somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলার অহংকার

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু,(কন্ঠশিল্পী মজনু মোরশেদ চৌধুরী) পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সাগর কণ্যা দ্বীপ কুতুবদিয়া থানার পশ্চিম আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী বংশে ২১ শে এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে চিত্রশিল্পী,নৃত্যশিল্পী,কথাশিল্পী,কন্ঠশিল্পী,প্রচ্ছদশিল্পী,ভাস্কর্যশিল্পী,গীতিকার, সুরকার, থিয়েটার অভিনেতা, মডেল ও মিউজিক ভিডিও নির্মার্তা। তিনি ৪/৫ বছর বয়স থেকে স্বেচ্ছায় স্বশিক্ষায় চিত্রাংকনে পারদর্শী হয়ে উঠেন । ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রচন্ড মেধাবী । তাই শিক্ষকরা নার্সারী থেকে তাকে ১ম শ্রেণীতে না দিয়ে সরাসরি দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রমোশন দিয়ে দেন ও পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিবারই প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৯১ সালে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি হন ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেন। একই বছর আরোও দুই বার চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এভাবে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার ছিল তার জন্য অবধারিত। ৬ষ্ট শ্রেণীতে তিনি স্কুলের স্কাউট দলে যোগ দেন। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় উপলক্ষ্য স্কাউট কর্তৃক "জলোচ্ছাস" নামে যে নাটকটি মঞ্চায়িত হয় তাতে মাতৃহীন সন্তানের অভিনয় করেন এবং রিলিফ দিতে কোরিয়ান অধিবাসীদের ও আমেরিকান সৈন্যদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলে তাদের অবাক ও মুগ্ধ করেন। ১৯৯২ সালে সপ্তম শ্রেণীতে উর্ত্তীণ হবার পর প্রখ্যাত বেতার শিল্পী বাঙ্গালীর কাছ থেকে গানের তালিম নেন। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় পাশাপাশি "জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো" দেশাত্ববোধক গানটি গেয়ে জীবনের প্রথম গানের প্রতিযোগীতায় সতের জন প্রতিযোগীকে হারিয়ে দিয়ে প্রথম পুরস্কার পান। এভাবে কন্ঠ শিল্পী হিসেবে তাঁর পথ চলা হয় শুরু। সারা বছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক , নজরুলগীতি, পল্লীগীতি ও ভান্ডারী গান গেয়ে সতেরটি পুরস্কার পান। পাশাপাশি কবিতা রচনার প্রতি ঝোঁকে পড়েন। ১৯৯৩ সালে অস্টম শ্রেণীতে উর্ত্তীণ হবার পর স্কুলের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। রচনা করেন 'শিক্ষার আলো" নাটক। শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে নিজ পরিচালনায় নাটকটি মঞ্চায়িত করেন,যেটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে তিনি নিজেই অভিনয় করেন। সার বৎসরে পুরস্কারের সংখ্যা ১৩ টি। ১৯৯৪ সালে নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হবার পর অভিভাবকরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হতে তাঁকে সরে আসার জন্য বার বার চাপ দেয়। তা স্বত্বেও সারা বছরে পনেরটি পুরস্কার পান। ১৯৯৫ সালে দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। পুরস্কারের সংখ্যা আবারো পনের। পুরস্কারের নতুন বিভাগ উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি ও রচনা লিখন। ১৯৯৬ সালে এসএসসিতে ফার্ষ্ট ক্লাস পান, ভর্তি হন ঐতিহ্যবাহী কক্সবাজার সরকারী কলেজে একাদশ বিজ্ঞানে। কলেজের দেয়ালিকায় তিনটি কবিতা স্থান পায়, কলেজের তৎকালীন জিএস কবিতা গুলোর ভুয়সী প্রশংসা করেন। ধীরে ধীরে ঝোকে পড়েন উপন্যাস রচনার প্রতি। 1997 সালের প্রথম দিকে প্রথম উপন্যাস “নিশি রাতের কান্না” রচনার কাজে হাত দেন। মাত্র কয়েক পাতা লেখার পর পরই উপন্যাসটি সহপাঠীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। কিছু কবিতা পেপারে প্রকাশিত হয়। ক্লাস ও প্রাইভেটের বিভিন্ন টেষ্টে সর্বোচ্চ মার্ক পেতে শুরু করায় তার কিছু ফ্রেন্ড তাকে ফিল্ম ও শ্যুটিং দেখার ক্ষেত্রে অভ্যস্থ করার জন্য কৌশলে কলেজ ফাঁকি দিয়ে হিমছড়ি “কে অপরাধী” ছবির শ্যুটিং স্পটে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুদের অনুরোধে আড্ডারত খল নায়ক হুমায়ুন ফরিদী ও চিত্রনায়িকা শাবনুরের অদূরে দাঁড়িয়ে গোপনে তাদের থেকে লুকিয়ে হুমায়ুন ফরিদীর পোট্রেট আকার সময় চিত্রনায়িকা শাবনুরের চোখে ধরা পড়েন। শাবনুর তাকে ডেকে নিয়ে পোট্রেট দেখেন ও হুমায়ন ফরিদীকে দেখান। রোদে দাড়িয়ে আঁকতে তারঁ কষ্ট হচ্ছে দেখে হুমায়ুন ফরিদী তারঁ জন্যছাতাসহ একজন ছাতাবাহকের ব্যবস্থা করেন। সা: উ: জা : মো: মোশেদুল কুতুব চৌধুরী মজনুর সাথে শাবনুর ও ফরিদীকে কথা বলতে দেখে ও তার জন্য ফরিদীকে ছাতার ব্যবস্থা করতে দেখে ওমর সানীর সূটিং দেখা বাদ দিয়ে সা: উ: জা চৌধুরীর পেছনে শত শত লোক ভীড় জমাতে শুরু করে। তার পোট্রেটের অনেকাংশ তখনও বাকী। উপচে পড়া ভীড়ের সকলেও ফরিদীকে শিল্পী সা: উ: জা চৌধুরী কিভাবে আকছেন দেখতে ভীড়ের লোকজন ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগোয়। ফলে শাবনুর-ফরিদীও সা: উ: জা: চৌধুরীর মধ্যবতী দুরত্ব ক্রমশ কমে আসতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে ফরিদী ভিড় করা লোকদের বঁকাঝঁকা করে সা: উ: জা: চৌধুরীর চারপাশ হতে সরিয়ে দেন। একটু পর আবারো তারা সা: উ: জা: চৌধুরীর চারপাশে এসে জড়ো হয়। আবারো ফরিদী বকা দেন, শাবনুর সবাইকে অনুরোধ করেন। সবাই আবার পিছিয়ে যায়। এ ধরনের অনেকবার হবার পরে পোট্রেটের ছবিটা হয়ে উঠে জ্যান্ত হুমায়ুন ফরিদী। পোট্রেট দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে শাবনুর সা: উ: জা: চৌধুরীর মঙ্গল কামনা করে অটোগ্রাফ দেন আর হুমায়ুন ফরিদী উচ্ছসিত হয়ে একটানে একটি মানুষ একে অটোগ্রাফ দেন।

