somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্ধু খুঁজে মরি, পাওয়া যায় না ফ্রি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটাই কথা আছে বাংলাতে
বুক আর মুখ বলে একসাথে
সে হল
বন্ধু, বন্ধু আমার।।
----------------------------------------

নিচের দীর্ঘ কথাগুলো একান্তই আমার নিজস্ব চিন্তার খোরাক। বাকিদের জন্য শুধুই একটি বিরক্তিকর প্রবন্ধ।

লেখাটা লেখার আগে আমি অনেকবার ভেবেছি, এই কথাগুলো বলাটা হ্যাংলামো হয়ে যায় কিনা। প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে এসে এরকম একটি জিনিসের জন্য আকুলি বিকুলি প্রকাশ হ্যাংলামোইতো হয়ে যায়, তাইনা? জীবনের স্বাভাবিক নিয়মে যা একসময় এসেছিল কিংবা এসে যায় তার জন্য আবার এত সাধনা কেন?

কেউ কেউ আবার এর মধ্যে রহস্যের গন্ধও পেয়ে যেতে পারে। কী ব্যাপার? কী ব্যাপার। নাহ, প্রেম-ভালবাসা নয়। ওগুলো যথেষ্টই আছে বউয়ের সাথে।

-----------------------আজকাল দেখতে পাই ”ফেসবুক ফ্রেন্ড” নামক একধরণের মিতালীর উদ্ভব হয়েছে। দেখলাম না, শুনলাম না, সে কেমন, তার বিত্তান্ত কী-কিছুই না জেনে ”ফেসবুক ফ্রেন্ড”।

আমি মরলে ফেসবুক ফ্রেন্ডরা আমার খাটিয়া ধরবে তো?
তাদের কে জানাবে যে আমি মরেছি?
আমি মরার পরে আমার ফেসবুকীয় স্থাবর, অস্থাবর, ফটো এ্যলবাম এগুলোর কী হবে?
তাদের উপর কি এই মরার দেশের উত্তরাধিকার আইন প্রযোজ্য হবে?

ফেসবুক ফ্রেন্ড এবং সত্যিকারের বন্ধু’র মধ্যে পার্থক্য আছে-এমনটা আমি বিশ্বাস করি। আপনি করেন? আমি যাদের বন্ধূ ভাবি বা যারা আমায় ভাবে তাদের বন্ধূত্ব ফেসবুকে “ফ্রেন্ড” লিস্টে আছে কি নেই সেটা নিয়ে আমি খুব ভাবিত হই না। বন্ধত্ব একসেপ্ট করতে কোনো শ্রেনীবিন্যাস ফলো করি না। যার সাথে চলতে পারি, তাকেই নিই। (একটা নির্দিষ্ট ট্রেন্ড বাদে) ফেসবুকে যেকোনো মানুষকে একসেপ্টেন্স দিই। যেটা দিই না বললাম, ওটার কারন ব্যক্তিগত।

আর শুধুমাত্র “ফেসবুক ফ্রেন্ড” এই কথাটায় বিশ্বাস করি না। মানে হল, একজন একটা ফেবু ফ্রেন্ড রিকোঃ পাঠাল আর আমি সেটা একসেপ্ট করলাম-মানেই সে আমার ফ্রেন্ড হয়ে গেল-এটাতে বিশ্বাস করি না। ফেসবুক ওই “ফ্রেন্ড” কথাটা একটা কথার কথা আর নেটওয়ার্ক প্রোমোশনের থীম হিসেবে ব্যবহার করেছে। স্রেফ ফেসবুক ফ্রেন্ড মানে ফ্রেন্ড নয়। ফ্রেন্ড তো ফ্রেন্ডই। তাকে দেখেছি কিনা, দেখিনি কিনা, কোনোদিন আদৌ দেখব কিনা-তা নিয়ে ভাবি না। কখনো দেখব এমনটা হয়তো হবেই না। তবু তাকে ফ্রেন্ড মনে করি। ফ্রেন্ডশীপ হয়তো অনেক রকম আছে-তবু ফ্রেন্ড তো।

