বাতিলরা বলে “এই ঈদ আবার কোন ঈদ”??
আমি বলি- “এই ঈদ সকল ঈদের সেরা ঈদ”
কারন
এই ঈদের আগমন না ঘটলে, তোমরা না ঈদুর ফিতর পেতে না ঈদুল আজহা
*
মাহে রাবিউন নুর মাসের আগমন হয়েছে।নবী প্রেমিকদের মাঝে দয়াল নবীজির জাশনে মিলাদুন্নবী(দঃ)পালনের ধুম উঠেছে। আমাদের নবী আমরা জাশনে মিলাদ মানাবো না তো কারা মানাবে।
যাক এসব কথা কিন্তু হ্যা এরই মাঝে প্রতি বছরের ন্যায় কিছু নামকাওয়াস্তে মুসলমানদের চুলকানী শুরু হয়ে গেছে। মাহে রাবিউন নুর মাসের চাদ উদিত হওয়ার সাথে সাথেই আহলে খাব্বিস, দেউবান্দর তাবলীগী, জামায়াতে শয়তানীরা ইতি মধ্যে ঘেউ ঘেউ শুরু করে দিয়েছে।
কিন্তু আল্লাহর শান দেখুন প্রতিবছর আমাদের নবীর জাশনে মিলাদ উদযাপনে মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, কারন এসব ধর্মব্যবসায়ীদের আসল চেহরা মানুষ দেখতে পাচ্ছে। আজকে দলিল দিবো শুধু কিছূ কমন প্রশ্ন রাখছি...
আল্লাহ শান্তির ধর্ম ইসলামকে আজ যারা নিজ স্বার্থে ব্যবহার করছে, সেই জামায়াত, হেফাজত, কট্টরপন্থি আহলে খাব্বিসদের সমুলে ধংশ কামনা করি, কারন এদের থাকা মানে সমাজে বিভেদ আর বিভেদ যার জন্য সকলের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী আশা করা যায় না.।
.
> সৌদি বাদশা যখন হিলারী ক্লিনটন এর জন্মদিন পালনে বড় কেক কাটতে পারে, তাহলে আজ তাদের ভক্তকুল তাকলিফ জামাত দেউবন্দর সহ আহলে খাব্বিসরা নবীর জন্মদিবসকে বিদাত বলে কেন?
> মানুষের জন্মদিন পালনে এমনকি এইসব বাতিলরা যখন রাজনৈতিক খোলস পড়ে তখন বিভিন্ন নেতার জন্মদিন পালন করে আত্মীয় স্বজনদের বাসায় কি বাচ্চাদের জন্মদিনে কেক খাইতে হুজুরদের কি মজা, তাহলে নবীর জন্মদিবসে আপত্তি কেন..??
> নিজের প্রয়োজনে হরতাল অবরোধে রাস্তা অবরোধ করে, মানুষের ভোগান্তির জন্ম দিয়ে মিছিল করে, শাপলা চত্তর মনে আছে তো? তাহলে নবীর জন্ম দিবসে জাশনে মিলাদে আপত্তি কেন??
> আজকাল মোবাইলের যুগ ছেলে-মেয়ে মোবাইলে বলেন কিংবা পার্কে বলেন চুম্মাচাটি লেগেই আছে কিন্তু নামকাওয়াস্তে হুজুরদের কোন ফতোয়া নাই, আর নবীর নাম শুনে নিজের আঙ্গুল চুম্বন করলে হুজুরদের ফতোয়া কেন??
> সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এরা কই মুসলমানদের জন্য শুধু দুইটা ঈদ আর কোন ঈদ নাই, আমার প্রশ্ন নবীজি শুক্রবারকে প্রত্যেক মোমিনদের জন্য ঈদের দিন বলেছেন তাহলে এখন কয়টা ঈদ হলো? কয় গেলেন নামকাওয়াস্তে হুজুররা??
> এরা জাশনে মিলাদুন্নবীকে বিদাত বলে তাহলে ৬ নাম্বারকে ২৪ নাম্বারীরা যে ইসলামের বিধান বানিয়েছে এর বৈধতা আদৌকি দিতে পেরেছে?
*
এরুপ শত শত প্রশ্ন দাড় করাতে পারি যার উত্তর এই ওহাবীদের কাছে নাই জীবনেও দিতে পারবে না... শেষে একটি হাদিস বলে শেষ করি
> সহি বুখারী শরীফে আছে- হযরত আব্বাস(রা.) বলেন,-আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখেছি যে, সে খুব খারাপ অবস্থায় আছে। অতপর সে বলল;তোমাদের ছেড়ে আসার পর আমি কোন দিন শান্তি পাইনি, তবে প্রতি সোমবার আমার শাস্তি কিছুটা কমানো হয়া।
কারন আমার দাসী ছুয়াইবা নবীজির জন্ম গ্রহনের সুসংবাদ দিলে আমি আবু লাহাব সে দিন খুশি হয়ে তাকে মুক্ত করি আর সেদিন ছিল সোমবার এজন্য আল্লাহর আদেশে প্রতি সোমবার আমার উপর শাস্তি কিছুটা কমানো হয় এবয় আমাকে পানি পান করানো হয়।
...........(ইমাম বুখারী,৫ম খন্ড,হাদিস-৪৮১৩, ইমাম বায়হাকী,৭ম খন্ড, হাদিস-১৩৭০১, ইমাম আব্দুর রাজ্জাক,আল-মুছান্নাফ,আল-মাকতাবুল ইসলামী,৭ম খন্ড,হাদিস-১৩৯৫৫, ইমাম ইবনু কাসীর,আস সীরাতুন নববিয়্যাহ,দারুল মারিফাহ,১ম খন্ড,পৃষ্ঠা-২২৪, ইমাম ইবনু হাজর আসকালানী,৯ম খন্ড,পৃষ্ঠা-১৪৫)
*
কাফের আবু লাহাব যার নিন্দায় করআনের একটি সুরা(সুরা লাহাব) অবতীর্ণ হয়েছে সে যদি ঈদে মিলাদুন্নাবী(সা.) উদযাপনের কারণে কম শাস্তি ভোগ করে, তাহলে উম্মতে মুহাম্মাদীর মধ্যে সে মুসলিম ব্যক্তির কী প্রতিদান হবে যে ঈদে মিলাদুন্নাবী উদযাপন করে এবং রাসুলুল্লাহর প্রেমে তার সামর্থনুযায়ী খরচ করে, নিশ্চয় আল্লাহ তাকে দোজাহানে কামিয়াব করবেন.
*
আশা করি মিলাদুন্নাবীর বিরোধীতাকারী নাফারমানরা তাদের ভুল বুঝতে পারবেন এবং পরবর্তীতে তারাও ঈদে মিলাদুন্নাবী উদযাপন করবেন, কারণ নিজ নবীর জন্মদিনে আমরা মুসলমানরা খুশী উদযাপন করব না তো কে করবে, আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুক.......আমিন
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