অনেকেই গল্প ফাদে অমুক স্থানে এক মেয়ে আত্নহত্যা করেছিল তাই আজো তার আত্না মানুষ কে তাড়া করে...বা অমুক স্থানে এক লোক মারা গেছিল বলে তার আত্না সেখানে আছে মানুষ কে ভয় দেখায় (নাউজুবিল্লা নাউজুবিল্লা)।
হতে পারে সেখানে দল চূত্য কোন জ্বীন এই কাজ করে।কারণ সব কাহিনীতেই একটা জ্বীন মানুষ কে ভয় দেখায় হতে পারে ওরা মজা পাই আমাদের কে ভয় দেখিয়ে।আর ওদেরও আমাদের মত সমাজ শাসক আছে।তাদের অন্যায়ের বিচারও হই।আনেক কেই শাস্তি স্বরুপ নির্বাসন দেই আবার হত্যাও করে।আমার মনে হই এই নির্বাসিত জ্বীন গুলোই এই শয়তানী করে।একা একা ভাল লাগে না তাই আর কি মানুষ কে পেলেই মজা লুটে।শুনলাম না তো কোন হুজুরের উপর জ্বীন ভর করেছে।সে যাই হোক এটা আমার নিজেস্ব মত।
যা বলছিলাম... রাসূল বলেছেন মামুষ মারা গেলে তার রুহু বা আত্না ইল্লিন বা সিজ্জিনে থাকে এবং সেটা তার ভাল খারাপের উপর নির্ভর করে।কবরের আজাব বা শান্তি ভোগ করে।তাহলে এই গাধা গুলোর মত আপনি যদি ঐ কথা বিশ্বাস করেন তাহলে একই সাথে কত গুলো হাদিস আর কুরানের আয়াত কে অশ্বিকার করে বসছেন হুস আছে তো?
আর কুরানের যে একটা কথা অবিশ্বাস করবে সে কাফির! তাহলে এই গাধা গুলো কি মুসলিম???কালেমা পড়লেই সে মুসলিম?
এই সমস্ত কথা তো আছে হিন্দু ধর্মে।ওরা বিশ্বাস করে কোন মানুষ মারা গেলে সে যদি অতৃপ্ত থাকে তাহলে তার আত্না এসে প্রতিশোধ নেই। আমরা মুসলিম হয়ে এই ঈমান ঘাতি কথা বিশ্বাস করি কিভাবে? কারণ এই কথা বিশ্বাস তো পরকালকেও অশ্বিকার করে বসছে।মানুষ মরে যদি ভূত হই তাহলে তো কবরে তার শাস্তি বা শান্তি পাবে না, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান হবে না।আর এই যদি হত তাহলে ফেরাউনের বউ আসিয়া (যাকে ইতিহাসে সবচেয়ে নির্মম ভাবে ইসলাম গ্রহনের জন্য হত্যা করেছে) ভূত হয়ে ফেরাউনের ঘাড়ে সাওয়ার হত।হল না কেন??
এইসমস্ত কথা যারা বিশ্বাস করে তারা ভাবে না এর প্রভাব কত দূর অথচ প্রত্যেক মুসলিমই জানে কবরে আজাব হই।আজরাইল জান কবুজ করে কবরে তার রুহু ফেরত দেওয়া হই।তাহলে এই সব জানার পরও কেন এই শিরক?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