নিশ্চই মানবেন স্কুল, কলেজ বা নিদেনপক্ষে ইউনিভার্সিটিতে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব আর ফেসবুকে “ফেসবুক ফ্রেন্ড” নামক বন্ধুত্বের দাবী ও অধিকারের মাত্রা এক নয়? যাহোক, বন্ধুত্বের বায়োলজি পড়াতে আসিনি। শুধু একটা নিজস্ব বিশ্বাস বলতে বসেছি। আমরা মানি বা না মানি, স্কুল কলেজের জিগড়ি দোস্ত আর ভার্চুয়াল জগতের পরিচীত হওয়া ফ্রেন্ড-দু’য়ের মধ্যে সম্পর্কটাতে কিছুটা ব্যবধান আছে। জিগড়ি দোস্ত’র সাথে যেভাবে বিহ্যাভ, রিএ্যাক্ট করা যায়, আমার মনে হয় না ভার্চুয়াল জগতের “ফ্রেন্ড”দের সাথে সেটা হুবহু একই রকম করা যায়।

কর্পোরেটের বন্ধুত্বের মেয়াদ কতদিন থাকে? আমার পরিচীত একজন সাবেক কর্পোরেট বন্ধু। চাকুরীচ্যুত হয়ে ছাড়াছাড়ি হয়েছে প্রায় বছরখানিক। বেঁচে থাকাকালীন অর্থাৎ চাকরী করাকালীন বহু কর্পোরেট বন্ধু ছিল তার। কত আনন্দ, হাসি, ঠাট্টা, একসাথে চটপটি খাওয়া, কাঁশবনে চা উপভোগ, সেলফী, আদর, আবদার, মান, অভিমান-যেন কতদিনের ইয়ার দোস্ত। চাকরী যাবার পর বিগত ১ বছরে সেই সাবেক কর্পোরেট বন্ধুকে একটি ফোন দিয়ে খোঁজ নিয়েছেন কতজন? জিজ্ঞেস করেছিলাম সেই সাবেককে। সংখ্যাটা ১ বা ২ তাও পরিমাণে এক বা দুইবার। পতিত কর্পোরেট বন্ধুকে কে মনে রাখে? যতদিন সাথে আছে সব্ আছে। উইকেট পড়লে বা কর্পোরেট ছাড়লেই বাই বাই। সময় কই? কর্পোরেট বন্ধুত্ব হল সবচেয়ে বড় ফক্কা, কমপ্লিটলি ফান।

অনেক সময়ই কৈশোর বা কলেজের বন্ধুত্ব পূর্ন বয়সে এসে আর আগের রং পায় না। আমার একটা নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে এর কারনের। সেটা হল-স্কুল কলেজের উঠতি বয়সের আবেগ আর তরল মনে করা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ম্যাচিওরড বয়সে এসে যদি পাতলা হয়ে যায় সেটাই স্বাভাবিক। আর এখন এত এত কর্পোরেট ফ্রেন্ড, সোসাইটির ভীড়ে পুরানো বন্ধুত্ব এত পাত্তা না পাওয়ারই কথা। বউ, পুলাপাইন আর ক্যারিয়ার-এই তিনের পরে ল্যাংটা কালের বন্ধুত্ব’র জন্য টাইম কই? বড়জোর ঈদে কোরবানীতে জড়াজড়ি, সেলফী, আহা উহু। আর ছোটকালের আবেগী বন্ধুত্ব নিয়ে ভাবলে এখন বরং শরম করে। “তোদের কখনো ভুলবনা” এইরকম ডায়লগ দিয়েছি এখন কবুল করতেও শরম লাগে।

এতগুলো কথা এজন্য বললাম, আজ অনেকদিন পরে নিয়মিত জীবনের ফাঁকে একদিন হঠাৎ মনে হল জীবনে বন্ধু বানাতেও দেরী করেছি। স্কুলের ফ্রেন্ড হয় গলাগলি সম্পর্কের। তাদের কোথায় হারিয়ে ফেলেছি। কলেজের ফ্রেন্ডদের খোঁজ জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়তো আরো খারাপ অবস্থা। আজ এই অবেলায় তাদের আবার খুঁজছি।

বন্ধু কি কাজে আসে?

শুধু হঠাৎ হঠাৎ হাই! কি খবর! ভাল তো! কেমন! হ্যলো! মিস ইউ! আধামরা জানলেও প্রে ফর ইউ-বলে দেয়া.....এইসব সুপার মডার্ন চোস্ত কিন্তু সুবিধাজনক সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য?