পরদিন কক্সবাজার সরকারী কলেজে শাবনুর-ফরিদীর সাথে চৌধুরীর এ কাহিনী ছড়িয়ে পড়লে ‍মুহূর্তে তিনি ক্যাম্পাস হিরু বনে যান, পরিণত হন দর্শনীয় ব্যক্তিত্বে, চিত্রাংকনে তাঁর পাঁকা হাতের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধুদের চক্রান্তের শিকার হয়ে স্যুটিং এ গিয়ে তিনি উল্টো লাভবান্বিত হন। এরপরে তাঁর ঐ সমস্ত ফ্রেন্ড তাঁকে চা, পাঁন ও সিগারেটে অভ্যন্ত করার অনেক চেষ্টা করে বিফল হয়, পাশাপাশি ক্লাসের ও প্রাইভেটের বিভিন্ন টেষ্টে 90% এর উপরে মার্কস পাওয়া তাঁর অব্যাহত থাকে। দ্বিতীয় বর্ষের শেষের দিকে অসুস্থতার কারণে কক্সবাজার সরকারী কলেজ হতে তিনি কুতুবদিয়া কলেজে ট্রান্সফার হয়ে চলে আসেন। ৯৮ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। পরীক্ষা শেষে “ভালবাসা দু:স্বপ্ন”(আই.এস.বি.এন. প্রাপ্ত) নামের উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেন। তিন মাসের মধ্যে নব্বই শতাংশ কাজ শেষ করেন। ততদিনে রেজাল্টের দিন ঘনিয়ে আসে। কুতুবদিয়া কলেজের সকল পরীক্ষাথীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে সেন্টার ফাষ্ট হন। শিক্ষক মন্ডলীর রিকোয়েস্টে অভিভাবকরা তাকে উচ্চতর শিক্ষার জন্যে কোনো উন্নত কান্ট্রীতে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেন। অভিভাবকরা অনেক ভেবেচিন্তে পার্শ্ববতী কান্ট্রী ভারতে পড়াবার সিদ্ধান্ত নেন। সঠিক এজেন্সির মাধ্যমে ভারতের ভাল কোনো কলেজে ভর্তি করাবার পেছনে 1998 ও 1999 সাল নষ্ট হয়। ইত্যবসরে তিনি হস্তরেখাবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠেন। 2000 সালে ক্যালকাতার দক্ষিন গরিয়ার নেতাজী সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ব্যাচেলর অব কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন এ এ্যাডমিশন নেন। এ্যাডমিশন নেবার দুই মাস পর পিতাসহ ক্যালকাতায় গিয়ে " প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মদ উন্মুক্ত" শুনে সেখানে তার পিতা তাকে পড়াতে রাজি না হওয়ায় দুজনে বাংলাদেশে ফিরে আসেন ও তাঁর অজ্ঞাতে তাঁর পিতা তাকে ঢাকা ন্যাশনাল ইউনিভার্তেটিতে বি.এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি করান। তিনি তা গোপনে জানতে পেরে সেখানে পড়তে অ্স্বীকৃতি জানান। ইত্যবসরে গান রচনার প্রতি ঝোঁকে পড়েন ও কোন শিক্ষকের সহায়তা ছাড়া নিজ প্রচেষ্টায় অনেক পরিশ্রমের বিনিময়ে হারমোনিয়ামে গানের সুর উঠাতে পারদর্শী হয়ে উঠেন এবং স্বরচিত গান গুলোতে সুর দেন।
2001 সালে ভারতের ব্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটির অধীনে বি.এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হন। বি.এসসি. ফার্ষ্ট ইয়ারে ভর্তি হওয়া দেশী বিদেশী ছাত্র ছাত্রীদের বরণ করতে ইন্ডিয়ান কলেজ কতৃপক্ষ নবীন বরণ তথা " ওয়েলকাম পার্টি " র আয়োজন করেন, সেই ওয়েলকাম পাটিতে নবীনদের পক্ষ থেকে মধুর কন্ঠে বাংলা গান গেয়ে দেশী বিদেশী ছাত্র ছাত্রীদের নজর কাড়েন- উচ্চ প্রশংসিত হন ও রাতারাতি ক্যাম্পাস হিরু বনে যান। কলেজের সকলের কাছে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল হয়।

