ বাহ কি সুন্দর থিওরি ৷
পুলিশের কাজ কি? এ নিয়ে খালি বাঙালিরই সন্দেহ আছে ৷ তারা পুলিশ দেখলে দশ হাত দূরে থাকার চেষ্টায় রত থাকে ৷ না জানি কোন সময় কি করে বসে ৷ তারা তো আবার যখন যা মনে চায় করে বসে ৷
কয়েকডিন একটি ছবিতে দেখলাম রাস্তার ধারে দুই পুলিশ মিলে এক শিশুকে বেধড়ক পিটাচ্ছে ৷ জানিনা কি দোষ ছিল শিশুটির ৷ হয়তো পাচঁটি টাকা ভিক্ষাই চেয়েছিল ৷ এর জন্যই কি তাকে এরুপভাবে মারা ৷ ওহ তারা আর কিসের বিচার চাইবে তারা যে প্রধানমন্ত্রীর সন্তান না ৷
তনু মারা গিয়েছিল সেনানিবাসের মতো নিরাপদ জায়গায়, মারা গেল রেজাউল করিম সিদ্দিকি, কই তাদের হত্যাকাণ্ডের বিচার তো হলোনা ৷ আরে বাপ খুনিরাই তো ধরাছোয়ার বাইরে বিচার হবে কি করে ৷ কয়দিন রাজপথে নেমে প্রতিবাদ এ যেন তামাশা হয়ে দারিয়েছে ৷ আরে ভাই ঢিলতো জায়গামতো ছুরতে হবে ৷ যেখানে সেখানে মারলে কি আর হবে?
যে দেশের পুলিশের ভয়ে জনগণ তটস্থ থাকে সে দেশে নতুন কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর দরকার নেই ৷ জঙ্গি তাকানোর আগে ঐ পুলিশগুলো আগে তারানো দরকার ৷ তাও যদি শান্তি ফিরে আসে ৷