নাকি মাঝে মধ্যে জ্বালানো, এক কাপ চা, অগ্যস্ত হাটা, বসে দু দন্ড রাজা উজির মারা, ইতরামি বজ্জাতি শেয়ার করা, হাসি কান্নায় এক হওয়া, অসুখে পাশে বসা, রাত জাগা, সুখে সুখি, দুখে দুখি, মরলে খাটিয়া ধরা এসবের জন্য?

কোনো এক ব্যক্তিগত লিগ্যাসির একটি গ্রূপে অনেক আগে এই কথাগুলো লিখেছিলাম।

অপ্রাসঙ্গিকভাবে এটা দিয়েই শেষ করছি,

”আসো আর একবার আমরা চেষ্টা করি। তোমাদের কর্পোরেট জগৎ, কর্পোরেট বন্ধু, ঢাকার সমাজ, পাড়ার ভাইজানেরা, সোসাইটি, ক্লায়েন্ট, পরিবার, অ-পরিবার সব থাকুক তার নিজের মতো। শুধূ এসো এসবের সাথে পুরানো একটা সম্পর্ককে আবার ঝালাই করি। বসি নিয়মিত। দু’চারজন করে হলেও। হয়তো টং দোকানে বসে দু’কাপ চা খাব। জিহবা পোড়ানো সিঙারা। অনেক খুজে কিনে আনব কে-টু সিগ্রেট। সেইদিনগুলাতে আমরা কর্পোরেট কষ্টকে দুরে রাখব, সোসাইটিকে ভুলে যাব, পরিবারের জন্য সুখানুভুতি নিয়ে যাব। আর আসো না, না হয় পরিবারকে নিয়েই আসো। সবাই এক এক করে দেশ ছাড়ছে। এমনি করে সবাই আবার দুরে চলে যাব। হয়তো বৃদ্ধ বয়সে আবার সেই পুরানো বন্ধুদের মনে পড়বে। সেই সময়টা আসার আগেই কিছু করি?”

ছবিয়াল: নিজ সস্তা মুঠোফোন একটাই কথা আছে বাংলাতে
বুক আর মুখ বলে একসাথে
সে হল
বন্ধু, বন্ধু আমার।।
----------------------------------------

নিচের দীর্ঘ কথাগুলো একান্তই আমার নিজস্ব চিন্তার খোরাক। বাকিদের জন্য শুধুই একটি বিরক্তিকর প্রবন্ধ।

লেখাটা লেখার আগে আমি অনেকবার ভেবেছি, এই কথাগুলো বলাটা হ্যাংলামো হয়ে যায় কিনা। প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে এসে এরকম একটি জিনিসের জন্য আকুলি বিকুলি প্রকাশ হ্যাংলামোইতো হয়ে যায়, তাইনা? জীবনের স্বাভাবিক নিয়মে যা একসময় এসেছিল কিংবা এসে যায় তার জন্য আবার এত সাধনা কেন?

কেউ কেউ আবার এর মধ্যে রহস্যের গন্ধও পেয়ে যেতে পারে। কী ব্যাপার? কী ব্যাপার। নাহ, প্রেম-ভালবাসা নয়। ওগুলো যথেষ্টই আছে বউয়ের সাথে।

-----------------------আজকাল দেখতে পাই ”ফেসবুক ফ্রেন্ড” নামক একধরণের মিতালীর উদ্ভব হয়েছে। দেখলাম না, শুনলাম না, সে কেমন, তার বিত্তান্ত কী-কিছুই না জেনে ”ফেসবুক ফ্রেন্ড”।

আমি মরলে ফেসবুক ফ্রেন্ডরা আমার খাটিয়া ধরবে তো?
তাদের কে জানাবে যে আমি মরেছি?
আমি মরার পরে আমার ফেসবুকীয় স্থাবর, অস্থাবর, ফটো এ্যলবাম এগুলোর কী হবে?
তাদের উপর কি এই মরার দেশের উত্তরাধিকার আইন প্রযোজ্য হবে?

