খাতা-কলমে যোগ-বিয়োগ করে পৃথিবীর জ্ঞানী-গুণী বিজ্ঞানী গন পৃথিবীর পরিসীমা বের করতে সক্ষম হয়েছেন বহু জনম আগেই। শুধু পৃথিবীর পরিসীমা ই নয়, পৃথিবীকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষীণরত চাঁদ মামা, আসে পাসের পর্শী গ্রহ-নক্ষত্র এমনকি এদের সকল কে আশ্রয়দানকারী মহান সূর্য মামার দৈর্ঘ,প্রস্থ,আয়তন সব কিছুর অ্ংক কষে এখন মহাশয় গন পারি দিয়েছেন আরও দূরের পথে; অজানা সব তথ্য আবিষ্কারের লক্ষ্যে। কিন্তু এদের মাথার চুল, যেই বিষয় টি চিন্তা করে এখনও অঝর ধারে ঝরেই যাচ্ছে, তা হল- " মানুষের ভাবনার, মানুষের চিন্তা শক্তির সীমা"।
লোকে বলে "জ্ঞানের সীমা অসীম", আমি বলি, জ্ঞানের সীমা আছে, কিন্তু জ্ঞান অর্জনের সীমা নেই( ঘুরে ফিরে কথা হয়ত একই )।ঠিক তেমনই মানুষের চিন্তার ও কোনো সীমা নেই। একজন অক্ষর জ্ঞানহীন ব্যক্তি তার চিন্তার জগতে আকাশজানে চরে মহাকাশ ভ্রমণের কথা চিন্তা করতে পারে, পাড়ার টং এর ছোট কাজের ছেলে টি বিশাল গাড়িতে চরে, স্যুট-বুট পরে,ঘুরে বেরানোর চিন্তা করতে পারে। এ এমন এক শক্তি, যা একজন অন্ধ ব্যক্তি কেও দান করে,পৃথিবীকে নিজের মত করে দেখার ক্ষমতা।
ঠিক এমন ই এক চিন্তার জগতে বাস করে ভাবুক মেয়ে "পেনসা"। সে ভাবে, যা কখনও হয়নি, তা যদি হত তাহলে কেমন হত? কীভাবে হত? যা কখনও হবেনা তা যদি হয় যায় তবে তা কেমন হবে? তার মনে অনেক আশা,ছোট ছোট বিষয়কে ঘীরে তার মনে অনেক আবেগ,অনেক স্বপ্ন। ঠিক স্বপ্ন ও নয়, তাকে ঘিরে থাকে তার উদ্ভট যত চিন্তা, এবং সে বাস করে তার সেই চিন্তার জগতে।
কে জানে তার এই চিন্তা শক্তি তাকে কোথায় নিয়ে যাবে? কোথায় যেয়ে থামবে তার এই ভাবনার 'ঝিক-ঝিক' রেইল গাড়ি?
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