somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হালুয়া রুটি হারাম হলে, কাওয়া(কাক) খাওয়া হালাল হল কেমন করে..?? তাবলিগী দেওবন্দী ওহাবীদের কাছে খোলা প্রশ্ন

২১ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হালুয়া-রুটি হারাম হলে, কাউয়া আর হোলী, দিওয়ালীর প্রসাদ তাবলীগিরা হালাল করলো কেন?
(তাবলীগ আবু জাহিল জামাত তথা গোলাপী ওহাবীদের অপপ্রচারের উচিত জবাব)
*
ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, আমার দয়াল নবীজির এই শান্তির ইসলাম আজ কতিপয় ফতোয়াবাজদের দ্বারা কলংকিত হচ্ছে। যেমন এরা আজ হালুয়া রুটিকে বিদাত আর হারামের ফতোয়াবাজী শুরু করেছে অথচ এর মধ্যে কোন উপাদানটি হারাম সেটা আদৌ তারা বলতে পারতেছে না।
আসুন আজ ছদ্দবেশী এসব নামকাওয়াস্তে মুসলমানদের আসল চেহরা সবার সামনে আনি।
*
আসছে পবিত্র শবে বরাত, মহাপবিত্র একটি দিন, নফল ইবাদতের এক মহা রজনীর নাম শবে বরাত।এই দিনের রহমত কুড়াতে আমারা মুসলমানরা নফল ইবাদতে মশগুল থাকি, ভাল, উন্নত খাবার তৈরি করে গরীব মিসকিন, পাড়া পড়শীদের মাঝে বিতরন করি।কিন্তু এখন বিশ্ব জানে যে পবিত্র দিন এর পালনকারী তথা পবিত্র মুসলমানদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে কিছু মহা ফতোয়াবাজ, যারা ৪০ দিনেই নিজেকেই মুফতীর আসনে নিজেই নিজেকে সিক্ত করে, বলতে গেলে “মুই কি হনু” ভাবতে শুরু করে।
*
শবে বরাতে অনেকে আমরা উন্নত খাবার পোলাও, কোরমা, হালুয়া-রুটি তৈরি করি, এবং এই পবিত্র দিনের উসিলায় আমাদের সমাজে গরীব মিসকিনরাও সেদিন ভাল খাবার পেয়ে থাকে- সুবহানাল্লাহ কিন্তু রিয়াল আর ডোলারে পালিত কিছু নামকা ওয়াস্তে মুসলমানদের চোখে সেটাও সহ্য হচ্ছে না, কেন তারা ভাল খাবার খাচ্ছে? কেন তরা গরীব মিসকিনদের ভাল খাবার দিচ্ছে? তারা বলে নাকি হালুয়া-রুটি বিদাত, হারাম ইত্যাদি।প্রথমে তো খুব হাসি পাই যে, কি খেয়ে এরা মুসলমান হয়েছ।
তার আগে একটি হাদিস মনে পড়ছে হুজুর(সাঃ) বলেন মুমিন মিষ্টি স্বরুপ ‘ওয়াহিব্বুল হালাওয়া” এবং মিষ্টি পছন্দ করে”- সুবহানাল্লাহ
আর আমাদের ৪০ দিনের মুফতি হুজুররা কই কি হালুয়া হারাম।

> আচ্ছা প্রথম প্রশ্নঃ কোরআনের কোন আয়াতে কিংবা কোন হাদিসে একে হারাম বিদাত বলা হয়েছে..? পারবেন কি আপনারা দেখাতে? জনম জনম লেগে যাবে তারপরেও হালুয়া রুটিকে হারাম প্রমান করতে পারবেন না এটা আমার প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ।
> যদি কোন আবু জাহিলকে প্রশ্ন করি আচ্ছা ভাই, হালুয়া রুটি কেন বিদাত বা হারাম হল? হালুয়া-রুটি যেসব উপাদান দিয়ে তৈরি সেইসব কি হারাম পন্য.?
- হালুয়ার মধ্যে ডাল লাগে এই ডাল কি হারাম.? তারা বলবে না
- এর মধ্যে কি চিনি হারাম.? না
- এর মধ্যে কি ঘি হারাম? না
- এর মধ্যে কি ময়দা হারাম? না
- এর মধ্যে কি কিসমিস, বাদাম হারাম?..... না
- তাহলে যিনি রান্না করেছেন, আপনার আমার মা-বোন তারাই হারাম হবে নিশ্চয়.?..... না না
আচ্ছা ভাই যদি ডাল হারাম না, চিনি হারাম না, ঘি হারাম না, তেল হারাম না, ময়দা হারাম না, তাহলে এগুলো একসাথে যোগ করলে যখন হালুয়া হয় তখন হারাম হয়ে যাবে কেমনে.?
আবু জাহিল তাবলিগীদের কাছে- তখন হে হে হে করা ছাড়া আর কোন উপাদান থাকবে না।

আচ্চা সবচেয়ে মজার বিষয় এরা এসবকে হারাম বললেও একবার এদের সামনে রেখে দেকুন না হালুয়া-রুটি, প্লেট প্লেট সাবাড় করে দিবে।তখন এটা আর হারাম থাকে না।