ফেসবুক ফ্রেন্ড এবং সত্যিকারের বন্ধু’র মধ্যে পার্থক্য আছে-এমনটা আমি বিশ্বাস করি। আপনি করেন? আমি যাদের বন্ধূ ভাবি বা যারা আমায় ভাবে তাদের বন্ধূত্ব ফেসবুকে “ফ্রেন্ড” লিস্টে আছে কি নেই সেটা নিয়ে আমি খুব ভাবিত হই না। বন্ধত্ব একসেপ্ট করতে কোনো শ্রেনীবিন্যাস ফলো করি না। যার সাথে চলতে পারি, তাকেই নিই। (একটা নির্দিষ্ট ট্রেন্ড বাদে) ফেসবুকে যেকোনো মানুষকে একসেপ্টেন্স দিই। যেটা দিই না বললাম, ওটার কারন ব্যক্তিগত।

আর শুধুমাত্র “ফেসবুক ফ্রেন্ড” এই কথাটায় বিশ্বাস করি না। মানে হল, একজন একটা ফেবু ফ্রেন্ড রিকোঃ পাঠাল আর আমি সেটা একসেপ্ট করলাম-মানেই সে আমার ফ্রেন্ড হয়ে গেল-এটাতে বিশ্বাস করি না। ফেসবুক ওই “ফ্রেন্ড” কথাটা একটা কথার কথা আর নেটওয়ার্ক প্রোমোশনের থীম হিসেবে ব্যবহার করেছে। স্রেফ ফেসবুক ফ্রেন্ড মানে ফ্রেন্ড নয়। ফ্রেন্ড তো ফ্রেন্ডই। তাকে দেখেছি কিনা, দেখিনি কিনা, কোনোদিন আদৌ দেখব কিনা-তা নিয়ে ভাবি না। কখনো দেখব এমনটা হয়তো হবেই না। তবু তাকে ফ্রেন্ড মনে করি। ফ্রেন্ডশীপ হয়তো অনেক রকম আছে-তবু ফ্রেন্ড তো।

নিশ্চই মানবেন স্কুল, কলেজ বা নিদেনপক্ষে ইউনিভার্সিটিতে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব আর ফেসবুকে “ফেসবুক ফ্রেন্ড” নামক বন্ধুত্বের দাবী ও অধিকারের মাত্রা এক নয়? যাহোক, বন্ধুত্বের বায়োলজি পড়াতে আসিনি। শুধু একটা নিজস্ব বিশ্বাস বলতে বসেছি। আমরা মানি বা না মানি, স্কুল কলেজের জিগড়ি দোস্ত আর ভার্চুয়াল জগতের পরিচীত হওয়া ফ্রেন্ড-দু’য়ের মধ্যে সম্পর্কটাতে কিছুটা ব্যবধান আছে। জিগড়ি দোস্ত’র সাথে যেভাবে বিহ্যাভ, রিএ্যাক্ট করা যায়, আমার মনে হয় না ভার্চুয়াল জগতের “ফ্রেন্ড”দের সাথে সেটা হুবহু একই রকম করা যায়।

কর্পোরেটের বন্ধুত্বের মেয়াদ কতদিন থাকে? আমার পরিচীত একজন সাবেক কর্পোরেট বন্ধু। চাকুরীচ্যুত হয়ে ছাড়াছাড়ি হয়েছে প্রায় বছরখানিক। বেঁচে থাকাকালীন অর্থাৎ চাকরী করাকালীন বহু কর্পোরেট বন্ধু ছিল তার। কত আনন্দ, হাসি, ঠাট্টা, একসাথে চটপটি খাওয়া, কাঁশবনে চা উপভোগ, সেলফী, আদর, আবদার, মান, অভিমান-যেন কতদিনের ইয়ার দোস্ত। চাকরী যাবার পর বিগত ১ বছরে সেই সাবেক কর্পোরেট বন্ধুকে একটি ফোন দিয়ে খোঁজ নিয়েছেন কতজন? জিজ্ঞেস করেছিলাম সেই সাবেককে। সংখ্যাটা ১ বা ২ তাও পরিমাণে এক বা দুইবার। পতিত কর্পোরেট বন্ধুকে কে মনে রাখে? যতদিন সাথে আছে সব্ আছে। উইকেট পড়লে বা কর্পোরেট ছাড়লেই বাই বাই। সময় কই? কর্পোরেট বন্ধুত্ব হল সবচেয়ে বড় ফক্কা, কমপ্লিটলি ফান।

