সুবর্ণা মোস্তফাকে আগে আমি ভীষণ অপছন্দ করতাম। এই কারণে না যে উনি বিয়ে করেছেন উনার চেয়ে অনেক অল্প বয়সী একজনকে তাই। উনাকে ভাল লাগতো না কারণ আচরণ অত্যন্ত নেতিবাচক মনেহত আমার কাছে। হেয় করার টেন্ডেন্সি তো আছেই কথার ধরণ শুনলেই বোঝা যায়।
তবে উনার অভিনয় আমার সবসময়ই অসাধারণ লাগে।
এখন কথা হল উনি হচ্ছেন সেলিব্রেটি। আমার আপনার ভাললাগায় মন্দলাগায় উনার যে কিছু যায় আসবে তাও না।
মাঝে রেডিওতে উনার একটা প্রোগ্রাম শুনতাম "সুবর্ণ সময়" নামে। সেখানে কম বয়সী ছেলেমেয়েরা প্রেম ভালবাসা সংক্রান্ত যাবতীয় সকল সমস্যার সমাধান চেয়ে উনাকে ইমেইল/এসেমেস করে থাকে। উনি সমাধান দেন। কিন্তু কথা হল ব্যক্তিগতজীবনে উনি তো সম্পর্কের ব্যাপারে তেমন যত্নশীল কখনোই ছিলেন না। নীতির দিক থেকেও ভাবতে গেলে দেখা যায় উনি বেশ নিচু স্তরের মানুষ। যেমন হুমায়ূন ফরিদীর প্রথম স্ত্রীর সাথে ঘর ভাংগিয়ে উনি তাঁর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। পরে আবার হুমায়ূন ফরিদীকে রেখে দ্বিতীয় বিবাহ করেছিলেন। এখন কথা হল, যেই ব্যক্তি এমন সব কর্মকাণ্ড করে আসছে সে কিভাবে মানুষকে ভাল উপদেশ দিতে পারবে?? কিন্তু উনি উপদেশ ভালই দেন।
ইদানীংকালে আমার আবার উনাকে ভাল লাগা শুরু হয়েছে। কারণ পৃথিবীর যত আকাম আছে তা করে উনাকে বললে দেখা যায়, কিছুই না টাইপ ভাব নিয়ে উড়ায় দেন। যদিও অনেক বড় সেলিব্রেটি এভাবে বলা ঠিক না কিন্তু উনার এই ভাব ভংগিমা দেখলে মনেহয় উনিও বোধহয় বিশিষ্ট আকাম করা লোক। এই বিষয়টা ভেবেই ভাল লাগে।
রাগ থাকলে যে রোম্যান্টিক হওয়া যাবে না তা না। কিন্তু উনার ওই কাব্যিক সুরে কথা বলা ছাড়া উনার মধ্যে কোন রোম্যান্স খুজে পাওয়া যায় না। বরং মনে হয় খুবই বাস্তববাদী মানুষ। "সুবর্ণ সময়" তে উনার কথা শুনলেও মনে হবে কত গোছালো অথচ উনি হলেন চরম অগোছালো এবং ধামাচাপা দিতে দক্ষ ব্যক্তি।
উনাকে বেশ সুখী মনেহয়। উনাকে দেখে একটা কথাই মাথায় আসে, জীবনে যদি ভাল থাকতে চাও তবে যতই ভেতরে ভেতরে অগোছালো থাকো না কেন সেটা প্রকাশ করো না বরং অস্বীকার করো, চক্ষুলজ্জাবোধ কমাও এবং মুহূর্তের মধ্যে সব ভুলে যাও!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৭