কিন্তু ইন্ডিয়ার প্রতিটা কলেজ ভার্সিটিতে উন্নত বিশ্বের সকল কলেজ ভার্সিটির মত রেগীং এর ভয়াবহতা ব্যাপক (জুনিয়র ছাত্রদের উপর স্বদেশী সিনিয়র ছাত্রদের অনৈতিক শারীরিক ও মানসিকর নির্যাতন, যা আইনের দৃষ্টিতে সর্ম্পূনভাবে নিষিদ্ধ তা--ই রাগিং)। তাই বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ার কলেজ ভার্সিটিতে পড়তে আসা নবাগতরা আসার পরপরই স্বদেশী সিনিয়রদের কাছে শারীরিক বা মানসিক ভাবে নির্যাতিত হয়। কিন্তু পড়তে আসা সবাই ধনী পরিবারের সন্তান ও পড়ালেখায় মেধাবী ও বয়সে তরুন হওয়ায় এ অন্যায়কে বরদাস্ত করতে না পেরে অনেকে নিরুপায় হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিত কেউ বা দেশে পালিয়ে আসার ঝুঁকি নিত।
মিষ্টার চৌধুরীর ব্যাঁচের ১ম বর্ষের যারা সিনিয়রদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হয়েছে তারা পরের বর্ষে যারা একই কলেজে ভতি হতে আসবে তাদের উপর কিভাবে নির্যাতন করা হবে তার রুপরেখা তৈরী করে। মিষ্টার চৌধুরী তাতে দ্বিমত পোষন করে বলেন আমরা মানুষ, ভেড়া ছাগল নই। তাই ভেড়া ছাগলের মতো আমরা আমাদের পূর্ববর্তীদের (সিনিয়রদের) অনুসরণ করব না। নতুন যারা আসবে, তাদের কারো সাথে আমাদের শত্রুতামী নেই। ব্যাস, নিজের ব্যাঁচের সবাই চৌধুরীর বিপক্ষে চলে গেল, বলরো-তুমি সিনিয়রদের মাধ্রমে নির্যাতিত হও নি, তাই তোমার অবস্থান আমাদের বিপক্ষে। এরপরেও নিজের ব্যাঁচের সবাইকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে ঐক্যবদ্ধ করেন ও রাগিং সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন। সিনিয়র বা মোষ্ট সিনিয়রদের কেউ নবাগতদের উপর রাগিং করলে তার উপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হবে হুমকি দেন।

মিষ্টার চৌধুরীর ব্যাঁচের ১ম বর্ষের যারা সিনিয়রদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তাঁরা পরের বর্ষে যারা একই কলেজে ভতি হতে আসবে তাদের উপর কিভাবে নির্যাতন করা হবে তার রুপরেখা তৈরী করেন। মিষ্টার চৌধুরী তাতে দ্বিমত পোষন করে বলেন আমরা মানুষ, ভেড়া ছাগল নই। তাই ভেড়া ছাগলের মতো আমরা আমাদের পূর্ববর্তীদের (সিনিয়রদের) অনুসরণ করব না। নতুন যারা আসবে, তাদের কারো সাথে আমাদের শত্রুতামী নেই কাজেই ,তাদের কাউকে আমরা নির্যাতন করবনা বরং হেল্প করব। ব্যাস, নিজের ব্যাঁচের সবাই চৌধুরী সাহেবের বিপক্ষে চলে গেলেন, বললেন-"তুমি সিনিয়রদের মাধ্যমে নির্যাতিত হও নি, হয়েছি আমরা, তাই তোমার অবস্থান আমাদের বিপক্ষে"।‍ " প্রতিশোধ নিতে হলে যারা তোমাদের উপর নির্যাতন করেছে, তাঁদের উপর নাও।যারা নিদোর্ষ, তাদের উপর নয়" এভাবে নিজের ব্যাঁচের সবাইকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হন ও রাগিং সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন এবং সিনিয়র বা মোষ্ট সিনিয়রদের কেউ নবাগতদের উপর রেগিং করলে রেগীং কারীর উপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হবে হুমকি দেন।

