somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের চলচ্চিত্রের সব থেকে বেশি যেটার অভাব তা হল "আপনার ভালোবাসা" ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন খাল কাটা হয় তখন সেই খাল দিয়ে যেমন কুমিরও আসে তেমনি তৃষ্ণা নিবারনের জলও আসে। নির্ভর করছে আপনি কোনাটার দিকে নজর দিচ্ছেন।
তারেক মাসুদ স্যার চাইতেন বিদেশের সাথে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণ হোক। তিনি চেষ্টাও করেছিলেন। 'কাগজের ফুল' প্রযোজনায় ভারতের অংশ ছিল। তারেক স্যার নেই। তার অনুসারীরা আজ সেই কাজই করছেন। যদিও প্রত্যেকের কাজ করার ধরন ভিন্ন ভিন্ন।
আপনি কি বলবেন, তারেক মাসুদ চেয়েছিল বাংলাদেশের সিনেমা ধ্বংস হোক??
টলিউড তার বাক্স খুলে বসেছে। বলতে দ্বিধা নাই সেটা নিতান্তই ব্যাবসার জন্য। কিন্তু সেই মনোহরি বাক্স থেকে আপনি কি কিনবেন আর কিনবেন না, সেটা তো আপনার সিদ্ধান্ত। বলতে দ্বিধা নাই আমরা যত বেশি যৌথ কাজ করব তত বেশি ম্যাচিউর হয়ে উঠব। পৃথিবীর সব থেকে নবীন তম শিল্পের নাম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বিকাস, পথচলা, অগ্রহতি অনেকটা সময়ের থেকেও দ্রুততর। তাই পুরাতন তকমা আওড়ে বেশিদিন টিকে থাকাটা কঠিন। অতীত গৌরব নিয়ে গর্ব করে অনুপ্রাণিত হওয়া যায়। কিন্তু অনুপ্রেরণাকে যুক্তিযুক্ত পন্থায় নিয়ন্ত্রনও করতে হয়। আমরা সেটা পারিনি। এটাই মূল সমস্যা।
আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সীমাবদ্ধতা কিন্তু আপনি দর্শকের চেয়ারে বসে সব সময় উপলব্ধি করতে পারবেন না। সেটা জানতে হলে দাঁড়াতে হবে ক্যামেরার পেছনে। এমন কথাই বলছিল সৈকত ভাই। সকালে যখন শুটিং সেটে গিয়ে পা রাখলাম তার ঠিক কিছুক্ষন আগেই ক্রেনের দড়ি ছিঁড়ে গিয়ে আহত হয়েছে হিরো ওম। পরিচালক এটাই বলছিলেন- "দর্শক কিন্তু দেখতে পাবে না যে, এই ছেলেটা কতোটা আহত হল। কতোটা শারীরিক যন্ত্রণাকে ঝেরে ফেলে কাজে মন দিল। এটা কিন্তু আমরা দেখতে পাই। তাই দুম করে ঠিক বলে দিতে পারি না এটা খারাপ ছবি"।
আমার মতে বাংলাদেশী দর্শকরা বড় অস্থির। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, দর্শক হিসেবেও আপনার কিছু দায়িত্ব কিন্তু আছে এই ইন্ডাস্ট্রির প্রতি। প্রতিটা দেশের দর্শকেরই থাকে। ভেবে দেখুন দর্শক হিসেবে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করছেন কি না?
বাংলাদেশীরা পারে না এমন কিছু নাই। তার প্রমান আমরা দিয়েছি বহুবার। ভারতে বাংলাদেশী ক্রিকেটকে আলাদা ইজ্জত দেওয়া হয়। এখানের মানুষ উদাহরণ টেনেই বলে- "বাংলাদেশের কাছ থেকে আমাদের শেখার আছে। দেখেছ, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম হারুক বা জিতুক কখনোই তাদের সাপোর্টাররা টিমের উপর থেকে আশীর্বাদ তুলে নেয় না।"
আমিও সেই কথাটা বলতে চাই। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের দুর্দিনেও আমরা যেমন বুক দিয়ে তাদের আগলে রেখেছিলাম সেভাবে একটিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্রকে আগলে ধরুন। দেখবেন রাতারাতি সব বদলে যাবে। যেতে বাধ্য। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম যেমন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্রান্ডিং করে তেমনি করে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রও কিন্তু বাংলাদেশের ব্রান্ডিং করে।
দর্শক হিসেবে আপনি যখন শুধু ভুল গুলোই দেখেন বা সমালোচনার মোড়কে আপনি যখন সব ভুল গুলোই আওড়ান তখন তো চাইলেও আমরা বেশিদূর উড়তে পারি না। কেননা চলচ্চিত্র নামক ঘুড়ির নাটাই তো আপনাদের হাতে।
-
আজ সারাদিন কেটেছে 'হিরো-৪২০' সিনেমার শুটিং এ। আমি চোখ কান খোলা রেখে পর্যবেক্ষণ করতে চেষ্টা করেছি। কি নেই আমাদের আর কি আছে আমাদের? সত্যি কথা হল আমাদের যে জিনিসটার সব থেকে বেশি অভাব তা হল দর্শকের ভালোবাসা। আপনার পজেটিভ সাপোর্ট। সেটা কিন্তু আমার জন্য না। আমাদের মৃত প্রায় চলচ্চিত্রের জন্য। আমাদের দেশের জন্য। কেননা চলচ্চিত্রই পারে হাজার হাজার মাইল দূরে বাংলাদেশের নামটা বয়ে নিয়ে যেতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৭




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×