somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিমালয়ের ইয়েতি রহস্য উন্মোচন

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিমালয়কে ঘিরে রহস্যগুলোর অন্যতম একটির ইতি ঘটলো। রহস্যঘেরা তুষারমানব (স্নোম্যান) ইয়েতির অস্তিত্ব উদ্ধার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

জেনেটিক পরীক্ষা চালিয়ে হিমালয়ে বিরল এ ‘প্রাণীর’ উপস্থিতি সনাক্ত করতে পেরেছেন তারা। তবে তাদের পরীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে, প্রাচীন মেরু ভালুক বা পোলার বিয়ার (আকর্টিক সাগরে ঘেরা আকর্টিক সার্কেলে বাসকরা মাংসাশী ভালুক) ও বাদামি ভালুকের যৌথ মিলবন্ধন রয়েছে এ প্রাণীর মধ্যে।

ইয়েতির সংগৃহীত চুলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বংশগতভাবে (জেনেটিক্যালি) ১ লাখ ২০ বছর আগের প্রাচীন পোলার ভালুক সঙ্গে সাদৃশ্য পাওয়া গেছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান জেনেটিক্সের অধ্যাপক ব্রিয়ান সিকেস এ গবেষণা চালিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইয়েতির শারীরিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। হিমালয়ের গায়ে রহস্যময় ‘বিগফুটের’ বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দেওয়ার জন্য এগুলোর অত্যাধুনিক ডিএনএ টেস্টেও করা হয়েছে।

এ অধ্যাপক বলেছেন, এটি খুবই কৌতুহলপূর্ণ ও পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ফলাফল। তবে ড. সিকেস বলেছেন, প্রাচীন পোলার ভালুকের উপস্থিতির বিষয়টি জানা গেলেও তারা এখনও হিমালয়ে ঘুরছে কিনা তা বোঝা যায় না।

তিনি বলেছেন, কিন্তু এটি হতে পারে যে, উপ-প্রজাতির বাদামি ভালুক হিমালয়ের ওপরে থাকতে পারে। বাদামি ভালুক হয়তো এসেছে পূর্বপুরুষ মেরু ভালুক থেকে। অথবা এও হতে পারে, বাদামি ভালুক ও প্রাচীন মেরু ভালুকের বংশধরদের মেলামেশায় সংকরজাতের হতে পারে এ উপ-প্রজাতির ভালুক।

শত শত বছর ধরে হিমালয়বাসীদের মুখে মুখে চাউর হয়ে আসছে ভয়ানক প্রাণী ইয়েতির নাম। কিংবদন্তি পর্বতারোহী রেইনহোল্ড মেসনারসহ কয়েকজন বিশ্ববিখ্যাত পর্বতারোহীও বড় বড় চুলের বানর জাতীয় এ প্রাণীর মুখোমুখি হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। তাদের দাবি, ভাগ্যের জোরে ইয়েতির মুখ থেকে বেঁচেছেন তারা। রেইনহোল্ড মেসনার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় করেন।

এই অধরা প্রাণী নিয়ে অনেক কল্পকথা তৈরি করেছেন হিমালয়বাসীরা। এ প্রাণী ক্যামেরা ফ্রেমেও ধরা দেয়নি।

অধ্যাপক সিকেস হিমালয়ে দেখতে পাওয়া কয়েকটি প্রাণীর চুলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন এবং সেগুলো পরীক্ষা করেছেন। হিমালয়ের উচু অঞ্চলের গ্রামের স্থানীয়দের কাছে ইয়েতি নামে পরিচিত দুটি প্রাচীন প্রাণীর চুলের নমুনা পরীক্ষা করেছেন।

এদের একটি ভারতের লাদাখ ও অন্যটি ভুটানে পাওয়া গেছে। এ দুই প্রাণীর নমুনা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল জেনব্যাংক ডাটাবেজে সংরক্ষিত অন্যান্য প্রাণীর জেনোমের (বংশগতি সম্পকির্ত তথ্য) সঙ্গে তুলনা করেছে। অধ্যাপক সিকেস দেখতে পেয়েছেন, তার সংগৃহীত নমুনা নরওয়ের সালবার্ডে প্রাপ্ত প্রাচীন মেরু ভালুকের চোয়ালের হাড় থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে।

যারা ইয়েতির সাক্ষাৎ পেয়েছেন!
শোনা যায়, মহামতি আলেক্সজান্দার ৩২৫ খ্রিস্টপূর্বাব্ধে সিন্ধু উপত্যাকা জয়ের জন্য ইয়েতির জন্য লালায়িত ছিলেন। তবে স্থানীয়রা তাকে বলেছিল, এই প্রাণী নিম্নচাপে বেঁচে থাকতে পারবে না।

১৯২৫ সালে আলোকচিত্রী ও রয়্যাল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটির সদস্য এন এ তোশবাজি একটি ছবি প্রকাশ করেন। ওই ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, ‘মানুষের আকৃতির একজন ঋজু হয়ে হাঁটছে’। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তুষারের বিপরীতে তাকে কালো দেখাচ্ছিল এবং যতোটুকু আমি দেখতে পেয়েছি, তার শরীরে কোনো কাপড় ছিল না।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পোলিশ সৈন্য সোয়ামির রেউচ সাইবেরিয়ার একটি বন্দীশিবির থেকে পালিয়ে হিমালয় পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন। আসার পথে একবার তাকে পথে বাধা দিয়েছিল দুই ইয়েতি।

১৫৯১ সালের দিকে ব্রিটিশ পর্বতারোহী এরিক শিপটন মাউন্ট এভারেস্টের বেসে ইয়েতি পায়ের ছাপের ছবি প্রকাশ করার পর ইয়েতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ বেড়ে যায় বিশ্ববাসীর।

দুই বছর পর স্যার অ্যাডমুন্ড হিলারি ও তেনজিং নরগেও দাবি করেন, মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার সময় তারা বড় বড় পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন। এরপর হিলারি ওই প্রাণীর সন্ধানে এভারেস্ট চূড়াও আরেকবার অভিযান চালান। তার দাবি, তার বাবা ওই প্রাণীকে দেখেছিলেন।

Click This Link
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×