ফলে পরের বর্ষ হতে নবাগত বাংলাদেশীদের উপর সিনিয়র ও মোষ্ট সিনিয়দের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে আজ অবধি সে কলেজে বাংলাদেশী ছাত্ররা সুখে শান্তিতে পড়ালেখা করে আসছে, যা অতীতে কখনো সম্ভব হয়নি।
বিদেশে শিক্ষাঙ্গনে নবাগত স্বদেশীদের উপরে সিনিয়রদের সকল প্রকারের রাগিং বা নীরব সন্ত্রাস বন্ধের লক্ষ্যে 2013-2014 অর্থ বছরে নিজ পরিচালনায় তিনি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এ্যাকশানধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি " শিক্ষাঙ্গনে রেগীং কেন?" [অভিনয়ে আগ্রহীরা যোগযোগ করুন 0088-01813830103 সবকটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নায়ক নায়িকা খোঁজা হচ্ছে। ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন স্বপ্ন দেখুন আর হিরো হয়ে যান ){ ছবির প্রযোজক বা স্পন্সর হতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন ০০৮৮-০১৮১৩৮৩০১০৩ নাম্বারে}
2003 সালে ব্যাঙ্গালোরে গুপ্ত ড্যান্স গ্রুপে যুক্ত হন ও সে গ্রুপের অন্যান্য নৃত্যশিল্পীদের সাথে বিভিন্ন কলেজের প্রোগ্রামে, পুজোর প্রোগ্রামে ও থার্টি ফাষ্ট নাইটের ড্যান্স প্রোগ্রামে অংশ নেন। এভাবে নৃত্যশিল্পী হিসাবে তার পথ চলা হয় শুরু। 2004 সালে " কর্ণাটক এ্যানুয়েল ড্যান্স ফেস্টিভল 2004" এর "ফ্যাশন শো"তে (সিনিয়র গ্রুপে) প্রথম পুরস্কার পান ও ব্রেক ড্যান্স কম্পিটিশানে দলীয়ভাবে দ্বিতীয় পুরস্কার পান এবং তার গ্রাজুয়েশান কমপ্লিট করেন। 2004 সালের শেষের দিকে ভিসা নিতে বাংলাদেশে আসেন ও দীর্ঘ সাত মাস বাংলাদেশ থাকার পর


উচ্চ শিক্ষার্থে লন্ডন যাবার জন্য IELTS কোর্স করতে মার্চের দিকে ব্যাঙ্গালোর যান। গিয়ে জানতে পারেন- নারী সংক্রান্ত একটি ঝামেলার কারণে গুপ্ত ড্যান্স একাডেমীর কার্যক্রম দীঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। তিনি তা পুর্নগঠনের চেষ্টা করে বুঝতে পারেন সবাইকে গ্রুপে রাখলে আবারো ঝামেলার সৃষ্ঠি হতে পারে। তাই ইন্সপেরিয়াল ড্যান্স একাডেমীর আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে তাদের সাথে নিয়মিত নৃত্য প্রেকটিস করেন এবং " কর্ণাটক এ্যানুয়েল ড্যান্স ফেষ্টিভল 2005" এর ব্রেক ডান্স বিভাগে ইন্সপেরিয়াল ডান্স একাডেমীর অন্যান্য নৃত্যশিল্পীদের সাথে দলীয় ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে২৭ টি দলকে হারিয়ে দিয়ে প্রথম পুরস্কার পান।

গ্রুপের সকল সদস্যদের সাথে পুরস্কার গ্রহণের পর বিজয়ীদের দলপতি ( উল্লেখ্য এ বছরের এ প্রতিযোগিতায় সকলের সম্মতিক্রমে তিনই গ্রুপের দলপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরের বছর দলপতি নির্বাচিত হবেন গ্রুপের অন্য কোন নৃত্যশিল্পী।) একজন বিদেশী নাগরিক জেনে একমাত্র মিস্টার চৌধুরীকে উপস্থাপিকা তার সাক্ষাতকার গ্রহনের জন্য তাঁকে মঞ্চে আমন্ত্রন জানানসাক্ষাতকার সহ পুরো অনুষ্ঠানটি স্থানীয় চারটি টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

মুর্হুতেই এই বাঙ্গালীর কৃতিত্বের কারণে টিভি সেটের সামনে বসা ব্যাঙ্গালোরিয়ানদের প্রত্যেকের কানে "বাংলাদেশ" শব্দটি সগর্বে ঢুকে পড়ে। তাই প্রোগ্রাম শেষে বিজয়ী এই নৃ্ত্যশিল্পী মিস্টার এম. এম. চৌধুরী হাজার হাজার দর্শকের অভিবাদন, হ্যান্ডশেক ও ফুলবৃষ্টির মুখোমুখি হন। এতে গ্রুপের সবাই মুগ্ধ হলেও দর্শকদের বিশাল ভিড় সামলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দারুন বিপাকে পড়েন দায়িত্ব রত পুলিশ ও বিজয়ী গ্রুপের সবাই। ভিড়ের অনেকে ততক্ষনে চারদিকে " বাংলা হিরো-বাংলা হিরো" করে স্লোগান তুলে।

দর্শকদের ভিড় ঠেলে প্রায় এক কি: মি: পথ ভক্তদের সাথে হ্যান্ডশেক করে করে এগিয়ে যেতে মিস্টার চৌধুরীর ও তাঁকে নিরাপত্তা দানকারী গ্রুপের সবার প্রায় দুই ঘন্টার কাছাকাছি সময় নষ্ট হয় ও সবাই অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং নিরুপায় হয়ে পুলিশের গাড়িতে করে গ্রুপের সবাই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন। ফলে কম সময়ের মধ্যে অতি দ্রুত "বাংলা হিরো" নামে চারিদিকে মিস্টারর চৌধুরীর আরো খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন থেকে যেদিকেই যাচ্ছেন হুন্ডায় করে বা হেঁটে, পরিচিত-অপরিচিত তরুন-তরুনীদের " হাই-হ্যালো" লেগেই আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে নিজের এত জনপ্রিয়তা দেখে তিনি নিজেই বোকা বনে যাচ্ছেন।

