সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসাবে ইরান সরাসরি ইজরায়েলে তিনশতাধিক ড্রোন আর ক্ষেপনাস্ত্র পাঠিয়ে পাল্টা হামলা করে। সব কিছু শোধবোধ, মামলা ডিসমিস।
এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে। ইজরায়েল ভেবেছিল, তাদের পিছনে যেহেতু আম্রিকা আর ইউরোপের কালোহাত আছে; ইরানীরা কয়দিন হুমকি-ধামকি দিবে। হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা বলবে, তারপরে বরাবরের মতো ঝিম মেরে যাবে। আর এভাবেই ইজরায়েল তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাবে। ভুল চিন্তা। বিদেশের মাটিতে একটা দেশের মিশনগুলো নীতিগতভাবে সেই দেশের ভুখন্ডেরই অংশ। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাজার বছরের নীতি। ফলে ইরান তাদের ভুখন্ডে সরাসরি আক্রমণকে হজম করে ফেলবে, কিছুই করবে না; এটা ভাবাটাই বলদামী। নেতানিয়াহু সেই বলদের কাজটাই করেছে। তা সে করতেই পারে। একটা ইতর যখন বাধাহীনভাবে ইতরামী করতে থাকে, তখন একটা পর্যায়ে সে ভাবতে শুরু করে যে সে চাইলেই যা ইচ্ছা তাই করতে পারে।
এখন আসি লেজ বিশ্লেষণে। ''লেজ'' এর ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করি। ভারত ইজরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ফলে ভারতের দালালেরা ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করছে ইরান এই হামলা করে কিছুই ছিড়তে পারে নাই। এই গাছ বলদ লেজবৃন্দ মুসলিম দেশ হওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই ইরানকে দেখতে পারে না। অন্যদিকে ভারত-ভজন সূত্রে ইজরায়েল তাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়জন। কিন্তু ইজরায়েল-প্রেম দেখাতে গিয়ে তারা তারা স্থান-কাল সম্পর্কে বিস্মৃত হয়েছে। এই গাছ বলদদের বোঝা উচিত বর্তমান যুগে কোন তথ্যই বেশিদিন গোপন থাকে না। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ''গোয়েবলসীয় প্রোপাগান্ডা'' অর্থাৎ গান্ডুগিরি করলে ধরা খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। ব্লগে আপনারা ফেসবুকীয় বিজ্ঞানীর দৌরাত্ম দেখেছেন, এখন ফেসবুকীয় সমরবিদ আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক দেখছেন। এদের ক্রিয়াকর্মে আমি সাধারনতঃ কোন প্রতিক্রিয়া দেখাই না, তবে দেখতে দেখতে যখন আর হাসি থামিয়ে রাখতে পারি না, তখন একটু কলম........থুক্কু কি-বোর্ড ধরতে হয় বৈকি!!!
এই হামলা থেকে সবদিক দিয়েই ইরান লাভবান হয়েছে বলাই বাহুল্য। কিভাবে? সেটাই আপনাদের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। সেই সাথে গত কয়েকদিনের বেশকিছু গোয়েবলসীয় পোষ্ট আর মন্তব্যের অসারত্ব প্রমানের চেষ্টাও থাকবে। কাজেই ঝাকুনী এড়াতে এখনই সীটবেল্ট বেধে ফেলেন!!!
সবার আগে গ্রাউন্ডওয়ার্ক হিসাবে ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দু-চারটা কথা বলে নেই। ইজরায়েলের আয়রন ডোম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা'র একটা উদাহরন। আয়রন ডোম আসলে একটা স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা ৪ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের ড্রোন, মর্টার এবং রকেট লক্ষ্য করে উৎক্ষেপন করা হয়। অর্থাৎ ভূমি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের মাধ্যমে ধেয়ে আসা শত্রুপক্ষের উড়ন্ত অবজেক্টকে আকাশেই ধ্বংস করে দেয়া হয়। এর সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ (এটা আইডিএফ প্রদত্ত হিসাব)। আয়রন ডোমের প্রতিটা মিসাইলের দাম ৫০,০০০ আম্রিকান ডলার। দাম বলার কারন পরে ব্যাখ্যা করছি।
নির্ভরযোগ্য খবর হলো, ইরান ইজরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এদের মধ্যে বেশ কিছু ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। তাদের অন্তত নয়টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের বিস্তৃত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়। তার মানে হলো, এগুলো যাত্রাপথে ইজরায়েলের মিত্র ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জর্ডান আর সৌদি আরবের সামরিক বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাকি দিতে সমর্থ হয়েছে। এই নয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাচটি ইজরায়েলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। এই ঘাটি থেকেই গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলা হয়েছিল। এতে সি-১৩০ নামে একটি পরিবহন বিমান, একটি পুরো রানওয়ে এবং একটি খালি গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাকি চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নেগেভ বিমানঘাটিতে আঘাত হানে। তবে এতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ'ছাড়া হেরমন পাহাড়ের ওপর থাকা ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর একটি গোয়েন্দা অবকাঠামোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এই স্থান থেকে সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর চালানো অসংখ্য হামলা পরিচালিত হয়েছিল। আরো বিস্তারিত বলতে গেলে পোষ্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটা ভিডিও লিঙ্ক দিলাম। এতে ইজরায়েলী মিডিয়ায় প্রকাশিত স্যাটেলাইট ইমেজ আর তাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দেখেন, বিষয়টা পরিস্কার হবে।
আয়রন ডোমের মতোই অ্যারো-৩ ইজরায়েলী সামরিক বাহিনীর আরো একটা নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সম্প্রতি এটা প্রথমবারের মতো মোতায়েন করা হয়। প্রধানত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। তাই ইরানের গত শনিবারের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল এর জন্য একটা পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষায় পাস করতে অ্যারো-৩ ব্যর্থ হয়েছে, অর্থাৎ ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অ্যারো-৩ কে ফাকি দিতে সমর্থ হয়েছে। অতি গর্বের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে এরই মধ্যে পোস্টমর্টেম শুরু করেছে ইজরায়েলী বাহিনী।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরান ১৭০টি ড্রোন, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১২০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এ হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছে তেহরান। তবে তেল আবিব দাবি করেছে, ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিমান ঘাটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। কথা হলো, বিমান ঘাটিতে শিশু কি করে? আর হামলার বেশ আগেই সাইরেন বেজেছে, তাহলে সেই শিশুর মা-বাবাই বা কোথায় ছিল? ক্ষয়ক্ষতির খবর গোপন করতে গিয়ে এই রকমের হাস্যকর কথা বলা শুধুমাত্র ইজরায়েলকেই মানায়।
এবার চলেন দেখি, ইরানের আর কি কি লাভ হয়েছে।
ইরান রাশিয়ার সহায়তায় তাদের ''আরমান'' আর ''আজরাখশ'' আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্রমাগতভাবে আরো শাণিত করছে। ইজরায়েলের ''আয়রন ডোম'' আর ''এ্যারো ৩'' এর দূর্বলতাগুলোকে সনাক্তকরনের মাধ্যমে ইরানের এই প্রক্রিয়া আরো কার্যকর হবে।
এই হামলার মাধ্যমে ইরান বল ইজরায়েলের কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন তারা যদি বেশী বাড়াবাড়ি করে তাহলে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার একটা অজুহাত পেয়ে যাবে।
শাহাব ব্যালিস্টিক মিসাইল পারমানবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে। এটাও হামলায় সফলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ইরান এর কার্যকারীতা সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের সক্ষমতা আর কনফিডেন্স অর্জনে সমর্থ হলো।
ইরান বিশাল কোন ধ্বংসযজ্ঞ করার জন্য এই হামলা করে নাই। তাই যদি লক্ষ্য থাকতো, তাহলে ঘোষণা দিয়ে 'অপারেশান ট্রু প্রমিজ' পরিচালনা না করে হঠাৎ করেই হামলা করতো। তাদের মূল লক্ষ্যই ছিল জায়নবাদী ইজরায়েল আর তার মিত্রদেরকে একটা বার্তা দেয়া আর যতোটা সম্ভব কিছু অবকাঠামোগত ক্ষতি করা। ইজরায়েলের মতো কাপুরুষোচিত হামলা করে সিভিলিয়ান হত্যা করতে চাইলে কোন ঘন বসতিকেই টার্গেট করে হামলা করতো, মরুভূমির বিরাণভূমিতে স্থাপিত সামরিক অবকাঠামোতে না। ফলে যেসব সমরবিদেরা বলছে, ইরান হামলা করে একজন লোক কিংবা একটা পাখীও মারতে পারে নাই, তারা এসব বলে তাদের গাধাত্বকেই প্রমান করছে।
