>আমি বাসায় যতই কাজ করি না কেন, বাপি বলতেই থাকবে,”কুড়িয়ানী ( মানে কাম চোর) কাজ কর কাজ কর, কাজ না করে করে অলস হয়ে যাচ্ছিস”!! কিন্তু যখন-ই মামনী বাসায় থাকে না, সব কাজ আমাকে করতে হয় তখন-ই সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুরু করবে কানের কাছে প্যানপ্যান- কিচ্ছু রান্না করব না, এক ভাত এক তরকারী, শুধু ডালের ভর্তা আর ভাত কর...আর কোন কাজ করবি না...!
>আমার এক কাজিন অনেক সিক, তাকে নিয়ে মামনী কাল রংপুর গেছে, আজ সকালে উঠেই শুরু হয়েছে বাপির প্যানপ্যান- শুধু ডাল ভাত করবি আর কিছু না... আমি নিজেও সিক, ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হচ্ছে প্রেসার আবার ডাউন করছে, যাক ধীরে ধীরে বাসার কাজ শুরু করলাম,আমাদের রাজত্বটাও ( আমাদের যা কিছু আছে সেটাকেই আমি রাজত্ব বলি আর সে রাজত্বের রাজকন্যা আমরা দু’বোন) কিন্তু কম বড় না, বাসায় যে মেয়েটা কিছু কাজ করে দিয়ে যায় আজ সেও নেই, বাড়িঘর পরিস্কার, নাস্তা বানানো, দুপুরের খাবার, ধোয়া-কাচা... একে একে করছি... এর মধ্যেই দেখি, বাপি তাদের ঘরের বিছানা গুছিয়ে ফেলেছে... যা আগে কখনো দেখিনি!! এরপর মামনীর ছেড়ে যাওয়া কাপড় দেখিয়ে বলে- এগুলা কি করবো? বললাম- রেখে দাও! এরপর বাপি গোসল করে নিজের লুঙ্গি/ তোয়ালে সব ধুয়ে হাতে ক্লিপ নিয়ে ছাদে শুকাতে দিয়ে এসেছে... চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে লাগলো ... মামনী বারবার ফোন করছে- আমি কি করছি একা একা,বোনটাও বাসায় নেই, শ্বশুরবাড়িতে ...
>>তাই বলছিলাম, বাপজানে’রা এমন-ই হয় কিন্তু জীবনসঙ্গী নামক প্রজাতিরা কি এত্ত কেয়ারফুল হয়? যদিও হাম্বা নামক আমার কল্পিত নায়ক কে আমি সেই রূপটা দিয়েছি! আমার জ্বর হলে সে আমার সেবা করে দেয়, মাথা টিপে দেয়, পা টিপে দেয়... আমি তাকে শিখিয়েছি... এসবে ছোট হওয়া হয় না কিংবা নেই কোন লজ্জা বরং পাওয়া যায় পরম শান্তি এক ধরনের আত্মতৃপ্তি... “ স্ত্রী যদি স্বামীর সেবা করতে পারে , স্বামী পারবে না কেন...”? আগে থেকেই এই ডায়লগ অনুযায়ী তাকে তৈরি হতে বলেছি... (যদিও বাবা এবং জীবনসঙ্গী দুটো আলাদা সত্ত্বা তবুও বাবার মত জীবনসঙ্গীর মাঝে কিছু মিল খোঁজে মেয়েরা!! )
>>এইবার হাত তুলেন তো ব্লগার ভ্রাতারা --কে কে এমন কেয়ারফুল আমার ভাবীদের প্রতি?