এরই কয়েকদিন পর যখন তিনি আবারো IELTS ক্লাস রিগুলার করছেন, তখন হুট করে রাতের ৯:৩০ ( বাংলাদেশে তখন রাত ১০:০০ টা) এর পর এসপি অফিসের ফরেইনার সেকশানের পুলিশ অফিসার দুজন কনস্টেবল নিয়ে মিস্টার চৌধুরীর ফ্ল্যাটে এসে মস্টার চৌধুরীর কাছ থেকে 500 ডলার ঘুষ দাবী করেন ( বাংলায যা ৩০,০০০টাকার বেশী,তখন প্রতি ডলার ছিল ৬২ টাকা) মিষ্টার চৌধুরী সাথে সাথে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন ও সিঙ্গল ওয়ান রুপিও ঘুষ কাউকে দেবেন না জানিয়ে দিয়ে এসপিকে সবকিছু জানাবার হুমকি দেন। তখন সেই পুলিশ অফিসার মিষ্টার চৌধুরীকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ ফেরত পাঠাবার হুমকি দেন। মিষ্টার চৌধুরী তাতেও না দমে তাদের সামনে দিয়ে হুন্ডা নিয়ে ইনষ্টিটিউটের ডাইরেক্টরের উদ্দেশ্যে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পড়েন। আলাপ শেষে নিজ কক্ষে ফিরে আসেন। পরদিন দুজন সাংবাদিক নিয়ে এস.পি. ও থানায় ওসিকে অবহিত করেন। ফলে উক্ত পুলিশ অফিসার নিজের অপরাধ ঢাকতে মিস্টার চৌধুরীর বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যে অভিযোগ তৈরী করেন, যা তদন্তে মিথ্যে প্রমাণিত হয়। মি: চৌধুরী, বাঙ্গালোরের বাসান্ত নগরের ডিসট্রিক্ট এসপির কাছে উক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ডিউটির সময়ের পরে ফরেইন ষ্টুডেন্ট এর বাসায় গিয়ে ঘুষ দাবীর ও না দিলে দেশে ফেরত পাঠাবার হুমকি প্রদানের অভিযোগ তুলে তাকে সাত বছরের জন্য চাকুরী থেকে সাসপেন্ড করান। এ যেন দূর্নীতিবাজ ইন্ডিয়ান ‍পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী ছাত্রের এক বিরাট বিজয়। এরপর স্থানীয় বন্ধুদের অনুরোধে ভিন্ন ভাষী বন্ধুদের মাধ্যমে "ভালোবাসা দু:স্বপ্ন (আই.এস.বি.এন. প্রাপ্ত)" উপন্যাসটিকে হিন্দী ভাষায় অনুবাদের কাজ শুরু করেন। এ বছরের শেষ নাগাদ 34 টি চিত্রকর্মের কাজ শেষ করেন (ভারতের বাঙ্গালোরে ও আবুধাবীতে একক চিত্র প্রদশনী দেবার লক্ষ্যে।

নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে IELTS কোর্স সমাপ্ত করেন কিন্তু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা অসুবিধার কথা ভেবে ইংল্যান্ডে এম. এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বা এম.বি.এ. ইন ম্যানেজম্যান্ট করার পরিকল্পনা বাতিল করেন এবং এম. এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং- এ ভতি হন এবং ড্রীম স্কোপ থিয়েটারে অডিশানের মাধ্যমে ন্যাট্যভিনেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু 2006 সালের 18 ই জুলাই পযন্ত ভিসা না থাকায় কর্নাটক এ্যানুয়েল ডান্স ফেষ্টিভল 2006 তে অংশ গ্রহণ করতে ‍পারেন নি। নতুন ভিসার জন্য বাংলাদেশ আসতে তিনি ১১-ই জুলাই ব্যাঙ্গালোর ত্যাগ করেন।‌নতুন ভিসা নিতে বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু জোট সরকারের পদত্যাগের পর রাজনৈতিক অঙ্গন হঠাৎ হঠাৎ ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারণ করাতে জনমনে শংকা বাড়তে থাকে। সেই সাথে পেছাতে থাকে মিষ্টার চৌধুরীর ভারত গমনের তারিখ । তত্বাবধায়ক সরকার এসে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করে রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের (নিদোর্ষ হলেও) বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করার কৌশল হিসেবে নৌবাহীনীদের ক্যাম্পে অভিযোগ বক্স বসায়। মিষ্টার চৌধুরীর পিতা ছিলেন একজন প্রভাবশালী সক্রিয় রাজনীতিবিদ , যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদী ও দূর্নীর্তির বিরুদ্ধে অনড়, তাই দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও তাঁকে সহ্য করতে পারেননা । ঘরে বাইরে তার গোপন শত্রুর অভাব নেই। কিন্তু সেসব শত্রুদের কারো প্রকাশ্যে শত্রুতামী করার শক্তিও নেই সাহসও নেই। ফলে, তারা ছদ্মনামে নৌবাহিনীদের অভিযোগ বক্সে সাজানো ও ভিত্তিহীন অভিযোগপত্র ফেলে আসে। ফলে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু মিস্টার চৌধুরী সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পছন্দ করেন আর পছন্দ করেন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পরপরই তা সমাধানের পথ খুজে বের করা। সৃষ্ট সমস্যার কারণে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- সমস্যা থেকে মুক্ত না হওয়া পযর্ন্ত তিনি দেশেই থাকবেন।

তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের প্রতিটা মিনিট পার হত- মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে সামারিকের হাতে নির্যাতিত হবার / নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করার আতংকে।কারণ, ইতিমধ্যে সারাদেশে অনেকে মিথ্যা অছভযোগে অভিযুক্ত হয়ে সামরিক / নৌ-বাহিনীর লোকদের মাধ্যমে অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশের একজন প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে সামরিক / নৌ-বাহিনীর লোকদের এসব কর্মকান্ডকে তিনি সমর্থন করেননা। কারণ বাহিনীর লোক হলেও তারা যেমন এমবিবিএস না পড়ে কাউকে চিকিৎসা দিতে পারার কথা নয়,, তেমনি এল.এল.বি. ও বেরিষ্টারী না পড়ে তাঁরা কাউকে সাঁজা দিতে পারার কথাও নয়।যার কাজে তাকে সাঁজে, সব কাজ সবাইকে দিয়ে হয় না। হলে ডাক্তারদের এম.বি.বি.এস. পড়তে হতো না, উকিলদের উকালতি পড়তে হত না। বিচারকদের ব্যারিষ্টারী পড়তে হত না। আর যদি বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে সব কাজ সম্ভব হত, তবে দেশে এত থানা-আদালত-বিচারকের প্রয়োজন হতো না।
তবে নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তা খুবই জ্ঞানী ও উচ্চ শিক্ষিত। তাই তাঁরা অভিযোগ পাওয়ামাত্র অভিযুক্ত ব্যক্তি, সত্যিকারের অপরাধী কিনা জানতে, ঐ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা আছে কিনা দেখে তারপর পদক্ষেপ নেন। তবে অফিসারদের সবাই এধরনের বুদ্ধিমান নন।যে কারনে মিস্টার চৌধুরীর বুঝতে বাকি ছিল না- অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হবার নয়। তাই সময়কে কাজে লাগাতে তিনি শিশু কিশোরদের জন্য লিখতে শুরু করেন" পরী রানীর বন্দিশালা ( যা ২০১৩ সালের একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হবে)" " স্বপ্ন পরীর রুপকথা " ও" ডিমের আলো" কিন্তু তার কোনোটি শেষ না করে বড়দের জন্য তিনি প্রেমের উপন্যাস " বিদেশী গ্রামের মেয়ে" লিখতে গিয়ে অতিবৃষ্টিতে ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়া মানুষের দূর্ভোগ দেখে তাঁর চিন্তা ভাবনা থমকে দাঁড়ায়।

বিশেষ করে, সারা পৃথিবীতে বায়ুমন্ডলের চরম উঞ্চতার কারণে সৃষ্ট বিগত ২০০৬ সালে পশ্চিম চীনের বেশকিছু এলাকায় নেমে আসা ভয়াবহ খরায়

মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এক কোটি আশি লাখ লোকের পানি সংকটে সৃষ্ট সমস্যা ও প্রচন্ড গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হাজার হাজার লোকের মৃত্যু ও একই সময়ে প্রবল বর্ষণে ডুবে যাওয়া পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচীর রাস্তা-ঘাট ও একই সময়ে প্রবল বর্ষনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যাওয়া কলকাতা, অন্ধপ্রদেশ ও তামিল নাড়ুর মানুষের কষ্ট দেখে ও ২০০৭ সালে

বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত ৩৪ টি জেলার প্লাবনের পানি নেমে যাওয়ার সময় কুল

ভেঙ্গে হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বসে নিয়ে যাওয়াতে ঘর-ভিটেহারা হাজার হাজার মানুষের গগনবিদারী কান্না ও আহাজারী লেখকের হৃদয় থেকে সেদিন রক্ত ঝারিয়েছিল, তখন তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন সারাবিশ্বে অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ যে বৈশ্বিক উঞ্চতার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে সে বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে (যেমনঃ বৈশ্বিক উঞ্চতা কি?এর ক্ষতিকর প্রভাব কি কি? কেন এটা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে? গাছ কাটলেও এটা কেন বাড়ে? গাছ লাগালে কিভাবে এটা হ্রাস পায়?) জনচেতনতা সৃষ্টি করে বন নিধন করা থেকে মানুষকে বিরত রাখা।যাতে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড আর বৃদ্ধি না পায় ও বৃক্ষ দ্বারা শোষিত হয়ে বায়ুমন্ডলের কার্বন বলয় ভেঙ্গে পড়ে। আর এসব কথা মানুষের কানে কানে পৌঁছে দিতে অর্থাৎ বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে জন-সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি সাধারণ কোনো উপন্যাস না লিখে ফিকশন ধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস "ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি" রচনার কাজে হাত দেন। অভিভাবকদের নেতিবাচক মন মানসিকতার কারেণে উপন্যাস রচনা করতে গিয়ে প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্থ হন।

কিন্তু লেখকও দমে যাওয়ার পাত্র নন। রাতের দশটায় রুমের আলো নিভিয়ে ধপাস করে বিছানার উপর পড়েন যাতে শব্দ হয় ও সে শব্দ শুনে যাতে অভিভাবকরা মনে করেন- ছেলে লাইট নিভিয়ে ঘুমাচ্ছে। ঘন্টা খানেক পর বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি বিড়ালের মতো নরোম পায়ে নীরবে ধীরে ধীরে বিছানা থেকে নেমে পড়েন ও নিঃশব্দে দরজা জানালা আঁটকে দিয়ে (যেন তিনি রুমের ভেতরে আলো জ্বেলে উপন্যাস লিখলেও কেউ বুঝতে না পারে)উপন্যাস রচনা করতে থাকেন।