৪০ দিনের মুফতিরা যখন এইসব প্রশ্নে আটকা পড়ে, তখন সাধারন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে তাদের নতুন ফাদ-
তাবলিগীঃ আরে না ভাই আমরা বলতেছি শুধু এইদিনকে সামনে রেখে হালুয়া কেন, তাই এটা বিদাত, হারাম
আমাদের উত্তরঃ ভাল খাবারের কোন দিন হয় না, সেটা যেকোন দিন বা শবে বরাতের দিন হউক যদি সেই খাবারের মধ্যে কোন হারাম বস্তু না থাকে তাহলে সেটা হালাল হালাল হালাল, সেটা কোন মতেই হারাম হতে পারে না।
আর যদি দিন ধার্য করে হালুয়া রটি হারাম হয়ে যায় তাহলে এবার আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিন।
- দিন ধার্য করেই আপনার বাবা মায়ের বিবাহ হয়েছিল যার রেজাল্ট আপনি নিজেই, তাহলে আপনি কি হলেন?
- মসলমানদের পবিত্র ঈদে যখন আজ ঘরে ঘরে সেমাই, লাচ্ছা, দিন ধার্য করে রান্না হচ্ছে- এর ব্যাপারে ফতোয়াবাজ ৪০ দিনের মুফতিরা কি বলবে?
- রমজানের রোজা উপলক্ষে দিন ধার্য করে যেখানে ঘরে ঘরে চানা, পিয়াজু রান্না হচ্ছে, তখন ৪০ দিনের চিল্লার পার্টি কি উত্তর দিবে?
*
যদি শবে বরাত উপলক্ষে হালাল খাবার হালুয়া রুটি হালাল হয়েও দেউবন্দরদের চোখে হারাম হয়ে যায় শুধু এই অজুহাতে যে এর কোন ভিত্তি কোরআন হাদিসে নাই তাহলে সেই ফতোয়াবাজ আবু জাহিলদের কাছে লাচ্ছা,সেমাই,চানা,পিয়াজু কোন সূত্রে হালাল হয়ে গেল.??? এইসব জিনিসও তো কুরআন-হাদিসে নাই।
*
এই হচ্ছে রিয়াল আর ডোলারে পালিত নামকাওয়াস্তে মুসলমানদের আসল চেহরা, যারা রিয়াল আর ডোলারের লোভে আজও মুসলমানদের বিভক্ত করতে সদা তৎপর। এরা ইসলামকে নিজেদের উত্তরাধীকারে পাওয়া ইসলাম বানাতে চাই, যখন যাকে ইচ্ছা হারাম বলবে যখন যাকে ইচ্ছা হারাম বস্তুকে হালাল বলে নিজেদের জন্য বৈধ করবে যেমন দেখুন এরা হালাল হালুয়া রুটিকে হারাম বললেও আজ নিজেদের পুস্তক “ফতোয়া-এ-রশিদিয়া”র ২য় খন্ডের ১৩০ নং পৃষ্ঠায় ৪০ দিনের মুফতিরা ফতোয়া দিয়েছে যে,
“কাক(কাউয়া)খাওয়া হালাল আছে এবং এর মধ্যে এক প্রকার সওয়াবো আছে”
(“ফতোয়া-এ-রশিদিয়া”র ২য় খন্ডের ১৩০ নং পৃষ্ঠা),
কি ধরনের সওয়াব আছে, সেটা ৪০ দিনের হুজুররাই বলতে পারবে, তবে আজ পর্যন্ত অনেককে প্রশ্ন করেও উত্তর পাইসি যে কি ধরনে সওয়াব আছে কাউয়ার মধ্যে

আজ যারা হালুয়া রুটিকে হারাম বলছে তারাই নিজের পুস্তক “ফতোয়া-এ-রশিদিয়া”র ২য় খন্ডের ১৩২ নং পৃষ্ঠায় ফতোয়া দিয়েছে যে, “হিন্দুদের হোলী, দেওয়ালীর প্রসাদ খাওয়া জায়েজ” নাউজুবিল্লাহ

দেখলেনতো মিস্টার ফতোয়াবাজদের আসল চেহরা হালাল হালুয়া এদের চোকে হারাম হলেও কাউয়া(কাক) খাওয়া, হিন্দুদের প্রসাদ খাওয়া ঠিকি হালাল বলছে এরা। নাউজুবিল্লাহ।

বাংলায় একটি কথা আছে ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকর” ঠিক এই অবস্থা দেউবান্দরদের, জ্ঞান অর্জন করতে যেখানে মানুষরা বছর থেকে বছর ব্যয় করছে আর ফতোয়াবাজরা ৪০ দিনের চিল্লার পার্টি সেরে ফেললেই হয়ে যাচ্ছে মহা গ্রান্ড মুফতি আর ৪০ দিনের হুজুরদের কাছে কিবা আর আশা করা যায়। আসলে এরা ইসলামে একটি ভাইরাস স্বরুপ যারা রিয়াল আর ডোলারের বিনিময় আজও মুসলমানদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে তৎপর্। এজন্য হালাল খাবারকে এখন আজকের যুগে এরা হারাম ফতোয়া দিচ্ছে
যাই হউক প্রসংগটা ছিল “হালুয়া-রুটি” আর আমি সুস্থ মস্তিষ্কে স্বজ্ঞানে সবার সামনে বলতেছি কিয়ামত পর্যন্ত কোন তাবলিগী দেউবান্দাররা হালুয়া-রুটিকে বিদাত, হারাম প্রমান করতে পারবে না না না এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।
শেষে উর্দুতে একটি কবিতার মাধ্যমে ইতি টানতে চাই

“Teri harkato pe Nazdi mujhe keu na khar aye
Ya Gaus sunke tujko fawran bukhar aye

Khate he sunni Haluwa Sarkar ke karam se
Dekho to nazdiyo ko Kauwo pe piyar aye,

Tu Deb ka he banda, tu he jalil ganda
Le pehen teri khatir juto ke har aye

Sarper he unke basta, hato me unke lota
Lagta ge jaise koi chura chamar aye
১৫টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×