ইরান আরো বার্তা দিল যে তারা প্রক্সি ছাড়াই তদের ভূমি থেকে ইজরায়েলী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাকি করে নিখুতভাবে হামলা করতে পারে। এটা তাদের নিজেদের মনোবল বৃদ্ধি করা আর শত্রুর মনোবল ভেঙ্গে দেয়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ইজরায়েল কখনও ভাবেই নাই যে ইরান সরাসরি তাদের ভুখন্ডে হামলা করার দুঃসাহস দেখাবে। তাদের ধারনা ছিল বরাবরের মতোই প্রক্সি দিয়ে তারা জবাব দিবে। ইরান এখন প্রমান করে দিয়েছে যে, ইজরায়েল অপ্রতিরোধ্য না। তাদেরকেও সফলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব। আর এটা ইরান করেছে তাদের তৃতীয় শ্রেণীর ড্রোন আর ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে। আসলগুলো তারা ব্যবহারই করে নাই। আর এটাই ইজরায়েলের আর তার মদদদাতাদের ভীতির অন্যতম প্রধান কারন।
দূর্বল প্যালেস্টাইনীদের উপর হম্বিতম্বি করা ইজরায়েল প্রমান করলো যে তারা আসলে পরগাছা, তাদের দোসরদের মদদ ছাড়া তারা কতোটা অসহায়। জর্ডান, আম্রিকা, বৃটেইন, ফ্রান্স, সৌদি আরব ইত্যাদিরা যদি বেশিরভাগ মিসাইল আর ড্রোনকে ধ্বংস না করতো, তাহলে তাদের হালুয়া আরো টাইট হতো। এসব ইজরায়েলী মিডিয়াতেই ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে। ফলে, সাধারন জনগনের বিশ্বাস হারাচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী।
ইরানী হামলা ঠেকানোর সরকারী উদ্যোগের বিরুদ্ধে জর্ডানের জনগনের তীব্র প্রতিবাদ থেকে আরবদেশগুলোর হারামী রাজা-বাদশা বা সরকারগুলো এই বার্তা পেলো যে, জনগনকে ক্ষেপিয়ে ইজরায়েলকে সমর্থন করা তাদের জন্য আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে। ইরান এই সাহস দেখানোর ফলে পুরো উপ-সাগরীয় অঞ্চলের মানুষের ইরানের প্রতি সমর্থন এবং সহানুভূতি আরো বৃদ্ধি পাবে।
আধুনিক যুদ্ধ শুধু সমরাস্ত্র দিয়ে হয় না। প্রতিপক্ষকে অর্থনৈতিকভাবে পর্যদুস্ত করার চেষ্টাও থাকে। ইরান প্রথমে ধীরগতির ড্রোন দিয়ে ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যতিব্যস্ত করে। তারপরে হাইপারসোনিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করে টার্গেটে হামলা করে। এই পুরো প্রক্রিয়াতে তাদের খরচ হয়েছে আনুমানিক এক মিলিয়ন ডলার আর এটা প্রতিহত করতে গিয়ে ইজরায়েলের খরচ হয়েছে আনুমানিক ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাজেই বুঝতেই পারছেন!!!
একটা ব্যাপার নিশ্চিত করি। আমি কিন্তু কোন সমরবিদ কিংবা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক না। তাই কিছু বলার আগে প্রচুর পড়ালেখা করে বিষয়টা জানার চেষ্টা করি। আমার এই পোষ্ট লিখতে আমি সহায়তা নিয়েছি দুই মার্কিন সামরিক বিশ্লেষক মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্নেল (অবঃ) ডগলাস ম্যাকগ্রেগর আর মার্কিন মেরিন ক্যাপ্টেইন (অবঃ) স্কট রিটার এর বিভিন্ন আলোচনা, টক শো আর আর্টিকেল থেকে। এদের প্রোফাইল কতোটা সমৃদ্ধ তা গুগল কররেই জেনে যাবেন। আর নিয়েছি ইজরায়েলের পদলেহী ভারতের টাইমস অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক উদ্ধৃত ইজরায়েলী পত্রিকা ''মারিভ (MAARIV)'' থেকেও। ইচ্ছা করেই কোন মুসলিম মিডিয়া কিংবা মুসলিম বিশ্লেষক থেকে কিছুই নেই নাই; কারন সেক্ষেত্রে ফেসবুকীয় সমরবিদেরা আমার দেয়া তথ্যের সত্যতা ও নির্ভরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে যেতো। আরেক হাই প্রোফাইল মার্কিন বিশ্লেষক চ্যাস ফ্রিম্যানের একটা ভিডিও দিলাম। সমরবিদেরা দেখলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। দু্ঃখের বিষয় হলো, এটা শুনে বুঝতে হলে ইংরেজি ভাষায় মোটামুটি জ্ঞান থাকতে হবে। অর্ধ-শিক্ষিতদের বুঝতে একটু সমস্যা হবে...........কি আর করা!!!
কাজে কাজেই মনগড়া কথা না বলে যথাসম্ভব নিরপেক্ষ সূত্র থেকে নিশ্চিত হয়েই আমি কিছু বলার চেষ্টা করি। ব্লগের ফেসবুকীয় সমরবিদ আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের বলছি, এখানে সবাই আপনাদের মতো অর্ধ-শিক্ষিত না। ফলে কিছু লিখলে চিন্তা-ভাবনা করে লিখবেন। নিজেদের দৈনতা, দালালীত্ব আর ইসলাম-বিদ্বেষী মনোভাবকে খুল্লামখুল্লাভাবে বিকশিত করা কোন বুদ্ধিমানের কাজ না। এটা একেবারেই উজবুকীয় মনোভাব!!!
সবাই কষে ভালো থাকবেন।
ছবি সূত্র।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