পূর্বাকাশ ফর্সা হবার একটু পুর্বে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করে ঘুমাতে যান ।এভাবে উপন্যাসটি শেষ করতে দীর্ঘ ষোলো মাস পেরিয়ে যায়।ততদিনে তার পিতার বিরুদ্ধে নৌ-বাহিনীর কাছে দেয়া অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হতে শুরু করে, তারপরও লেখকের পিতা সমস্য থেকে পুরোপুরি মুক্ত হবার আগেই তিনি লেখককে ব্যাঙ্গলোরে মার্স্টাস করতে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন( মুলত লেখকের উপন্যাস রচনা করাকে থামিয়ে যাওয়ার জন্য)। লেখক তখন সেটা বুঝতে না পারলে ও তখন লেখক ভাবছিলেন অন্য কথা।ব্যাঙ্গালোরে এম.এসসি.তে এ্যাডমিশান নেবার পরে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে যখন লেখকের দেড় বছর সময় নষ্ট হয়ে গেছে আর অনেক কষ্টে রাত জেগে যখন এত বড় একটা উপন্যাস লিখতে তিনি সফলকাম হয়েছেন, তখন আরেকটা মাস ব্যয় করে উপন্যাসটা প্রকাশ করে বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি বা বৃদ্ধির কাজটা শুরু করে দেয়া বুদ্ধিমানের বৈ মূর্খের কাজ বলে গণ্য হবে না। কারণ বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি/বৃদ্ধির এটাই গুরুত্বপূর্ণ সময় । কিন্তু উপান্যাসটি প্রকাশ করতে গিয়ে লেখক বুঝতে পারলেন- বই প্রকাশ করা খুব জটিল একটা ব্যাপার। কারণ প্রকাশনা জগতের সাথে জড়িতদের প্রায় সবারই(কবি-লেখক ও সাহিত্যিকরা ছাড়া) ঈমান-জবান ঠিক নেই। সব মিথ্যুক, দু'নম্বর ও ধান্দাবাজ। লেখকও অবশ্য হাল ছেড়ে দেবার পাত্র নন, যা করবেন বলেন তা করেই ছাড়েন । তাই অভিভাবকদের প্রবল বিরুধীতা স্বত্বেও অটল সিদ্ধান্তের কারণে তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশনা জগতের ধান্ধাবাজ মিথ্যুক লোকদের উপর প্রেসার ক্রিয়েট করে উপন্যাসটি প্রকাশ করতে সক্ষম হন।

আর উপন্যাসটি প্রকাশিত হবার পরপরই সকল বয়সের বই পড়ুয়া পাঠকদের কাছে বিশেষ করে স্কুল,কলেজ ও ভার্সিটিগামী তরুন তরুনীদের কাছে প্রিয় উপন্যাসে পরিনত হয় এবং তিনি পরিণত হন তাদের প্রিয় লেখকে ও প্রিয় এক স্বপ্নে ।যা পাঠক পাঠিকাদের ফোনে প্রেরণ করা বিভিন্ন এসএমএস ও কল থেকে অনুমান করা যায়।

সারা বাংলাদেশের মধ্যে উপন্যাসটি বাজারে আসার সাথে সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে অতিদ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গার চেয়ে চকরিয়ার চিরিঙ্গায়। কারণ, লেখক উপন্যাসটির কম্পোজের কাজ চকরিয়ার বিভিন্ন কম্পোজের দোকানে করার সময় কম্পোজ করা অংশ গুলো শুনে অনেকে আকৃষ্ট হয়ে (কম্পোজের সময়) বয়সে তরুণদের অনেকে কম্পোজের দোকানে ভিড় জমাত। এ খবর তখন একজনের কাছ থেকে অন্য জনের কানে গড়াতে গড়াতে চকরিয়ার চিরিঙ্গার প্রায় দেড শতাধিক তরুন ব্যবসায়ীর প্রত্যেকে উপন্যাসটির ১টি করে কপি নিজ সংগ্রহে রাখার জন্য প্রকাশের অপেক্ষায় ছিল। কম্পোজের কাজ চলাকালীন সময়ে তাদের প্রত্যেকে কম্পিউটারের দোকানে উপস্থিত হয়ে উপন্যাসটির কাহিনী শুনত, না শুনা অংশ পরদিন শুনার জন্য আধীর আগ্রহে বসে থাকত। ঠিক যেন TV সিরিয়ালের কাহিনীর মতো। কম্পোজকালীন সময়ে কখনো কখনো লেখক এসে হাজির হলে লেখকের সাথে হ্যান্ডশেক করে অনেকেই কাহিনীর ভূয়সী প্রসংশা করতেন। আর উপন্যাসটি সংখ্যায় কম প্রকাশিত হওয়াতে চকরিয়ার মাকের্টেও সীমিত সংখ্যাক বই আসে।