অনেক সময়ই কৈশোর বা কলেজের বন্ধুত্ব পূর্ন বয়সে এসে আর আগের রং পায় না। আমার একটা নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে এর কারনের। সেটা হল-স্কুল কলেজের উঠতি বয়সের আবেগ আর তরল মনে করা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ম্যাচিওরড বয়সে এসে যদি পাতলা হয়ে যায় সেটাই স্বাভাবিক। আর এখন এত এত কর্পোরেট ফ্রেন্ড, সোসাইটির ভীড়ে পুরানো বন্ধুত্ব এত পাত্তা না পাওয়ারই কথা। বউ, পুলাপাইন আর ক্যারিয়ার-এই তিনের পরে ল্যাংটা কালের বন্ধুত্ব’র জন্য টাইম কই? বড়জোর ঈদে কোরবানীতে জড়াজড়ি, সেলফী, আহা উহু। আর ছোটকালের আবেগী বন্ধুত্ব নিয়ে ভাবলে এখন বরং শরম করে। “তোদের কখনো ভুলবনা” এইরকম ডায়লগ দিয়েছি এখন কবুল করতেও শরম লাগে।

এতগুলো কথা এজন্য বললাম, আজ অনেকদিন পরে নিয়মিত জীবনের ফাঁকে একদিন হঠাৎ মনে হল জীবনে বন্ধু বানাতেও দেরী করেছি। স্কুলের ফ্রেন্ড হয় গলাগলি সম্পর্কের। তাদের কোথায় হারিয়ে ফেলেছি। কলেজের ফ্রেন্ডদের খোঁজ জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়তো আরো খারাপ অবস্থা। আজ এই অবেলায় তাদের আবার খুঁজছি।

বন্ধু কি কাজে আসে?

শুধু হঠাৎ হঠাৎ হাই! কি খবর! ভাল তো! কেমন! হ্যলো! মিস ইউ! আধামরা জানলেও প্রে ফর ইউ-বলে দেয়া.....এইসব সুপার মডার্ন চোস্ত কিন্তু সুবিধাজনক সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য?

নাকি মাঝে মধ্যে জ্বালানো, এক কাপ চা, অগ্যস্ত হাটা, বসে দু দন্ড রাজা উজির মারা, ইতরামি বজ্জাতি শেয়ার করা, হাসি কান্নায় এক হওয়া, অসুখে পাশে বসা, রাত জাগা, সুখে সুখি, দুখে দুখি, মরলে খাটিয়া ধরা এসবের জন্য?

কোনো এক ব্যক্তিগত লিগ্যাসির একটি গ্রূপে অনেক আগে এই কথাগুলো লিখেছিলাম।

অপ্রাসঙ্গিকভাবে এটা দিয়েই শেষ করছি,

”আসো আর একবার আমরা চেষ্টা করি। তোমাদের কর্পোরেট জগৎ, কর্পোরেট বন্ধু, ঢাকার সমাজ, পাড়ার ভাইজানেরা, সোসাইটি, ক্লায়েন্ট, পরিবার, অ-পরিবার সব থাকুক তার নিজের মতো। শুধূ এসো এসবের সাথে পুরানো একটা সম্পর্ককে আবার ঝালাই করি। বসি নিয়মিত। দু’চারজন করে হলেও। হয়তো টং দোকানে বসে দু’কাপ চা খাব। জিহবা পোড়ানো সিঙারা। অনেক খুজে কিনে আনব কে-টু সিগ্রেট। সেইদিনগুলাতে আমরা কর্পোরেট কষ্টকে দুরে রাখব, সোসাইটিকে ভুলে যাব, পরিবারের জন্য সুখানুভুতি নিয়ে যাব। আর আসো না, না হয় পরিবারকে নিয়েই আসো। সবাই এক এক করে দেশ ছাড়ছে। এমনি করে সবাই আবার দুরে চলে যাব। হয়তো বৃদ্ধ বয়সে আবার সেই পুরানো বন্ধুদের মনে পড়বে। সেই সময়টা আসার আগেই কিছু করি?”

ছবিয়াল: নিজ সস্তা মুঠোফোন

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×