যা দ্রুত বিক্রি হয়ে একজনের হাত হতে অন্যজনের হাতে গঁড়াতে শুরু করে। এরই ফাঁকে উপন্যাসটির ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হতে হতে দেখে চকরিয়ার লাইব্রেরীয়ানরা তাদের লাইব্রেরীর সেলফ থেকে "ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি" উপন্যাসের সবক'টি সংখ্যা ক্রেতার দৃষ্টির আড়াঁলে সরিয়ে রেখে মাত্র ১টি কপি সেলফে রেখে মার্কেট শর্ট অজুহাত দেখিয়ে ২০০ টাকা (বিক্রি মূল্য ১২০)মূল্যের উপন্যাসটি কখনো ৫০০, কখনো ৫৫০, কখনো ৭০০ কখনো আরো বেশি মূল্যে বিক্রি করেছে।
বেশি দামে উপন্যাস ক্রেতাদের অধিকাংশ বয়সে তরুণী আর অধিকাংশ বই কেনা হয়েছে বিয়ে কিংবা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে প্রদানের জন্য। ঢাকার ভার্সিটির এক শিক্ষার্থী ঠাকুর গাও এর প্রেমিকাকে গিফট করার জন্য ঢাকার সব জয়গায় খোজার পর কোথাও না পাওয়ায় বসুন্ধারা সিটি থেকে কিনতে বাধ্য হয়েছে ১৫০০টাকায় [ ফোনে এসব কাহিনী শুনে লেখক অবাক,বইটি পড়ার পর ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে পাঠিকাভক্ত লেখককে এসব কাহিনী জানান] আর চকরিয়া থেকে ৭০০ টাকায় কেনা উপন্যাসটির পড়ার পর ভালো লাগাতে পাঠিকা লেখককে উঞ্চ শুভেচ্ছা জানান-প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফ কামনা করেন ও বাড়িতে দাওয়াত করেন । চকরিয়ার প্রায় শতাধিক পাঠক-পাঠিকাদের বাড়িতে দাওয়াত পেয়েছেন।

বেশি মূল্যে বই বিক্রির আরো অহরহ ঘটনা শুনার পর লেখক বই বিক্রেতা লাইব্রেরীয়ানদের ফোনে বার বার সঠিক মূল্যে বিক্রি করার অনুরোধ জানালেও তারা লেখককে আশ্বস্থ করেন ঠিকই, কিন্তু আবারো বেশি মূল্যে বিক্রি করার কাজে তৎপর হয়ে উঠেন। শুধু ঢাকা - চকরিয়া - কক্সবাজার বা অন্য কোথাও নয় । স্বয়ং লেখকের জন্মভুমি কুতুবদিয়াতেও প্রতিটা ক্রেতা একই ধরনের ভোগান্তির শিকার হয়েছে। উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠক সমাজে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হওয়ায় লেখক দৈনন্দিন কাজে যেদিকেই যাচ্ছেন কিংবা আমন্ত্রিত হয়ে বিয়ে,জন্মদিন বা অন্য যেসব প্রোগ্রামে গেছেন চারপাশের ছেলে-বুড়ো-তরুন-তরুনী তাকে অবাক হয়ে দেখেছেন আর একে অপরকে বলেছেন "দ্যাখ দ্যাখ ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি আসছেন " এভাবে শেষ-মেষ ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি উপন্যাসের নামটিই হয়ে উঠে লেখকের নাম। কুতুবদিয়ায় তংকালীন তত্বাবধায়ক সরকার প্রেরিত নৌ-বাহিনী কমান্ডার জনাব- মেজর মশিউর রহমান, ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি উপন্যাসটি পড়ে (বিশেষ করে বৈশ্বিক উঞ্চতার সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও পুরো উপন্যাসের সর্বত্র স্বদেশের প্রতি লেখকের যে অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা তারঁ লেখনীতে আন্তবিক ভাবে ফোঁটে উঠেছে,সেজন্য)লেখককে আমন্ত্রন জানান,সংবর্ধ্বনা দেন এবং বচনা শৈলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

পাশাপাশি লেখক উচ্চ শিক্ষার্থে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ার পরিবর্তে অস্টেলিয়ার সীডনিতে যাবার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমর সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। এরই ফাঁকে নিয়মিত শিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ বেতার, কক্সবাজারের তালিকা ভুক্ত হতে অডিশানে অংশ নেন এবং বিটিভির সিসিমপুর অনুষ্ঠানের অডিশানে অংশ গ্রহণ করে অভিনেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু সিসিমপুরে এক নাগাড়ে দুই বছর কাজ করতে হবে (যেখানে ১২ মাসের মধ্যে ৮ মাস সুটিং ,৪ মাস বিরতি)এবং এই দুই বছরের মধ্যে কোনো কলেজ/ভার্সিটি / ইনষ্টিটিউটে কোন পড়ালেখা করা যাবে না ও কোথাও কোনো চাকরি করা যাবে না।

বিরক্তিকর শর্তের সাথে একমত হতে না পেরে অভিভাবকদের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে তিনি তা ত্যাগ করেন। [কারণ তথাকথিত ২ বছরের মধ্যে যদি অস্ট্রেলিয়া যাবার কাগজ-পত্র হাতে এসে যায়,তখন কারো কিছুই করার থাকবে না।] কিন্তু অস্ট্রেলিয়া যাবার স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং এর পেছনে বছর খানেক কিংবা তারও অধিক সময় ব্যয় হতে পারে তাই সে সময়টাকে চাকরি করে ১ বছরের ১টি জব এক্সপেরিয়ান্স র্সাটিফিকেট পেতে (
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩৯
৭০টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×